আমার সারাটা দিন ||২৩ আষাঢ়, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ||
বন্ধুরা কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্চে "আমার বাংলা ব্লগে" কতিপয় মানুষ অন্যের লেখা কপি করে পোস্ট করছেন।এটি খুবই দুঃখজনক।কারণ এই ব্লগে শুধু বাংলা ভাষার চর্চা হচ্চে।নিজের মাতৃভাষায় আপনাকে লিখতে হবে।অনেকে হয়তো কোনো বিষয়ের উপর লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না।তার কারণ হতে পারে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর জ্ঞান ও তথ্যের অভাব।এক্ষেত্রে আপনি নিজের প্রতিদিনের জীবনযাপনের অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ ও ছোটখাট কার্যক্রম ও ঘটনা ও লিখতে পারে।সেই রকমই একটি নমুনা স্বরূপ লেখা দিলাম।এখানে কোনো সাহিত্যের উৎকর্ষতা নেই ,নেই কোনো শব্দের মাধুর্য।খুবই সাধারণ ও পরিচ্ছন্ন লেখা।কিন্তু লেখাটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র।এটাই বড় কথা।
আজ দিনের শুরুটা খুব একটা ভালো কাটেনি।আকাশটা মেঘলা ছিলো আর সেই সাথে ছিলো প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম।আজকে গাড়িটা ওয়াশ করিয়ে আনার date ছিলো।সকালে ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরী হয়ে গেছিলো।উঠে দেখি ড্রাইভার এসে আমার জন্য অপেক্ষা করছে।কাউকে অপেক্ষা করানো কিংবা নিজে কারো জন্যে অপেক্ষা করা আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর লাগে।যদিও অপেক্ষা করাটা একটি সিস্টেম এর অংশ।যাইহোক ব্যক্তি বিশেষ ভালো লাগা মন্দ লাগা থাকতেই পারে।এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার।আমি তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে ভাত খেয়ে নিলাম।আমি সাধারনত সকালে ব্রেকফাষ্ট করি না এক বারে একটু দেরি করে ভাত খেয়েনি এবং দুপুরের খাওয়াটা skip করি।এটা একটা অভ্যাস হয়ে গেছে যদিও এটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়।আমাকে এ ব্যাপারে আরো সচেতন হতে হবে।
এরপর বেরিয়ে পড়লাম আমরা দুজন ,মিশন -গাড়ি ওয়াশ।ওয়াশিং সেন্টার টা আমাদের বাড়ি থেকে গাড়িতে করে মিনিট দশেক সময় লাগে।তো আমরা যখন পৌঁছালাম ,দেখা অনেক গুলো গাড়ির লাইন।বুঝে গেলাম আজকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন ,তারা আমাদের গাড়িটি আগে ধুতে শুরু করে দিলো।এখানে গাড়ি ওয়াশ একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে হয়ে থাকে।এবং এটি বেশ সময় সাপেক্ষ ও বেশ ভালো কাজ হয়।কিন্তু এদিকে আমার অবস্থা বিশেষ ভালো নয়।প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম তার উপর মুখে দুটো musk পড়া।সে এক দম আটকে আসার উপক্রম।প্রচন্ড তেষ্টা ও পেয়ে গেছে।এদিকে আশেপাশে কোনো দোকান ও নেই যে এক বোতল জল কিনবো।অগত্যা বসে রইলাম কাজ শেষ হওয়ার জন্য।
ওয়াশ শেষ করে বাড়ি পৌঁছতে পৌঁছতে নেমে গেল মুষল ধারে বৃষ্টি।তো আমি বাড়িতে এসেই চলে গেলাম ছাদে ।কারণ এই দুপুরের বৃষ্টিতে ভিজতে আমার দারুণ লাগে।তবে এখন যেহেতু বৃষ্টি এলে বজ্রপাত হয় তাই এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত।
পর কিছু পড়াশোনা ও কম্পিউটার এ প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিলাম।একটু ক্লান্তি অনুভব করলাম শরীরে তাই শুয়ে পড়লাম।একটু ঘুম ও আসছিল কিন্তু ঘুমালে চলবে না।আমাকে বাজারে যেতে হবে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশ।একটু মাংস কষা তো খাওয়া উচিত অন্তত।তার উপর বাইরে বৃষ্টি ও একটু থেমেছে।
এখন চুলায় মুরগির মাংস রান্না চলছে ,অপেক্ষা কখন রেডী হবে।
আজ বুধবার
২৩ আষাঢ়, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ।।
Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
আমার খুবই প্রিয়। মা যখন রান্না করে তখন আমি আগেই বলে রাখি কষানো মাংস উঠিয়ে রাখতে।
ওটার মজাই আলাদা ভাই ।রান্নার আগে একটু টেস্ট করা ।
কিন্তু সমস্যা হলো, একটু তো টেস্ট করিনা। অনেক খেয়ে ফেলি 😂
😜
