সুন্দরের মাঝে কিছু বৈপরীত্য আমাদের সভ্যতাকেই আরো স্পষ্ট করে তোলে ।
![]() |
---|
আজকে দিনটি শুরু হয়েছে এক রাশ আকাশ ভর্তি মেঘ নিয়ে।তাই ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গেল।তবে একটা ভ্যাপসা গরম পরিবেশটাকে বেশ অস্বস্তিকর করে তুলেছিল।তাই আজকে সকালটা একদমই উপভোগ্য ছিলো না।প্রতিদিনের মতো সকালে খাওয়া সেরে নিলাম।গত কয়েক দিন সকাল থেকে উঠেই আমাকে জরুরি কাজে বাইরে যেতে হয়।এই মহামারীর কারণে সকাল বেলা তেমন একটা বেরোনো হয় না।তবে কিছুদিন যাবৎ একটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলার করণে আমাকে প্রতিদিন সকালে বাইরে যেতে হয়েছে।ভাবলাম আজকে যেহেতু আর বাইরে বেরোনোর দরকার নেই তাই সারা সকাল বিশ্রাম নেব।
সকাল গড়িয়ে দুপুর আসতেই ঝমঝম করে বৃষ্টি নেমে এলো।এ যেন তৃষ্ণার্ত জীবের আচমকা জলপান।যাই হোক বৃষ্টি নেমে পরিবেশটা বেশ হালকা ও ঠান্ডা হলো।সকাল থেকে যেহেতু খুব গরম পড়েছিলো তাই আজকে একদমই বেরোনোর ইচ্ছে ছিল না।যদিও বিকেলে কিছু টুকটাক কাজ করার ছিল।যেহেতু আবহাওয়া কিছুটা অনুকূল হলো তাই বিকেল ৫ টাই বেরিয়ে পড়লাম।বাইরে বেরিয়ে দেখি রাস্তায় কোথাও কোথাও জল বেঁধে রয়েছে।এটা অবশ্য বৃষ্টির বিশেষ দোষ নয় এটা আমাদের দেশ যারা চালায় তাদের পকেট ভর্তির ফলাফল।
তবে দুপুরের বৃষ্টিতে রাস্তা ঘাট সব ধুয়ে পরিস্কার হয়ে গেছে।প্রকৃতি যেন এক শুদ্ধ রূপে আপন মহিমায় সেজেছে।মনটা অনেকটা নির্মল হয়ে গেলো এত সুন্দর একটি মনোরম পরিবেশ দেখে।দেখলাম আকাশে বসেছে দারুন মেঘের মেলা।শরতের আকাশে মেঘের মেলা আর নীচে কাশফুলের ভুবন ভোলানো দোলা এ যেন এক স্বর্গীয় দৃশ্য।যে মানব এই দৃশ্য দেখেনি সে সত্যি খুব হতভাগ্য।আজকে আমাদের এলাকার মধ্যে স্টেশনের কাছে একটি রাস্তার কয়েকটি ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
তবে এত সুন্দরের মাঝেও কোথাও একটু বৈপরীত্য খুঁজে পেলাম।ভারতবর্ষের বিখ্যাত পরিচালক বিশ্বনন্দিত সত্যজিৎ রায় আগন্তুক সিনেমায় বলেছিলেন যে বিংশ শতাব্দীতে এসেও যদি দেখতে হয় কলকাতায় মানুষ টানা রিক্সা তাহলেই বোঝা যায় যে সভ্যতা কাকে বলে। আসলে সভ্যতা হচ্ছে সর্বোচ্চ উন্নয়ন যার মাঝে আছে কিছু বৈপরীত্য যেটা আমাদের বিস্মিত করে।উন্নয়ন ও বৈপরীত্য এই দুইয়ের কন্ট্রাডিকশনই সভ্যতার সত্তিকারের উৎকর্ষতা। আজকে এই প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য, বৃষ্টিতে ভেজা এক শুদ্ধতায় আমি খুঁজে পেয়েছি একটা বৈপরীত্য ।কি সেই বৈপরীত্য ?
দেখলাম রাস্তার সাইডে শত শত মানুষ সরকারি জায়গা রেলের জায়গা দখল করে গড়ে তুলেছে আইনি ভাষায় যেগুলোকে বলে অবৈধ স্থাপনা। পুলিশ প্রশাসন সরকার সবার চোখের সামনেই তারা এই অন্যায় বসতি গড়ে তুলেছে। তবু তাদের বলার কেউ নেই ।একদল রাজনৈতিক ক্যাডার যারা তাদের কাছ থেকে কিছু মাসোহারা নিয়ে তাদের এখানে থাকার পক্ষে প্রটেকশান করে দিয়েছে ।কিন্তু এই অবৈধ বসতি কিসের ইঙ্গিত করে? উত্তর স্বাভাবিক এবং সহজ।আমাদের দেশে জনসংখ্যার বিস্ফোরণ এতটাই প্রবল যে তাদের বসতি করার মতো পর্যাপ্ত জায়গার অভাব দেখা দিয়েছে।এমতবস্থায় আমাদের কি করনীয়?
অবশ্যই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ তার জন্য চাই সচেতনতা সুনির্দিষ্ট আইন। আর একটা বিষয় খেয়াল করা যায়, ভূমির অসম বন্টন এবং অপরিকল্পিত উন্নয়ন ।আজকাল তাকালেই দেখা যায় প্রমোটাররাজ।যেখানে সেখানে অপরিকল্পিত একটা বিল্ডিং করে দিচ্ছে। এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে যথেষ্ট ভাবে। ফলে ভূমির সুষ্ঠু ব্যবহার হচ্ছে না এতে করে সঠিক ভাবে বসতি গড়ার অভাব দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জনগণ সরকার প্রশাসন সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। একটি পরিকল্পিত ও উন্নত পরিবেশ ও বসতি গড়ে তোলার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে ।তাহলে একটি সুন্দর স্বচ্ছ এবং উন্নয়নমূলক সমাজ আমরা লাভ করব।
![smallamar.png](https://steemitimages.com/640x0/https://files.peakd.com/file/peakd-hive/blacks/AKGZSfy1PmrNQCvVasm8arX5TGD1uAfGmYPBkEuf68cwNzkXxmZiDTWDg4RLL7R.png)
Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmcvMsV4X3jHamsDPXsntpwf6ovhnU3g43AwEewtjdfChN/20210630_010817_0000.png)
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.Discord- https://discord.gg/RX86Cc4FnA
সকালে ঘুম থেকে না উঠলে সকালের পরিবেশটা অনুভব করা যায় না।সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে মন মেজাজ সতেজ থাকে।আরেকটা জিনিস নিয়ে খুব ভালো বলেছেন।
এই কথাটা একদম ঠিক বলেছেন।আমাদের উচিৎ সঠিক পরিকল্পনা করা।দেশের অবস্থা দেখে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক শিক্ষামূলক বিষয় জানতে পারলাম।
পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল দাদা আপনার জন্য। আমাদের মাঝে এরকম সুন্দর পোস্ট ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
এই বৈপরীত্য দাদা সারা পৃথিবীতেই বিরাজমান। নিউ ইয়র্কে গেলেও দেখবেন ঝাঁ-চকচকে এই দুনিয়ার অপর প্রান্তে আছে দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত নিপীড়িত মানুষ। তবে দাদা এই যে লোকজন সরকারি জায়গা দখল করে বসতি স্থাপন করছে অবৈধভাবে। এর জন্য শুধু জনসংখ্যার বিস্ফোরণ নয় সম্পদের অসম বন্টন ও অনেকাংশে দায়ী। কারণ শহর ছাড়া গ্রামে মানুষের আয়-রোজগারের তেমন কোনো পথ নেই। মানুষকে কিছু করতে হলে অবশ্যই শহরে আসতে হবে। এই কারণেই এই ধরনের দৃশ্য প্রতিনিয়ত শহর দেখতে হয়। আপনি সুন্দর করে আপনার ভাবনা ফুটিয়ে তুলেছেন। আর আপনার ছবিগুলো বরাবরই অনেক সুন্দর হয়। ধন্যবাদ দাদা।
দাদা অনেক ব্যস্ত থাকার পরেও সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠেন।আসলে সকালের মুহূর্তটা হয় অসাধারণ যার তুলনা হয় না। আপনার লেখনী যখন পড়ছিলাম তখন মনে হচ্ছে আমি গল্প পড়ছি।দাদা আপনি অসম্ভব সুন্দর লিখতে পারেন। আপনি গল্প লিখলে অনেক বড় রাইটার হতে পারতেন। আপনার দিনটি অসম্ভব সুন্দর কেটেছে বুঝি।
ধন্যবাদ
আসলে এই অবস্থানটা তখন হতেই চলে আসছে, যখন হতে আমাদের মনে অনৈতিকতা বাসা বাধতে শুরু করেছে। তবে এর মাঝে ভূমি অসমবন্টন ও একটা বড় ভূমিকা পালন করছে।
কেউ সব হারিয়ে নিঃশ্ব হচ্ছে আবার কেউ দিনের পর দিন কেউ কেউ অবৈধ পন্থায় রাতারাতি শত শত একর জমির মালিক বনে গেছে।
যার কারনে সুন্দয্যের মাঝে এই রকম কিছু বৈপরিত্য থেকেই যাচ্ছে আর প্রসাশন এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে নিজেরা ফায়দা লুটছে। ধন্যবাদ ফটোগ্রাফিগুলো সুন্দর ছিলো।
খুব ভালো লিখেছেন ভাইয়া।এই বৈপরীত্য তো সবটা জুড়েই..
প্রকৃতির মাঝেও বৈচিত্র্যর অভাব নেই। তোমার ছবি গুলি প্রকৃতির বিচিত্র তা ফুটে উঠেছে দুর্দান্ত কন্টেন্ট আর সাথে।অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।
আকাশের ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিলো। খুব ভালো লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অসাধারণ মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি দাদা,সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার মজাই আলাদা,সকালের বাতাস উপভোগ করাটা সত্যিই অনেক ভালো লাগে।
মাঝে মাঝে পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া কারনে আমরা অস্বস্তি বোধ করি।
অনেক সুন্দর লিখেছেন দাদা।আকাশের ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল।উপস্থাপনা ১০০% পিউর হয়েছে।
সত্যি শাসন বিভাগের এমন দুর্বলতা আমার মনে মাঝে মাঝে ঘৃণার জন্ম দেয়।শাসন বিভাগ যেন বড় বড় ক্যাডার এর গোলাম হয়ে গেছে।
অনেক ধন্যবাদ দাদা আমাদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা।