দেবরের বিয়েতে কাটানো কিছু মুহূর্ত।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বিয়ের অনুষ্ঠানে কাটানো কিছু মুহূর্ত। গত বৃহস্পতি,শুক্র এবং শনি এই তিন দিন আমাদের বিয়ের দাওয়াত ছিল। আমার শ্বশুরবাড়িতে আমার এক দেবরের বিয়ে ছিল। আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম যে রমজান মাসে বাড়িতে তিনটি বিয়ে হয়েছিল। তার মধ্যে সবগুলো বিয়েই সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। তবে এ বিয়েটা ঈদের অনেকদিন পরে অনুষ্ঠান করা হয়েছে।
যাইহোক যেহেতু আমি আমাদের বাড়িতে রয়েছি সেই হিসেবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১০০ তম হ্যাংআউট থাকার কারণে হলুদের অনুষ্ঠানে আমি আর ইচ্ছে করেই যাইনি। কারণ আমার কাছে আমাদের কমিউনিটির ১০০ তম হ্যাংআউটটা অনেক বেশি ইম্পর্টেন্ট ছিল। যার কারণে আমি আর ওই হলুদের অনুষ্ঠানে এটেন্ড করিনি। যাই হোক যথারীতি পরদিন সকালবেলা মেয়ে পক্ষের বাড়িতে যেতে হবে। কারণ যেহেতু আমার দেবরের বিয়ে সেই হিসেবে সে বিয়ের দিন বউ নিতে যাবে। আমি আমাদের বাড়ি থেকে ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। কারণ আমাদের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথেই দেবরের শ্বশুরবাড়ি পরে।
যাইহোক আমার হাজব্যন্ড বাইক নিয়ে সকাল বেলা চলে এসেছিল আমাদের বাড়িতে। তারপর আমি রেডি হয়ে গেলাম বাবুকেও রেডি করিয়ে নিলাম। আমরা ১টার পরেই বাড়ি থেকে রওনা দিলাম। কারণ যেহেতু শুক্রবার ছিল সেই হিসেবে জুমার নামাজ পড়ার পর সবাই সে বাড়িতে যাবে। তবে কিছু কিছু লোকজন আগেই চলে গিয়েছিল। কিন্তু আমরা বরের সাথে একসাথে বাড়িতে ঢুকলাম। আমাদের বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে রওনা দিলাম তখন ছবি তুললাম। এই প্রথম আমি এবং নিভৃত একসাথে বাইকে করে তার বাবার সাথে রাইডে কোথাও গিয়েছি।
সেখানে পৌঁছানোর পর দেখলাম বর এখনো গাড়িতেই বসে আছে। তাকে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়নি। কারণ বউ তখনও আসেনি পার্লার থেকে। যাইহোক আমরা ভেতরে ঢুকলাম, বাড়ির কয়েকজনের সাথে পরিচিত হলাম। তখন দেখলাম বউ ভিতরে ঢুকেছে তার কিছুক্ষন পর বরকেও সবাই রিসিভ করে ভিতরে নিয়ে এসেছে। বাসায় বসে হালকা নাস্তা করার পর আমরা বাইরে হাঁটাহাটি করলাম তারপর খাওয়া-দাওয়ার পর্ব শুরু হলো। মেয়েদের বাড়ির নিজস্ব লোকেরা আগেই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে নিয়েছে। তারপর বরপক্ষের সবাই খেতে বসেছে। আমরা যদিও শেষের দিকে বসে ছিলাম। তবে আবার আমাদের পরে বর খেতে বসেছিল।
যাই হোক খাওয়া দাওয়া শেষ করার পর কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে নিভৃতকে খাইয়ে আমরা আবার বেরিয়ে গেলাম। কারণ সেখান থেকে আমার হাজবেন্ড এর আরেক বন্ধুর শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলাম,কিছুদিন আগেই তার শ্বশুর মারা গিয়েছেন।ভাবলাম দেখা করে আসি। তবে তার ওয়াইফ সেখানে ছিল না। সে অন্য কোথাও গিয়েছিল। যাই হোক সেখান থেকে আমরা আবার আমার ফুফু শাশুড়ির বাড়িতে চলে গেলাম তাকে দেখার জন্য। তিনি খুবই অসুস্থ ছিলেন। ঈদের পরদিন গিয়েছিলাম কিন্তু তারপর আর সময় সুযোগ করে যাওয়া হয়নি। তাই ভাবলাম সেদিন এক পথে যেহেতু রয়েছে তাই দেখা করে আসি।
