খড়ের গাদায় ব্যাঙের ছাতা||মাশরুম বা ব্যাঙের ছাতার ফটোগ্রাফি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, সবাই আশাকরি খুব ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো আছি।আমার এই প্রিয় ব্লগের সাথে প্রতিনিয়ত কাজ করে আমি খুব আনন্দ পাই।তাই সবসময় নতুন কিছু নিয়ে হাজির হয়ে যাই।
আমার বাংলা ব্লগ এর সবার সাথে অনেকদিন পর একটি ব্লগ নিয়ে চলে এলাম ।আর আজকের ব্লগে আমি কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। কারণ এগুলো দেখে আমার নিজের কাছেও খুব বেশি ভালো লেগেছিল। তাহলে চলে যাই সেই ফটোগ্রাফি দেখতে। আর কিছু কথা দিয়ে এই ফটোগ্রাফির পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
ছবিতে আপনার যা দেখতে পাচ্ছেন তা আমরা সাধারণত ব্যাঙের ছাতা হিসেবেই জানি। তবে এটি এক জাতের মাশরুম। এই মাশরুম বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়। কারণ এখন বৃষ্টির দিন। আর এই সময়ে পচা খড় কুটোর মাঝে এগুলো জন্মায়।
এর সাথে খুব সুন্দর একটা শৈশব লুকিয়ে আছে। কারণ এটি দেখতে একদম ছাতার মত। আর আমরা ভাবতাম বৃষ্টি আসলে ব্যাঙগুলো হয়তো ছাতার নিচেই আশ্রয় নেয়। এজন্য একে ব্যাঙের ছাতা বলা হয়। ছোটবেলা থেকে এটি ব্যাঙের ছাতা হিসেবে আমাদের কাছে পরিচিত,হয়ত অনেকেই তা জানেন।
এখন বলি এগুলো কোথায় জন্মায়? আমাদের বাড়ির পাশে একটা উঁচু ভিটিতে রোদ থাকা অবস্থায় কিছু খড় শুকাতে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে এগুলো ভিজে একদম পচে গিয়েছে। আর সেখানে অনেকগুলো ব্যাঙের ছাতা জন্মেছে। যেগুলো আপনারা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন।
এই ব্যাঙের ছাতা গুলোর নিচের দিকে একটা সুন্দর ডিজাইন থাকে। আর এগুলো খুব পাতলা এবং নরম হয়ে থাকে। যার কারণে হালকা চাপ দিলেই ভেঙে যায়। আমি এই ফটোগ্রাফিগুলো করেছিলাম যখন এগুলো সম্পূর্ণভাবে ফুটেছে। কিন্তু তারপর দিন এগুলো বৃষ্টিতে একদম ভেঙে গিয়েছিল।
এখানে আমি ব্যাঙের ছাতা ছোট থেকে বড় পর্যন্ত দিলাম। যাতে আপনার বুঝতে পারেন যে এগুলো জন্মানোর সময় কেমন থাকে। আর যখন এগুলো সম্পূর্ণভাবে বৃদ্ধি হয় তখন কেমন থাকে। দেখে বুঝতে পারছেন এগুলো সম্পূর্ণ বৃদ্ধি হওয়ার পর একদম ছাতার মতো দেখাচ্ছে। আর এত সুন্দর এগুলো দেখতে যে অনেক ভালো লাগে।
এগুলো একদমই নরম প্রজাতির। হাত দিয়ে ধরলে এগুলো ভেঙে যায়। তবে কেউ এগুলোকে মাশরুম হিসেবেও বলে থাকে। যাইহোক আজকে আমি সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি আমায় শেয়ার করা ব্যাঙের ছাতার বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ব্যাঙের ছাতার ফটোগ্রাফি |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | https://maps.app.goo.gl/Lay47TJcD3Y44ZXF8 |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আপু বর্ষার দিনে এই ব্যাঙের ছাতা কত ছোটবেলায় দেখেছি কিন্তু তখন
জানতাম না যে এগুলো খাওয়া জিনিস বা এর অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।
আপু আপনার পোস্ট টি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো
ধন্যবাদ আপু।
আমি কখনো খাই নি, তবে শুনেছি খাওয়া যায়।আর এগুলো দেখতে কিন্তু বেশ দারুণ।
