স্বরচিত কবিতা|| প্রিয়তম বটতলা।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য এলাম।
প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি হলেও কবিতা শেয়ার করা হয়।আর এর মাঝে আপনাদের সাথে বিভিন্নরকম অনুভূতি তুলে ধরি। আর আজকে যে কবিয়াটি শেয়ার করেছি এটা সম্পূর্ণটা আমাদের প্রিয় @rme দাদার একটা কবিতার আঙ্গিকে লেখা।আসলে সবসময় তো ভিন্ন ভিন্ন কবিতা লেখা হয়। তবে এটাই প্রথম যে ইংরেজি কবিতা পড়ে নিজের মত করে সেই ভাবার্থ নিয়ে আরেকটি কবিতা লিখেছি। দাদা ২দিন আগে দাদা একটা কবিতা শেয়ার করেছিলেন,যেটা আগে একসময় লিখেছিলেন। সেদিন কবিতাটা পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছিল। তাই সেই কবিতার ভাবার্থ নিয়েই এই কবিতাটা লেখা।যদিও চেষ্টা করেছি ভালো ভাবে ফুটিয়ে তোলার।জানিনা কেমন হলো,আপনাদের মতামত দেখেই জানতে পারব।যাইহোক শুরু করি।
♥️প্রিয়তম বটতলা♥️
এই সেই প্রিয়তম বটতলা,
যেথায় কাটিয়েছিলাম ছোটবেলা,
বটের ছায়া ছিল বড়ই মায়াময়,
বটতলাটা যেন শান্তির আশ্রয়।
যতবারই আসি এক পলকে দেখি,
এই সেই প্রিয়তম বটতলা,
ঘুরেফিরে যাই ভাবনায় হারাই,
কত মধুময় ছিল ছেলেবেলা।
মন খারাপের দিনের সঙ্গী ছিলে তুমি,
একাকিত্বে দিয়েছো সঙ্গ আমায়,
বটতলায় যেন শান্তি খুঁজে পেয়ে,
বারবার আমি সেথায় হারাই।
মায়ের মত মমতাময়ী ছিলে তুমি,
মায়ের আশ্রয়ে ছিলাম যেমন,
তোমার এই ঠিকানা বারবার মনে করায়,
মা ও আমার ছিলই এমন।
মমতা দিয়ে আগলে রেখে বড় করেছে মা,
আশ্রয়, আবাস, শান্তির জায়গা ছিল তা।
বটতলা তুমি মায়ের স্মৃতি জাগিয়ে তুলো মনে,
তাই তো আমি বারবার ফিরি তোমার ঠিকানার তরে।
আমার অনুভূতি |
---|
একটা সময় যখন বটতলায় গিয়ে শান্তি পাওয়া হতো তখন মনে হতো এই বটতলা আসলেই কোনো ভালোবাসার জায়গা।সবসময় এটি ছায়া আর মায়ায় আগলে রাখা।পুরোনো সব স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। মনে করিয়ে দেয় মায়ের আদর মমতা। মা যেভাবে আগলে রাখতো এবং মমতা দিয়ে সবসময় বড় করেছে সেসব মনে করিয়ে দেয় এই বটতলা। তাই অনুভূতির মাঝে এখনো মমতা, ভালোবাসা আর আবেগ লুকানো।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
https://x.com/bristy110/status/1790243055452512643
দাদার কবিতা থেকে আগ্রহী হয়ে আপনি আমাদের মাঝে বেশ সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করেছেন। কবিতাটির টাইটেল টাই অসাধারণ "প্রিয়তম বটতলা" কথাটা মুখে আনা মাত্রই অনেক ভাবনা কাজ করছে। যাইহোক খুব সুন্দর এবং প্রফেশনাল ভাবে আপনি আমাদের মাঝে কবিতাটি শেয়ার করেছেন। পড়ে মনটা সত্যি খুব ফুরফুরে গেল।
আসলে সেদিন দাদার কবিতা পড়ে আরও বেশি ভালো লেগেছিল বিধায় এই কবিতাটি লিখেছিলাম।
দাদার গত দুইদিন আগে পোস্ট করা ইংরেজি কবিতাটা আমিও পড়েছি আপু । দারুন ছিল কবিতাটি। আপনি সেই কবিতার ভাবার্থ বুঝে নিয়ে বাংলায় কবিতাটি লেখার চেষ্টা করেছেন এটাই অনেক বড় কথা আপু। কবিতার প্রত্যেকটা লাইন খুবই সুন্দর হয়েছে।বটতলা আসলে এখনও শান্তির একটা জায়গা হিসাবে রয়েছে। এক কথায় দারুণ একটি উপস্থাপনা ছিল আপনার।
ইংরেজি কবিতা হলেও সেটা একদম দারুন ছিল আর পড়তেও ভালো লেগেছে খুব।
বাহ খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। দাদার কবিতা অনুসরণ করে খুব সুন্দর কবিতাটি লিখেছেন।প্রিয়তম বটতলা কবিতাটি অসাধারণ হয়েছে। আসলে বটগাছ দিয়ে আপনি প্রিয়তমা ভালোবাসার মূল্যায়ন করেছেন। তবে আপনার কবিতার ভাষা অসাধারণ। খুব সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কবিতাটি লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আসলে দাদা থেকেই তো অনুপ্রেরণা পেয়েছি আমরা সবাই। যাই হোক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
অনেক সুন্দর কবিতা রচনা করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার লেখা আজকের এই কবিতা পড়ে আমি পুরো মুগ্ধ হয়েছি। আপনারা অনেকেই জানেন আমি কবিতা বেশি পছন্দ করে থাকি। তাই কবিতা পেলে বেশ ভালো লাগে।
জ্বী ভাইয়া আমার কবিতাগুলোতে সব সময় আপনার মন্তব্য দেখি, অনেক ধন্যবাদ এজন্য
চমৎকার কবিতা লিখলেন আপু আপনি বটতলা নিয়ে। ঠিক তো আপু এক সময় আমরা ছোটকালে গাছ তলায় গিয়ে বসতাম। বিশেষ করে গরমের সঙ্গি সময় এই গাছ তলায় বা বিশেষ করে বটতলায় বসা হতো। অনেক মানুষ আছেন বটতলায় বসে নিজের মনের দুঃখগুলো আনন্দগুলো শেয়ার করেন। তবে আপনার শেয়ার করা অনুভূতি গুলো অনেক ভালো লেগেছে পড়ে।
ছায়া মায়ায় যেভাবে গাছতলা আমাদের সঙ্গ দিত, আমাদের মা ও কিন্তু সে ভাবেই আমাদের লালন পালন করেছে, আদর যত্ন করে। এই ভাবনাকে রেখে মূলত কবিতাটা লেখা আপু।
দাদার কবিতা অনুসরণ করে বেশ দারুণভাবে কবিতাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
দাদার কবিতাটি আমিও পড়েছিলাম আপু অনেক ভালো লেগেছে।কবিতার নামটিও অনেক দারুন ছিল।আপনার কবিতার ভাষা ও আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। ধন্যবাদ আপু দারুন একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
জি আপু অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমার ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটা পড়ে।