নাটক রিভিউ (হট টেম্পার- আরফান নিশো)। 10% for @shy-fox & 5% for @abb-school

নমস্কার বন্ধুরা।আমি শান্ত চন্দ্র দাস।আমার ইউজার আইডি @bloggershanto। আশা করি আমার বাংলা ব্লগ এর বাংলাদেশী এবং ভারতীয় সদস্যগণ সবাই ভালো আছেন। সম্প্রতি আমি আফরান নিশোর হট টেম্পার নাটকটি দেখলাম। তাই আজ আমি হট টেম্পার নাটকটির রিভিউ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। চলুন শুরু করা যাক..

ছবি: স্কিনশটের মাধ্যমে নেয়া হয়েছে

নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী:

নাটকের নাম	হট টেম্পার
পরিচালক	শিহাব শাহীন
অভিনয়	আফরান নিশো, সাফা কবির
দৈর্ঘ্য	৪৯ মিনিট
ভাষা	বাংলা
মুক্তির তারিখ	২২-০৭-২০২২

কাহিনী সংক্ষেপ:

নাটকের শুরুতে আমরা দেখতে পাই জায়েদ (আরফান নিশো) একটি অফিসে চাকরি করে এবং সে মাঝে মধ্যেই অফিসে দেরি করে আসে। আজকেও সে দেরি করে অফিসে এসেছে। তাই তাকে বসের সাথে দেখা করতে বলা হয়েছে। জায়েদ বসের রুমে গিয়ে হতভম্ব হয়ে যায়। কারণ নিতু (সাফা কবির) বসের চেয়ারে বসে আছে।

এরপর কাহিনী ফ্ল্যাশব্যাকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং আমারা জানতে পারি নিতু জায়েদের এক্স গার্লফ্রেন্ড। জায়েদের অতিরিক্ত রাগ ছিল তাই একবার নিতু জায়েদকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তারের কথা শুনে জায়েদের রাগ উঠে যায় তাই সে ডাক্তারকে থাপ্পড় মারে এবং ডাক্তারের চেম্বার ভাঙচুর করে। পরবর্তীতে জায়েদকে নিতু তার বাবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। এখানেও জায়েদ নিতুর বাবার সাথে তর্ক বিতর্ক শুরু করে দেয়।তাই নিতু জায়েদের সঙ্গে ব্রেকআপ করেছিল।

তারপর কাহিনী আবার বর্তমানে ফিরিয়ে আনা হয়। এখানে আমরা জানতে পারি জায়েদ নিতুকে এখনো ভালোবাসে। জায়েদ নিতুর সাথে রেস্টুরেন্টে দেখা করতে চায়। নিতু তার হবু বর আদনানকে নিয়ে জায়েদের সাথে দেখা করতে আসে এবং জায়েদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।এতে জায়েদ রেস্টুরেন্টে থেকে চলে আসে।তারপর জায়েদ নিতুর বাসায় যায় এবং তাকে বুঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু নিতু বুঝতে চায় না।

জায়েদ আদনানের অফিসে গিয়ে আদনানকে বিয়ে করতে নিষেধ করে। এতে নিতু জায়েদের সাথে ঝগড়া করে। পরবর্তীতে জায়েদ তার এক বন্ধুর পরামর্শে একটি মেয়েকে তার সাথে প্রেমের অভিনয় করার জন্য ভাড়া করে। জায়েদ নিতুকে দেখিয়ে দেখিয়ে প্রেম করে এতে নিতু ভেতরে ভেতরে জ্বলতে থাকে। জায়েদ আদনানের থেকে নিতুকে দূরে সরানোর জন্য অনেক চেষ্টা করে কিন্তু ব্যর্থ হয়।

পরবর্তীতে জায়েদ এমন একটি প্রমাণ নিতুকে পাঠায় যেটি পেয়ে নিতুর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। নিতু আদনানের সাথে দেখা করে এবং জিজ্ঞেস করলে আদনান এটি সত্যি কিনা। আদনান স্বীকার করে এবং বলে যে ৭ বছর আগে সে এই দুর্নীতির অভিযোগের সাথে জড়িত ছিল এবং সে কিছুদিন জেলেও থেকেছে।

এটা শুনে নিতু অনেক কষ্ট পায় এবং জায়েদের সঙ্গে দেখা করে এবং তাকে জড়িয়ে ধরে। জায়েদও নিতুকে পেয়ে জড়িয়ে ধরে।এর মাধ্যমে তাদের ৪ বছরের পুরনো প্রেম আবার জোড়া লাগে।

ব্যাক্তিগত মতামত:

নাটকটি দেখে ব্যাক্তিগত ভাবে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগেনি। নাটকটিতে আরফান নিশো অভিনয় অনেক সুন্দর ছিল। কিন্তু সাফা কবিরের অভিনয়ে কিছুটা ঘাটতি অনুভব করেছি। আপনার যারা নাটকটি দেখেছেন আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তারা অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন।আর যারা এখনো দেখেননি তারা চাইলে নাটকটি দেখতে পারেন এবং আপনাদের মতামত জানাতে পারেন।
সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।