'এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা / 𝐅𝐢𝐫𝐬𝐭 𝐒𝐭𝐫𝐚𝐧𝐠𝐞 𝐞𝐱𝐩𝐞𝐫𝐢𝐞𝐧𝐜𝐞' [10% ʙᴇɴᴇғɪᴄɪᴀʀɪᴇs ғᴏʀ ᴍʏ ғᴀᴠᴏᴜʀɪᴛᴇ @sʜʏ-ғᴏx🦊]
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহ মাতুল্লাহ। আশা করছি সবাই এই কঠিন পরিস্থিতিতে সুস্থ আছেন।আজ আমি এক ভৌতিক অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো, এটি কোনো কাল্পনিক গল্প নয়। আমার দেখা বাস্তব ঘটনা। আমার বড় ফুপি এবং ফুপার জীবনে ঘটে যাওয়া এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। খুব ইচ্ছে ছিল আপনাদের সাথে শেয়ার করার৷ তাই আজ দিলাম কলম চালিয়ে......
Image Source:https://www.pexels.com/search/scary/
হালিমা খাতুন আর নওশের আলীর ২য় কন্যা সন্তান এর নাম 'মাহমুদা খাতুন রুবী'। চারজনের ছোট খাটো সংসার, থাকতেন তারা ঢাকার মিরপুর এ একটা বাড়িতে। একদিন অমাবস্যা রাতে ঘর আলো করা ফুটফুটে শিশুটিকে দুজনের মাঝ নিয়ে তারা ঘুমাচ্ছেন। দুজনেই গভীর ঘুমে। নওশের আলী হঠাৎ অস্বস্তি অনুভব করতে লাগলেন, তার মনে হলো তার পাশ থেকে শিশু কন্যাটিকে কেউ উঠিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে। হঠাৎ তার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। ধরমর করে উঠে বসলেন তিনি। একটু ধাতস্ত হতেই পাশে তাকালেন, অবাক হয়ে দেখলেন সত্যিই তার শিশু কন্যাটি তার পাশে নেই! তার চোখ চলে গেলো দরজার দিকে। নাহ্! দরাজাতো লাগানোই আছে, তাহলে বাচ্চাটি কোথায় গেলো! এক লাফে সে বিছানা থেকে নীচে নেমে গেলেন, সুইচ অন করতেই ঘরের বাতি জ্বলে উঠলো। তিনি বাচ্চাটিকে খুঁজতে লাগলেন, বিছানার নীচ, আলনার চিপা, ঘরের আনাচ কানাচ, বাথরুম, বারান্দা কোথাও নেই। তিনি হালিমা খাতুনকে ডেকে তুললেন। তার মাথায় চলছে বাইরে খুঁজতে হবে। একটা জলজ্যান্ত বাচ্চা, কিভাবে উধাও হয়ে যায়! অদ্ভুত! মারাত্মক ভয় আচ্ছন্ন করে ফেললো তাকে। তার স্ত্রী কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। সেই কান্না উপেক্ষা করে তিনি একটা টর্চ হাতে নিয়ে দরজা খুলে ঘরের বাইরে বেড় হলেন। বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার।এদিকে তার স্ত্রীর কান্না শুনে আঁশে পাশের প্রতিবেশীরা বেড়িয়ে এসেছেন। আমার পরিবার ও ছিল, আমিও অনেক ছোট তখন কিন্তু স্পষ্টত সব বুঝে ছিলাম। শিশুটিকে সবাই খুঁজতে লাগলেন। তন্ন তন্ন করে খোঁজার পরে, নাহ্! কোথাও পেলেন না।
Image Source:
https://www.pexels.com/search/scary/
