ছোট-বড় সকলের জন্য পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার|| ফ্রুট-কাস্টার্ড||১০% লাজুক-শিয়াল এর জন্য।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, সবাই আশাকরি খুব ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো আছি।আমার এই প্রিয় ব্লগের সাথে প্রতিনিয়ত কাজ করে আমি খুব আনন্দ পাই।তাই সবসময় নতুন কিছু নিয়ে হাজির হয়ে যাই।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের রেসিপিটি |
---|
আজকের রেসিপির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
---|
পরিমাণ |
তরল দুধ | আধা লিটার | কাস্টার্ড পাউডার | ৮ চা চামচ | চিনি | ৪ টেবিল চামচ | আপেল | ১ টি | কলা | ১টি | কমলা | ১ টি | আঙ্গুর | কয়েকটি | খেজুর | ৪ টি | তরমুজ | ছোট এক ফালি |
চুলার আগুন জ্বালিয়ে দুধ গরম করতে থাকলাম।
দুধ কিছুটা গরম হয়ে এলে এরমধ্যে আমি ৪ টেবিল চামচ পরিমাণ চিনি দিয়ে দিলাম এবং ভালোভাবে নেড়ে জ্বাল দিতে থাকলাম প্রায় ৫/৬ মিনিট।
ইতোমধ্যেই আমি আধাকাপ পরিমাণ দুধের মধ্যে ৮ চা চামচ কাস্টার্ড পাউডার দিয়ে গুলে রেখে দিয়েছি।
দুধ ভালভাবে বলক এলে এর মধ্যে আমি গুলে রাখা কাস্টার্ড পাউডার এর মিশ্রণ ঢেলে দিতে থাকলাম এবং চামচ দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে থাকলাম। এক হাত দিয়ে মিশ্রণটি দিলাম আর অপর হাত দিয়ে আমি এই মিশ্রণটি দুধের সাথে মিশিয়ে দিতে থাকলাম। অনবরত নাড়তে নাড়তে আমি এটি ২ মিনিট জ্বাল দিয়ে নিলাম।এটি যদি সাথে সাথে নেড়ে মেশানো না হয় তাহলে দলা পেকে যাবে। তারপর চুলা থেকে নামিয়ে আমি একটি বাটিতে এই গরম মিশ্রণটি ঢেলে নিলাম।
এরমধ্যে আমি সবগুলো ফল দিয়ে দেবো। তাই প্রথমত সবগুলো ফলকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়েছি। এরপর এক এক করে আপেল, কমলা কলা, খেজুর, আঙ্গুর এবং তরমুজ দিয়ে কাস্টার্ড এর ভালোভাবে মিশিয়ে দিলাম। পরিবেশনের জন্য উপরে আঙ্গুর, তরমুজ, খেজুর দিয়ে সাজিয়ে নিলাম। কিছুটা ঠান্ডা হওয়ার পর আমি এটিকে ফ্রিজের নরমাল তাপমাত্রায় রেখে দিলাম ২ ঘন্টার জন্য।কারণ এই ফ্রুট-কাস্টার্ড ঠান্ডা খেতেই বেশ মজা লাগে। এই তো খুব সহজ এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তৈরি হয়ে গেল একদম পুষ্টিকর একবাটি ফ্রুট-কাস্টার্ড। আমার আজকের এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।সবার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
|
---|
আপনার হাতে জাদু আছে বটে তা না হলে এত সুন্দর সুন্দর জিনিস কিভাবে বানান। আশা করি সামনে আরো ভালো ভালো জিনিস বানিয়ে খাওয়াবেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সবসময়।
বুঝতেছি এমন মন্তব্য করার পিছনে খাওয়ার ধান্দা লুকিয়ে আছে। যাইহোক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ছোট-বড় সকলের জন্য পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার তৈরি করেছেন আপু। বাহ চমৎকার লাগল আপনার এই ফ্রুট-কাস্টার্ড রেসিপি। সত্যি আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে। আপনার উপস্থাপন ভলো ছিল আপু। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। 💞💞
ফ্রুট কাস্টার্ড দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন সুস্বাদু ।বিশেষ করে এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি খাবার।
এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন ফ্রুট কাস্টার্ড ছোট-বড় সবার খুবই পছন্দের একটি রেসিপি। আমার কাছে এই রেসিপিটি দারুন লেগেছে। খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটি সাজিয়ে-গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। রমজান মাস উপলক্ষে দারুন একটি ইফতারের রেসিপি। আমার কাছে তো বেশ ভালো লাগলো।
ছোট-বড় সবার জন্য বেশি উপকারী ।কারণ এতে দুধ এবং বিভিন্ন ধরনের ফল রয়েছে যা ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি ডেজার্ট।
সত্যিই আপু পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি খাবার, কেননা কাস্টার্ড তৈরিতে আপনি অনেক রকমের ফলের ব্যবহার করেছেন। নিঃসন্দেহে বোঝা যাচ্ছে পুষ্টিগুণে ভরপুর রয়েছে এই কাস্টার্ডটি। আমার ছেলেকেও মাঝে মাঝে এই কাস্টার্ড তৈরি করে দেওয়া হয়। তবে আমার ছেলে এতগুলো ফল কখনোই নিতে চায় না,সে সব সময় কলা দিয়ে কাস্টার্ড খেয়ে থাকে। মাঝে মাঝে আমিও তার খাবারের সঙ্গী হই। আপনার তৈরি পুষ্টি সমৃদ্ধ কাস্টার্ড টি দেখে বুঝতে পারছি খেতে অনেক অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এতো সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন রকম ফল খাওয়ানোর উদ্দেশ্যেই ফ্রুট কাস্টার্ড ।যেটা তাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী হতে পারে ।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ফ্রুট কাস্টার্ড আমি কখনো খাইনি। খুবই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার আপনি তৈরি করেছেন। আশাকরি বাচ্চাদের এটা খুবই পছন্দ হবে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া এটা বাচ্চাদের পছন্দ হবে কারণ কালারফুল যেকোনো জিনিস তারা পছন্দ করবে ।তার সাথে বড়দের জন্য এটি অনেক সুস্বাদু।
ছোট-বড় সবার জন্য আপনি অনেক পুষ্টিকর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। আপনার রেসিপি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে। ইচ্ছে করছে এখনই খেয়ে নেই। আজ আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম আপু। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জি আপু এটি সকলেরই পছন্দের ।আর আমার কাছে তো খেতে খুবই ভালো লেগেছে ।তাই আজও তৈরি করে ফেললাম।
আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে এত মজাদার রেসিপি আপনাদের মাধ্যমে উপহার পাচ্ছি বলে নিজেকে খুব ধন্য মনে হচ্ছে। আপেল কমলা আঙ্গুর কলা দুধ এসব পুষ্টি উপাদান দিয়ে তৈরি করা রেসিপি যে নিঃসন্দেহে কতটা পুষ্টিকর দেহের জন্য তা ভাবলেই বোঝা যাচ্ছে।
একদম সত্য কথা বলেছেন, আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে আমি নিজেও অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।খুব ভালো লাগলো সুন্দর মন্তব্য দেখে।
আপু দেখে ইচ্ছে করছে এখনি খেয়ে ফেলি।😋 এসব জিনিস দেখলে লোভ সামলানো আসলেই খুব কঠিন। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন আপু। খাবার টি অনেক লোভনীয় লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু এবং পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
প্রথমত ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। বিশেষত এটি খুব সুস্বাদু একটি খাবার। যার জন্য সবাই এটি খেতে খুব পছন্দ করে।
আপু ছোট-বড় সকলের জন্য পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার তৈরি করেছেন। ওয়াও! খুবই চমৎকার লাগল আপনার এই ফ্রুট-কাস্টার্ড রেসিপি, সত্যিই আপু একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার উপস্থাপনটাও অসাধারণ ছিল এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল অবিরাম।
এই ফ্রুট কাস্টার্ড আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই আজকে এটি তৈরি করলাম। আশা করি আমার এই রেসিপিটি সবারই ভালো লেগেছে।
আপনার রেসিপিটা দেখেই মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু একটি খাবার। এই ধরনের রেসিপি গুলো তৈরি করলে অগ্রিম দাওয়াত দিয়ে রাখবেন। যেন গিয়ে খেয়ে আসতে পারি। খুব সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন। এভাবে এগিয়ে যান আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।
কি আর করবো ভাইয়া সব তো আপনাদের থেকেই শিখলাম ।নিজেরা সবকিছু বানিয়ে একাই খেয়ে ফেলতেছেন। এখন আমি কিভাবে জানবো যে আগে থেকে দাওয়াত দিতে হবে।