তারপর চলে গেলাম বাজারে। সেখানে আমরা কিছু কেনাকাটা করলাম। যেহেতু দেবরের বিয়ে তাই বউয়ের জন্য জামা এবং ক্রোকারিজ আইটেম গিফট করলাম। তারপর বাড়িতে চলে গেলাম। এই ছিল আমার গত শুক্রবারের আনন্দঘন মুহূর্তের একটি দিন। আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগলো।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | লাইফ স্টাইল |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
দেবরের বিয়েতে কাটানো আপনার মুহূর্তগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো । বেশ আনন্দ করেছেন ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে । একসঙ্গে একদিনে অনেক জায়গায় বেরিয়েছেন দেখছি যা বেশ ভালো ছিল । আসলে যাবার পথে আত্মীয়দের বাড়ি থাকলে সে ক্ষেত্রে সুবিধা হয় একসঙ্গে সব বাড়িতে ঘোরা যায় । এই প্রথম বাবু কে নিয়ে আপনারা বাইকে করে ঘুরে বেড়ালেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আপু অনেক অনেক শুভকামনা রইল।ভালো থাকুন সবসময় ।
আপনার দেবরের বিয়ের পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যি দেবরের বিয়েয় অনেক আনন্দ করেছেন দেখছি।আবার আপনারা দেখছি আসার পথে ভালোই ঘুরছেন।আসলে যাবার আসার পথে আত্মীয় থাকলে ঘুরতে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।।
আপনার এখানে কিছুটা ভুল হয়েছে আশা করি ঠিক করে নেবেন। আপনার দেবরের বিয়েতে খুব আনন্দের সময় কাটিয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে। একদিনে অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছে আসলে যাওয়ার পথে কোন আত্মীয় স্বজন থাকলে বেশ ভালোই সময় কাটানো যায় তাদের সাথে দেখা করে। আপনার দেবরের বিয়েতে কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ খুব চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন আপু সব সময়।
আমি না আপনাদের ভিতরকার সম্পর্ক এবং কাকে কি বলে ডাকা হয় এই ব্যাপারটা পুরোটাই গুলিয়ে ফেলি। কখনোই ঠিকঠাক করে মনে রাখতে পারি না। এজন্য পোস্ট পড়ছি তো ঠিকই তবে মাঝে মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় ঠিকঠাক করে বুঝতে পারছিলাম না।
এই কথাটা যদি দাদা দেখে বা এই পোস্ট যদি পড়ে তাহলে অনেক বেশি খুশি হবে হয়তো।
এই জায়গাটা ঠিক করে নেবেন আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ খুব চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
বাহ! বিয়ের দাওয়াত খেতে গেলেন দেবরের শশুর বাড়িতে একসাথে অনেক গুলো আত্মীয়দের বাড়িতে ঘোরাফেরা করলেন বেশ ভালোই হলো। আসলে বিয়ে মানে হচ্ছে অনেক আত্মীয়-স্বজনের একত্রিত হওয়ার সে সাথে আত্মীয় স্বজনদের সাথে আলাপ আলোচনা করা বেশ ভালো সময় যায়। তবে খাওয়া দাওয়া বেশ করেছেন। বর এবং কনে দুইজনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল সাথে আপনাদের জন্যও।
অসংখ্য ধন্যবাদ খুব চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন আপু,।
কিছুদিন আগেই চ্যাটে জেনেছিলাম আপনারা বিয়েতে অংশগ্রহণ করেছেন। তবে যাই হোক দারুন এই মুহূর্তটা আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আশা করি অতি আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ওই সময়ে। আশা করি আপনজনদের সাথে খুব সুন্দর জীবন অতিবাহিত করবেন।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।।।