হতাশ হয়ে সবাই যখন ঘরের দিকে ফিরছেন, প্রতিবেশীরা তার কাঁধে হাত রেখে সান্তনা দিচ্ছেন, হঠাৎই শুনতে পেলেন কান্নার শব্দ। তিনি একদৌড়ে পৌছে গেলেন সেখানে যেদিক থেকে কান্নার শব্দ ভেসে আসছিলো। তিনি হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে গেলেন, দেখতে লাগলেন, নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি। মাটির চুলার ভেতরে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে বাচ্চাটিকে। চুলার জ্বালার কাছে মুখ, হাত দুটি চুলার ভিতরে, শুধু শরীরটা বাইরে। চুলা ভর্তি পানিতে। দ্রুত কোলে তুলে নিলেন তিনি শিশুটিকে। ঘরে এনে পরিচ্ছন্ন করে কাথায় মুড়িয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলেন। সারারাত তিনি আর এক ফোটাও ঘুমাতে পারলেন না। পরদিন সকালেই সেই বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে অন্য বাড়িতে চলে গেলেন নওশের আলী।
রুবী, আমার ফুফাতো বোন। এখন সে ভালো আছে৷ সবাই স্বাভাবিক হয়ে গেলেও আমার আজ ও গা ছমছম করে উঠে সেই দিনটির কথা মনে পরলে৷
ধন্যবাদ সবাইকে আমার গল্পটি সময় নিয়ে পড়ার জন্য। সবাই ভালো থাকবেন এবং একে অপরকে ভালো থাকতে সাহায্য করবেন।
ভয়ংকর ব্যাপার, আপনার ঘটনা শুনে আমারই ভয় লাগছে এখন।
হাহা ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য এর জন্য।
আপনার অভিজ্ঞতা শুনে আমি শিহরিত,
দোয়া রাখছি যেন আপনার রুবী আপু ভালো থাকেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্য এর জন্য।
আমি ক্যান জানি না এই বিষয় গুলাতে ভয় পাই না। তবে আমার কাছে খুব ভালো লাগে ভুতের গল্প পড়তে বা শুনতে। মাঝে মাঝে এমন গল্প শেয়ার করবেন।
আমি অনেক ভীতু অবশ্য হাহা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
কী গল্প রে বাবা😳😳। এতে তো আমি ভূতের কোনো অস্তিত্ব দেখলাম না😄। যাইহোক সব দোষ শুধু ভূতের😌😌। যাইহোক আপু গল্পটা পড়ে ভালোই লাগল। সবার জীবনেই ভূত নিয়ে ঘটনা আছে কিন্তু অধিকাংশ অবিশ্বাস করে কেন😐। সুন্দর লিখেছেন।
ভূতের গল্প না ভাইয়া একটা অভিজ্ঞতা ছিল।সবার জীবনেই ভূত নিয়ে ঘটনা আছে এটা সত্যি, কিন্তু অধিকাংশ অবিশ্বাস করে এবং মানে না😄। ধন্যবাদ আপনার মজাদার কমেন্ট এর জন্য।
আপু গল্পের শেষের দিকে পড়ে আমার জাস্ট গাটা কেপে উঠলো। এতো ভয়ংকর করে কি করে লিখেন আপু। এটা যদি রাতে মনে পরে তাহলে আমার ঘুম হারাম।
হাহা ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে সত্যি বলতে কি ভূত গল্পের কথা শুনলেই গা শিউরে ওঠে। আপনার পোস্টটি পড়ার পরে নিজের ভিতর ভয় বেড়ে গেছে। সত্যিই আপনার শেয়ার করা গল্পটি বেশ ভয়ানক ছিল।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
স্বাভাবিকভাবে ভূতের গল্প পড়ে ভয় লাগলেও আপনার এই বাস্তব গল্পটি আমার কাছে খুব একটা ভয়ঙ্কর মনে হয়নি। তবে শিশুটি কেকে ওখানে নিয়ে গেল সেটা নিয়ে কৌতুহল মনের ভেতর থেকে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাইয়া এটা একটা অভিজ্ঞতা ছিল আমার জীবনের প্রথম। একটু রহস্যময় কিন্তু ভয়ংকর কিছু না৷ ধন্যবাদ ভাইয়া কমেন্ট করার জন্য।
সত্যিই এটি ভাববার বিষয়।কে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বাচ্চাটিকে! যাক তারা এখন ভালো আছেন এটি জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু।