লাইফস্টাইল পোস্ট|| অসুস্থতা যেন পিছু ছাড়ছে না, নিভৃতকে নিয়ে আবারও ডাক্তারের কাছে।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
অসুস্থতা যেন পিছু ছাড়ছে না। প্রায় প্রতিমাসেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয় কোন না কোন কারণে। হয়তো ছেলের অসুস্থতা নাহলে আমার অসুস্থতা। এর আগের শুক্রবারে আমার জন্য ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম সন্ধ্যাবেলায়। এরপর দেখলাম নিভৃতও অসুস্থ। মানে তার অনেকদিন যাবত কাশি ছিল, ওষুধ খাইয়েছি। কিন্তু কোন রকম উন্নতি দেখছি না। দুদিন ভালো থাকলেও তারপর আবার হঠাৎ করে রাত্রেবেলা কাশি বেড়ে গিয়েছিল। এজন্যই ভাবলাম যে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতেই হবে।
গত ১০তারিখে দেখানো হয়েছিল। আমরা ডাক্তার দেখানোর জন্য আগেই সিরিয়াল দিয়েছিলাম।মূলত আমরা শুরু থেকেই নিবৃতকে এই ডাক্তার দেখাই। ডাক্তারের চিকিৎসা অনেক ভালো, সেজন্যই মূলত এই ডাক্তারকে দেখানো হয়। যতবার অসুস্থ হয়েছে ততবারই আমরা এই ডাক্তারকে দেখিয়েছি। এই দুই বছর যাবত উনার কাছে কতবার গিয়েছি তার হিসেব নেই। কিন্তু নিভৃত যতবার যায় ততবার ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকতেই কান্নাকাটি শুরু করে দেয়।
যাইহোক প্রথমত আমরা দুপুরের খাবার খেয়েই রওনা দিলাম ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে। ডাক্তারের সিরিয়াল আগে দেয়া আছে, সেজন্য সিরিয়লের কোনো চিন্তা ছিলনা। সেখানে গিয়েই আগে পেমেন্ট করে দিল।ডাক্তার দুপুর ২:৩০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত থাকে। যাই হোক সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষা করলাম। দেখলাম আমাদের আগে যারা ছিল তারা দেখাচ্ছে।
আমরা কিছুক্ষন সময় বসে অপেক্ষা করলাম। তখন দেখলাম আমাদের পাশেই ছোট একটা মেয়ে আছে তাকেও ডাক্তার দেখানোর জন্য এনেছে। যাই হোক সে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে বিশেষ করে নিভৃতের সাথে খেলা করতে চাইছিল। কিন্তু নিভৃত তো লাজুক, সে অন্য বাচ্চাদের সাথে তেমন একটা মিশে না প্রথমদিকে। যাই হোক তার কিছুক্ষণ পরপরই আমরা ভেতর দিকে গেলাম তখন আমাদের সিরিয়াল ছিল।
চেম্বারের ভেতরে ঢুকলাম তখনই দেখলাম নিভৃতের মুখের অবস্থা খারাপ হয়ে গেল। মানে সে কান্না করে দেবে এরকম হয়ে গেল। তাকে যখন চেয়ারে বসতে বললো সে কিছুতেই বসবে না, কাউকে বসতেও দেবে না। শুরু করল কান্নাকাটি। আর এই কান্নার মধ্যেই মূলত ডাক্তার তাকে দেখছিল। যেহেতু তার এলার্জি আর কাশির সমস্যা ছিল সেহেতু তার পূর্ববর্তী ওষুধ সম্পর্কে জানল এবং বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানলো৷ তারপর কিছু ওষুধ লিখে দিয়েছিল, সাথে অয়েন্টমেন্ট।
এর পরবর্তীতে আমরা প্রেসক্রিপশন নিয়ে বাইরে বের হলাম তখন দেখলাম প্রথম ওষুধ দিলো সেটা একদম তেতো ওষুধ। প্রথমেই ভেবেছি এটা সে খাবে না, আর সেটাই হলো বাড়িতে নিয়ে আসার পর যখন ওষুধ দিলাম তখন সে বমি করে অবস্থা খারাপ। যাই হোক সেদিন তো হসপিটাল থেকে ফার্মেসিতে গিয়ে ওষুধ নিলাম।তারপর নিভৃত খুব কান্নাকাটি করছিল। তখন ভাবলাম তাকে কেক আর দই খাইয়ে দেয়। সেজন্য ফার্মেসির পাশে বিসমিল্লাহ রেস্টুরেন্ট আছে সেখানে গিয়ে তাকে খাইয়ে আমরা আবার বাড়িতে ফিরে গেলাম।
আসলে অসুস্থতা এখন বর্তমান সময়ের নিত্যদিনের সঙ্গী।আর এটাকে সাথে নিয়েই আমাদের জীবন পার করতে হচ্ছে।নিভৃতের এলার্জির পরিমাণ দিনদিন বাড়ছে, সাথে আমারও।যাইহোক,সব অসুস্থতাকে পাশে রেখেই চলতে হবে আজীবন।আজকের এই মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগলো।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
নিভৃত অসুস্থ জেনে খুব খারাপ লাগলো। ছোটবেলা থেকেই ওকে একই ডাক্তার দেখাচ্ছেন তাহলে। আসলে একজনের ফলোআপে থাকা ভালো। দোয়া করি যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। ডাক্তার দেখিয়ে খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি ফিরেছেন। এটা ঠিক বলেছেন, অসুস্থতা এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এ মুহূর্তে বাচ্চাদের অসুস্থতা বেড়েই চলেছে আমার বাবুর অসুস্থতার পূর্বে আপনি বলেছিলেন আপনার বাচ্চা অসুস্থ। আবার আজকে বাবুকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেছেন। আপনার বাবুর জন্য দোয়া করি আপু যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।
আসলে ভালো থাকার জন্য প্রতিনিয়ত আমরা সংগ্রাম করে চলছি কিন্তু মাঝেমধ্যে এমন সমস্যা কম বেশি লেগে রয়েছে পরিবারে, নিজের অথবা নিজের সন্তানদের। তবে দোয়া করি আপনার বাবুর জন্য জানাবো দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। আসলে আমাদের বাবুটা অসুস্থ বেশ কিছুদিন ধরে। সবাই ভালো থাকুক আল্লাহ ভাল রাখুক সেই দোয়া করি।
ঠিক বলেছেন আপু অসুস্থতা আমাদের জীবনে যেনো আঠার মতো লেগেই আছে।আমার মেয়েও কয়েকদিন থেকে ভীষণ অসুস্থ ছিল।তবে আজকে অনেকটা ভালো আছে।আপনার ছেলের সুস্থতা কামনা করছি।