৭টি ভিন্ন ভিন্ন ছবিতে আজকের ব্লগ||রেনডম ফটোগ্রাফি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে বেশ আনন্দ নিয়েই এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের সামনে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরব।এখানে বিভিন্ন রকম ফটোগ্রাফি রয়েছে। একটা ফটোগ্রাফি ছাড়া বাকি ফটোগ্রাফি আমার নানুর বাড়ি থেকেই করা। আসলে নানুর বাড়িতে তেমন একটা যাওয়া হয়না। যখন যাই তখন বিভিন্ন রকম ছবি তোলা হয়। কারণ সেখানে অনেক কিছুই নতুন নতুন দেখি। যাইহোক আজকে ভিন্ন ভিন্ন ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
এখানে গাছটাকে দেখে হয়তো অনেকেই চিনতে পেরেছেন।এই গাছটা যখন ছোট ছিল তখন বেশ কয়েকটা ছবি তুলেছিলাম। এটা হলো ড্রাগন ফলের গাছের ছবি। আর এই গাছটা আমার নানার বাড়িতে ছাদের উপরে লাগানো গাছ। এখন এটি অনেকটা বড় হয়েছে, ডালপালা মেলেছে। আর এই গাছটা বড় হতে অনেক সময়ও লেগেছে।যাইহোক এখন সবাই ফল ধরার অপেক্ষায়।
এটি স্ন্যাক প্লান্ট নামে পরিচিত।আর নামের সাথে এই গাছের কিছুটা মিল আছে।সাপের মত দেখতে এই গাছের পাতাগুলো।পাতাগুলোর ডিজাইন লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়। তবে এই গাছগুলোর অনেকগুলো জাত আছে। কিছু কিছু গাছের পাতাগুলো খুব বেশি লম্বা হয় না, আবার কিছু গাছের পাতা ছোট ছোট থাকে।এই গাছটার ছবিও নানার বাড়ির ছাদে।সেখানে এত এত গাছ যে ছবি তুলতে তুলতেই শেষ হয় না।
একটিমাত্র গাছে একটিমাত্র গোলাপ,তাও আবার সদ্য প্রস্ফুটিত হচ্ছে।গোলাপ গাছটার একটা ডাল কলপ করে ছোট একটা টবে লাগানো হয়েছিল।আর এই এক ডালেই এই গোলাপ ফুলটা।আপনাদের মাঝে আগে আরও অনেক রঙের গোলাপ ফুল শেয়ার করেছিলাম এই ছাদ বাগানের। আজকের গোলাপ ফুলটা ছোট হলেও দেখতে খুবই সুন্দর। আর গোলাপ ফুল প্রেমী মানুষের অভাব নেই নিশ্চয়ই।
এই ফুসকা দেখলেই খালি খেতে মন চায়। সেদিন বিকেলে ডাক্টার দেখাতে যাওয়ার আগেই ফুসকাগুলো খাওয়া হয়েছিল। আর এগুলো খুবই মজার ছিল। বিশেষত এটা একটা দোকান হওয়ার কারণে বাইরের দুলাবালির আশংকা নেই। তবে কোনো মেয়ে ফুসকা পছন্দ করে না এটা শুনলে অবাক লাগারই কথা।এটা খাওয়ার পর বাড়িতে গিয়ে পরদিন আবার তৈরি করেছিলাম আমি।এখন ছবি দেখেই আবার লোভ লাগছে।
ফুল বাগান করার পাশাপাশি বড় বড় টবগুলোতে বিভিন্ন রকম সবজি চাষ করা হয়।এই ছাদে ২০০৯ থেকেই বিভিন্নরকম শাক সবজি ফুল ফুলের গাছ লাগানো হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এক কর্ণারে এই ধুন্দল গাছ লাগানো হয়েছে।যদিও এটি হাইব্রিড জাতের নয়,দেশীয় জাতের ছিল।তবে খুব বেশি একটা ধরে নি। যাইহোক ঘুরাঘুরি করার সময় চোখে পড়লো,তাই ভাবলাম একটা ছবি তুলে নেই।
যেহেতু বিকেলের দিকে ছাদে গিয়েছিলাম সেই হিসেবে ফুলগাছগুলো নেতিয়ে পড়েছিল।এখানে দেখতে পাচ্ছেন টাইম ফুল গুলো। মনে হচ্ছে যেন মরে যাচ্ছে।কিন্তু প্রখর রোদের কারণে দুপুর গড়াতেই এই অবস্থা।অবশ্য বিকেল বেলা পানি দেয়ার পর পরদিন সকালে এগুলো একদম তরতাজা হয়ে যায়।তখন দেখতেও ভালো লাগে।
এখানে তুলে ধরলাম পুরো ছাদের মধ্যে বোতলের নিচের অংশে লাগানো কিছু ফুল গাছ।যদিও ছাদের অন্যান্য অংশে অনেক গাছ আছে। তবে এইখানে শুধুমাত্র বোতলে আর ছোট টবে লাগানো গাছগুলো রাখা হয়েছে। দুইদিন আগে পুরো ছাদ পরিষ্কার করে এই গাছগুলো সারিবদ্ধ ভাবে সাজানো হয়েছে। তাই দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছিল।দূর থেকে একটা ফটো ক্লিক করে ফেললাম। আসলে এমন ফুলবাগান থাকলে যে কারোরই ছবি তুলতে ইচ্ছে করে।
এই ছিল সাতটি ছবি নিয়ে রেনডম ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রেনডম ফটোগ্রাফি |
ক্যামেরা.মডেল | M12 |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
স্ন্যাক প্লান্ট গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমাদের ছাদেও এই প্ল্যান্টগুলো রয়েছে। আপনার ফটোগ্রাফি টা দেখে বেশ ভালো লাগলো। গোলাপ ফুলের ফটোগ্রাফি টা তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম দেখে। ফুচকার ফটোগ্রাফি টা দেখে তো বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