উপভোগ একটি দিন। আপনার বৃষ্টি ভেজার কথা শুনে আবার ছাত্র অবস্থায় হঠাৎ করেই বৃষ্টি হলে বৃষ্টিতে ভিজতে যাওয়ার কথা মনে পড়ে গেল। অনেকদিন বৃষ্টিতে ভেজা হয় না আশা করি এই বর্ষায় আবার গ্রামে গিয়ে ফুটবল খেলায় মেতে উঠবো খুব শীঘ্রই। সাদা রঙের গাড়ি আমার কাছে ব্যতিক্রম লাগে কারণ যারা শহরে থাকে তারাই সাদা গাড়ি পছন্দ করে থাকে বেশি অন্যথায় গ্রামে সাদা গাড়ির রঙ ধরে রাখা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায় কারণ সহজেই ময়লা লেগে যায়। অনেক ভালো লাগলো আপনার সারাদিনের পরিশ্রান্ত দিনের বর্ণনা শুনে। দাদা।
একদম ঠিক বলেছে আপনি এই বৃষ্টি সাথে আমাদের অনেক নস্টালজিয়া কাজ করে।
বেশ লাগল লেখাটি। ধন্যবাদ দাদা
আপনার জন্য রইলো একরাশ শুভেচ্ছা।।
ইনশাল্লাহ ভাই ১০০% ইউনিক পোস্ট করার চেষ্টা করি এবং নিজের জ্ঞান থেকে লেখার চেষ্টা করি। কেননা আমি জানি এই প্লাটফরমটি এবং এই কমিউনিটি কোন প্রকার চৌর্যবৃত্তি পছন্দ করেনা।
আমি ইতিপূর্বে পাঁচ থেকে সাতটি অ্যাকাউন্ট নষ্ট করে ফেলেছি।এখন শুধু অরিজিনাল কনটেন্টগুলো আমি শেয়ার করি এবং হান্ডেট পার্সেন্ট ইউনিক পোস্ট করার চেষ্টা করি
ধন্যবাদ ভাই
আপনাকে ও ধন্যবাদ।।
এটা খুবই দুঃখজনক বিষয় দাদা। অন্যের লেখা কপি করা। এটা শুনে খুব খারাপ লাগলো।আপনার লেখাটি পড়ে অনেকেই সতর্ক হতে পারবে আশা করি। ধন্যবাদ।
নিজে কিছু লেখা অনেক বেশি আনন্দের।সেটা সবার অনুভব করতে হবে।
অন্যের পোস্ট নকল করা সত্যিই দুঃখজনক ব্যাপার। আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে বোঝানো হলো যে কেউ যদি কোন বিষয়ের উপর অভিঙ্গ না হয় অর্থাৎ লিখতে না পারে, তারপরও তার নকল করার দরকার নেই। সে তার সারাদিনের কর্মকাণ্ড নিয়ে পোস্ট করতে পারবে। আশাকরি এখানে আর নকল করার কিছু নেই। ভালো একটা সুযোগ এদের জন্য।
সারাদিনের ঘটনাকে গুছিয়ে লিখলে সেটা বেশ ভালোই লাগে পড়তে।
এই লিখাটা পড়ে প্রতিটি বাঙালির শিক্ষা নেয়া উচিত। বিশেষ করে যারা কপি পেস্ট করে কমিউনিটি তাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করেন ঠিকই কিন্তু সততার সাথে কাজ তা করেন না। যার ফলে কমিউনিটির ও বদনাম হয়। নিজেও সফলতা থেকে অনেক গুন দূরেই থেকে যায়। তাই বলবো। সবাই যে যারা এরকম অসাধু তা অবলম্বন করে পোস্ট শেয়ার করেন। দয়া করে এটা করবেন না ।আপনাদের আমাদের সকলের ভালোর জন্য ।আপনাদের লিখার অতি সহজ করার উদ্দেশ্যে আপনার মাতৃ ভাষায় বাংলায় ccommunity তৈরি হয়েছে। তাই নিজের যত টুকু ট্যালেন্ট আপনার মাতৃ ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করুন। তাতে নিজের যেমন উপকার। সকলের মধ্যে কাজের উৎসাহ ও উদ্দীপনা বাড়ান। এই টুকু সকল বাঙালির কাছে জোর দাবি রাখি। ধন্যবাদ @blacks বন্ধু এত সুন্দর ভাবে সব কিছু তুলে ধরার জন্য। আগামী পথ চলা সবার ভালো হোক। শুভ কামনা সবার জন্য।আপনারা একদম নিজের লিখা ইউনিক পোস্ট করুন। ধন্যবাদ
সঠিক বলেছো তুমি।সবাই এগিয়ে যাক।ধন্যবাদ তোমাকে।।
ভালো
খুব ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার লেখাটি পড়ে।
আপনি আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে লেখাটি পড়েছে এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবান ।।
বৃষ্টির দিনে বাঙালীরা মাংশ বেশী পছন্দ করে, এটা সত্য। আমি নিজেও খুব পছন্দ করি। ভালো আইডিয়া দিয়েছেন ব্লগ লেখার ব্যাপারে।
বৃষ্টির দিনে একটু ভালো মন্দ সবারই খেতে ইচ্ছে করে।এটা একটা দারুন ব্যাপার।
ভাই সঠিক সময়ে দারুন একটি পরামর্শ দিয়েছেন, তবুও যদি তারা একটু সচেতন হয় এবং নিজ হতে কিছু করার চেস্টা করে। তবে ইচ্ছা শক্তি থাকাটা বেশী প্রয়োজন এখানে।
আমরা এই রকম দৈনন্দিন অনেক কাজ করি যেগুলোর মাধ্যমে সুন্দর পোষ্ট লেখা সম্ভব কিন্তু কথা হলো এরা পরিশ্রম করতে রাজি না বরং চুরি ও নকল করতে বেশী আগ্রহী।
তবুও আমি আশাবাদি এরা এখান হতে কিছু শিখবে এবং নিজেকে পরিবর্তন করার চেস্টা করবে আর হ্যা, বৃস্টির দিনে মাংশ কষা/ভূনা এটা মিস করা যাবে না, হা হা হা
সবাই নিজের নিজস্বতা কে জাহির করুক।প্রথমে কিছুদিন ভালো না ও হতে পারে লেখা।আস্তে আস্তে উন্নতি হবে।কিন্তু বড় কথা অরিজিনাল কন্টেন্ট ।আর কষা মাংস বা ভুনা সেটা এক আলাদা মজা।ধন্যবাদ আপনাকে ।