মজাদার স্বাদে চিকেন স্যান্ডউইচ তৈরির রেসিপি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, সবাই আশাকরি খুব ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো আছি।আমার এই প্রিয় ব্লগের সাথে প্রতিনিয়ত কাজ করে আমি খুব আনন্দ পাই।তাই সবসময় নতুন কিছু নিয়ে হাজির হয়ে যাই।
আজকের রেসিপিতে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এসেছি একটি মজাদার খাবার। যা আমাদের সকলেরই পছন্দ। আমরা হয়তোবা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে থাকি এই চিকেন স্যান্ডউইচ। যেটি খুব সহজে এবং অল্প উপকরণ দিয়ে বাড়িতেই তৈরি করা যায়। আর এটি বাড়িতে তৈরি করার কারণে যতটা স্বাস্থ্যকর হয় তেমনি হয় সুস্বাদু। নিজের পছন্দমত এটি তৈরি করা যায়। আর আজকে আমি খুব সহজেই কিভাবে মেয়োনিজ ছাড়াই চিকেন স্যান্ডউইচ তৈরি করা যায় সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করব।আমি আগেও এটি তৈরি করে খেয়েছি। ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
সকাল বা বিকেলের নাস্তায় স্যান্ডউইচ একদম পারফেক্ট একটা খাবার। আর বাচ্চাদের টিফিনেও এটি তৈরি করে দেয়া যায়। ছোট বড় সকলের জন্য এটি একটি হেলদি এবং মজার খাবার। যাই হোক কথা আর না বাড়িয়ে চলুন আজকে রেসিপিটি শুরু করি।
আজকের রেসিপির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
---|
পরিমাণ |
পাউরুটি | ১২ পিস | মুরগির মাংস | বুকের ২ টুকরো | গাজরকুচি | ১ কাপ | কাচামরিচ কুচি | ৪টি | লবণ | পরিমাণ মত | রসুনবাটা | ১ চা চামচ | আদাবাটা | ১ চা চামচ | গোলমরিচগুঁড়া | ২ চা চামচ | ময়দা | ১ টেবিল চামচ | তরল দুধ | ১ কাপ | চিনি | আধা চা চামচ | টমেটো সস | ২ টেবিল চামচ | বাটার | ১ টেবিল চামচ | পানি | পরিমাণ মত |
এই মাংসের মধ্যে এক চামচ লবণ, আদা বাটা,রসুন বাটা, ১ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো এবং পরিমান মত পানি দিয়ে দিলাম। এখন এই মুরগি মাংস ভালোভাবে সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করতে থাকলাম।
এই ধাপে আমি হোয়াইট সস তৈরি করব। এজন্য আমি প্রথমত একটি পাতিল চুলায় বসিয়ে দিলাম। এর মধ্যে ১ টেবিল চামচ পরিমাণ বাটার দিলাম। বাটার গলে গেলে এর মধ্যে ময়দা দিয়ে নাড়তে থাকলাম কিছুক্ষণ। ভালোভাবে নেড়ে এরমধ্যে ১ কাপ পরিমাণ দুধ দিয়ে দিলাম।
ভালোভাবে নাড়তে নাড়তে ঠিক কিছুটা ঘন হয়ে গেলে এর মধ্যে সামান্য লবণ, আধা চা-চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো, আধা চা চামচ পরিমাণ চিনি দিয়ে আবার কিছুক্ষণ নেড়ে নামিয়ে নিলাম। সাথে সাথে আলাদা একটি বাটিতে এই হোয়াইট সস ঢেলে নিলাম। এই হোয়াইট সস গরম পাতিলে রাখলে শক্ত হয়ে যাবে।তাই আলাদা বাটিতে নিয়ে নিয়েছি।
আমি একটি বাটিতে সিদ্ধ করে রাখা মুরগির মাংস পানি ঝরিয়ে নিয়ে নিলাম। পানি ঝরানোর পর হাত দিয়ে এগুলোকে একদম ছোট ছোট করে নিলাম।
