'মানসিকতা/𝐌𝐢𝐧𝐝𝐬𝐞𝐭' [10% ʙᴇɴᴇғɪᴄɪᴀʀɪᴇs ғᴏʀ ᴍʏ ғᴀᴠᴏᴜʀɪᴛᴇ @sʜʏ-ғᴏx🦊]
দুঃখী ও হতাশাগ্রস্ত হওয়াটা মানুষের স্বভাবের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু রক্তে যা নেই তা হল, প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হলেও খুশি হওয়া টা, বা অল্প একটু চেস্টা করা খুশির জন্য।
এখানে প্রশ্ন জাগে, আপনার ভেতরে এত বড় শূন্যতা কেন? কেন আপনি মহাবিশ্বের শক্তি দিয়ে নিজেকে পূর্ণ করতে পারবেন না যখন এটি আপনার আঙুলের ডগায়। উত্তরটি সহজ, এটি আপনার 'মানসিকতা(Mindset)', যা আপনাকে এটি করতে দেয় না।
Image source:https://pixabay.com/photos/garden-flowers-butterfly-19830/(Edited by me with Canva app)
আমরা অনেকেই আমাদের মনকে ইতিবাচকভাবে লালন করতে ব্যর্থ হয়েছি। কেউ কেউ তাদের মস্তিস্ককে শুধুমাত্র তখনই অ্যাক্সেস করতে শিখিয়েছে যখন সেখানে ভালো কিছু থাকে এবং কেউ কেউ তাদের মস্তিষ্ককে সমস্ত বিপরীতমুখী শক্তির দ্বারা অচল করে দেয়।
আমি জানি, ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয়ই সবসময় সাথে থাকে। কিন্তু একটি সত্য যে সমগ্র মহাবিশ্ব ঈশ্বরের আদেশ দ্বারা দৃঢ়ভাবে ঘূর্ণায়মান হয়। লক্ষ্যহীন বা নিরর্থক কিছু নেই। পথ দেওয়া আছে, কিন্তু গন্তব্য অস্পষ্ট। তাদের খুঁজে বের করা আপনার কাজ। সংগ্রাম কখনো শেষ হয় না আপনাকে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। শেখা(Learn) হল আত্মার খাদ্য, তবে আপনি অনেক কিছু শিখেছেন তাও কিন্তু বলা যাবে না।এটি দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত প্রক্রিয়া। এটি আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে চলতে থাকবে। এই প্রক্রিয়ায় ভাল এবং খারাপ উভয়ই বিদ্যমান, তবে আপনাকে কেবল একটি বেছে নিতে হবে এবং ভাল দিক টি বেছে নিতে হবে।
এই পুরো মহাবিশ্ব বিশ্বাস এবং তাওয়াক্কুল (শান্ততা) এর উপর ভিত্তি করে। যদি আপনার বিশ্বাসের ছন্দ আকাশে উড়েও যায় তবুও আপনি কখনই হতাশ হবেন না। তবে, আপনি যদি আপনার এই নড়বড়ে বিশ্বাসকে দৃঢ় করতে ব্যর্থ হন এবং ঈশ্বরের সিদ্ধান্তগুলিকে বিচার করতে থাকেন তবে কিন্তু আপনার পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে।
Image source:https://pixabay.com/photos/garden-flowers-butterfly-19830/(Edited by me with Canva app)
এখানে যা গুরুত্বপূর্ণ, তা হল সুখী হওয়া, বিশ্বাসকে দৃঢ় রাখা, ইতিবাচক মানসিকতা বেছে নেয়া এবং তারপরে এটির জন্য প্রচেষ্টা করা। প্রতিটি ভাল জিনিসের মধ্যে আপনার সুখ খুঁজুন। একটা জিনিস খুব নিশ্চিত, সুখ কিন্তু আপনার কাছে হেটে আসে না, যতক্ষণ না আপনি আপনার মানসিকতার পর্দা উঠাচ্ছেন তার (ঈশ্বরের) ক্ষমতা এবং আধিপত্যের কাছে।
একটা কথা মনে রাখবেন, আপনি যাকে দেখেন এবং মনে করেন তিনি বেশি সুখী এবং সবকিছু থাকাই তার সুখের কারণ। তাহলে আপনাকে বলে দিচ্ছি, সুখী হওয়ার জন্য বস্তুবাদী বস্তুর কোনো যোগসূত্র নেই। আপনাকে অবশ্যই আগে নিজেকে সংশোধন করতে হবে, নিজের মানসিকতা কে ভালো কাজে লাগাতে হবে। অভ্যন্তরীণ সন্তুষ্টি তখনই হয় যখন অল্প-সল্প আপনার জন্য যথেষ্ট এবং আপনি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ বোধ করেন সব কিছুর জন্য।
আমাদের উচিৎ সুখে থাকার জন্য নিজের 'মানসিকতা(Mindset)' কে পরিবর্তন করা।
✍️ জান্নাতুল ফেরদৌস বৃস্টি
"ধন্যবাদ সময় নিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য। সবাই ভালো থাকবেন এবং একে অপরকে ভালো থাকতে সাহায্য করবেন"।
সংগ্রাম কখনো শেষ হয় না এবং শিক্ষা গ্রহণ হচ্ছে আত্মার খাদ্য। কথাগুলো অনেক ভালো লাগছিল। ধন্যবাদ
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্য এর জন্য।
এইটা মেনেই চলছি আর আমি সব কিছুর পরেই আলহামদুলিল্লাহ পড়ি। তার কারণ সত্যিই আমরা অনেক বেশি ভালো আছি।আর এই ব্যাপারটি মাথায় রাখলেই, এই মানসিকতা নিজের মধ্যে সৃষ্টি করতে পারলেই আমাদের সুখের অন্ত থাকবেনা।
জি আপু এটাই। অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
একদম বাস্তব কথা বলেছেন আপু। আপনার লেখাগুলো এমনিতেই অনেক সুন্দর লাগে সবসময়। প্রতিনিয়ত বাস্তব ভিত্তিক তথ্য পাওয়া যায়। সব মিলে সুন্দর একটি পোস্ট ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
টাকা-পয়সায় সকল সুখের মূল হতে পারে না।সুখী হওয়ার জন্য অল্প কিছুতেই তুষ্ট হওয়ার মতো মন-মানসিকতার দরকার।খুব দরকারী একটি পোস্ট ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার লেখাটি অসাধারণ হইয়েছে। আপনি বলেছেন, "সুখ কিন্তু আপনার কাছে হেটে আসে না, যতক্ষণ না আপনি আপনার মানসিকতার পর্দা উঠাচ্ছেন তার (ঈশ্বরের) ক্ষমতা এবং আধিপত্যের কাছে"----
এই কথাটি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। কথাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সত্যিই যতক্ষন পর্যন্ত আমারা আমাদের মানুষিকতার পরিবর্তন না করব ততক্ষণ সুখ উপভোগ করতে পারব না।
জি আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার লেখাটি একদম বাস্তব জীবনের সাথে মিলে গেছে। আসলেই মানুষের সুখের সাথে তার কি আছে বা নাই তার কোনো সম্পর্ক নেই। বাহিরে থেকে একজন মানুষের সুখ-দুঃখ বোঝা যায় না। নিজের মানসিকতা ঠিক থাকলেই সুখী হওয়া যায়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।