নারিকেলের পুরে ভরা রসাপুলি পিঠা🥟🥟। ১০% বেনিফিশিয়ারী @লাজুক-শিয়াল এর জন্য।
আসসালামুআলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকের রেসিপিটি হলো রসাপুলি পিঠার রেসিপি । এই পিঠা হলো পুলি পিঠার বিকল্প রেসিপি। আমরা অনেকেই জানি পুলি পিঠা তৈরি করে সাথে সাথে ভেজে নিতে হয়, আর সেটা চালের গুড়ো দিয়ে তৈরি করা হয়। কিন্তু রসাপুলি পিঠা আজ তৈরি করে রেখে পরে যেকোনো সময় ভেজে খাওয়া যায়,আর এটি আটা দিয়ে তৈরি।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কোরানো নারিকেল | ১ টি |
চিনি | ১ কাপ |
আটা | দেড় কাপ |
পানি | ১ কাপ |
লবণ | আধা চা চামচ |
তেজপাতা | ৩ টি |
দারচিনি | ছোট ২ টুকরো |
বাদাম | ৫০ গ্রাম |
প্রথম ধাপ
দ্বিতীয় ধাপ
তারপরে প্রয়োজনীয় সবকিছু নিয়ে নিলাম। এবার একটি কড়াই চুলায় বসিয়ে দিলাম। তারপরে আমি এর মধ্যেই নারিকেল কোরানো দিয়ে দিলাম।
তারপরে দিয়ে দিলাম ১ কাপ পরিমাণ চিনি।
চিনি দেয়ার পর তেজপাতা দারচিনি দিয়ে দিলাম। সব গুলোকে একসাথে নাড়তে থাকলাম।
তৃতীয় ধাপ
এরপরে আমি বাদাম ভাঙ্গা গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর আবার সবকিছুকে নেড়ে নেড়ে ভাজতে থাকলাম।
এগুলো ভাজতে ভাজতে যখন আঠালো ভাব হয়ে এলো এবং ভাজা সম্পূর্ণ হয়ে গেল তখন আমি চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।এইভাবেই নারিকেলের পুর তৈরি করে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ
এরপরে আটা তৈরি করবো, এজন্য আমি সিদ্ধ আটা তৈরি করার প্রস্তুতি নিলাম।
এজন্য আমি একটি পাতিল চুলায় বসিয়ে দিলাম। এরমধ্যে পানি দিয়ে দিলাম। এর সাথে লবণ আর ১ টেবিল চামচ চিনি দিয়ে দিলাম।
পানি সিদ্ধ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করলাম। পানি ফুটতে শুরু করলে এরমধ্যে আমি আটা দিয়ে নাড়তে থাকলাম। এগুলোকে নাড়তে নাড়তে মিশিয়ে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ
এরপরে আমি একটি ট্রে তে আটা নিয়ে নিলাম।একটু ঠান্ডা হওয়ার পর হাত দিয়ে
ভালোভাবে মেখে নরম ডো তৈরি করে নিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
এরপরে আমি ছোট ছোট ডো নিয়ে ছোট করে রুটি তৈরি করে নিলাম। এরপরে এত মাঝে নারিকেলের পুর দিয়ে দিলাম। এরপরে অপর পাশের অংশ উপরে দিয়ে ভাজ করে নিলাম।
তারপরে আমি কিনারায় কিছু ডিজাইন করে নিলাম। এইভাবে আমি সবগুলো পিঠা তৈরি করে নিলাম।
সপ্তম ধাপ
ভাজার সময় তেল গরম করে এগুলো তেলের মধ্যে ছেড়ে দিলাম। ভাজতে ভাজতে কিছুটা বাদামী বর্ণের হয়ে এলে পিঠা ছেকে তুলে নিলাম। এখন এটি খাওয়ার জন্য সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে গেল।
আশা করি আপনাদের সবার কাছেই আমার আজকের এই রসাপুলি পিঠার রেসিপিটি ভালোই লাগবে। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য।
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আপু আসাধারণ হয়েছে আপনার পুলি পিঠাটি। এই পিঠাটি আমার খুব পছন্দের আপু। অনেকদিন খাওয়া হয়না। আপনার পুলি পিঠা দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। খুব দারুণ করে আপনি পুলি পিঠা তৈরি করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে খুব সহজেই রেসিপিটি সবাই তৈরি করতে পারবে। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। এভাবেই ভালো কাজের মাধ্যমে এগিয়ে যান এই কামনা করি।
অনেক ধন্যবাদ আপু,আপনার মতামত দেখে ভালোই লাগলো।
সত্যিই ক্ষুধার্ত. আমার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় এই খাবারের আলাদা নাম আছে। আমার দেশের লোকেরা একে "প্যাস্টেল" বলে। আমার ভাই শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ🙏🏻🙏🏻🙏🏻
সুন্দর মন্তব্য দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে স্বাগতম
অনেক রকমের পুলি পিঠা আমি খেয়েছি তবে আপনার প্রস্তুতকৃত রসা পুলি পিঠার এই আমি প্রথম নাম শুনলাম তবে আপনার প্রস্তুত প্রণালি খুবই ভালো হয়েছে মনে হচ্ছে আপনার পিঠা খেতে খুব সুস্বাদু হবে সেইসাথে আপনি ধাপগুলো দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন
সুন্দর মতামত প্রদান করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
ওয়াও আপু আপনি আপনার রসুপুলি পিঠের রেসিপি টা অনেক সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুজিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আর যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর ছিল। আর তাই আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
নারিকেলের পুরভরা রসাপুলি পিঠা খুবই সুন্দর হয়েছে। পুলি পিঠা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমি এটা খেতে খুবই পছন্দ করি ।আপনি খুব সুন্দরভাবে রসা পুলি পিঠার আমাদের সাথে তৈরি পদ্ধতি তুলে ধরেছেন ।খুবই ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো লাগলো জেনে খুব খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দেয়ার জন্য।
আমার কাছে পিঠার থেকে চা দেখে বেশি লোভ লাগছে।মনে হচ্ছে আপনার চাটা খুবই মজা হয়েছে খেতে। চায়ের কালারটা খুব সুন্দর হয়েছে।আর এই পিঠার কথা কিআর বলবো আপু অসাধারণ লাগে আমার কাছে খেতে, কিন্তু এই পিঠা বানানো অনেক কঠিন এজন্য বানানো হয় না তেমন একটা খাওয়া হয় না। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পিঠাটি বানিয়ে দেখালেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব বেশি কঠিন কিছু না আপু, পুলি পিঠা থেকে রসাপুলি পিঠা তৈরি করা অনেক সহজ। ধন্যবাদ আপু
শীত মানে পিঠা-পুলির উৎসব। শীতের সময় যেন পিঠা ছাড়া জমেই না ।আপনার পিঠার রেসিপি অসাধারণ হয়েছে । রসাপুলি পিঠা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে ।আপনি ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। যা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আপনার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই পিঠাটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমি যখন আমার শ্বশুরবাড়িতে যাই তখন আমার শাশুড়ি আমাকে এই পিঠাটি বানিয়ে খাওয়ায়। খেতে এতো সুস্বাদু পিঠাটি বলে বোঝানো যাবে না। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পিঠা তৈরির পদ্ধতি উল্লেখ করেছেন দেখেই মনে হচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পছন্দের একটি পিঠার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
খুব ভালো লাগে যখন সবার থেকে সুন্দর মতামত পাই। অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমারা গ্রামে এটি প্রায় তৈরি করে থাকি।আমার খুব পছন্দের খাবার এটি।আর আপু আপনার রেসিপি টি দেখতে খুবই লোভনীয় হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজা হয়েছিল। সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপি টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু 🙂🙂
সুন্দর মতামত দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ওহ্ অনেক মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।পুলি পিঠা অনেক খেয়েছি,তেলে ভাজার পর এর স্বাদ অনেক বেড়ে যায়।চা দিয়ে একদিন টেস্ট করে দেখবো কেমন মজা লাগে। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপু।
চা দিয়ে টেস্ট করি নি ভাইয়া,তখন চা তৈরি করা হয়েছিল। তাই ছবি তুলে নিলাম