আমি পূর্বেই আলু, গাজর,বরবটি, পেয়াজ আর কাচামরিচ কেটে নিয়েছি।

এই সবজি তৈরি করার জন্য চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম এরমধ্যে পরিমান মত তেল দিয়ে দিলাম।

তেল গরম হয়ে এলে এরমধ্যে পেয়াজকুচি আর কাচামরিচ কুচি দিয়ে ভাজতে থাকলাম। কিছুক্ষণ পর রসুন বাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভেজে নিলাম।
তারপরে কেটে রাখা আলু, গাজর এবং বরবটি দিয়ে দিলাম। সব কিছু একসাথে নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণের জন্য ভাজতে থাকলাম।
তারপরে একে একে হলুদ গুড়ো, মরিচ গুড়ো আর লবণ দিয়ে দিলাম।

এগুলো দেয়ার পরে আবারও খুন্তি সাহায্যে সবজি সাথে সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।

আমি আজকের এই সবজিটি পানি ছাড়াই রান্না করব। অর্থাৎ তেলে ভাজি করে নিব। তাই মিডিয়াম আঁচে এগুলোকে নেড়েচেড়ে ভাজলাম কিছুক্ষণ।তারপর কিছুক্ষণের জন্য ঢাকনা দিয়ে দিলাম। এভাবে করেই আমি ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই এটি তৈরী করে নিলাম।

আটার ডো তৈরি করার জন্য আমি চুলায় একটি পাতিলে দেড় কাপ পরিমাণ পানি দিলাম। এর মধ্যে কিছুটা লবণ দিয়ে দিলাম ।

পানি তে বলক এলে এর মধ্যে দুই কাপ পরিমাণ আটা দিয়ে নেড়ে চেড়ে কিছুটা নরম ডো তৈরি করে নিলাম।তারপর হালকা ঠাণ্ডা হলে এটি হাত দিয়ে মেখে রুটি তৈরি করার মতো আটার ডো তৈরি করে নিলাম।
ছোট ছোট ডো নিয়ে একটি রুটি তৈরি করলাম।

তারপরে এই রুটির একপাশে সবজির পুর দিয়ে অপর পাশ ভাঁজ করে পুলি পিঠার আকারে ডিজাইন করে নিলাম। কিনারায় আলতো করে চাপ দিয়ে এটিকে জোড়া লাগিয়ে দিলাম। পিঠার কিনারার অংশে চামচের পিছনের অংশ দিয়ে আরো কিছু ডিজাইন করে নিলাম।

একই রকম ভাবে আমি সবগুলো সবজি পুলি পিঠা তৈরী করে নিলাম।

চুলায় একটি প্যানে পরিমাণ মত তেল গরম করে নিলাম। এরমধ্যে দুইটি পিঠা দিয়ে ভাজতে থাকলাম। এপিঠ ওপিঠ ভালোভাবে ভেজে নেয়ার পরে এইগুলো কে তুলে নিলাম।

এইভাবে আমি কয়েকটি পিঠা ভেজে নিয়েছি ।আর গরম গরম এই পিঠা খেতে ভারি মজা লাগে ।কারণ অন্যান্য ক্ষেত্রে হয়তো মুচমুচে পিঠে খাওয়া হয়েছে ।কিন্তু আজকে আমি মজাদার ঝাল সবজি পুলি পিঠা তৈরি করার চেষ্টা করলাম। যা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু।


আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে আমার আজকের এই ঝাল সবজি পুলি পিঠার রেসিপিটি,অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
.png)
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
.png)
💦
💦 BRISTY 💦
💦