নামের সাথে গাছেরও মিল আছে তাই না আপু।যাইহোক,অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসসালামু আলাইকুম আপু কিছুক্ষণ আগেই আপনার পোস্টে আমি চেক করলাম আপনার প্রতিটা ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে। টাইম ফুলের গাছটা অনেক সুন্দরলাগছে। ছাদে আসলে ফুল লাগালে ছাদে সৌন্দর্যই পরিবর্তন হয়ে যায়। ছাদে আসলে ফুল থাকলে ভালো লাগে। আপনার পোস্টের 7 টি ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে গোলাপ ফুল টাউ দেখতে অনেক সুন্দর মাশাল্লাহছাদ বাগানটা সুন্দর হয়েছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্য দেখে খুব ভালো লাগলো।
Thank you sister.
আপু আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। ভিন্ন ভিন্ন রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার তোলা ৭ টি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। তবে গোলাপ ফুল ও ফুসকার ফটোগ্রাফি টি বেশি ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ফুচকা দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে ভাইয়া। যাই হোক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার ছাদে তো দেখছি অনেক ধরনের ই ফুল আছে । ড্রাগন ফল গাছের ছবি ঘাস ফুল গোলাপ ফুচকা ধন্দুল এবং স্ন্যাক প্লান্ট এগুলো খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য । শুভকামনা রইল ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে।
বাহ আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির নিচে আপনি বেশ সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে গোলাপ ফুলের ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভিন্ন ধর্মীয় সাতটি ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন। স্ন্যাক উদ্ভিদটির ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে। লোভনীয় খাবার ফুচকা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এক কথা খুব ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর মন্তব্য দেখে খুব ভালো লেগেছে।
বাহ অসাধারণ কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। আসলে ভিন্ন ভিন্ন ফটোগ্রাফি দেখলে এমনিতে বেশ ভালো লাগে। তবে আপনার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তবে পাতাগুলো দেখতে অবিকল সাপের মত মনে হচ্ছে। এবং গোলাপ ফুলের ফটোগ্রাফি ও ছাদের উপরে ফুলের ফটোগ্রাফিটি বেশ চমৎকার হয়েছে। আসলে এই ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো বারবার দেখতে মন চায়। সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে উপস্থাপনা করেছেন।
পাতাগুলো দেখতে সাপের ডিজাইনের তাই হয়তো নাম স্ন্যাক প্লান্ট রাখা হয়েছে।
আপনার ধারণ করা ভিন্ন পর্যায়ের ফটো গুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি বিভিন্ন পর্যায়ের ফটো ধারণ করে আমাদের দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তবে ছাদ বাগানের টবের গাছগুলো দেখে খুবই ভালো লেগেছে। হয়তো বর্ষার পানি পেলে তাদের প্রাণ ফিরে আসবে আরো।
জি আপু,রোদের তীব্রতায় এই অবস্থা হয়ে গেল।অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
না দেখলে হয়তো বিশ্বাস করতে পারতাম না বড় বড় টবে এত সুন্দর ধনদোল গাছ হয়েছে । আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক চমৎকার ছিল। দেখে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধরনের সবজিও চাষ করা হয় আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ সুন্দর কিছু ফোটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপু। আপনার ফুচকার ছবিটা দেখে জিভে জল এসে পড়লো। খেতে ইচ্ছা করলো ভীষণ। যাই হোক , ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ফুসকা যতবারই দেখি ততবারই ভালো লাগে,খেতে ইচ্ছে করে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।