হেলেঞ্চা শাক ভাজির রেসিপি।১০% লাজুক-শিয়াল এর জন্য।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, সবাই আশাকরি খুব ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো আছি।আমার এই প্রিয় ব্লগের সাথে প্রতিনিয়ত কাজ করে আমি খুব আনন্দ পাই।তাই সবসময় নতুন কিছু নিয়ে হাজির হয়ে যাই।
| চলুন তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের রেসিপিটি |
|---|
আজকের রেসিপির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
|---|
| পরিমাণ |
হেলেঞ্চা শাক | পরিমাণ মত | পেয়াজকুচি | ১টি | শুকনো মরিচ | ৭/৮ টি | রসুনকুচি | ২ টি | লবণ | ১ চা চামচ | সয়াবিন তেল | ১ টেবিল চামচ |
এরপর আমি একটি কড়াই চুলায় বসিয়ে দিলাম।এরমধ্যে ১ টেবিল চামচ পরিমাণ তেল দিয়ে দিলাম।
তেল কিছুটা গরম হয়ে এলে এরমধ্যে কেটে রাখা পেয়াজকুচি, রসুনকুচি আর শুকনো মরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।
এগুলো দিয়ে মিডিয়াম আচে ভাজতে থাকলাম যাতে পুড়ে না যায়।
আধা চা চামচ পরিমাণ লবণ এখন দিয়ে দিলাম।কিছুটা ভাজা হয়ে এলে এরমধ্যে ধুয়ে রাখা শাক দিয়ে দিলাম। কড়াই ভর্তি শাক দেয়ার পর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম কিছুক্ষণ এর জন্য। যাতে এগুলো নরম হয়ে যায়।
যখন শাকগুলো নরম হয়ে কমে গেলো তখন ঢাকনা তুলে নিলাম এবং নেড়েচেড়ে ভাজতে থাকলাম। এরমধ্যে বাকি আধা চা চামচ পরিমাণ লবণ দিয়ে দিলাম।
আমি ভালোভাবে নেড়ে দিতে থাকলাম যাতে পেয়াজ, রসুন আর শুকনো মরিচ পুড়ে না যায়।সবকিছুকে একসাথে ১০ মিনিটের মত ভাজলাম।ইতোমধ্যে শাকের যে পানি অবশিষ্ট ছিল তা বেরিয়ে শাক ভাজা হয়ে গেল।
এইভাবেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার হেলেঞ্চা শাক ভাজি।এটি এতটাই মজাদার যে আমাদের পরিবারের সবাই খুব পছন্দ করে।মাঝেমধ্যেই এটি আমাদের বাসায় তৈরি করা হয়।
আমার আজকের এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।সবার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
|
|---|
.png)
আসলে হেলেঞ্চাশাক এটাকে আমরা সাধারণত বলে থাকি হাইসার শাক, এটা চাষ করে না, যত্ন নেয় না,কোনো বীজ রোপণ করে না তারপরও এটা অনেক বেশি পাওয়া যায়। এবং খুবই অসাধারণ একটি শাক। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে এই শাক এর একটি রেসিপি পোস্ট করার জন্য
খুবই ভালো লাগলো আপনার কমেন্টটা পড়ে ।আসলে একেক অঞ্চলে এটি একেক নামে পরিচিত। আর সবচেয়ে বড় কথা হল এটি অনেক পুষ্টিকর একটি শাক।
হেলেঞ্চা শাক খেতে খুবই মজার ছোটবেলায় যদিও খেতাম না কিন্তু এখন এটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজকে আপনি খুবই সহজ পদ্ধতিতে শাক রান্নার রেসিপি শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে
আমি ছোটবেলা থেকেই এই শাক খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
প্রিয় আপু মনি আমাদের এই দিকেও এটিকে হেলেঞ্চা শাক বলেই চিনি, সত্যি এসব শাকে কোন প্রকার ভেজাল থাকে না তাই শাক গুলোর পুষ্টিসমৃদ্ধ সব টুকুই থেকে যায়, আর খেতেও অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার, আপনি আমার পছন্দের একটি শাক রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু মনি, হেলেঞ্চা শাক আমার খুবই প্রিয়, শাক রান্নার পদ্ধতি আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার মত আমারও খুব প্রিয় একটি শাক এটি। কারণ এর মধ্যে কোনরকম সার বা ফরমালিন নেই। যার কারণে এটি অনেক বেশি পুষ্টিসমৃদ্ধ।