পিঠা বলতে আমরা সাধারণত মিষ্টি কিছুই বুঝি। তবে সত্যি এইরকম আলাদা ধরনের পিঠা আমার কাছে দারুণ লাগে। সবজি দিয়ে পুলি পিঠা টা চমৎকার তৈরি করেছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
মিষ্টি কিছু হলেও এখন ঝাল দিয়ে বেশ রকমের পিঠা তৈরি করা যায় ।আমার কাছে সবসময় ঝাল জাতীয় খাবার গুলোই ভালো লাগে।
আপু না খাওয়াইলে পেটে হজম হবে না আপনার। দেখে তো খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে বাড়িতে আসার সময় নিয়ে আসবেন। খুব অসাধারণ হয়েছে আপু।
হজম তো হয়ে গেছে ভাইয়া। বাড়িতে আসার সময় কেমনে নিয়ে আসবে সব তো শেষ হয়ে গেল।
একটু চিকেন দিলে খেতে বেশ ভালো লাগে।আমার কাছে এই রকম সবজির পিঠা খেতে ভালোই লাগে।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
শুধুমাত্র সবজি দিয়ে তৈরি করলাম আপু। চিকেন আর দেয়া হয়নি তবে খেতে কিন্তু ভালই লাগত। ধন্যবাদ আপু।
এই পুলি পিঠা টি নারিকেল দিয়ে এবং মাংস দিয়ে খেয়েছি। কিন্তু সবজি দিয়ে কখনো খাইনি। সবজির পুলি পিঠা আমার কাছে ইউনিক লেগেছে। তাছাড়া আপনি খুব চমৎকার করে পুলি পিঠা তৈরি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে যে খেতেও অনেক মজাদার হয়েছে।
সবজি দিয়ে তৈরি করার কারণে আমার খুব ভালো লেগেছে খেতে ।আর প্রথমবার তৈরি করে বেশ মজাই পেলাম।
বেশি ইউনিক একটা রেসিপি আপনি শেয়ার করেছেন। যেখানে আমরা নারিকেল দিয়ে পুলি পিঠা খেতাম, সে জায়গাতেই আপনি সবজি দিয়ে পুলি পিঠা বানিয়েছেন। যদি ও এটি অন্য রকম সুস্বাদু ব্যাপার। ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সবজির পুলি পিঠার স্বাদ খেয়ে নিশ্চয়ই বুঝেছেন কেমন ছিল ।অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
সবজির ঝাল পুলি পিঠা রেসিপি দেখেই জিভে পানি চলে আসলো। এভাবে সবজি দিয়ে ঝাল ঝাল করে পুলি পিঠা তৈরি করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনি গাজর, আলু ও বরবটি সবজি দিয়ে খুবই সুস্বাদু করে সবজির ঝাল পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন। এই ঝাল পিঠা রেসিপি টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি ভাইয়া সবজির যেকোনো পিঠা আমার কাছে ঝাল দিয়ে তৈরি করে খেতে ভালো লাগে। আর এটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
পুলি পিঠা আমার ভীষণ পছন্দের আর আমার বাসায় বেশিরভাগ সময়ই নারিকেল পুলি পিঠা বানানো হয়। তবে এভাবে সবজি পুলি পিঠা খেতেও ভীষণ সুস্বাদু হবে তা আপনার রেসিপিটি দেখেই উপলব্ধি করতে পারছি। খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার শেয়ার করা রেসিপিটি। ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া নারিকেল পুলি পিঠা অনেক বেশি সুস্বাদু ।সবজি পুলি পিঠা খেয়ে আমার ভালো লেগেছে।
হালুয়া দিয়ে পুলি পিঠা প্রস্তুত করে খেয়েছি তবে এভাবে সবজি দিয়ে কখনো পুলি পিঠা প্রস্তুত করে খাওয়া হয়নি তবে রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হবে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন রন্ধনপ্রণালী শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আমি কখনোই হালুয়া দিয়ে পুলি পিঠা খাইনি। তবে নারকেল দিয়ে খেয়েছি ।আর এই প্রথমবার সবজি পুলি পিঠা তৈরি করলাম।
আমাদের এলাকায় পুলি পিঠা সাধারণত নারকেলের পুর দিয়ে বানানো হয়। সবজি দিয়ে এমন ঝাল পিঠা কখনো খাইনি। ধন্যবাদ রেসেপিটি শেয়ার করার জন্য
জি ভাইয়া নারিকেল পুলি পিঠে সব সময় নারকেলের পুর দেয়া হয় ।তবে আমি আজকে নতুনভাবে সবজি দিয়ে ঝাল পিঠা ট্রাই করলাম। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।