রক্তদান কেন করবেন এবং রক্তদানের উপকারিতা কি ।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার বন্ধুরা।আমি শান্ত চন্দ্র দাস। আশা করি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি।আজ আপনাদের সাথে রক্তদান এবং রক্তদানের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি এর মাধ্যমে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং রক্ত দানে অনুপ্রাণিত হবেন।

রক্তদান একটি মহৎ পেশা। রক্তদানের মাধ্যমে একজন মুমূর্ষু মানুষ ফিরে পেতে পারে তার জীবন। পৃথিবীর সকল ধর্মেই দানের কথা বলা হয়েছে।আমি মনে করি রক্ত দান অন্য সকল দানের থেকে সর্বোৎকৃষ্ট। কারণ এই দানের মাধ্যমে একজন সন্তান ফিরে পেতে পারে তার বাবা-মাকে এবং বাবা-মা ফিরে পেতে পারে তার সন্তানকে ।

feeling-g5747ebb59_640.jpg
Image Source

আমাদের বিশ্বে প্রতিবছর প্রচুর থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু জন্মগ্ৰহণ করে থাকে যাদের শরীরে নিয়মিত রক্ত সঞ্চালন করতে হয়। এছাড়াও সন্তান জন্মদানের সময় অনেক মায়ের শরীরের রক্ত সঞ্চালন করা জরুরি হয়ে ওঠে।আমরা অনেকেই মনে করি রক্ত দিলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হয় এবং শরীরের ক্ষতি হয়ে থাকে। কিন্তু বিজ্ঞান বলে বছরের তিন বার অথ্যাৎ চার মাস পর পর রক্তদান শরীরের কোন ক্ষতি করে না উল্টো শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাহলে চলুন জেনে আসা যাক নিয়মিত রক্তদানের কি কি উপকারিতা রয়েছে।

blood-g034d6f94b_640.png
Image Source

রক্তদানের উপকারিতা:

১. আপনার দানকৃত রক্তের মাধ্যমে একটি জীবন বেঁচে যেতে পারে। ২. নিয়মিত রক্ত দানের মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে। ৩. শরীরে ক্যান্সারে ঝুঁকি কমে। ৪. রক্তদান করলে অনেক ক্যালরি খরচ হয়ে থাকে ফলে শরীরে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ৫. নিয়মিত রক্তদান করলে হার্ট ভালো থাকে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। ৬. যারা সামান্য জ্বর বা কাশিতে দূর্বল হয়ে পড়ে তারা রক্ত দান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ৭. রক্তদান করলে শরীরে বড় কোন রোগ সৃষ্টি হতে পারে না।কারণ রক্তদাতা রক্ত দেয়ার পর সেই রক্তকে গ্ৰহীতার দেহে প্রবেশ করানোর পূর্বে এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি, সিফিলিস, ম্যালেরিয়া ছাড়াও অনেকগুলো ল্যাব টেস্ট করা হয়ে থাকে। ফলে রক্ত দাতার শরীরে কোনো সমস্যা আছে কি তা জানতে পারে।

heart-gac489a990_640.png
Image Source

সাবধানতা:

রক্তদানের উপযুক্ত সময় ১৮ থেকে ৬৫ বছর। তাই ১৮ বছরের আগে এবং ৬৫ বছরের পর রক্ত দেয়া উচিত নয়। রক্ত দাতার শরীরের ওজন অবশ্যই ৪৫ কেজির বেশি হতে হবে। রক্ত দাতাকে অবশ্যই ফিট হতে হবে অন্যথায় শারীরিক সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।

Sort:  
 2 years ago 

ভাই আপনার পোষ্টের মাধ্যমে রক্তদানের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। রক্ত দান আসলেই আমাদের নিজেদের জন্য যেমন উপকারী তেমন অন্যের ও উপকার হয়। রক্ত দেওয়া ভালো কিন্তু এতগুলো উপকার সেটা আসলে আমার জানা ছিল না। আমার নিজেরও খুব ইচ্ছা রক্ত দেওয়ার জন্য কিন্তু যখন শুই গুলো দেখে তখন আমার আর ইচ্ছা থাকেনা।

 2 years ago 

একবার সাহস করে দিতে পারলে পরে আর ভয় থাকে না।

 2 years ago 

জি আমাদের সমাজে এখনও মানুষ এটা মনে করে যে রক্ত দিলে শরীরে পুষ্টি ঘাটতি হয়।এই অজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে এসে রক্ত দানের অভ্যাস করাটা জরুরী আমাদের। পোস্ট টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেক কিছু জানতে পারলাম রক্ত দানের বিষয়ে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ

 2 years ago 

রক্তদানে আসলে আমাদের জন্য অনেক উপকারিতা রয়েছে। আর তাছাড়া আমাদের দেহের রক্তকণিকা এমনিতেই শেষ হয়ে যায় আবার নতুন করে শুরু হয় ১২০ দিনের মধ্যে। আর আমাদের সকলের উচিত আপনার এই উল্লেখিত সচেতনতা গুলো মেনে রক্ত দান করে কিছু মানুষের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করা।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন। যতটুকু সম্ভব অন্যকে সাহায্য করা উচিত।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65353.52
ETH 2654.64
USDT 1.00
SBD 2.84