রসুনের আচার তৈরির রেসিপি by @bristy1 ১০% বেনিফিশিয়ারী @shy-fox এর জন্য
আসসালামুআলাইকুম আমার প্রিয় বন্ধুগণ। আল্লাহর রহমতে আমি অনেক ভালো আছি, আশা করছি আপনারাও ভালো আছেন।
"আমার বাংলা ব্লগ" এ আমার ২য় পোস্ট। পরিচয় পর্ব শেষে আমি আজকে অন্য একটি পোস্ট নিয়ে এসেছি। আজকের পোস্ট এ আমি রেসিপি তৈরি করলাম। এটি হলো রসুনের আচার৷ খুব সহজেই এটি তৈরি করা যায়। আমি এই নিয়ে ২বার রসুনের আচার তৈরি করলাম।
আমি আমার তৈরি করা রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য এসেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে৷
সর্বপ্রথম আমি আচার তৈরির জন্য যাবতীয় উপকরণ এর একটি তালিকা দিলাম।
রসুনের আচার তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
রসুন | আধা কেজি |
তেতুল | ৩টেবিল চামচ |
চিনি | আধা কাপ |
শুকনো মরিচ | ৭/৮টি |
লবণ | ২চা চামচ |
সাদা সরিষা বাটা | ১টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ১চা চামচ |
হলুদ গুড়ো | ১চা চামচ |
মরিচ গুড়ো | ২চা চামচ |
সরিষার তেল | দেড় কাপ |
পাঁচপোড়ন | ২চা চামচ |
তেজপাতা | ২টি |
দারচিনি | ছোট এক টুকরো |
সিরকা/ ভিনেগার | দেড় চা চামচ |
পানি | ১কাপ |
রসুনের আচার তৈরির পূর্ব প্রস্তুতি
আমি রসুনের কোয়াগুলো একটি ট্রে তে নিলাম। এরপরে এগুলোর খোসা ছাড়িয়ে রাখলাম। এগুলোকে পানি দিয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রেখে দিলাম।
পরিমাণ অনুযায়ী তেতুল নেয়ার পর ১ কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে ১৫-২০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রেখে দিলাম। তারপরে হাত দিয়ে কচলে তেতুলের কাথ বের করে অবশিষ্ট বিচি ফেলে দিলাম।
আমি সাদা সরিষা নিলাম,এগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে বেটে নিলাম। সাদা সরিষা দিলে আচারে তেতো ভাব থাকে না, কিন্তু কালো সরিষা ব্যবহার করতে আচার তেতো হয়ে যাবে।
আচার তৈরির পদ্ধতি
একটি কড়াই নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিলাম। এরপরে আমি কড়াইতে দেড় কাপ পরিমাণ তেল দিয়ে দিলাম। তেল হালকা গরম হয়ে এলে এরমধ্যে পাঁচপোড়ন দিয়ে দিলাম। দিয়ে সাথে সাথে নাড়তে থাকলাম।
এরপরে তেজপাতা আর দারচিনি দিয়ে দিলাম। এগুলো ভাজতে ভাজতেই শুকনো মরিচগুলো দিয়ে নাড়তে থাকলাম।
কিছুক্ষণ পর রসুনগুলো দিয়ে দিলাম। রসুনগুলো দিয়ে চুলার আচ বাড়িয়ে দিলাম, এভাবে রসুনগুলো ভাজতে থাকলাম।
কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে এরমধ্যে হলুদ গুড়ো, মরিচ গুড়ো, আদা বাটা, লবণ দিয়ে দিলাম। সবগুলোকে একসাথে রসুনের সাথে নেড়ে মিক্স করে দিলাম। এগুলো একসাথে ভাজতে থাকলাম।
