বিয়ের দিনের ফ্রেমবন্ধী কিছু মুহূর্ত।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে বেশ আনন্দ নিয়েই এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমার দেবরের বিয়ের দিনের মুহূর্তটি। তবে আমি দুটি পর্বে বিয়ের দিনের মুহূর্ত ভাগ করে নেব। কারণ এক পর্বে সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরার সম্ভব হবে না। চলুন তাহলে বলে নেই আমাদের দিনের শুরু থেকে মুহূর্তগুলো। সকাল বেলা যে যার মত উঠে গেলাম, নাস্তা করলাম। তারপর সবাই যার যার মত রেডি হতে শুরু করে দিল। যেহেতু আমরা খুব অল্প সংখ্যক লোকজন যাব সেহেতু একটি হাইচ ভাড়া করে নেয়া হয়েছে।
আর আমি যেহেতু হাইচে করে যেতে পারি না সেজন্য একটা সিএনজি রিজার্ভ করে নিয়েছে। সেখানে আমি, আমার ছোট বোন এবং ননদ গিয়েছিলাম। তাই সবাই রেডি হয়ে সাড়ে বারোটার মধ্যেই চলে গেল। কিন্তু আমরা রেডি হতে কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। বাবুকে নিয়ে যেকোনো জায়গায় যেতে একটু দেরি হয়ে যায়। আর সেজন্য সবাই রেডি হয়ে গেলাম এবং রওনা দিলাম।
যদিও নিভৃত ঘুমিয়ে ছিল কিন্তু কিছুটা পথ পর্যন্ত সে জেগে ছিল। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ ছিল না। চুপচাপ মুখের ভেতর একটা আঙ্গুল ঢুকিয়ে ছিল। মাঝে মাঝে আমি দেখতাম ও কাঁথার ফাঁকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তখন কিছু ছবি তুললাম। গাড়ি চলন্ত অবস্থায় থাকার কারণে ভালোভাবে কোন ছবি তোলা হয়নি। এখানে নিভৃত এর যে ছবিগুলো রয়েছে সেগুলো সবগুলো চলন্ত অবস্থায় তোলা হয়েছে।
আশেপাশের পরিবেশও সুন্দর ছিল, যেতে যেতে আমি কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম। কারণ তখন ও কোলেই ঘুমিয়ে ছিল। আর আমি এক হাত দিয়ে ছবিগুলো তুলেছি। ওই দিকে যাওয়ার পথে রাস্তার দুই পাশে কাশফুল ছিল। তবে কিছুটা নিচ জমিতে এবং একটু দূরে ছিল যার কারণে সেখানে গিয়ে ছবি তোলার সম্ভব ছিল না। গাড়ি থেকে যতটুকু পেরেছি ছবি তুলেছি। আমার খুব ইচ্ছে করেছিল সেখানে গিয়ে কিছুটা সময় পার করতে কিন্তু সম্ভব হয়নি।
যাই হোক আমাদের এলাকা ছেড়ে যখন তাদের এলাকায় ঢুকলাম সেখানেও চারিদিক খুবই সুন্দর ছিল। অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করলাম যেতে যেতে। সেখানে যেতে যেতে নিভৃত একেবারেই জ্বালাতন করে নি। একদম শান্তভাবেই ছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে কারেন্ট না থাকার কারণে ঘুম থেকে উঠে গিয়েছিল। তখন আমি তার নানুর কোলে দিয়ে আমরা বাইরে ঘুরতে বের হয়ে গেলাম।
যদিও বেশি দূরে যাইনি। ঘরের আশেপাশেই ছিলাম। সবাই সেখানে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। যেহেতু ফটোগ্রাফার ডাকা হয়েছিল তাই কিছু ছবি তুলেছিল। সেগুলো আপনাদের সাথে পরবর্তী পর্বে শেয়ার করব। ভালো থাকবেন সবাই।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | বিয়ের দিন |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
https://twitter.com/bristy110/status/1587794663700066304?s=20&t=mThuZbX4_CqTYnFQBoF-Nw
দেবরের বিয়েতে অনেক মজা করেছিলেন মনে হচ্ছে আপু। ছোট বাচ্চা নিয়ে আপনি সিএনজি তে গিয়েছিলেন এটা খুবই ভালো একটা কাজ বলে আমি মনে করি। কিন্তু খারাপ লাগলো এটা শুনে যে সেখানে কারেন্ট না থাকার কারণে আপনার ছোট বাচ্চা ঘুম থেকে উঠে পড়েছিল।
ওম্মা! আপনার ছেলে কি মিষ্টি করে তাকিয়ে আছে। বাচ্চারা তো এমনি সময় ঘুমোয় না। আর যখন ঘুমোনো উচিত তখন ঠিক তাকিয়ে থাকে। 😃 আর কি করা যাবে।ইর আপনার দেওরকে ও তার স্ত্রী কে নতুন জীবনের অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
নিভৃতের ছবিটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। খুবই মিষ্টি ভাবে তাকিয়ে আছে সে। খুবই ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখে মনে হচ্ছে। ফটোগ্রাফি গুলা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। অনেকে হাইসে করে যেতে পারে না। সিএনজি করে যায় বেশিরভাগে। দেখে তো মনে হচ্ছে আমার দিকে নিভৃত তাকিয়ে আছে।