এখন মুরগির ঝুরা মাংস আর গাজর কুচি নিয়ে নিয়েছি আলাদা একটি বাটিতে। তারপরে এর মধ্যে দিয়ে দিলাম হোয়াইট সস, টমেটো সস, আধা চা-চামচ গোলমরিচ গুঁড়া এবং সামান্য পরিমাণ লবণ। এর সাথে দিয়ে দিলাম কাঁচামরিচ কুচি। সবকিছু একসাথে মেখে নিলাম। এগুলো দিয়েই স্যান্ডউইচ তৈরি করব।
এখন আমি পাউরুটি নিলাম। দুটি পাউরুটিকে একসাথে নিয়ে কিনারার অংশ কেটে নিলাম। তারপরে তৈরি করে রাখা পুর একটি পাউরুটির মধ্যে দিয়ে ছড়িয়ে দিলাম। এরপরে অপর পাউরুটি উপরে দিয়ে দিলাম। তারপরে মাঝ বরাবর কোনাকুনিভাবে কেটে স্যান্ডউইচ এর আকারে তৈরি করে নিলাম। এইতো তৈরি হয়ে গেল মজাদার চিকেন স্যান্ডউইচ ।এভাবে আমি বাকি পাউরুটি দিয়ে স্যান্ডউইচ তৈরি করে নিয়েছি। আমার আজকের এই স্যান্ডউইচ তৈরির রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।সবার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
|
---|
আপু আপনার চিকেন স্যান্ডউইচ অনেক মজা মনে হচ্ছে। চিকেন স্যান্ডউইচ অনেক খেয়েছি তবে আপনার মতো কখনো নিজে বানিয়ে খায়নি।আপনার রেসিপি দেখে একদিন অবশ্যই তৈরি করবো।প্রতি টি ধাপ আপনি অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
শুধুমাত্র একবার বাসায় এভাবেই বানিয়ে খাবেন আপু। দেখবেন বারবার খেতে ইচ্ছে করবে। আমি অনেক বার এটি তৈরি করেছি।
আপনার বানানো স্যান্ডউইচটি দেখতে খুব মজাদার ও লোভনীয় লাগছে। আমার স্যান্ডউইচ ভীষন পছন্দ।আসলে এরকম ফাস্টফুড খেতে কার না ভালো লাগে।যাই হোক আপনার রেসিপিটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি স্যান্ডউইচ রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আমার কাছেও এটি খেতে ভালো লাগে। আর সেই হিসেবে আমি বাড়িতেই তৈরি করে ফেলি এভাবেই। বাজারের গুলো কেন জানি না তেমন একটা ভালো লাগেনা।
দিলেন তো লোভ লাগিয়ে😒 এসব খাবার দেখলে নিজেকে তো একটুও ঠিক রাখতে পারিনা।প্রচন্ড পরিমাণ খেতে ইচ্ছা করে।
এটা যে লোভনীয় রেসিপি ছিল,তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।ছবিগুলোও ভালো ছিল।শুভ কামনা রইলো 😊
লোভ লাগিয়ে দিলাম ঠিক আছে, কিন্তু এখন তো তৈরি করে খেতে পারবেন। সহজ একটা রেসিপি শেয়ার করেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
চিকেন স্যান্ডউইচ খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। কিছু কখনো বাসায় তৈরি করে খাওয়া যায়নি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম এবার বাসা তৈরি করতে পারবো। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
বাসায় তৈরি করবেন এটা শুনেও খুব ভালো লাগলো আপু। তবে সত্যি বলতে অনেক মজা হয়। আপনাকে ধন্যবাদ জানাই, ভালো থাকবেন।
ওয়াও আপু আপনার মজাদার চিকেন স্যান্ডউইচ দেখতে ভীষণ লোভনীয় লাগছে।মনে হচ্ছে খেতেও অনেক ভালো হয়েছিল।পাউরুটি দিয়ে বেশ মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