এরপরে দিয়ে দিলাম সরিষা বাটা। সরিষা বাটা দেয়ার ২ মিনিট পরে তেতুলের কাথ দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে থাকলাম। সম্পূর্ণ আচার তৈরি করতে বারবার নাড়তে হবে, না হলে আচার কড়াইতে লেগে যাবে, যেটা খেতে একদমই ভালো লাগবে না।
তেতুলের কাথ দিয়ে নেড়ে নেয়ার কিছুক্ষণ পর ভিনেগার দিয়ে দিলাম। এরপরে আরও ২-৩ মিনিট নেড়ে রান্না করার পর দিয়ে দিলাম চিনি। চিনি দেয়ার পর আবার নাড়তে থাকলাম।সবগুলো উপকরণ একসাথে নাড়তে থাকলাম।
এইভাবে আচার তৈরি করতে করতে যখন রসুন কিছুটা নরম হয়ে আসে তখন চুলা বন্ধ করে দিলাম। আচার করার সময় যদি তেল বেশি করে দেয়া হয় তবে পরবর্তীতে আর আলাদাভাবে তেল দেয়া লাগে না। তাই আমি সেই অনুযায়ী তেল দিয়েই আচার তৈরি করে নিলাম।
এইভাবে খুব সহজে তৈরি করে নিলাম রসুনের আচার। খুব বেশি সময় লাগে নি এই আচার তৈরি করতে৷
আচার তৈরি করার পর আমি এগুলো চুলা থেকে নামিয়ে একটি বাটিতে নিয়ে নিলাম। ঠান্ডা হয়ে এলে একটি কাচের বয়ামে রেখে দিলাম। আবার কিছুক্ষণ এর জন্য রোদে দিয়ে রাখলাম। রোদে দেয়ার কারণে আচারের স্বাদ আরও বেড়ে যায়।
এটি ভাত, খিচুড়ি, বিরিয়ানির সাথে খেতে খুবই মজার৷ এই আচার আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।
আচার তৈরির সম্পূর্ণ পদক্ষেপ এর ছবি তুলে রেখেছি। প্রতিটি পদক্ষেপ এর ছবি আমি সেখান যোগ করে দিলাম।
রসুনের আচার নিয়ে কিছু টিপস
- এই আচার সংরক্ষণের জন্য সবসময় কাচের বয়াম ব্যবহার করা উচিত। তাহলে আচার নষ্ট হবে না।
- মাঝে মধ্যে আচার রোদে দেয়া হলে আচার অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।
- আচার নেয়ার ক্ষেত্রে সবসময় চামচ ব্যবহার করা উচিত, হাত দিয়ে ধরলে এই আচারে ফাংগাস পড়ে যাবে।
আচার দেখে তো মুখে পানি চলে আসলো আপু। আপনার রান্নার হাত আসলেই অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে এটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনি চাইলে খুব সহজেই এটি বাসায় তৈরি করতে পারেন।
বাহ!অনেক সুন্দর একটি রেসিপি, এই রেসিপি আমি পূর্বে কখনো দেখিনি, দেখে খুব ভালো লাগলো আর রসুন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী , একদিন ট্রাই করবো, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, বাসায় ট্রাই করে দেখতে পারেন, একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে
আমার ইউনিক রেসিপি মনে হলো। দেখেই তো মনে হচ্ছে সুস্বাদু হবে। অনেক শুভেচ্ছা রইলো
সত্যিই অনেক সুস্বাদু ছিল, তৈরি করার পরপরই খাওয়া শুরু করলাম।
রসুন এর আচার কখুনো খাওয়া হয়নি আমার।আপনার আচার এর ছবি গেটাপ দেখে তো জিভে জল চলে আসছে😁😁।দারুন হয়েছে মনে হচ্ছে
আপনি বাসায় তৈরি করে দেখতে পারেন, অনেক ধন্যবাদ আপনার মতামত দেয়ার জন্য।
বাহ রশুনের আচার খুব চমকপ্রদ
একটি রেসিপি। রসুনের রেসিপি টা খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
🙂