বৃষ্টির দিনে নরম খিচুড়ি খাওয়ার অন্যরকম অনুভূতি। ১০% লাজুক-শিয়ালের জন্য।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, সবাই আশাকরি খুব ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো আছি।আমার এই প্রিয় ব্লগের সাথে প্রতিনিয়ত কাজ করে আমি খুব আনন্দ পাই।তাই সবসময় নতুন কিছু নিয়ে হাজির হয়ে যাই।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের রেসিপিটি |
---|
আজকের রেসিপির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
---|
পরিমাণ |
চিনিগুড়া চাল | দেড় কাপ | মসুর ডাল | আধা কাপ | বরবটি | ২টি | আলু | ১টি | পেয়াজ | ১টি | কাচামরিচ | ৬ টি | টমেটো | ১টি | লবণ | পরিমাণ মত | গোটা রসুন | কয়েক কোয়া | হলুদ গুড়ো | আধা চা চামচ | ঘি | ১ চা চামচ | সয়াবিন তেল | ৩ টেবিল চামচ | পানি | পরিমাণ মত। |
এর পাশাপাশি পেয়াজ, কাচামরিচ, টমেটো কেটে নিলাম। চাল আর মসুর ডাল একসাথে ধুয়ে নিয়েছি।
এরপর একটি কড়াইয়ে ৩ টেবিল চামচ পরিমাণ তেল দিয়ে দিলাম। তেল কিছুটা গরম হয়ে এলে এরমধ্যে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে দিলাম এবং ভাজতে থাকলাম কিছুক্ষন। এরপরে দিয়ে দিলাম রসুনের কোয়াগুলো।
কিছুক্ষণ এগুলোকে ভেজে নেয়ার পর আমি এরমধ্যে ধুয়ে রাখা চাল আর মসুর ডাল দিয়ে দিলাম। একসাথে নেড়ে সবকিছুকে ভাজতে থাকলাম।
পরিমাণ মত লবণ আর হলুদ গুড়ো দিয়ে আবারও সবকিছু একসাথে ভেজে নিলাম ৫ মিনিটের মত।আমি এক্ষেত্রে চুলার আঁচ মিডিয়াম লো তে রেখে ভাজলাম।
এরপরে আমি এরমধ্যে পরিমাণ মত পানি দিয়ে দিলাম।পানি দেয়ার পর সবকিছু আবারও নেড়েচেড়ে ৩টি গোটা কাচামরিচ আর টমেটো ফালি দিয়ে দিলাম। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করতে থাকলাম।
রান্নার ফাকে কয়েকবার ঢাকনা উঠিয়ে নেড়েচেড়ে দিলাম যাতে সবকিছু ভালোভাবে সিদ্ধ হয় এবং লেগে না যায়। এক পর্যায়ে পানি শুকিয়ে এলে এক চা চামচ পরিমাণ ঘি দিয়ে দিলাম। চুলার আগুন একেবারে লো তে রেখে আরও ২-৩ মিনিট রান্না করলাম।তারপর চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম। গরম গরম একটি প্লেটে এই নরম সবজি খিচুড়ি নিয়ে নিলাম।গাজর আর কাচামরিচ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করলাম। আমার আজকের এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।সবার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
|
---|
বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খাওয়ার যথার্থ সময়।আপনি সময় উপযোগী একটা পোষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর মন্তব্য আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন সব সময়।
খিচুড়ি আমার ভীষণ ভালো লাগে। খিচুড়ি দেখলে আমার ক্ষুধা বেশি বেড়ে যায়। অনেক ভালো লাগে আমার। গতকাল আমি নিজেও খিচুড়ি রেসিপি করেছিলাম। বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি মান যেন আরো বেড়ে যায়। আমি খুব সুন্দর একটি খিচুড়ি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদ হয়েছে আপু। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটি খিচুড়ি রেসিপি আমাদের শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া অনান্য সময় থেকেই বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে বেশি ভালো লাগে। আর আমি প্রায় সময় বৃষ্টি হলেই খিচুড়ি তৈরি করি।
বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে বেশ মজা লাগে। খিচুড়ির সাথে হালকা একটু ঘি আর একটা ডিম ভাজি তাহলে বৃষ্টির সাথে খিচুড়ি ভাত একদম জমে ক্ষীর। ভাবতেই জিভে জল চলে এসেছে।
আমি খিচুড়ি সাথে ডিম সিদ্ধ এবং আচার রেখেছিলাম। যা দিয়ে খেতে সত্যি অনেক ভালো লেগেছিল। খুব ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য দেখে।
বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। গত দিই দিন হলো খুব বৃষ্টি হচ্ছে এই বৃষ্টির মধ্যে গরম গরম খিচুড়ি খুব ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা খিচুড়ি রেসিপি দেখে আজকেই খিচুড়ি রান্না করতে মন চাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া বৃষ্টি হওয়ার পর ঠাণ্ডা আবহাওয়ার মধ্যে গরম গরম খিচুড়ি অনেক বেশি মজাদার এবং সুস্বাদু একটি খাবার। যা সবার কাছে অনেক জনপ্রিয়।
খিচুড়ি আমার অনেক প্রিয় এবং মাঝে মধ্যে খুবই মন চায় খিচুড়ি খেতে। আর যদি বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খাওয়া যায় তখন মজাটা মনে হয় দ্বিগুণ হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি খিচুড়ির রেসিপি বানিয়ে আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য।
খিচুড়ি খেতে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে ।তাই মাঝে মধ্যে এটি তৈরি করে থাকি।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এভাবে সবসময় খিচুড়ি বানিয়ে খাওয়াবেন এই কামনা করি।
ঠিক বলেছেন আপু খিচুড়ি অনেকেরই পছন্দ। আর আপনি এই খিচুড়ি অন্য রকম পদ্ধতি তৈরি করেছেন দেখতে অনেক লোভনীয় লাগতাছে মনে হয় খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হবে আমিও খিচুড়ি খেতে অনেক বেশি ভালোবাসি তাই দেখে জিভে পানি চলে এলো ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর পদ্ধতিতে খিচুড়ি তৈরি করার জন্য আমার পক্ষ থেকে আপনার প্রতি অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
জি আপু খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল ।আর এটি সকালবেলায় তৈরি করেছিলাম। বৃষ্টি হওয়ার কারণে খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো লেগেছিল।
বৃষ্টির দিনে সকাল বেলায় এরকম নরম খিচুড়ি খেতে কি যে ভালো লাগে আমার বলে বোঝানো যাবে না। আপনার খিচুড়ি ষষ্ঠ ধাপ দেখে আমার মনে হচ্ছে যে সেখান থেকে একটু উঠিয়ে নিয়ে খাই। এত লোভনীয় লাগছে দেখতে। খুবই মজাদার হয়েছে আপনার নরম খিচুড়ি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
জি আপু খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে তাই আমি গতকাল সকালেও এটি তৈরি করেছিলাম ।আসলে বৃষ্টির দিনে মাঝেমধ্যে খিচুড়ি খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে।
আপু আপনার কথাটি একদম ঠিক, বৃষ্টির দিনে হালকা হালকা ঠান্ডা আবহাওয়ায় খিচুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। আমিও বৃষ্টির দিন হলে খিচুড়ি খাওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দেই। খিচুড়ি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। তবে আপু আপনি যে খিচুড়ি তৈরি করেছেন তা আপনি নরম খিচুড়ি বলেছেন। আর এই খিচুড়ি কে আমরা সবজি খিচুড়ি বলে থাকি। আপনার তৈরি নরম খিচুড়ি, মাছ ভর্তা ও বাদাম ভর্তার সাথে খেতে পারলে খুবই ভালো লাগতো। বৃষ্টির দিনে নরম খিচুড়ি খাওয়ার অন্যরকম অনুভূতিটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
নরম খিচুড়ি সাথে যে কোন ধরনের আচার অথবা চাটনি দিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে ।আর আমি আচার দিয়েই খেয়েছিলাম খুব ভালো লেগেছিল।
আপু খিচুড়ি দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। আমার কাছে এমন খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে। বৃষ্টির দিনে সত্যি এমন খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে। আমার খিচুড়ি দেখে জিভে জল চলে আসল। আপনার উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার সুন্দর শুভকামনা রইল।
আপু খুব সহজে কিন্তু খিচুড়ি তৈরি করা যায়। আর তা তৈরি করতে বেশিক্ষণ সময় লাগে না। মন চাইলে খেয়ে নিতে পারবেন তৈরি করে।