ছাদ বাগানের ফটোগ্রাফিতে আজকের ব্লগ||রেনডম ফটোগ্রাফি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে একটি রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের সামনে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরব। আজকেও আমি যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করছি এগুলো নানুর বাড়িতে তোলা। সেখানে অনেক ধরনের ফটোগ্রাফি করেছি। প্রতি সপ্তাহে ধাপে ধাপে এই ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করব।আর সবগুলোই খুবই সুন্দর, যার কারণে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আসলে সব সময় নতুন নতুন ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ভালো লাগে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো।
এই ফটোগ্রাফিতে যে ফুলটি দেখতে পাচ্ছেন সেটা হয়তোবা অনেকেই চেনেন। এটি হচ্ছে চন্দ্রমল্লিকা ফুল। গোলাপি রঙের চন্দ্রমল্লিকা ফুলটি অনেক বেশি সুন্দর লাগে। আর যেহেতু এই চন্দ্রমল্লিকা ফুল একসাথে ধরে থাকে গাছের মধ্যে সে জন্যই এটি অনেক বেশি আকর্ষণীয়। এই গাছটি গত বছরও দেখেছিলাম একটি টবের মধ্যে মামা রোপন করেছিল। কিন্তু এই গাছের গোড়া থেকে আরও একটি গাছ উঠে,আগের গাছ মারা গেছে। এই ফুল গাছ এর পাশেই সাদা রঙের আরেকটা ছোট চন্দ্রমল্লিকা ফুলের গাছ ছিল। তবে সেখানে ফুল ফুটেনি। এই ফুলগুলো অনেক বেশি সুন্দর লাগছিল তাই ছবি তুলে নিয়েছি।
একটি টবের মধ্যে বেগুন গাছ আর টমেটো গাছ একসাথেই লাগানো হয়েছে। যদিও বেগুন গাছটি ছোট এবং টমেটো ছোট ছিল। কিন্তু এতটা ছড়িয়ে যাবে সেটা মামাও আশা করেনি। মামা ভেবেছিল বেগুন গাছটি খুব বেশি ছড়াবে না। কিন্তু পুরো দুটি গাছ ছড়িয়ে গিয়েছে। বাগানের প্রায় আট থেকে দশটি টবের মধ্যে বেগুন গাছ আর টমেটো গাছ লাগানো হয়েছে। এই বেগুন গাছ আর টমেটো গাছের মধ্যে যে সবজিগুলো ধরবে সেগুলোই তারা নিজেদের চাহিদা পূরণ করতে মোটামুটি সক্ষম।
থানকুনি পাতা উপকারি পাতা। এটি অনেক বেশি উপকারী। এটি একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন গাছ। এটি ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া ভেষজ উদ্ভিদ বা ভেষজ ঔষধ হিসেবে অনেক বেশি উপকারী। আর এটি খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু। আমরা বেশিরভাগ থানকুনি পাতা আলু দিয়ে ভর্তা করে খেয়েছি। তার পাশাপাশি এটি রান্না করেও খাওয়া যায়।এ ছাড়াও এর রস মাথায় ব্যবহার করা যায়। সবদিক থেকে এটি অনেক বেশি উপকারী। যেহেতু এটি প্রাকৃতিক ভাবেই জন্মায় এই জন্য এটিতে কোন সার দেয়ার প্রয়োজন হয় না। আর এটি ছাদের উপর একটি টবের মধ্যে রোপন করার পর অনেক বেশি ছড়িয়ে গিয়েছে।
বড় আকারের ক্যাকটাস গাছ, ছাদের একপাশে লাগানো আছে। এটি অনেক আগে থেকেই দেখেছি। ছোট থেকে এই গাছ মামার কাছে ছিল। তারপর প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ক্যাকটাস গাছটি ছাদের উপরে লাগানো রয়েছে। আর প্রতিনিয়ত এর যত্ন করে আমার ছোট আন্টি। যেহেতু তার গাছের প্রতি ভালোবাসা বেশি সেজন্য সে প্রতিনিয়তই সকল গাছের পরিচর্যা করে।
এই গাছ দেখে সকলেই জানেন এটি একটি পাতাবাহার গাছ। বিভিন্ন রকমের পাতাবাহার ছাদের মধ্যে লাগানো রয়েছে। আমি অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছি। এই ফুল গাছটা অনেক বেশি সুন্দর। কারণ পাতার মধ্যে এর বাহার লুকিয়ে রয়েছে। যার কারণে হয়তোবা এই গাছগুলোর নাম পাতা বাহার। বাহারি রংয়ের কারণে পাতা বাহার নাম দেয়া হয়,যদিও এটি সম্পূর্ণ আমার মতামত ।
একটি সাদা রঙের গোলাপ ফুল। যা আমার খুবই প্রিয়। গোলাপ ফুল গুলোর মধ্যে সাদা, হলুদ এবং লাল রঙের গোলাপ ফুল গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর গোলাপ ফুলের সুগন্ধের কথা কি আর বলব। সকলেই জানেন এর সুগন্ধ অনেক বেশি বিমোহিত করে সকলকে। মামার বাগানে অনেক গাছের মধ্যে গোলাপ গাছ রয়েছে। আর এই গোলাপ গাছটি অনেক বেশি ছড়িয়ে রয়েছে।একটি টবের মধ্যে যদিও রোপন করা হয়েছে কিন্তু এটি দুটো টবের জায়গা দখল করে নিয়েছে।
পাতাবাহারের গাছ অনেক ধরনের হয়ে থাকে। কিছু গাছ হয়ে থাকে লতানো আবার কিছু গাছ হয়ে থাকে গাছের মতোই অর্থাৎ গুল্ম উদ্ভিদের মতো। আর এই গাছটি ফুল গাছের মতো দাঁড়ানো অবস্থায় রয়েছে। পাতাবাহারের মধ্যে এটি আমি প্রথম দেখেছি। যদিও এটি পরে এনেছিল। কিন্তু আগে যে পাতা বাহারগুলো ছিল সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
এই ছিল সাতটি ছবি নিয়ে রেনডম ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রেনডম ফটোগ্রাফি |