যে আপু লোভনীয় তো হবেই। কারণ মজার মজার জিনিসগুলো সব সময় লোভনীয় হয়। আর রেসিপিটি খুব সহজেই তৈরি করেছি।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপু আপনি তো দেখছি আমার প্রিয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। এটি আমার খুব প্রিয় একটি ফাস্টফুড। আপনার রেসিপি পোস্ট টি বেশ সুন্দর এবং গুছালো ছিল। পারলে আমার জন্য অনলাইন করলে খুশি হবো।
তৈরি করার দেরি আর খাওয়ার দেরি। আপনার জন্য অবশিষ্ট ছিল না অনলাইন করার জন্য। বাসায় আসেন তখন তৈরি করে খাওয়াবো নি।
হ্যাঁ আমরা সবাই সাধারণত স্যান্ডউইচ রেস্টুরেন্টেই খেয়ে থাকি। কিন্তু চেষ্টা করলে ঘরেই রেস্টুরেন্টের সাথে এটি তৈরি করা সম্ভব।
আমিও একবার তৈরি করেছিলাম স্যান্ডউইচ তবে চিকেন দিয়ে তৈরি করিনি। আপনি রেসিপিটি খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে তো বেশ ভালো লাগে বাসায় তৈরি করে খেতে। রেস্টুরেন্ট এর গুলো অনেকসময় বাসি দিয়ে দেয়,কোনো গ্যারান্টি নেই।
চিকেন স্যান্ডউইচ তৈরির রেসিপিটা অসাধারণ হয়েছে আপু। ঠিকই বলেছেন আপনি সকাল বা বিকেলের নাস্তায়, স্যান্ডউইচ একদম পারফেক্ট একটা খাবার। আপনার বানানো চিকেন স্যান্ডউইচ খুব ইয়াম্মি লাগছে দেখতে। চিকেন স্যান্ডউইচ খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে,তবে কখনো বাসায় তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা একদিন বাসায় ট্রাই করবো ইনশাল্লাহ। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, এত লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সকাল বিকেলের নাস্তায় যেমন খেতে ভালো লাগে, তেমনি বাচ্চাদের টিফিনে এটি তৈরি করে দেয়া যাবে। আর এটি তৈরি করা খুবই সহজ মনে হয় আমার কাছে। অবশ্যই তৈরি করে দেখবেন ভাইয়া।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে চিকেন স্যান্ডউইচ রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। সত্যি বলতে এ ধরনের রেসিপি বিকেলের নাস্তা হিসেবে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে তাছাড়া ছোট বাচ্চাদের টিফিনেও এ ধরনের রেসিপি খুব চলাচলে। চিকেন স্যান্ডউইচ দোকান থেকে অনেকবার কিনে খাওয়া হয়েছে তবে বাসায় কখনোই এরকম ভাবে তৈরি করে খাওয়া হয়নি। মজাদার এই রেসিপিটি আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং ইউনিক মনে হয়েছে। চমৎকারভাবে উপস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
চিকেন স্যান্ডউইচ খুব সহজে বাসায় এভাবে তৈরি করা যায়। তবে আবার এভাবে এগ স্যান্ডউইচ ও তৈরী করা যায় খুব সহজে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
দেখে মনে হচ্ছে চিকেন স্যান্ডউইচ অনেক মজা হয়েছে।বাসায় বানিয়ে কখনও খাওয়া হয়নি।আপনার পরিবেশন টা অনেক সুন্দর হয়েছে। কখনো সময় পেলে অবশ্যই ট্রাই করে দেখব। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাইয়া চিকেন স্যান্ডউইচ অনেক মজা হয়েছিল। সময় পেলে অবশ্য ট্রাই করে দেখবেন আর জানাবেন কেমন হয়েছিল খেতে।