হেলেঞ্চা শাক ভাজি রেসিপি আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমার প্রিয় একটি শাক যদিও এই শাক শহরের বাজারে পাওয়া যায় না ,গ্রামে পাওয়া যায়। আপনি খুব সুন্দর পুষ্টিকর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এবং ধাপে ধাপে বর্ণনা করেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি আপু একদম ঠিক বলেছেন। শহরাঞ্চলে এই শাক গুলো তেমন পাওয়া যায় না ।তবে পাওয়া গেলেও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এর হয় না। তবে গ্রাম অঞ্চলে বাড়ির আশেপাশে যে কোন জমিতে এগুলো পাওয়া যায়।
এই শাকটির একেক জায়গায় একেক রকম নাম রয়েছে। তবে কম বেশি সবাই এই শাকটির সাথে পরিচিত, এবং এটি ভাজি করলে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। বলতে গেলে এটি খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি শাক। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর হয়েছে রেসিপিটি।
বর্তমানে এই শাক খুব বেশি পাওয়া যাচ্ছে এবং অনেক সুন্দর। যার কারণে ভাজি করলে খেতে ভালো লাগে।
আজকে সকালে আমাদের বাড়িতেও হেলেঞ্চা শাক ভাজি করা হয়েছে। হেলেঞ্চা শাক ভাজি খেতে খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার। আপনি হেলেঞ্চা শাক ভাজি শুকনা মরিচ দিয়ে রান্না করেছেন তবে আমাদের বাড়িতে সব সময় যে কোন শাক ভাজি কাঁচামরিচ দিয়েই করা হয়। তবে শুকনো মরিচ দিয়ে আপনার শাক ভাজি করার রেসিপিটি দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। শাক ভাজি দেখেই মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
শাক ভাজি করার ক্ষেত্রে আমরা সব সময়ই শুকনো মরিচ ,রসুন ব্যবহার করে থাকি ।এতে আলাদা একটা মজা লাগে ।তবে কখনো কাঁচা মরিচ ব্যবহার করে ভাজি করা হয়নি।
দিলেন তো আপনি মনে করিয়ে মায়ের হাতে সেই হেলেঞ্চা শাক ভাজি খাওয়ার কথা মনে করিয়ে। যদিও এই সাকটি একেক জায়গায় একেক নামে পরিচিত তার পরেও এরসাদ কিন্তু অভিন্ন সবখানেই এই সাগের সাদ একই। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
তাহলে তো হয়েই গেলো, মাকে বলবেন আবার এই শাক ভাজি করে খাইয়ে দিতে ।সত্যিই ভাই এটা অনেক সুস্বাদু একটি শাক।
এই শাক টার নাম যে হেলেঞ্চা শাক সেটা আমার জানা ছিল না। আমিও তো খেয়েছি এটা। তবে অনেকদিন হলো খাওয়া হয়না। শাকসবজি খেতে সব সময় আমার অনেক ভালো লাগে। আজ আপনার রান্না করা দেখে খাওয়ার ইচ্ছে টা আবার বেড়ে গেল। অনেক ভালো একটা পোস্ট ছিল এটা আপু।
একেক অঞ্চলে এটি একেক নামে পরিচিত।কারণ আঞ্চলিক ভিত্তিতে বিভিন্ন রকম নাম ব্যবহার করা হয়। তবে যেমন নামই হোক না কেন এই শাক এর স্বাদ কিন্তু সব সময় একই থাকে।
হেলেঞ্চা শাক ভাজির রেসিপি। দারুন ভাবে রান্না করেছেন। আমিও কয়েকবার খেয়েছি খেতে ভিশন মজা লাগে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
জি ভাইয়া, এটি অনেক মজার এবং পুষ্টিকর একটি খাবার। মাংস রান্না করা হলে আর এই শাক ভাজি করা হলে খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে হেলেঞ্চা শাক ভাজি রেসিপি শেয়ার করেছেন ।সাত ভাজি বরাবরই আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। আমার আম্মু মাঝে মাঝে এরকম হেলেঞ্চা শাক ভাজি করে থাকে। আপনার এই শাক ভাজি রেসিপি দেখে জিভে জল এসে যাচ্ছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মাঝেমধ্যেই শাক ভাজি করে খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে এটিকে রান্না করা যায় । রান্না করা থেকে ভাজি করে খেতে বেশি ভালো লাগবে।