" সুস্বাদু টাকি মাছের ঝোল রেসিপি " || ১০ % বেনিফিশিয়ারি সাইফক্স এর জন্য
হ্যালো বন্ধুরা
আজ ১৮ অগ্রহায়ণ - ১৪২৯ বঙ্গাব্দ-রোজ রবিবার - ৪ ডিসেম্বর - ২০২২ |
---|
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার ও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। |
---|
সম্পূর্ণ তৈরি রেসিপি
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে এসে হাজির হলাম নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের মাঝে টাকি মাছের ঝোল রেসিপি শেয়ার করব। কিছুদিন আগে আমি আপনাদের মাঝে মজাদার ও সুস্বাদু টাকি মাছের ভর্তার রেসিপি শেয়ার করেছিলাম। আশা করি আপনাদের কাছে ভর্তার রেসিপি ভালো লেগেছিল। টাকি মাছের ভর্তা অথবা ঝোল যাই তৈরি করুন না কেন খেতে অনেক মজা লাগে। তবে আমার কাছে টাকি মাছের ভর্তা বেশি ভালো লাগে।
আমাদের বাসায় এই মাছ কিনে আনা হলে সব সময় এই মাছের ভর্তার রেসিপি তৈরি করা হয়। তাই আজ ভাবলাম এই মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করি । আমার বাবা এভাবে খেতে অনেক পছন্দ করে। আমি এবং আমার মা প্রায় এভাবে রান্না করি। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে বন্ধুরা, আর কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে নেওয়া যাক সুস্বাদু ও মজাদার টাকি মাছের ঝোল রেসিপি।
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১. | টাকি মাছ | পরিমাণ মতো |
২. | পেঁয়াজ বাটা | পরিমাণ মতো |
৩. | মরিচ বাটা | পরিমাণ মতো |
৪. | লবণ | স্বাদমতো |
৫. | হলুদ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
৬. | তেল | পরিমাণ মতো |
৭. | জিরা বাটা | পরিমাণ মতো |
৮. | রসুন বাটা | পরিমাণ মতো |
রান্না করার প্রক্রিয়া
রান্না করার প্রক্রিয়া
ধাপ ১
ধাপ ১
প্রথমে মাছ গুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেই। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেই রান্না করার জন্য।
ধাপ ২
ধাপ ২
পরিষ্কার একটি কড়াই চুলের মধ্যে বসিয়ে দেই । এরপর কড়াই টি হালকা একটু গরম করে নেই।
ধাপ ৩
ধাপ ৩
কড়াই টি হালকা একটু গরম করে নেওয়ার পর পরিমাণ মতো তেল দিয়ে নেই। এরপর তেল একটু গরম করে নেই।
ধাপ ৪
ধাপ ৪
তেল গরম করে নেওয়ার পর পরিমাণ মতো সব মসলা গুলো দিয়ে নেই। এরপর ভালোভাবে নেড়ে দিয়ে মসলা গুলো একটু কষিয়ে নেই।
ধাপ ৫
ধাপ ৫
মসলা গুলো ভালো করে কষিয়ে নেয়ার পর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে নেই। এরপর ধুয়ে রাখা মাছ গুলো কড়াই এর মধ্যে দিয়ে নেই। এরপর ভালোভাবে নেড়ে দেই।
ধাপ ৬
ধাপ ৬
মাছ গুলো নিচে লেগে গেলে পরিমাণ মতো আবারও পানি দিয়ে নেই ভালোভাবে সিদ্ধ হওয়ার জন্য। এরপর নেড়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে নেই।
ধাপ ৭
ধাপ ৭
ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে এলে পরিষ্কার একটি পাত্রের মধ্যে নামিয়ে নেই।
অবশেষে তৈরি হয়ে এলো সুস্বাদু টাকি মাছের ঝোল রেসিপি। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনারা আপনাদের মহামূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
রেসিপি | সুস্বাদু ও মজাদার টাকি মাছের ঝোল রেসিপি |
---|---|
ছবি তোলার মাধ্যম | Realme c1 |
ফটোগ্রাফার | @bobitabobi |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি মোছাঃ ববিতা আক্তার বিথী। আমার ইউজার নেম @bobitabobi। আমি পেশায় একজন ছাত্রী। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। এই বাংলায় জন্মগ্রহণ করে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। আমার ভালো লাগে বাংলায় কথা বলতে। এই বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমার পাশে থাকবে। আমি যেন আগামীতে আরো অনেক সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে এসে উপস্থিত হতে পারি। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
ধন্যবাদ সবাইকে
টাকি মাছের ঝোল এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। টাকি মাছ আমাদের বাসায় তেমন একটা খাওয়া হয় না। আম্মু পছন্দ করেন না তাই কখনো আনা হয়না। কিন্তু সবার কাছে টাকি মাছের ভর্তার কথা শুনি খেতে নাকি খুবই সুস্বাদু হয়। আপনার রান্না রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে ।সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু টাকি মাছের ভর্তা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।একদিন বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ধন্যবাদ আপনাকে
