বৈশালীতে একদিন ।।২৮ শে অক্টোবর ২০২১।।
বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছে।সবাইকে আসন্ন দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।হাওয়ায় ঠান্ডারা এসে গেছে।বাইরে বেরোলেই হালকা হালকা শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে।এক প্রকার বলতে গেলে শীতকাল এসে গেছে।শীতকাল মানেই এক অন্য বেপার-সাপার।আমি ব্যক্তিগত ভাবে শীতকাল খুবই পসন্দ করি।
শীতকাল মানেই খেজুরের রস আর হরেক রকম পিঠে পুলি বানানোর ধুম।শীতকাল মানেই একের পর এক উৎসব আর বিশুদ্ধ আনন্দ।যদিও আজকাল শীতকালের সেই আনন্দ আর নেই।সময়ের সাথে আর আধুনিকতার অহমিকায় হারিয়ে গেছে অনেক ঐতিহ্য।
আমাদের বাপ ঠাকুর দার আমলে গল্প শুনেছি আর বর্তমানের সাথে তাকে মিলাতে গিয়ে বারবার হোঁচট খেয়েছি।সত্যি অনেক বদলে গেছে আমাদের চারপাশ।এই পরিবর্তন কতটা প্রগতিশীল আর কতটা আন্তঃসার শূন্য সেটাই আপনাদের সময় সাপেক্ষ ও প্রমাণ সাপেক্ষ।ওই সব ব্যাপারে আজ আর কথা না বলি।
একটি বিশেষ কাজে আমাকে কিছু দিন বাড়ির বাইরে আসতে হয়েছে।নিজের পরিবার ও পাড়া কে ছেড়ে থাকতে সবারই খারাপ লাগে ও কষ্ট হয়।কিন্তু আমাদের এই কর্মময় জীবনে এক জায়গায় সর্বদা আটকে থাকা সম্ভব নয় আবার উচিত ও নয়।জীবন মানেই এগিয়ে যাওয়া।
এই জন্য ২৫ শে অক্টোবর বেরিয়ে পড়লাম দিল্লির উদ্দেশ্যে।যদিও আমার কাজ করার ক্ষেত্রে হলো শেষমেশ দিল্লির পাশে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ এ।এই অঞ্চলটি বৈশালী নামে পরিচিত।এই নব্য শহরের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে উঁচু উঁচু সব ইমারত।বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বেসরকারি হাসপাতাল শপিং মল গড়ে উঠেছে এই শহরকে কেন্দ্র করে।গতকাল সকালে একটা দরকারি সাক্ষাৎ সেরে দিলাম।
ফলে সারাদিন আর বিশেষ কাজ ছিল না।ভাবলাম কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা প্রয়োজন কারণ এখানে আমাকে মোটামুটি ১ মাসের মতো থাকতে হবে।তাই কিছু জিনিস কেনা সত্যি আবশ্যক।যেহেতু এখানের লোকাল মার্কেট গুলো চিনি না তাই ভাবলাম এমন জায়গায় যাওয়া উচিত যেখানে এক ছাদের তোলার সব পাওয়া যাবে।এর এই ক্ষেতে আদর্শ জায়গা হলো শপিং মল।
আমার আবাসনের 2 কিমি দূরেই একটি শপিং মল রয়েছে তার নাম মাহাগুন মল।এই মলে মোটামুটি সব জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও retail শপ গুলো রয়েছে।প্রথমে ম্যাকডোনাল্ডস থেকে একটি বার্গার ও পেপসি খেয়ে নিয়ে শরীরে ও মনে উৎসাহ সঞ্চার করে নিলাম।
এরপর শপিং মলটা ঘুরে দেখতে লাগলাম।এটা আসলেই বেশ বড় শপিং মল।এখানে সব কিছুই যেন এক ছাদের তলায় রাখা হয়েছে।আমি big bazaar এ গিয়ে কিছু আবশ্যক জিনিস ক্রয় করলাম।তারপর এদিকে ওদিকে করতে করতে মোটামুটি রাত ১০.৩০ বেজে গেল।মলের বাইরে এসে দেখি চারিদিকে শুনশান।কোনো যানবাহন নেই।এখানে একটু রাত হলেই সব ফাঁকা হয়ে যায়।অনেকটা দাঁড়িয়ে থাকার পর একটি অটো পেলাম।
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
শীতকাল এসেছে ধরায়। শীত যদিও আমার তেমন পছন্দের না। যাইহোক শীতকালে বাসায় পিঠার মেলা লেগে যায়। অনেক ভালো লাগে এই জন্য। ভালো থাকবে, সাবধানে থাকবেন দাদা।
শীতকাল মানেই খেজুরের রস আর হরেক রকম পিঠা পার্বণের উৎসব দারুন বলেছেন দাদা। শীতকালের পিঠা পার্বণের উৎসব শুরু হয়ে যায় চারপাশে। চারদিকে বিরাজ করে এক উৎসব মুখর পরিবেশ। তবে সময়ের বিবর্তনে সবকিছু দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে। চিরচেনা সেই শীতকালীন উৎসবগুলো আজ দেখতে পাওয়া যায়না।যাইহোক আপনি শপিংমলে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন এটা আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এই শপিং মলটি সত্যিই অনেক বড় মনে হচ্ছে। আপনার পরিবারের প্রিয়জনদের থেকে দূরে থাকতে হয়তো আপনার খুব কষ্ট হচ্ছে তবে প্রার্থনা করি আপনি তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে নিজের পরিবারের কাছে ফিরে আসুন। দাদা শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
শপিং মলটা বেশ বড় ।আর শীতকালে এখন সেই আগের মজা গুলো নেই।ধন্যবাদ।
এটা পড়ে একদম ভালো লাগলো না আমার।
মোটেও ভালো লাগলোনা, একদম ই না ভাইয়া। 🥺
সবসময় দেখি এই ম্যাকডোনাল্ডস এর কথা, কিন্তু সৌভাগ্যটা হয়নি।
কলকাতা বেড়াতে এসো খাওয়াবো।
একদম অবশ্যই হবে ভাইয়া।
ঠিক বলেছো বন্ধু। সেই আনন্দ সেই ঐতিহ্য আগের মতো নেই। বৈশালী অঞ্চলের এক ছাদের নিচে বড় বড় শপিং মল গুলি খুবই সুন্দর। দেখে ভালো লাগলো। অবশ্য যে উদ্দেশ্যে দিল্লি গেছো সেটা যেনো খুবই ভালোভাবে হয়। ভগবানের কাছে pray করি সবসময় । আমার পরিবারের থেকে অনেক অনেক আশীর্বাদ রইলো আমার বাবা মা থেকে এবং আমার এবং বোনের থেকে ভগবানের কাছে pray করি। সুস্থ ভাবে সবাই ফিরে এসো। ধন্যবাদ yr
অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি অসাধারণ লিখেছেন। আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। শীতকাল মানেই তো একের পর এক উৎসবে মাতোয়ারা হয় বাঙালি। সব মিলে খুব সুন্দর হয়েছে। ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
শীতকালে সব কিছুর একটা আলাদা আমেজ থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে।
একটা কথা দাদা খুবই ভালো বলেছেন। আগেকার দিনের শীতকাল আর বর্তমানের শীতকালে অনেক পার্থক্য। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন শীতকাল মানেই ছিল দাদাবাড়ি নানা বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া। গিয়ে বিভিন্ন রকমের পিঠা পুলি খাওয়া।এখন আর সেই দিন নেই। আপনি আপনার বাড়ি থেকে দূরে গিয়েছেন কাজের জন্য। দিল্লির কথা অনেক শুনেছি আমরা। কিন্তু আপনি যে শহরের নাম বললেন সেটার নাম কখনো শুনিনি। আর আসলেই আজকাল কেনাকাটার জন্য বড় আকারের শপিংমল হচ্ছে সবচাইতে আদর্শ জায়গা। যেহেতু নতুন জায়গায় গিয়েছেন সাবধানে থাকবেন দাদা।
আসলেই সেই সব দিন আর নেই।ঐতিহ্য গুলো সব হারিয়ে গেছে।শুভেচ্ছা নেবেন।
😍🙏
আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে এটি উপস্থাপন করেছেন।আসলেই শীতকালে আমার খুবই ভালো লাগে শীতকালে নানা রকম পিঠার আয়োজন করা হয়। এই শীতকাল আমার অনেকটাই পছন্দ কারণ শীতের সময় খেজুরের রস সহ অন্যান্য পিঠাগুলো খুব প্রিয় আমার। আপনার এই সুন্দর লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।।
আপনার পোস্টে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার ছবি তোলা গুলো সুন্দর।দেখে মনে হচ্ছে মার্কেট টা অনেক বিশাল, দেখেই যাইতে ইচ্ছা করতেছে। আমার কয়েকদিন পর নতুন জায়গায় উঠার কথা তখন হয়তো আমিও আপনার মত একই পরিস্থিতিতে পরবো। এই পরিস্থিতিতে আপনি কি করেছেন তা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবদ।কারণ এতে করে কিছুটা আইডিয়া পেলাম আমি।
আসন্ন দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাই আপনাকেও দাদা ।যে উদ্দেশ্যে দিল্লি যাওয়া হয়েছে তা যেন খুবই ভালোভাবে সম্পন্ন হয় সেই কামনায় করি দূর থেকে।সত্যিই শীতের আমেজটি অন্যরকম অনুভূতি বয়ে আনে।ধন্যবাদ দাদা ।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
দাদা শুভেচ্ছা নিবেন। আপনার একটি কথা খুবি ভাল লেগেছে। সেটি হল সময়ের সাথে আর আধুনিকতার অহমিকায় হারিয়ে গেছে অনেক ঐতিহ্য।সত্যিই তাই। আরো বেশী ভাল লাগছে এই অধুনিকতার যুগেও আপনি অন্তত চিন্তা করছেন খেজুরের রস কিংবা পিঠা পুলির ঐতিহ্য। অন্য কেউ এভাবে ভাবে না। তবে চিন্তা করবেন না । সময়ের সাথে সাথে এই আধুনিকতার একদিন বিলীন হবে আবার ফিরে আসবে সেই পুড়োন যুগ যদিও তখন আমরা থাকবো না। যাই হোক আপনার ভ্রমন শুভ হোক ভাল থাকবেন। শুভ কামনা রইল।