প্রি-প্ল্যানিং ছাড়াই ঘুরে আসার কিছু মুহূর্ত।১০% বেনিফিশিয়ারী লাজুক-শিয়াল এর জন্য।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগএর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷
লোকেশন | https://maps.app.goo.gl/zGA3jJ7ANcj7sN7fA
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আসলে এটি সম্পূর্ণভাবে ভ্রমণ বলাও যায় না। কারণ আমি যখন আমার এক কাজিনের বিয়েতে গিয়েছিলাম তখন সময় পেয়ে একটু ঘুরে এলাম। আর কোনো প্ল্যানিং ছাড়াই ঘুরে এসেছি। এই মূহূর্তটাকে এই আমি ক্যামেরাবন্দি করে নিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।জায়গাটি চৌধুরীহাট,মেহেরুন্নেছায়।
প্রথমত বলি আমরা আমাদের এলাকা থেকে কিছুটা দূরে একটি জায়গায় বিয়ের জন্য গিয়েছিলাম কাজিনের শ্বশুরবাড়ি।আমি আর আমার হাজব্যান্ড বাইকে করেই গিয়েছিলাম। আর সেখান থেকে আমি আর আমার হাজব্যান্ড পাশাপাশি একটা সুন্দর জায়গায় ঘুরে এলাম। আর সেই জায়গাটি হল বড় একটি খালের পাড়।
সেখানে খুব সুন্দর কিছু গাছপালা রয়েছে। বর্তমানে তরমুজ চাষ করা হচ্ছে আর সেখানে বিশাল আকারের একটি তরমুজ ক্ষেত রয়েছে। তার পাশেই রয়েছে একটি মাল্টা বাগান। আর আজকে আমি সেখানে ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ পেলাম।
আমি আমার কাজিনের শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পূর্বেই সেই খালপাড়ে গিয়েছিলাম তখন সম্ভবত দুপুর 1:30 হবে। যেহেতু আমরা ভরদুপুরে গিয়েছি তাই বেশিক্ষন সেখানে ছিলাম না।প্রথমত আমরা খালের সামনেই গেলাম, সেখানে গিয়ে কিছু ছবি তুলে নিলাম। সুন্দর খালের মধ্যে কচুরিপানায় ভরপুর এবং মাঝখানের অংশে স্বচ্ছ পানি দেখা যাচ্ছে। এতটাই মনমুগ্ধকর পরিবেশ ইচ্ছে করছে খালের পানিতে নেমে যাই।
তার একটু পাশেই রয়েছে তরমুজ ক্ষেত আর তারপরে মাল্টা বাগান।তবে একদম দুপুর হয়ে যাওয়ার কারণে আমরা আর ভেতরে ঢুকতে পারেনি। বাইরে থেকে কিছু ছবি তুলে নিলাম। আর এই ছবিগুলো আমি গেটের বাইরে থেকে তুলেছি। প্রথমে রয়েছে তরমুজ ক্ষেত, যেখানে এখন ছোট ছোট তরমুজ রয়েছে। আর তার পাশে রয়েছে অনেগুলো মাল্টা গাছ।
সেখানে একটি দোকান ঘর ছিল।আর সামনে বসার একটি সুন্দর জায়গা ছিল। আমরা সেখানেই কিছুক্ষণ বসলাম আর ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করলাম। সেখানে খুব সুন্দর পরিবেশ, বিকেলবেলা গেলে ঠাণ্ডা পরিবেশে খুবই ভালো লাগে। যদিও আমরা কোন প্ল্যানিং ছাড়াই গেলাম তাই বেশিক্ষণ সেখানে ছিলাম না। তারপর আবার চলে গেলাম।
এরপরে কাজিনের শ্বশুরবাড়ি থেকে খাওয়া-দাওয়া করে সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। এরপর আমরা ৪টার দিকে রওনা হলাম।সেখানে একটি বিশেষ জায়গায় যেতে। অবশ্য সেই স্থানের নাম হল সুইচগেট। যেখানে খুব সুন্দর পরিবেশ রয়েছে।
মূলত বহু বছর আগে সেখানে বিশাল আকারের একটি ব্রিজ ছিল।সেখানে এপার থেকে ওপারে যাওয়ার জন্য এটি ছিল অন্যতম একটি পথ। সে কারণে জায়গাটার নাম সুইচগেট রাখা হয়েছে। যদিও অনেক দিন পূর্বে এই গেট ভেঙ্গে পড়ে গিয়েছে, কিন্তু আর মেরামত করা হয় নি। তাই সেখানে এখন নৌকা পারাপার করা হয়।
আমরা যখন সেখানে গিয়েছি তখনও কড়া রোদ ছিল। তাই সেখানে দাঁড়িয়ে আমি কিছু ছবি তুলে নিলাম। কিছু লোক ওপার থেকে এপারে আসার জন্য নৌকায় উঠেছে। যদিও এই মুহূর্তটা খুবই সুন্দর। আমারও ইচ্ছে হচ্ছিল যে কিছুক্ষণ নৌকায় ঘোরাঘুরি করতে। কিন্তু সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাবে আর বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে যাবে তাই আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে কিছু ছবি তুলে নিলাম। আমার কিছু ছবি আমার হাজব্যান্ড তুলে দিয়েছিল।
এই ছিল আমার সুইচগেট এবং তরমুজ ও মাল্টা বাগান ঘুরে আসার ছোট্ট একটি কাহিনী। যদিও আমরা দুপুর বেলা যাওয়ার কারণে বেশিক্ষণ সেখানে থাকতে পারেনি। অবশ্য সেখানে যাওয়ার কোন প্রি-প্ল্যান ছিল না।বিয়েতে যাওয়ার কারণেই আমরা কিছুটা মুহূর্ত সেখানে ঘুরে এলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ছোট্ট এই ভ্রমণ কাহিনী।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | https://maps.app.goo.gl/zGA3jJ7ANcj7sN7fA |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্ল্যানিং ছাড়া ঘুরতে যেতে খুবই মজা লাগে । আমি মাঝেমধ্যে প্ল্যানিং ছাড়া ঘুরতে চলে যায় আমাদের এলাকার কিছু বিশেষ বিশেষ স্থানে এই মুহূর্ত গুলো আসলেই অনেক চমৎকার। আপনার ঘুরে বেড়ানোর মুহূর্তগুলো সত্যিই অনেক অসাধারণ ছিল এবং ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
প্ল্যানিং করে যাওয়া আর হঠাৎ করে চলে যাওয়ার মধ্যে বিরাট তফাৎ আছে। কারণ হঠাৎ করে যাওয়ার কারণে খুব বেশি ভালো লাগে। আর সত্যিই দিনটা খুব ভালো ছিল ।অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
এভাবে হঠাৎ করে ঘুরে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর তুমি একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন এবং দারুণ সময় পার করেছিলেন। আপনি যে জায়গাতে ঘুরতে গিয়েছেন এটাতে সৌন্দর্যে ভরপুর যে কারো মন ভালো করার জন্য জায়গাটি যথেষ্ট। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। তবে মন্তব্য করার পর একটু চেক করে নিবেন বাক্যগুলো ঠিক ছিল কিনা ।
ঘুরতে যেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন। আমাদের সাথে খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী ভাইয়া জায়গাটি বেশ সুন্দর ছিল। বিকেলবেলা কিছুক্ষণ সময় আরো বেশি থাকতে পারতাম ।যাইহোক অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
বাহ অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন। আপনি যে জায়গা ভ্রমণ করেছেন সেই জায়গার প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে আমি মুগ্ধ।ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ করেছেন। সুন্দর সবুজ একটি জায়গা সাথে নীল জলরাশির একটি লেক। দারুণ ছিল আপনার উপস্থাপনা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।
গ্রাম্য পরিবেশে এই জায়গাটি বেশ দারুন ছিল ।আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে । জায়গাটির কথা শুনেছিলাম কিন্তু এইবার যাওয়া হল।
আসলে প্লান করে কখনই কোন কিছু হয়না। হুট করে দেখবেন ঘুরতে যাওয়া হয় বেশিরভাগ সময় এমনটাই হয়। আর সুন্দর ছিল আপনার ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আর ফটোগ্রাফি গুলো।
জি ভাইয়া আমার কাছে প্ল্যানিং ছাড়া ঘুরতে যেতে ভালো লাগে।
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় পরিবেশের মধ্যে ভ্রমণ করেছেন। সত্যিই আপনার ভ্রমণের ফটোগুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমার খুবই ভালো লেগেছে। জায়গা গুলো দেখে ভ্রমণ করার ইচ্ছা জাগল। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
আশেপাশে এমন সুন্দর জায়গা গুলো থাকলে মাঝে মধ্যে এরকম ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করে ।
শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ভালো থাকবেন।
আপনি কাজিনের শ্বশুরবাড়ি যে লেখাটা চমৎকার একটি ছবি শেয়ার করেছেন। ছবির রেজুলেশন অনেক ভাল ছিল। গ্রাম বাংলার পরিবেশ রয়েছে চমৎকার ্্। শিরোনামে লেখা মুহূর্ত বানানটি ভুল ছিল তা ঠিক করে নিবেন।
@mosaidur আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
কিন্তু আপনাকে বলব মন্তব্য করার পর আপনি লেখাটা একটু চেক করবেন ।কি লিখেছেন ,না লিখেছেন তা দেখবেন ।আশা করি এই ব্যাপারটা মাথায় রেখে মন্তব্য করবেন ,ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদেরকে ছাড়াই একা একা ঘুরে আসলেন। মনে হচ্ছে জায়গাটা চেনা চেনা লাগছে। আমরাও আপনাদেরকে ছাড়া ঘুরতে যাব। জায়গাটা সবুজ শ্যামলে ভরা। এমন কে এই জায়গায় ঘুরতে নিশ্চয়ই বেশ ভালো লেগেছে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই অসাধারণ হয়েছে। আমাদের মাঝে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত টা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
এটাতো আপনাদের কাছেই শেখা, আমাদেরকে ছাড়াই ঘুরতে গেলেন কত জায়গায়। আর জায়গাটা তো চেনা লাগবেই আগে তো ঘুরে এসেছেন ।ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
কোন পরিকল্পনা ছাড়া হঠাৎ করে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। প্রকৃতির ছবিগুলো দেখে মনটা ভরে গেল। আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোষ্ট করার জন্য।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য ,ভাল থাকবেন।
প্রকৃতির কাছাকাছি ঘুরতে আমারও খুব ভালো লাগে। নদী খাল বা সমুদ্র যাই হোক না কেন আশেপাশে পানি থাকলে ঘোড়ার মজাটাই বেড়ে যায়। তবে এমন একটি ভেঙেপড়া ব্রিজ আমি আগে কখনো দেখিনি। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি।
এই ব্রিজ বিশাল আকারের ছিল। তবে আমি দেখিনি ।
এটি অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।