শুকনো মরিচ দিয়ে ধুন্দুল ভর্তার রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা
আজ ২৬ই ভাদ্র - ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - রোজ রবিবার- ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |
---|
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার ও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে এসে হাজির হলাম নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের মাঝে খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার শুকনা মরিচ দিয়ে ধুন্দুল ভর্তার রেসিপি শেয়ার করবো। ধুন্দুল আমাদের বাসায় নিয়ে আসা হলে আমি ভর্তার রেসিপি তৈরি করি। এই ধুন্দুর ভর্তা রেসিপি আমাদের বাসার সবাই অনেক পছন্দ করে বিশেষ করে আমার মা। অন্যান্য রেসিপি তুলনায় এই রেসিপি তৈরি করতে খুবই অল্প সময় লাগে। এবং অল্প উপকরণ দিয়ে দারুন স্বাদের এই রেসিপি তৈরি করা যায়। তাহলে বন্ধুরা আর দেরি না করে চলুন দেখে নেওয়া যাক আমার তৈরি আজকের রেসিপি মজাদার ধুন্দুল ভর্তার রেসিপি।
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমান |
---|---|---|
১ | ধুন্দুল | ৫ টি |
২ | শুকনো মরিচ | ৫ টি |
৩ | পেঁয়াজ কুঁচি | পরিমান মতো |
৪ | লবণ | স্বাদমতো |
৫. | সরিষা তেল | পরিমান মতো |
রান্না করার প্রক্রিয়া
ধাপ ১
প্রথমে ধুন্দুল গুলো আমি ছোট ছোট করে কেটে নেই ।এরপর পানি দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে নেই।
ধাপ ২
ধুন্দুল গুলো ধুয়ে নেওয়ার পর পরিষ্কার একটি পাত্রের মধ্যে পানি নিয়ে নেই। এরপর ধুন্দুল গুলো পাত্রের মধ্যে দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে সিদ্ধ করে নেই।
ধাপ ৩
পরিষ্কার একটি কড়াই চুলার মধ্যে বসিয়ে দেই। এরপর পরিমান মতো তেল দিয়ে নেই কড়াই এর মধ্যে। এরপর তেল হালকা একটু গরম করে নেই।
ধাপ ৪
তেল গরম করে নেওয়ার পর কেটে রাখা পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে নেই। এরপর হালকা একটু ভেজে নেই।
ধাপ ৫
পেঁয়াজ কুঁচি ভেজে নেওয়ার পর শুকনো মরিচ গুলো কড়াই এর মধ্যে দিয়ে নেই। এরপর মরিচ গুলো একটু ভেজে নেই।
ধাপ ৬
পেঁয়াজ মরিচ এবং ধুন্দুল গুলো একটি প্লেটের মধ্যে নিয়ে নেই। এরপর হাতের সাহায্যে পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে ভালোভাবে মেখে নেই।
অবশেষে তৈরি হয়ে এলো সুস্বাদু বাটা মাছের রেসিপি। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। যদি আপনাদের কাছে ভালো লাগে তাহলে আপনারা আপনাদের মহা মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
রেসিপি | মজাদার ধুন্দুল ভর্তার রেসিপি |
---|---|
ছবি তোলার মাধ্যম | Realme c 21 |
ফটোগ্রাফার | @bobitabobi |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি মোছাঃ ববিতা আক্তার বিথী। আমার ইউজার নেম @bobitabobi। আমি পেশায় একজন ছাত্রী। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। এই বাংলায় জন্মগ্রহণ করে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। আমার ভালো লাগে বাংলায় কথা বলতে। এই বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমার পাশে থাকবে। আমি যেন আগামীতে আরো অনেক সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে এসে উপস্থিত হতে পারি। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ইউনিক একটা রেসিপি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এর আগে আমি কখনো ধুন্দুল ভর্তা রেসিপি দেখিনি। তবে ঝিঙে ভর্তা রেসিপি খেয়েছি। এরকম নতুন একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
ধুন্দুল দিয়ে ভর্তা তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি৷ আপনার কাছ থেকে ধুন্দল দিয়ে ভর্তা তৈরির রেসিপিটি দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ এরকম একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ৷ আমিও এরকম একটি রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করব৷
