প্রথমে আমি মাছগুলোকে কেটে ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম। ছোট ছোট টুকরো করে এগুলোকে কেটে নিয়েছি।
মাছের পেটে যে তেল ছিল তা আলাদাভাবে নিয়ে নিলাম।


দ্বিতীয় ধাপ

তারপরে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। এরমধ্যে ২ টেবিল চামচ পরিমাণ তেল দিয়ে দিলাম।


তেল গরম হয়ে এলে এরমধ্যে পেয়াজকুচি আর কাচামরিচ ফালি দিয়ে দিলাম। এগুলোকে কিছুক্ষণ ভাজতে থাকলাম।


তৃতীয় ধাপ

তারপরে আমি দিয়ে দিলাম টমেটো স্লাইস। এটি ভেজে আবার দিয়ে দিলাম রসুন বাটা। এগুলো একসাথে নেড়ে ভাজতে থাকলাম।


চতুর্থ ধাপ

তারপরে দিয়ে দিলাম লবণ, মরিচ গুড়ো আর হলুদ গুড়ো।


এগুলো দেয়ার পর আমি কিছুক্ষণ ভেজে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ

তারপরে আমি এরমধ্যে আমি মাছের টুকরোগুলো দিয়ে নিলাম।মাছের টুকরোগুলো দেয়ার পরে আমি আলতো করে নেড়ে দিলাম, যাতে মসলাগুলো পুড়ে না যায়।


ষষ্ঠ ধাপ

তারপরে আমি পরিমাণ মত পানি দিয়ে দিলাম। পানি দেয়ার পরে আমি দিয়ে দিলাম সেই মাছের তেলগুলো৷ একসাথে দিয়ে আলতো করে নেড়ে দিলাম।তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করতে থাকলাম।

সপ্তম ধাপ

আমি প্রায় ১৫ মিনিট এই মাছগুলোকে রান্না করলাম।এরমধ্যে ঝোল অনেকটা শুকিয়ে এসেছে। তখন আমি ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে নামিয়ে নিলাম।


আমার মাছ রান্না পুরোপুরি হয়ে এলো। আর এই মাছ এখন দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল।




আশা করি আমার আজকের এই রেসিপিটি সবার কাছেই ভালো লাগবে।মতামত দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করবেন।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
.png)
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
.png)
💦
💦 BRISTY 💦
💦

যদিও ছাইয়া মাছের নাম আজকে প্রথম শুনলাম।তবে আপনার এই মাছের রেসিপি ভুনা দেখে আমার জিভে জল চলে আসলো। আপনি খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপের বর্ণনা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এরকম নতুন একটি মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া এই মাছটি সচরাচর সব জায়গায় পাওয়া যায় না , তবে এটি খেতে খুবই সুস্বাদু ।আমার তো খুব ভালো লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো।
রেসিপির ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেক মজাদার এটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। তবে আমি আগে কখনো এই ছাইয়া মাছের নাম শুনিনি। ভিন্নধরনের একটি মাছের রেসিপি সম্পর্কে ধারণা পেয়ে বেশ ভালো লাগলো।
আপনার কাছ থেকেও এমন সুন্দর মন্তব্য পেয়ে আমারও খুব ভালো লাগলো। এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি অনেক মজাদার এবং লোভনীয় একটি মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল সেই সাথে অনেক লোভনীয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই চমৎকার ভাবে ধাপে ধাপে মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া সত্যিই এই মাছ খেতে খুব সুস্বাদু হয়।আপনার উৎসাহ মূলক মন্তব্য দেখে খুশি হলাম।এভাবে মন্তব্য করে পাশে থাকবেন।
ওয়াও আপনি অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এর আগে এই মাছ কখনো আমি খাইনি তবে দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
হ্যাঁ ভাইয়া হয়তো নাও দেখতে পারেন। কারণ এই মাছ সব জায়গায় পাওয়া যায় না। আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ছাইয়া, ছাউয়া এটা আবার মাছের কেমন নাম😁। ছবি মাছের রেসিপি টি দেখতে কিন্তু অসাধারণ লাগছে। যদিও এরকম মাছের রেসিপি আগে কখনো দেখিনি। ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক একটি মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
কি আর করা ভাইয়া, যে মাছের যেই নাম ।আপনি যেমনই মাছটি দেখেননি তেমনি নামও জানেন না এটাই স্বাভাবিক। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে।
আপনার ছাইয়া মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি টা অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার সাইয়া মাছের ঝাল বড়া রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। কিন্তু এই মাছটির সঙ্গে আমি পরিচিত নই নামটি আমার কাছে নতুন লাগছে। হয়তো আমাদের এলাকায় এই মাছের অন্য নাম হবে ধন্যবাদ সুন্দর একটি ছাইয়া মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ এরিয়ার চর এলাকা থেকে এই মাছ বেশি পাওয়া যায়। আর আমাদের এদিকেও আসে তাই সবসময়ই দেখতে পাই এই মাছ।তবে মাঝে অনেক সুস্বাদু। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
দেখতে অনেকটা বাইম মাছের মত ছাইয়া মাছ এই প্রথম আমি নাম শুনলাম।তবে মনে হচ্ছে ছাইয়া মাছের ঝাল ভুনা খেতে অনেক মজা হয়েছে রেসিপির প্রস্তুত প্রণালী দেখে। কালারটাও ভালো ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন ।দেখতে একদম বাইম মাছের মত তবে খেতে অনেক মজার। একটা ফ্লেভার আছে এর মধ্যে। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
অনেক অসাধারণ একটি রেসিপি করেছেন। এই রেসিপিটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে খেতে। কারণ আমাদের বাড়িতে মাঝে মাঝে তৈরি করা হয়। বিশেষ করে একটু ঝাল ঝাল হলে খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপির কলারটাও অসাধারণ এসেছে। মনে হচ্ছে খেতেও সুস্বাদু হবে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য ।আমার কাছেও এই মাছ খেতে খুব ভালো লাগে।
আমাদের এলাকায় এ মাছ খায়না বা পাওয়া যায়না।রাজধানীতে একবার নিজে রেধে খেয়েছিলাম।ভালই লাগে। আজ আবার খাওয়ার ইচ্ছে জাগল।সুন্দর।
হ্যাঁ এটি খুবই সুস্বাদু ও লোভনীয়। আপনার সুন্দর মন্তব্য দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
💝🌹
সুস্বাদু ছাইয়া বা ছাউয়া মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না। এভাবে কখনো খাইনি। তবে আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আপু আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
গঠনমূলক মন্তব্য করে এভাবে সব সময় পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এটাই কামনা করলাম।