সবাই দেখি আমার মত মনে করত এগুলোর নিচে ব্যঙ আসে বৃষ্টি থেকে বাচার জন্য।আপনি যেগুলো দেখছেন এগুলা মাশরুমের ফ্রুটবডি।এগুলার কাজই ভেঙ্গে গিয়ে রেণু ছড়িয়ে বংশবিস্তার করা।তাই এগুলো নরম।ধন্যবাদ সুন্দর মাশরুমের ছবি গুলো শেয়ার করে শৈশবের স্মৃতি তাজা করার জন্য।
জি ভাইয়া,আমি তো এগুলোকে ভেঙে ফেলতাম,মজা লাগতো। আর এগুলো নাকি অনেকেই খায়।
এগুলো বিষাক্ত আমি যতদুর জানি।খাবার মাশরুম আলাদা।
আপু আপনার মতে আমিও ছোটবেলায় এটাই ভাবতাম বৃষ্টি হলে ব্যাঙগুলো এই ছাতা গুলোর নিচে এসে থাকে এজন্য এগুলোকে ভেঙ্গে ছাতা বলে। ছোটবেলায় এই ব্যাঙের ছাতা দিয়ে কত খেলা করেছি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। তবে এখন এই ব্যাঙের ছাতা কে মাশরুম বলে। আর এই মাসরুমে নাকি অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হাহা,সবাই দেখি একই মনে করত।এখন এই ব্যাঙের ছাতা খেতেও পারে।তবে মজা লাগে এগুলোকে ভেঙে দিতে,কারণ একদম নরম।
আগে ছোটবেলায় এগুলা কত দেখেছি কিন্তু এখন তেমন একটা দেখায় যায় না।আর এই ব্যাঙের ছাতায় কখনো ব্যাঙকে থাকতেই দেখলাম না,তবুও মানুষ ব্যাঙের ছাতা বলে কেন😁।
আমিও অনেক দিন পর এগুলো দেখেছি।তাই ছবি তুলে দিলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া,মন্তব্য করার জন্য।
গ্রামের দিকে ব্যাঙের ছাতা খুব কমন একটি দৃশ্য। আগে যখন গ্রামে ছিলাম এই ব্যাঙের ছাতা দেখলেই ভেংগে দিতাম। বড় হয়ে এখন বুঝি এগুলো মাশরুম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আপনি অনেক সুন্দরভাবে ব্যাঙের ছাতার ফটোগ্রাফি করেছেন। আমি জানতাম না ব্যাঙের ছাতার নিচের দিকে এত সুন্দর দেখায়। আপনি উপর নিচ সাউড থেকে প্রতিটি এংগেলে ছবি তুলে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। অনেক ভাল হয়েছে ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া,আমাদের বাড়ির পাশে জন্মানোর কারণে দেখতে পেলাম আর ছবি তুলে নিলাম।
ব্যাঙের ছাতা বা মাশরুম এই জিনিসগুলো আসলে দেখতে অনেক চমৎকার। তবে এগুলো অনেক বড় এরকম আর কখনো দেখা হয়নি। ধন্যবাদ আপনাকে খুব চমৎকার কিছু ব্যাঙের সাথে আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এগুলোকে আমরা ব্যাঙের ছাতা বলে থাকি। বর্ষার সময়ে বা বর্ষার পরে একটু আবর্জনা পূর্ণ স্থানে এগুলো জন্মায়। শুনেছি এগুলো নাকী পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ এবং এগুলো নাকী খাওয়া যায়। বেশ দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। বেশ ভালো ছিল।।
জি ভাইয়া,মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
খড়ের গাদায় ব্যাঙের ছাতা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হলাম। এটাকে বইয়ের ভাষায় মাশরুম বলে। সত্যিই শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে ছোটবেলা বাবা-মা আমাদেরকে শিখিয়েছিল এটাকে ব্যাঙের ছাতা হিসেবে। অনেক ভালো লাগলো অনেক দিন পর দেখতে পেরে।
আমি নিজেও মুগ্ধ হয়েছিলাম যখন দেখলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া।
এখন বর্ষাকাল তাই যে কোন স্থানে একটু পানি জমলে বা কোন কিছু পোছলেই এভাবে ব্যাঙের ছাতা উৎপন্ন হবে। বেশ ভালো লাগলো ব্যাংকের ছাতা ফটোগ্রাফি দেখে। ব্যাঙের ছাতাগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পঁচা জায়গায় এগুলো খুব বেশি দেখা যায়।ধন্যবাদ ভাইয়া,সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।