কক্সবাজারে ইনানীতে কাটানো কিছু মুহূর্ত।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
কক্সবাজারে পর্যটন কেন্দ্রের তো অভাব নেই। আর এর মাঝে অনেকগুলো পর্যটন কেন্দ্রেই আমাদের ঘোরা হয়ে গেছে। তার মাঝে কিছু কিছু জায়গার অনুভূতি এবং মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আর আজকে আবার চলে এলাম সেই রকম একটা মুহূর্ত শেয়ার করতে। যেটাতে শেয়ার করব ইনানীতে কাটানো মুহূর্তগুলো।
যাইহোক পাটুয়ার টেক থেকে বের হয়ে আমরা সোজা চলে এলাম ইনানীতে। ইনানীতে বিচের দিকে যেতে হলে অনেকটা দূর হেঁটে যেতে হবে, নয়তো সেখানকার বাইকগুলোতে চড়তে হবে। কিন্তু সেখানকার বাইক গুলো দেখেই আমার কাছে অদ্ভুত রকম লেগেছে। কারণ একটু এদিক-ওদিক হলে বালুর মধ্যে হুমড়ি খেয়ে পড়বো। আর যেহেতু ইনানী এর বিচটাও পাটুয়ার টেকের মতোই তবে এখানে লোকজনের সমাগম একটু বেশি থাকে। তবুও এতদূর আর কড়া রোদের মধ্যে ওই দিকে হেঁটে যেতে ইচ্ছে করছিল না।
তাই ভাবলাম সেখানে এমনিতেই দোকানগুলো ঘুরে দেখি এবং ছায়া যেখানে আছে সেই জায়গাগুলোতে যাই। এর কারণ হলো অনেকক্ষণ গাড়িতে আসতে আসতে খুব বোর ফিল হচ্ছিল। এজন্য মূলত খোলা হাওয়ায় কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম।আমরা যেদিন সমুদ্রে নেমেছিলাম সেদিন আকাশ মেঘলা ছিল,আর পানিও ঠান্ডা ছিল।আবহাওয়া ছিল শীতল।কিন্তু পরদিন ঘুরাঘুরি করতে বের হয়েছি আর আবহাওয়া একদম ভালো ছিল। আর কড়া রোদ ছিল, এই সময়ে হাটাহাটি করা মুশকিল।
যাইহোক, ইনানী বিচের দিকে যেতে হাতের বাম পাশে খুব সুন্দর একটা ঝাউ বাগান ছিল। আর সেখানে জায়গাটা অনেকটা ঠান্ডা ছিল। এজন্যই মূলত রোদের তীব্রতা থেকে বাঁচতে আমরা ঝাউবনের দিকে গেলাম। যদিও ভেতরে যাওয়া হয়নি। সামনে থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। আর নিভৃত তো লাফালাফি শুরু করে দিয়েছে। কারন সে বালির মধ্যে সবার হাত ধরে হাঁটতে চাচ্ছে। কিন্তু আমরা নিজেরাই হাঁটতে যেখানে কষ্ট হচ্ছে সেখানে ওর হাত ধরে ওকে নিয়ে হাটা আসলে খুব বেশি কষ্টকর। এজন্যই মূলত আর ওই দিকে যাওয়া হয়নি। ঘুরাঘুরি করেই কিছু ছবি তুলে নিলাম।
এইতো ছবিতে দেখতেই পাচ্ছেন দূর থেকে ইনানী বিচের কিছু ছবি তুললাম। আসলে পুরো বিচ এরিয়ার প্রকৃতিই একই রকম। এজন্যই মূলত নীল আকাশ আর সমুদ্রের একাকার দেখতে ভালো লাগে। দূর থেকে অনেকক্ষণ অবজার্ভ করলাম। তারপর সেখান থেকে ধীরে ধীরে চলে গেলাম সিএনজির কাছে। তারপর সিএনজি উঠে আবার চলে গেলাম বান্দারবানের দিকে। সেটা নিয়ে আরেকদিন চলে আসবো তবে আজকের মত এতটুকুই।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
https://x.com/bristy110/status/1791706142638530926
ইচ্ছে আছে বাবু আরেকটু বড় হলে কক্সবাজার ঘুরতে যাব। আপনার ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনার মাধ্যমে বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর জায়গা দেখতে পেলাম। বেশ ভালো লাগলো আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ কক্সবাজার ইনানীতে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো আপু। আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। ঘুরে আসবেন সবাই মিলে দেখবেন ভালো লাগবে।