টাকি মাছ বাজার থেকে কিনে আনলে আপনার বাসায় যেমন সব সময় ভর্তা বানানো হয় আমার বাসায়ও টাকি মাছের ভর্তা খাওয়া হয়। তবে এভাবে কখনো টাকি মাছের ঝোল তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আসলে মাঝে মাঝে নতুন নতুন খাবার তৈরি করলে খেতে ভালোই লাগে। আমিও একদিন এভাবে টাকি মাছের ঝোল রান্না করে খেয়ে দেখব আপু। মনে হচ্ছে খেতে ভালোই লাগবে। ধন্যবাদ আপু মজার একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
একদিন বাসায় এভাবে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আপু খেতে অনেক ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে
আমার কাছে শুধু টাকি মাছের ভর্তা নয়, যেকোনো ধরনের ভর্তা তৈরি করলেই ভীষণ ভালো লাগে খেতে। আর টাকি মাছ আমার খুবই পছন্দের ও প্রিয় একটি মাছ। শুটকি দিয়ে এটি রান্না করলে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। অনেকদিন হয়ে গেল টাকি মাছের ঝোল খাওয়া হয়নি। অনেকদিন হয়ে গেল টাকি মাছ খাওয়া হয়না। এত চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এতো সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া
দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল আমি কাঁটাওয়ালা মাছ খেতে পারি না। আর সেজন্য এই মাছের ঝোল আমার খাওয়া হবে না। তবে টাকি মাছ আর বরবটি অথবা সিম দিয়ে যে ভর্তা তৈরি করা হয় সেটি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। কারণ তখন কাঁটাগুলো বেছে তারপর ভর্তা করা হয়। আর আমার আম্মু খুব সুস্বাদু করে ভর্তা তৈরি করতে পারে। সেজন্য আমার কাছেও খেতে খুব ভালো লাগে।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
টাকি মাছ আমার খুবই পছন্দের একটি মাছ। এই মাছ দিয়ে ভর্তা, তরকারি অথবা ভুনা করা হোক আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে। আর এই মাছগুলোকে ছোট ছোট করে কেটে একটু ঝাল ঝাল ভুনা করলেও অনেক বেশি মজা হয়। এই শীতের সময় তো এই মাছের মজাটাই আলাদা তার পাশাপাশি টাকি মাছের ভর্তা তো অসাধারণ খেতে হয়। আমাদের ও টাকি মাছ নিয়ে আসা হলে এভাবেই ভর্তা তৈরি করা হয়। আর আজকে যে ভিন্নভাবে আপনি টাকি মাছের ঝোল রান্না করেছেন তা দেখেও অনেক লোভনীয় মনে হচ্ছে। আর আমার কাছে সব ধরনের মাছ খেতে ভালোই লাগে।এজন্যই যে কোন মাছের রেসিপিও ভালো লাগে।
আমার কাছেও টাকি মাছের ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে আপু। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর মন্তব্য করে আমার পাশে থাকার জন্য
টাকি মাছের ঝোল আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। শীতকালে চারদিকে প্রচুর পরিমাণে টাকি মাছ পাওয়া যায়। টাকি মাছ অনেকেই খেতে চায় না কিন্তু আমার কাছে টাকি মাছ দিয়ে ভর্তা করে খেতে খুবই ভালো লাগে ।এমনকি আমি মাঝে মাঝে টাকি মাছের চচ্চড়ি করে থাকি।
আমার আম্মু ও মাঝে মাঝে টাকি মাছের চচ্চড়ি তৈরি করে আপু খেতে অবশ্যই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে
টাকি মাছের ভর্তা খাওয়া হয় বেশির ভাগ সময়। টাকি মাছের ঝোল কম রান্না করা হয়।তবে আপনারা টাকি মাছের ঝোল রেসিপি দেখে খুব লোভনীয় লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
টাকি মাছের ভুনা খেতে আমার কাছে বেশি ভারি মজার লাগে কিন্তু দাদা দাদি খাইনা বলে বেশি একটা রান্না করে না। টাকি মাছের ঝোল রেসিপি দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে খেতে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু। টাকি মাছের ভর্তা অথবা ঝোল যাই তৈরি করুন না কেন খেতে অনেক মজা লাগে। আমারও টাকি মাছের ভর্তা বেশি ভালো লাগে।তবে আপনার বানানো রেসিপিটি দেখতে খুব সুস্বাদু ও মজাদার মনে হচ্ছে। কালারটাও বেশ সুন্দর লাগছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
@bobitabobi দ্বিতীয় ধাপে চুলের মধ্যে হয়ে গেছে, চুলার মধ্যে হবে। এডিট করে ঠিক করে নিন।