তেতুলের টক-ঝাল-মিষ্টি আচারের রেসিপি। ১০% বেনিফিশিয়ারী @লাজুক-শিয়াল এর জন্য
আসসালামু আলাইকুম
তাহলে বন্ধুরা, আপনারা তো ছবিতে দেখেই নিলেন এটা কি হতে পারে। টক-ঝাল-মিষ্টি তেতুলের আচার। তেতুলের আচার মানেই খুব সুস্বাদু এবং লোভনীয় জিনিস।সামান্য কিছু উপকরণ দিয়েই আমি আজকের এই আচার তৈরি করেছি।
আমি প্রথমেই আপনাদেরকে এই মজাদার আচার তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো দেখিয়ে দিতে চাই।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
তেতুল | আধা কেজি |
চিনি | ২ কাপ |
লবণ | পরিমাণ মত |
পানি | ২ কাপ |
সরিষার তেল | ১ কাপ |
শুকনো মরিচ | ১০/১২ টি |
পাঁচফোড়ন | ১ টেবিল চামচ |
প্রথম ধাপ
এজন্য আমি তেঁতুল গুলোকে পানির সাথে হাত দিয়ে ভালোভাবে একটু মেখে রেখে দিলাম। আধা ঘন্টা পর যখন এগুলো নরম হয়ে আসে তখন এগুলোকে হাত দিয়ে ভালোভাবে কচলে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
প্রথমত আমি মরিচ গুলোকে তাওয়ার মধ্যে শুকনোভাবে ভেজে নিলাম।এরপর এগুলোকে আমি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে চিলি ফ্লেক্স তৈরি করে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
এরপরে আমি চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম এর মধ্যে এক কাপ পরিমান সরিষার তেল দিয়ে দিলাম।
তেল কিছুটা গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে এক টেবিল চামচ পরিমাণ পাঁচফোড়ন দিয়ে দিলাম। পাঁচফোড়ন দিয়ে আমি এগুলোকে ভাজতে থাকলাম।
চতুর্থ ধাপ
কিছুক্ষণ পরে আমি চটকে রাখা তেঁতুল গুলো দিয়ে দিয়েছি। দেয়ার পর আমি এগুলোকে খুন্তির সাহায্যে ভালোভাবে নাড়তে থাকলাম।
আমি প্রায় ৫-৭ মিনিট এগুলোকে ভেজে নিয়েছি। কারণ তেঁতুল যেহেতু পানিতে ভিজিয়ে রেখেছিলাম তাই এর মধ্যে পানি রয়ে গেছে।
পঞ্চম ধাপ
পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর যখন এটি একটু ঘন হয়ে এসেছে তখন আমি এক কাপ পরিমাণ চিনি দিলাম।চিনি দেয়ার পরে এগুলোকে তেতুলের সাথে ভালোভাবে মেশাতে থাকলাম।
খুন্তির সাহায্যে তেতুলের সাথে চিনি মিশিয়ে নাড়তে থাকলাম।কিছুক্ষন পর আমি বাকি ১ কাপ চিনি ঢেলে দিলাম। এগুলোকেও খুব সুন্দর করে তেতুলের সাথে মিশিয়ে নিলাম।
নাড়তে নাড়তে সবগুলো একসাথে মিশিয়ে নিলাম এবং তেতুল এখন কিছুটা পাতলা হয়ে এসেছে।
ষষ্ঠ ধাপ
যেহেতু চিনির পানি বের হয়েছে সেজন্য চিনির পানি গুলো শুকানোর জন্য আমি কিছুটা সময় নিয়ে নাড়তে থাকলাম। এগুলোকে নাড়তে নাড়তে মিডিয়াম আচে আমি এই আচার তৈরি করেছি।
সপ্তম ধাপ
এরপরে আমি এক চা চামচ পরিমাণ লবণ দিয়ে দিলাম। লবন দেয়ার পরে আমি আবার ভালোভাবে এগুলোকে মিশিয়ে নিতে থাকলাম।
অষ্টম ধাপ
তারপরে আমি এর মধ্যে চিলি ফ্লেক্স গুলো দিয়ে দিলাম। তারপরে আমি আবারও সব নাড়তে থাকলাম, মিশিয়ে নিলাম সবকিছু একসাথে। ধীরে ধীরে সবকিছু মিশে গেল।
এইভাবে আমি এটি করতে থাকলাম। একটা সময় যখন এটি পাতিলের গা ছেড়ে দিচ্ছিল তখন আমি এগুলোকে নামিয়ে নিলাম।
নবম ধাপ
যখন আমি নিলাম আমি সেই কড়াই থেকে অন্য একটি পাত্রে তেতুলের আচার নিয়ে নিলাম। কারণ, যদি আমি কড়াইতেই রেখে দিই, তাহলে তেতুলের আচারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে।
এজন্য আমি আলাদা একটি পাত্রে আচার নিয়ে নিলাম। এরপর আমি ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিলাম। ঠান্ডা হয়ে এলে আমি একটি কাঁচের বয়ামে রেখে দিলাম।
এইতো তৈরি হয়ে গেল খুব মজাদার এবং সুস্বাদু আচার। জিভে পানি চলে আসার মতো লোভনীয় একটি জিনিস।
আশাকরি আপনাদের সবার কাছেই আমার আজকের এই আচারের রেসিপিটি খুব ভালো লাগবে। সবার মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আপনি আমাকে এই খুব সুস্বাদু খাবারটি দেখিয়েছেন, আমার বন্ধু, এবং আপনি আমাকে কীভাবে সুস্বাদু খাবার তৈরি করতে হয় তাও দেখিয়েছেন।
আমাদের সাথে এই পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ.
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
আপু এইটা কোনো কাজ করছেন এতো রাতে এভাবে লোভ লাগিয়ে দিলেন ঘুম টাই আর হবেনা।
আচার মানেই জিভে জল খুব সুন্দর একটি রেসিপি করেছেন ধাপ গুলোও বেশ গুছিয়ে করেছেন শুভ কামনা।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মতামত দেয়ার জন্য।
আপু আপনি কি দেখালেন দেখেই তো মুখে পানি চলে এলো ।তেতুলের আচার আমার খুবই পছন্দের একটি আচার। আর আপনার টা খুবই সুস্বাদু হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি আচারের রেসিপি দেখানোর জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি জানতেন যে এটি দেখলে সবার মুখে পানি চলে আসবে তাহলে কেন এটি শেয়ার করলেন। আমার মুখ অলরেডি পানি দিয়ে ভরে গিয়েছে। এত লোভনীয় লাগছে আপনারা আচারটি।দেখে মনে হচ্ছে যে একটু খেয়ে দেখি। সমস্যা নেই আমিও আপনার রেসিপি দেখে আচার বানানো শিখে ফেলেছি। বাসায় বানিয়ে তখন আপনাকে দেখাবো। ধন্যবাদ আপনাকে।
তৈরি করে পেলেন আপু,খেয়ে নিতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
তেতুলের টক ঝাল মিষ্টি রেসিপি আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার এই রেসিপিটা আমার অনেক ভালো লেগেছে। দেখে জিভে জল চলে আসলো। বারবার খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
তেতুলের টক ঝাল মিষ্টি আচারটি আপনি খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে যা আমাদের জন্য অনেক সাহায্যকারী যারা বানাতে জানি না।বিশেষ করে আপনার তুলে ধরা ধাপগুলো খুব সাবলীল ছিলো বুঝতে সহজ হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর কিছু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।