এক ভিন্ন অনুভূতি | ১০ % লাজুক খ্যাকের জন্য ভালোবাসা |

গত পাঁচ দিন যাবত নিজের ঘর থেকে বাইরে ছিলাম। সত্যি কথা বলতে বাসায় থাকতে থাকতে কিছুটা বোর হয়ে গিয়েছিলাম আবার আপনজনদের কথাও বেশ মনে পড়ছিল। প্রত্যেকটা মেয়ে মানুষেরই বিয়ের পরের জীবনে কতটা ধৈর্য এবং কষ্ট নিয়ে নতুন একটা জায়গায় সব কিছু মানিয়ে নিতে হয় তা শুধুমাত্র একটি বিবাহিত মেয়েই জানে। বাড়ি থেকে এসেছি বেশ কিছুদিন আগে আর শরীরের অবস্থার দিক দিয়ে দেখলেও খুব একটা সুস্থ বোধ করছিলাম না। আর আমার হাজবেন্ড সেও তার চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের জন্য তিন দিন ঢাকার বাহিরে যেতে হয়েছিল। বেশ কিছুদিন যাবৎ ভাবছিলাম আত্মীয় কারো বাসা থেকে গিয়ে একটু ঘুরে আসি আর তাই যেই কথা সেই কাজ এই সুযোগে আমিও চলে গেলাম আমার ফুপির বাসায়। সেখানে দুই দিন থাকার পর হঠাৎ করে একটি দুর্ঘটনা ঘটে যায়।🥹 বিকেল বেলা নামাজ পড়ে নিচে হাটতে গিয়ে হঠাৎ করেই শরীরের ব্যালেন্স ঠিক না থাকায় পা মচকে যায় এবং আমি সেখানে পড়ে যাই। তারপর আর কি ফুপি ধরে নিয়ে গেল ঘরে এরপর বাকিটা ইতিহাস 😂😂😂।

পায়ে এমন ব্যথা পেয়েছিলাম যে মনে হচ্ছিল হয়তো পা টা ভেঙেই গিয়েছে কোনভাবেই নড়াচড়া করতে পারছিলাম না। যাই হোক সারারাত দেখার পর সকাল বেলা ব্যথাটা কিছুটা উপশম হওয়ায় চলে এলাম আমার বাবার কাছে। বাবা ঢাকায় একা থাকে। বাবার শরীরটাও খুব একটা ভালো না কিছুদিন আগে স্ট্রোক করেছিল। খুব দেখতে ইচ্ছে করছিল কিন্তু নিজের অসুস্থতার কারণে দেখতে আসা হচ্ছিল না। এই সুযোগে বাবাকেও দেখতে আসা হয়ে গেল। যাইহোক আশুলিয়া ফুপির বাসায় ছিলাম সেখান থেকে সিএনজি করে বিশ্বরোড একদম বাবার বাসার নিচে এসে নামলাম। বাবা আমাকে দেখে রীতিমতো একটু অবাক হয়ে গিয়েছিল আর তার চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারছিলাম সে কতটা খুশি হয়েছে আমাকে দেখে।‌ আমার বাবার জন্মদিন আবার 26 শে মার্চে মানে আর মাত্র 5 দিন পরেই তার জন্মদিন। কিন্তু আমি ভাবলাম যে তখন তো আমি থাকবো না তাই কেননা এবার অগ্রিম জন্মদিন উদযাপন করে নেওয়া যাক! 😇তাই আর দেরি না করে একটা কেক নিয়ে আসলাম বাবাকে সারপ্রাইজ দেবো বলে। আর বাবা ফোন দিয়ে সন্ধ্যায় জিজ্ঞেস করছিল কিছু খাবো কিনা তাই আমি একটা পিজা আনতে বললাম। এইতো বাবা বাসায় আসার সাথে সাথেই তাকে সামনে কেকটা নিয়ে গিয়ে সারপ্রাইজ দিলাম সে তো একদমই অবাক চোখে তাকিয়ে রইল আমার দিকে। বলল এখন হঠাৎ করে কেক কেন? আমি বললাম সামনে তো তোমার জন্মদিন কিন্তু তখন তো আমি থাকবো না তাই এবার তোমার জন্মদিন টা অগ্রিম পালন করি।

তো এবার কেক কাটার পর্ব শেষ হয়ে গেল এবং পিজ্জা টা খেয়ে নিলাম। বাবা মিঠাই থেকে পিজা অর্ডার করেছিল। আমি ভেবেছিলাম মিঠাই হয়তো শুধুমাত্র মিষ্টান্ন খাবার এর জন্যই ভালো হবে সেখানে যে পিজ্জা বিক্রি হতো তা আমার জানা ছিলনা তবে পিজা 🍕 খেতে বেশ মজাই ছিল।