আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা- ২২ | শেয়ার করো তোমার জীবনে প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অনুভূতি
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
অনুভূতিগুলো কখনোই বলে বোঝানো সম্ভব না। কিন্তু তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই অনুভূতি শেয়ার করলে আসলেই অনেক ভালো লাগে।আর আজকে আমি আমার একটা অনুভূতি শেয়ার করব। তা হলো প্রথম মোবাইল পাওয়া নিয়ে।
আমি বলতে চাই আমার প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অনুভূতি ছিল খুবই দুর্দান্ত। কারণ প্রথমবারের মতো একদম ব্যক্তিগত একটি মোবাইল হাতে পেয়েছি এটাই তো বড় কথা। বিশেষ করে আমার নিজের ব্যক্তিগত জিনিসগুলো অন্য কেউ ধরবে এটা আমি একদমই পছন্দ করি না। তেমনি আমি নিজেও কারো ব্যক্তিগত জিনিস নিয়ে হস্তক্ষেপ করি না ।আর আমার ব্যক্তিগত জিনিসগুলো কেউ ধরে না,কারণ তো বললাম-ই।
যাইহোক আমার প্রথম মোবাইল হাতে পাই ২০১৮ সালের ৮ই জুন। তখন ছিল রমজান মাস। আর আমি ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হয়েছিলাম। যদিও তখন ক্লাস শুরু হয়নি কিন্তু ভর্তি হয়ে গিয়েছিলাম।তখন তো আমার একটা মোবাইল দরকার ছিল।কারণ কলেজে আসা যাওয়া এবং খবরাখবর বাড়িতে বা ফ্রেন্ডদের জানাতে একটা মোবাইল খুব প্রয়োজন।
আমার মোবাইলটা আমার মামা বিদেশ থেকে পাঠিয়েছিল। আমাকে বলেছিল যদি আমি এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করি তাহলে সে আমাকে একটি এনড্রয়েড মোবাইল গিফট করবে। আর সেই হিসেবেই আমার মামা মোবাইলটি আমার জন্য পাঠিয়েছিল।সেটি ছিল Samsung J5
সোর্স দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
যদিও তার অনেক আগে থেকেই আমার আম্মুর মোবাইল ছিল,তখন জরুরি কাজ ছাড়া আম্মুর মোবাইল ধরা হতো না। আর আমি নিজেও চাইনি এসএসসি পরীক্ষার আগে মোবাইল ইউজ করি।কারণ মোবাইল হাতে থাকলে আর কিছু হোক বা না হোক গেমস ব্যাপারটা কম-বেশি সবাইকেই আকর্ষিত করে
যাইহোক এন্ড্রয়েড ফোন চালাতে চালাতে এই এন্ড্রয়েড ফোনের প্রতি খুব ভালো লাগা কাজ করেছে। পূর্বে যদিও নোকিয়া ফোনগুলোতে গেমস খেলা হতো কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিভিন্ন রকম গেমস খেলতে বেশ মজা লাগতো। খেলার জন্য হলেও একটা মোবাইল ফোন দরকার ছিল আর তখন মনকে বোঝাতাম এসএসসি পরীক্ষার পর যখন নিজের মোবাইল হবে তখন না হয় গেমস খেলবো মনের ইচ্ছা মত ।
মোবাইল হাতে পাওয়ার পর সেটিংস ঠিক করে আমি অনেকগুলো গেমস ডাউনলোড করলাম এবং খেলা শুরু করলাম ।প্রায় সময় গেমস খেলতাম। আসক্তি হওয়ার জায়গায় বিরক্তি চলে এসেছিল গেমসগুলো খেলতে খেলতে। তাই এক একটা করে ডিলিট করে দিয়েছিলাম।
বিশেষ কথা হল সবচেয়ে ভালো অনুভূতি কাজ করে আমার প্রথম ব্যক্তিগত মোবাইলটাতেই আমি এই প্লাটফর্মে কাজ করতে পেরেছি ।সেই মোবাইলে কাজ করতে খুবই আনন্দ লাগতো কারণ স্পিড খুব ভাল ছিল। তবে আমার বিয়ের পর আমি সেই মোবাইলটি আমার আম্মুর কাছে রেখে দিয়েছিলাম। বিয়ের পর তো হাজবেন্ড একটা দিয়েছে।আর আমার সেই মোবাইলটা এখন ঘুমিয়ে গেছে চিরতরে,, মানে নষ্ট হয়ে গিয়েছে😆😜।
যাইহোক আমার সেই মোবাইলকে ঘিরেই সবকিছু ছিল।নতুন মোবাইলে আমি নতুন সিম নিয়ে ফেইসবুক,হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি সোস্যাল মিডিয়াতে আইডি খুলে নিলাম।আর একান্ত নিজের মোবাইল বলেই বেশি সেফটি ছিল যেকোনো ডাটা বা ডকুমেন্ট রাখা।আর আমার এই মোবাইলটি শুধু আমার কাছেই যে প্রিয় ছিল তা নয়,আমার ফ্রেন্ডরাও আমার মোবাইলে ছবি তোলার জন্য ব্যাকুল হয়ে যেত।আমার মোবাইলে আমার ছবির চেয়ে তাদের ছবিই বেশি থাকতো।এই মিষ্টি অনুভূতিগুলোর সাথে সেই প্রথম মোবাইলটা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল।
সবশেষে বলব আমার সেই মোবাইলটা আমার খুবই প্রিয় ছিল।একদিকে প্রথম মোবাইল তাও আবার একেবারেই পারসোনাল।আর আমি যেকোনো কিছু একদম পারসোনালি পেলেই বেশি খুশি হই,তখন সেই জিনিসটার উপর অন্য কারো হস্তক্ষেপ থাকবে না। এই ছিল আমার প্রথম মোবাইল পাওয়ার গল্প এবং তার সাথে জড়িয়ে থাকা অনুভূতিগুলো।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ডিজিটাল আর্ট |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
ভালোই লাগলো পড়ে।ব্যক্তিগত জিনিস বা ব্যাপারে কেউ হস্তক্ষেপ করলে আসলেই তা মেনে নেওয়া যায়না।আমার মাঝেও এই স্বাভাবটা আছে।
শুভ কামনা জানাই, ইনশাল্লাহ ভালো কিছু হবে।
আপনার মামাতো অনেক ভালো মনের মানুষ আপনাকে বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন পাঠিয়েছিল। কিন্তু আমার জীবনে আমার প্রথম মোবাইল ফোন দিয়েছিল আমার গার্লফ্রেন্ড। মামার কাছ থেকে প্রথম মোবাইল ফোন পাওয়ার মজাই আলাদা আপু।
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই প্রথম মোবাইল ফোন পাওয়ার অনুভূতির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আসলেই এইরঅনুভূতি আমাদের প্রত্যেকেরই রয়েছে। আর এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা অনুভূতি গুলো জানতে পারছি। আজকে আপনার অনুভূতি জানতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে।