গতকাল সারাদিনের রোদের তীব্রতার পর অবশেষে মাঝরাতে স্বস্তির বৃষ্টি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।পোস্টটা লিখেছিলাম কাল রাতে বসে, তাই কথাগুলোও কালকের ভিত্তিতেই লিখা।
রাত এখন ১১:২০,পোস্ট লিখতে বসলাম। আসলে সারাদিন যে গরম পড়েছে, বলতে গেলে কিছুদিন আগের বৃষ্টির পর আজ এত রোদ উঠেছে। আর এই তীব্র রোদে আর গরমে মাথা ব্যথা শুরু হয়ে গেছে।যাইহোক মাথা ব্যথা অবশ্য হতো না,বিকেলে বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ী আসলাম সিএনজিতে করে। আর আমাদের বাড়ি থেকে আসার রাস্তাটা এখন একদমই ভাঙা বলতে গেলে।রাস্তা চওড়া করা হচ্ছে, এজন্য পুরো রাস্তার এক স্তর উঠিয়ে ফেলেছে। এজন্যই জার্নি করে আসাটা খুব কষ্টের হয়ে গেল।
এদিকে সারা ঘরের বাকি রুমগুলো থেকে আমাদের রুমটাই অতিরিক্ত গরম।রুমে ঢুকা মাত্রই যেন আগুনের ফুলকি মুখে এসে লাগছিল।বিচানায় বসতেই হাতে অনুভব করলাম বিচানায়ও যেন একপ্রকার আগুন জ্বলছে। কোনোরকমে জিনিসপত্র রেখে ফ্রেশ হয়ে রুমের বাইরে এলাম। আমার শ্বাশুড়ির রুমে কিছুটা ঠান্ডা আছে,তাই সেখানে গিয়ে বসলাম কিছুক্ষণ। নিভৃত কিছুক্ষণ সেখানে খেলা করেছিল। তারপর আবার তার কান্নাকাটি। এভাবেই সন্ধ্যা হলো,নাস্তা সেরে নিলাম।
দেখতে দেখতে রাত ন'টা,ছেলের জন্য ভাত নিয়ে বসলাম। এদিকে তার আবদার হলো তাকে প্লেট দিয়ে দিতে হবে,সে সব ভাত ছেটাবে আর তার উপরে শুয়ে গায়ে মাখবে।আসলে আমাদের বাড়িতে এটা তার প্রাত্যহিক কাজ ছিল। কিন্তু আজ প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছে তাই তাকে খাইয়ে ঘুম পাড়াবো ভাবছি। কিন্তু একবার সে বাটি মেরে প্লেট থেকে কিছু ভাত ফেলে দিলো।তারপর আবারও হাত দিয়ে এক মুঠো নিয়ে ফেলে দিলো।তখন ইচ্ছে করছিল কয়েকটা লাগিয়ে দিতে। কিন্তু সেটা আর করিনি,কারণ তাকে এ পর্যন্ত মারি নি কোনোদিন।
যাইহোক তারপর সবকিছু শেষে ঘুমাতে গেলাম, ১০:৪৭ বাজে তখন, গেল কারেন্ট।তার একটু আগেই আমি নিভৃতের আব্বুকে বলতেছিলাম ১১টা বাজতেই কারেন্ট নিয়ে যাবে। কিন্তু ১১টার জন্য অপেক্ষা করলো না,এর আগেই নিয়ে গেল। আর গরমের মধ্যে আসলে টেকা দায়।৩টা চার্জার ফ্যান চলছে।তবুও গায়ে বাতাস যেন লাগছে না।তখন বড় চার্জার ফ্যান নিভৃতের পাশে দিলাম,আমি নিলাম সোলারের টা।
ইতোমধ্যেই পাশের ঘরের টিনের চালের উপরে যেন বৃষ্টি পড়ার শব্দ শুনলাম।আসলে নিভৃত তখনও ঘুমায় নি,কথা বলছিলো,এজন্য স্পষ্ট আওয়াজ আসে নি।পরে ওর আব্বু বাইরে গিয়ে দেখে আসলেই বৃষ্টি হচ্ছে।আর বাইরের বাতাসটাও ঠান্ডা। এদিকে নিভৃত ঘুমাচ্ছে না,আমিও উঠতে পারতেছিনা।পরে যখন জানালা খুলে দিলাম, বাইরের ঠান্ডা আবহাওয়া কিছুটা রুমে এলো,আর নিভৃতও ঘুমালো।তার পরেই আমি রুম থেকে বাইরে বেরিয়ে কিচেনের কাছে এলাম।দরজা খুলে দিলাম,দক্ষিণা বাতাস বইছে,আর গরম কমছে।আহ কি যে শান্তি লাগছে।
আসলে সন্ধ্যা থেকেই মনে হচ্ছিলো বৃষ্টি আসবে,আর তখন এলে কিন্তু এতক্ষণে সব ঠান্ডা হয়ে যেত।যাইহোক তবুও অনেক অনেক শুকরিয়া এই রাতে যে বৃষ্টি এলো। গরম ভালো লাগতো আরও ৫/৭ বছর আগে।তখন কারেন্টের সমস্যাও কম ছিল গরমও কম ছিল।কিন্তু এখন গরমও বেশি কারেন্ট এর সমস্যাও বেশি। তাই মাঝে মাঝে মনে হয় শীতকালটাই ভালো। তবে আমার পছন্দ হলো বসন্ত কাল,সেটা হয়তো সবারই। কারণ তখন আবহাওয়া থাকে সবার মনের মত।
যাইহোক, ভালো লাগছে বসে বসে এই অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে পেরে।কারণ সারাদিনে রোদের তীব্রতা থেকে রেহাই পেয়ে শান্তিতে একটু বসে আছি।যদিও কখন ঘুমাই তার ঠিক নেই। এই অনুভূতিটুকু আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগছে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
জি আপু কালকে অনেক বেশি গরম পড়েছে। আর গরমের মধ্যে জার্নি করে এসেছেন সেজন্য মাথাব্যথা শুরু হয়ে গিয়েছিল। ছোট মানুষ একটু দুষ্টামি করবেই না মারাই ঠিক। তারপর হঠাৎ করে আবার কারেন্ট চলে গেল এই গরমের মধ্যে কারেন্ট চলে গেলে অনেক বেশি কষ্ট হয়। সর্বশেষ বৃষ্টি হয়ে প্রকৃতিটা ঠান্ডা করে দিল বেশ ভালো অনুভূতি ছিল।
ঠিক বলেছেন, গতকাল প্রচন্ড রোদ এবং গরম পড়েছে, আপনাদের রুমে যে একটু বেশি গরম সেটা শুনেছিলাম, তবে মনে হয় চারপাশের জানালাগুলো বন্ধ এই কারণেই বেশি গরম। গরমের মধ্যে কোন কাজ করতেও ভালো লাগেনা। তাছাড়া কারেন্টেও অনেক বেশি অবস্থা খারাপ করে দেয়। আমাদের সবারই কালকে অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। অবশেষে রাতে বৃষ্টির দেখা পেয়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। এমনকি কিছুটা ঠান্ডা বাতাস হওয়াতে, অনেকটাই স্বস্তি পাওয়া গেলো।আর নিভৃত ও ঘুমিয়ে পড়ল।
বর্তমান আবহাওয়ায় রুমের দরজা-জানলা বন্ধ করলে তো একেবারে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়ে যায়। অবশেষে আপনাদের ওদিকে বৃষ্টি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো আপু।