ক্যামেরা.মডেল | M12 |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আপু আপনার নানা বাড়ীতে যে এত সুন্দর সুন্দর ফলের গাছ আছে তা কিন্তু জানতাম না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আপনার প্রতিটি ছবি ছিল অত্যান্ত সুন্দর আর পরিচ্ছন্ন। কোন টা রেখে কোন টার নাম বলব। মাথা ঘুরাচ্ছে।
কি যে বলেন আপু, ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
আপু আপনার নানু বাড়ি গিয়ে দারুন সব ফটোগ্রাফি করেছেন। ছাদের গাছ গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে সুন্দর এবং পরিপাটি। নিখুঁতভাবে আপনি ফটোগ্রাফিগুলো করেছেন। এত বড় ক্যাকটাস গাছ কখনো দেখার সৌভাগ্য হয়নি। সত্যিই আপু ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু খুব চমৎকার ভাষায় মন্তব্য করার জন্য।
বাহ !!! অসাধারণ লাগছে ফটোগ্রাফি গুলো ৷ নানুর বাড়িতে নিশ্চয়ই অনেক আনন্দে আছেন ৷ যা হোক আপনার নানুর বাড়ির ছাদের বাগানের ফটোগ্রাফি গুলো দূদান্ত ছিল৷ তবে শেষ দুটি ফুলের ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর লাগছিল ৷
ধন্যবাদ আপু
জি ভাইয়া অনেক ভালোই কেটেছিল। ধন্যবাদ মন্তব্য করে উৎসহ প্রদানের জন্য।
আপনি এই নানুর বাসায় বেড়াতে যাওয়ার সুবাদে সুন্দর সুন্দর ছাদ বাগানের ফটোগ্রাফি দেখার সুযোগ হয়েছে আমাদের।অনেক সুন্দর ছিল চন্দ্রমল্লিকা ফুল এবং থানকুনি পাতার ফটোগ্রাফি গুলো।আপনার নানুর বাসায় দেখছি ছাদ বাগানে অনেক সুন্দর বাগান করেছে।নতুন নতুন ফটোগ্রাফি দেখতে সত্যিই ভালো লাগে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো ধারাবাহিকভাবে শেয়ার করার জন্য।
জি সত্য বলেছেন ধন্যবাদ আপনাকে সর্বদা ভালো ভালো মন্তব্য করার জন্য।
ছাদে এ ধরনের বাগান থাকলে আসলেই অনেক ভালো লাগে । আর আপনার নানুর ছাদ বাগানটা অনেক সুন্দর এর আগেও দেখেছি আজ আবার বাগানটা আরো সুন্দর লাগলো। অনেক নতুন নতুন গাছ দেখতে পেলাম। ক্যাকটাস গাছটা আমারও আছে তবে এত সুন্দর না ।গোলাপ ফুলটা ভালো লাগছে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি কিন্তু আপু অনেক সুন্দর তুলেছেন । আসলেই ফটোগ্রাফি পোস্টগুলো করতে ভালই লাগে।
অসংখ্য ধন্যবাদ খুব চমৎকার গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন সর্বদায়।
আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফিই খুব অসাধারণ। ফুল গুলো দেখে আমি একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।আমার ফুল গাছ লাগাতে খুব ভালো লাগে। আমি কোথাও ঘুরতে গেলে ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। যাই হোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
এত সুন্দর প্রশংসা মূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন সবাইকে নিয়ে।
বাহ আপু আপনি আপনার নানু বাসায় গিয়ে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি তুলেছেন। আমার কাছে চন্দ্রমল্লিকা এবং ক্যাকটাস গাছের ফটোগ্রাফি দারুন লেগেছে। এছাড়াও প্রতিটি ফটোগ্রাফি মুগ্ধকর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে
আমার কাছে ও চন্দ্রমল্লিকা এবং ক্যাকটাস গাছের ফটোগ্রাফি দারুন লেগেছে।
ছাদবাগানে অপরূপ সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যিই অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে।
চমৎকার ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সর্বদায়।
আপনি আপনার নানু বাড়ি গিয়ে দারুন সব ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। গাছগুলো যে ছাদের উপরে দেখে বোঝাই যাচ্ছে। গাছগুলো থাকার কারণে ছাদটি অনেকটা পরিপাটি মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো তুলেছেন। ফটোগ্রাফি গুলা আমার কাছে খুবই চমৎকার লাগছে। আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে চন্দ্রমল্লিকা ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দর ফুল গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমার কাছে ও চন্দ্রমল্লিকা ফটোগ্রাফিটি খুবই ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ মতামত প্রধানের জন্য।
আপনি তো দেখছি বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনি আপনার নানুর বাড়ির ছাদ থেকে করেছেন এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে ফটোগ্রাফি দেখলে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আর আপনার ফটোগ্রাফির থেকে চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। এক একটি ফটোগ্রাফি খুবই মনমুগ্ধকর ছিল। বর্ণনা খুবই সুন্দর ভাবে দিয়েছেন সেজন্য ভীষণ ভালো লেগেছে দেখতে। ভালোই ছিল সবগুলো ফটোগ্রাফি।
খুব চমৎকার ভাষায় মন্তব্য করেছেন, মন্তব্যটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সর্বদায়।