একদিন এভাবে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া খেতে অনেক মজা লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে
ধুন্দুল মাছ বা শুটকি দিয়ে রান্না করে খেয়েছি। তবে ধুন্দুল ভর্তা করে কখনো খাওয়া হয়নি। যেকোনো ধরনের ভর্তা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। গরম গরম ভাতের সাথে ভর্তা খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আপনার রেসিপি দেখে লোভনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব।
ঠিক বলেছেন আপু গরম ভাতের সাথে এই মজাদার ভর্তা খেতে অনেক মজা লাগে।
আপনাদের বাড়ির সকল সদস্য , বিশেষ করে আপনার মা, শুকনো মরিচ দিয়ে ধুন্দুল ভর্তার রেসিপি অনেক পছন্দ করেন দেখছি। তবে আমি কিন্তু কখনও এই রেসিপি খাইনি। তরকারিতে ধুন্দুল খেতে আমার কিন্তু খুব ভালো লাগে। আপনার তৈরি এই ভর্তা রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে, খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য আপু।
আমার কাছেও তরকারি দিয়ে খেতে ভালো লাগে না আপু । তবে ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে।
সত্যি বলতে এই প্রথমবার ধুন্দল ভর্তা রেসিপি দেখলাম এর আগে কখনোই এই রেসিপিটি দেখিনি তবে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনার মা এই রেসিপিটি অনেক বেশি পছন্দ। শুকনো মরিচ দিয়ে যেকোনো ধরনের ভর্তা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে আপনার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি লোভনীয় ছিল। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
একদিন বাসায় খেয়ে দেখবেন ভাইয়া খেতে অনেক মজা লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার পোষ্টটি না পড়লে জানতেই পারতাম না যে ধুন্দল ও ভর্তা খাওয়া যায়।আমি বরাবরই নতুন কিছু খেতে ভালবাসি।আপনার রেসিপির ঋবি দেখে মনে হচ্ছে খাবার টা অনেক টেষ্টি।খুব শীঘ্রই এই রেসিপির বাস্তবায়ন করব।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পোস্টের জন্য।
জি ভাইয়া খেতে অনেক টেষ্টি হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে
শুকনো মরিচ দিয়ে ধুন্দল ভর্তার খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন অনেক সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য।
এতো সুন্দর মন্তব্য করে আমার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া
শুকনো মরিচ দিয়ে যে কোন ভর্তা খেতে অনেক বেশি স্বাদ লাগে। আর ধুন্দল সবজি তো আমার কাছে খুবই প্রিয়। যদিও ধন্দুল দিয়ে এখনো ভর্তা রেসিপি করে খাওয়া হয়নি তবে আপনার এই রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এতো সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য
ধুন্দুল চিংড়ি মাছ দিয়ে ভাজি করলে খেতে আমার কাছে বেশ ভাল লাগে। আজ আপনি শুকনো মরিচ দিয়ে ধুন্দুল ভর্তার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার ভর্তা খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। ধুন্দুল ভর্তা খেতে সত্যি বেশ দারুণ। ভর্তা তৈরি করার প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে বেশ চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এতো সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই জানাই।
জি ভাইয়া খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে ধুন্দুল ভর্তার রেসিপি
ধুন্দুলের ভর্তা এখনো খাওয়া হয়নি।আপনি চমৎকার ভাবে ধুন্দুলের রেসিপি তুলে ধরছেন। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে ভর্তাটি।এই ভর্তা আপনার মা পছন্দ করে এটা শুনে খুব ভালো লাগলো। আপনি দারুণ ভাবে ধুন্দুল ভর্তার ধাপ গুলো উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া এই রেসিপি আমার মা অনেক পছন্দ করে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া