মেহেদী রাঙা হাত||সিম্পল মেহেদী ডিজাইন||
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগএর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ কিছুটা ভালো আছি৷গত কয়েকদিনের অসুস্থতায় শরীর একদম ক্লান্ত।চারিদিকে সবারই অসুস্থতার খবর শুনছি।শীতের সময়ে জ্বর,ঠান্ডা লাগার সমস্যাটা বেড়েই যায়।যাইহোক সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের পোস্ট শুরু করছি।
চেষ্টা করি সবসময় ভিন্ন কিছু করার।আর আজকে আমি নিয়ে এলাম একটি মেহেদী ডিজাইন নিয়ে।আমার খুব ভালো লাগে মেহেদী ডিজাইন করতে। আর অনেককে দেখলাম মেহেদী ডিজাইন গুলো খুব সুন্দর করে খাতায় এঁকে ফেলে।তবে কলম দিয়ে করা আর মেহেদী দিয়ে করার মধ্যে ব্যাপক তফাৎ। যাইহোক আজকের মত আমি হাতে আঁকা মেহেদীর ডিজাইন নিয়ে এসেছি। ও হ্যাঁ, বলা হয়নি তো'' হাতটা দেখেই বুঝতে পারছেন একটা ছেলের হাত। আর সে হলো আমার দেবর।আপনাদের সাথে কিছুদিন আগে একটা পোস্টে আমার দেবরের বিয়ের কিছুটা অংশ শেয়ার করেছিলাম। মেহেদীটা বিয়ের সময়েরই।হলুদের রাত ১২ টায় পরিয়ে দিয়েছিলাম।
ছেলে বলে কথা,সে নাকি মেহেদী পরবে না হাতে।তা কখনো হয়,বাইরের বিভিন্ন রকম ব্যস্ততা শেষ করে বাসায় আসতে আসতে সেদিন বাজলো রাত ১০:৩০। আসার পর ফ্রেশ হয়ে খাওয়ার দাওয়া করে সে ঘুমাতে চলে গেল।আমি বললাম "কি? মেহেদী লাগানো হবে না,, নাকি?"।বলে না না এসবের কি দরকার।তখন বললাম বিয়ে তো বেশি করানো হবে না,একবার যখন করতেছেন একবারই মেহেদী পরেন। তাও না না।যাইহোক কোনোমতে রাজি হলো, তা ও আবার একহাতে লাগাতে হবে তাড়াতাড়ি করে।রাত তো অনেক হলো।তারপর লাগিয়ে দিলাম খুব সিম্পল করে,নাহলে আবার তার দুষ্টু ভাতিজা ঘুম থেকে উঠে শুরু করবে কান্নাকাটি। হলো তো অনেক কথা,এবার চলুন নিচের দিকে গিয়ে দেখে আসুন সবাই আমার আজকের মেহেদী ডিজাইনটা।
এই মেহেদী আঁকার জন্য উপকরণ |
---|
স্মার্ট কোণ মেহেদী
প্রথম ধাপ |
---|
শুরুতেই আমি গোল দাগ দিয়ে উপরের দিকে কিছু ডিজাইন করে নিলাম।তার উপরে আরও ২টি গোল দাগ দিয়ে বাইরের দাগের উপরের দিকে অর্ধগোলাকার আকারে কিছু ছোট ছোট ডিজাইন করলাম।
দ্বিতীয় ধাপ |
---|
এইধাপে আমি বাইরের অংশে বড় করে দাগ দিয়ে তারপরে লাভ আকারে কিছু ডিজাইন করলাম।পুরো গোল অংশে ধীরে ধীরে আমি ডিজাইন করে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ |
---|
এই ধাপে লাভ শেপের ভিতরের অংশে ছোট ছোট দাগ টেনে দিলাম। যাতে ভিতরের অংশে ফাঁকা না থাকে।এক এক করে আমি সবগুলোতেই দাগগুলো টেনে দিলাম।
চতুর্থ ধাপ |
---|
পূর্বে লাভ শেপ আঁকা দাগের উপরে আবারও মোটা করে মেহেদী দিয়ে দিলাম।যাতে মেহেদী আরও বেশি উজ্জ্বল হয়।
পঞ্চম ধাপ |
---|
এখানে আমি চেষ্টা করলাম সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে,এটি আমার খুবই ভালো লাগে।যাইহোক তিনটি করে ছোট ছোট পাতা আঁকলাম বাইরের দিকে।লাভ শেপের ২টার মাঝে উপরের দিকে আঁকলাম যাতে সুন্দর দেখায়।
![]() | ![]() |
---|
ষষ্ঠ ধাপ |
---|
এখানে মোটামুটি শেষ করলাম হাতের আঙুলে কিছু ডিজাইন দিয়ে।এখানে ছোট একটি পাতা দিয়ে উপরে বাঁকা করে টেনে ডিজাইন করলাম।সবগুলো আঙুলে এভাবে ডিজাইন করে শেষ করলাম কাজ।
![]() | ![]() |
---|
এই ছিল দেবরের হাতে দেয়া মেহেদীর ডিজাইন।আশা করি সিম্পল এই ডিজাইন আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
https://twitter.com/bristy110/status/1596093235688271872?s=20&t=subKBjhp7X9P6lF4YWePKQ
বিয়ে বলে কথা মেহেদি না পড়লে হয় নাকি। ছেলেরা মেহেদি পড়তে চায় না এটা স্বাভাবিক। বিয়ে তেও তাদের জোর করে পড়াতে হয়। যাইহোক, খুব সুন্দর করে আপনার দেবরের হাতে মেহেদি পরিয়ে দিয়েছেন। ডিজাইন টা ভালই লাগছে দেখতে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন আপু ছেলেরা একদমই পড়তে চায় না ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আসলে শীতের এ সময়টা একটু খারাপ ই ৷ সবার শুধু অসুস্থতার খবর শোনা যায় ৷ তবে যাই হোক আপু দারুণ একটি মেহেদি ডিজাইন শেয়ার করেছেন ৷ অনেক সুন্দর লাগছে মেহিদির এই ডিজাইনটি ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷ আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ৷
আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক বেশি খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সব সময় এই কামনা করি।
আপু আপনার দেবরের হাতে মেহেদি পরানো দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে বিয়েতে সবসময় মেয়েরাই হাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেহেদী পড়ে। কিন্তু ছেলেরাও যে মেহেদী করে তা খুব কম দেখতে পাওয়া যায়। আমার মনে হয় দুজনেরই মেহেদী পরা দরকার। কারণ তারা নতুন একটি জীবন পাচ্ছে। তাই তাদের নতুন জীবন নতুন ভাবে রাঙা হয়ে উঠুক এই প্রত্যাশাই করি।
আমার ধেবর ও মেহেদীলাগাতে চাইছিল না। আমি জোর করে লাগিয়ে দিয়েছি। আর আপনি ঠিক বলেছেন খুব কম সংখ্যক ছেলে মেহেদী লাগাতে পছন্দ করে।
এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন কলম দিয়ে অংকন করার ডিজাইন আর এই ধরনের ডিজাইনের মধ্যে অনেক তফাৎ। দেবরের বিয়ে উপলক্ষে দেখছি এত রাতেও দারুন একটা মেহেদির ডিজাইন তৈরি করে দিয়েছিলেন। বিয়ের সময় মেহেদির ডিজাইন হাতে না দিলে যেন কিছু একটা কমতি মনে হয়।
নিজের মন থেকে ডিজাইনটি করেছি, কোন ডিজাইন বুক না দেখে।
আপনি তো অনেক সুন্দর করে দেবরের বিয়েতে দেবরের হাতে মেহেদী লাগিয়েছেন। আপনি ঠিক বলেছেন কলমের মেহেদী আর হাতের মেহেদী অনেক পার্থক্য। আমার মনে হয় আপনার দেবরটি একটু লাজুক এই কারণে হাতে মেহেদি লাগাতে পছন্দ করেন না। তবে আপনার মেহেদি ডিজাইন টি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে সাজিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সব সময় পাশে থেকে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ওমা দেবরের বিয়ে বলে কথা ৷ আসলে এটা সত্যি ছেলে মানুষের কম মেহেদি ব্যবহার করে ৷ তবে বিয়ে বলে কথা মেহেদী ডিজাইন করতে হবে ৷ খুব সুন্দর করে সাজিয়েছেন ৷
ভাবছি আমার বিয়ের দাওয়াত দিবো ৷ এই মেহেদী ডিজাইন করার জন্য ৷ কী আসবেন না???
সমস্যা নাই ভাইয়া দাওয়াত দিয়েন, এসে মেহেদি লাগিয়ে দিয়ে যাব।😀😀
আসলে ঠিকই বলেছেন ছেলেরা একদম মেহেদী পড়তে চায় না। কিন্তু এমনিতে না পড়লেও বিয়ে বলে কথা। বিয়ে তো একটাই করবে একটু রঙিন না হলে হয়। তবে ঠিক বলেছেন খাতায় মেহেদি ডিজাইন করা আর সরাসরি মেহেদি পড়ানোর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আপনি বেশ সুন্দর একটি ডিজাইন করেছেন। একেবারে না দেওয়ার চেয়ে কিছুটা দিয়েছেন এটাই ভালো।
আসলেই ভাইয়া কিন্তু পড়তে চাইছিল না, আমি জোর করে মেহেদী লাগিয়ে দিয়েছি ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
এমন অনেক ছেলে আছে যারা মেহেদী পড়তে তেমন একটা পছন্দ করে না যেমন আমি মেহেদী পড়তে আমার একদমই ভালো লাগেনা ঈদের সময় আমার বোনেরা মেহেদী পড়ানোর জন্য কত রকম ভাবে চেষ্টা করে আমি সবসময় তাদের থেকে দূরে থাকি। যাইহোক অবশেষে আপনি জোর করে হলেও তাকে মেহেদী পড়িয়েছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। সিম্পল একটি মেহেদি ডিজাইন অংকন করেছেন যেটা দেখতে অনেক বেশি আকর্ষণীয় ছিল। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মেহেদি লাগাতে বসলে অনেক বিরক্ত লাগে। কারণ ধৈর্য ধরে অনেকক্ষণ বসে লাগাতে হয়। যাই হোক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।