mba chaiwala তে একদিন।।২৯ নভেম্বর ২০২২।।
হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।বেশ কিছুদিন আগে আমি আর স্বাগতা গিয়েছিলাম mba chiwala তে।কি নাম টা শুনে একটু অদ্ভুত লাগছে তো?যদিও ইন্ডিয়ানদের কাছে অদ্ভুত লাগবে না কারণ তারা এই বিষয়ে অবগত।কিন্তু আমার ওপার বাংলার বন্ধুদের কাছে অদ্ভুত তো লাগছেই।
mba chaiwala ভারতের একজন যুবকের স্বপ্নের ফসল।শূন্য থেকে চূড়ায় উঠার এক অনুপ্রেরণামূলক গল্প হলে ও সত্যি।এই mba chaiwala নামের পিছনে একটা গল্প আছে।
প্রফুল্ল বিলোর মধ্যপ্রদেশের একজন সফল যুবক উদ্যোক্তা।তিনিই mba chaiwala চেইন টি শপ franchise এর মালিক।ছোটবেলা থেকেই মা বাবা এর মতো প্রফুল্ল ও প্রচুর অর্থ উপার্জনের স্বপ্ন দেখতো।কিন্তু কিভাবে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে সেটা তাদের কোনো ধারণা ছিলো না।প্রফুল্ল বিলোর নামকরা প্রতিষ্ঠান থেকে MBA করতে চান।তার ধারণা ছিলো নামকরা প্রতিষ্ঠান থেকে MBA করতে পারলে বড় বেতনের চাকরি পাওয়া যায়।সেই লক্ষ্যে তিনি গুজরাটে আসেন।
তাকে ভালো ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হতে গেলে CAT এক্সাম এ qualify করতে হতো।কিন্তু দুঃখের বিষয় দুইবার চেষ্টা করেও প্রফুল্ল qualify হতে পারেননি। পরে অবশ্য অন্য প্রতিষ্ঠানে MBA তে ভর্তি হন।কিন্তু কয়েক মাস ক্লাস করে MBA ছেড়ে দেন।কারণ তার মনে হয়েছিলো যে MBA করে বড় কোনো চাকরি পাওয়ার কোনো গ্যারান্টি নেই।তাই পকেটের ৮০০০ টাকা নিয়ে SG highway কাছে খুলে বসেন নিজের টি স্টল।
আর প্রথম দিনেই ৩০০ টাকা লাভ করে। এখান থেকেই শুরু mba chaiwala এর বিজয় যাত্রা।এখন প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকা টার্নওভার তার ব্যবসার।সারা ভারত জুড়ে একশো এর অধিক আউটলেট আছে mba chaiwala এর।
এই শপে মেইনলি veg item পাওয়া যায়।যদিও এটা চা স্পেশাল শপ তাও স্নাক্স হিসেবে বেশ কিছু আইটেম রয়েছে। রেস্টুরেন্ট এ খাওয়ার ব্যাপারে আমাদের ক্যাপ্টেন হলো স্বাগতা। ওর নির্দেশনায় আমরা রেস্টুরেন্ট এ খেতে যাই।তাই এই mba chaiwala তে ও যাওয়া তার জন্য।
এই শপের দেওয়ালে বেশ কিছু অনুপ্রেরণামূলক উক্তি ও ছবি রয়েছে।চা খেতে খেতে এইগুলো দেখতে আলাদা একটা ফিল হয়।বেশ সুন্দর environment এই শপের মধ্যে।কিছুক্ষন আড্ডা দেওয়ার জন্য ও একটা আদর্শ জায়গা।আমি নির্দ্বিধায় বলবো এটা আমাদের কাছে বেশ ভালোই লেগেছে।
আমরা পাস্তা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই,আইস লেমন টি,কিটক্যাট shake ও একটা চা নিয়েছিলাম।প্রত্যেকটি আইটেম এর স্বাদ ভালোই ছিলো।যাইহোক ভালো জায়গা এটা বলবো।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
দাদা যদিও প্রথমে নামটা শুনে সত্যি একটু অবাক লাগলো। কিন্তু যখন প্রফুল্ল নামের ছেলেটার গল্প শুনলাম সত্যিই অবাক হলাম। ৮ হাজার টাকা দিয়ে যেই দোকান করা শুরু করেছে সেটা কিনা এখন কয়েক কোটি টাকার লেনদেন। আসলেই এরকম সাফল্য যেন উদাহরণ দেওয়ার মতো । তবে বেশ ভালোই লেগেছে স্বাগতা আপুসহ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। খাবার গুলোও দেখছি ভালো বলছেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
জি দাদা প্রথমে নামটি শুনে একটু অন্যরকম লাগছিল ৷ যা হোক পরে পড়লাম ৷
সত্যি শপের নামটি সত্যি অনেক সুন্দর ৷ সেই. যুবক মাত্র ৮০০০ টাকা দিয়ে ব্যবসা করেছিল ৷ আর বর্তমান কোটি টাকা ভাবা যায় খাওয়
খাওয়ার আইটেম ও দারুন ৷
ভালো লাগলো দাদা গল্পটি পড়ে ৷
এমবিএ চায়েওলার যে ওউনার তার নিজের জীবনের গল্পটাই তো অনুপ্রেরণামূলক। ভালো একটা জায়গায় গেছেন দাদা। আমার যদিও যাওয়ার কখনো সুযোগ হয়নি, তবে ভাবছি একবার যাবো। সবার গল্পই যদি এইরকম হতো, যে প্রথম দিনেই সাকসেস, তাহলে হয়তো অনেক কিছুই পাল্টে যেত। পুরোটাই ভাগ্য।কিটক্যাট শেকটা দেখে আমার লোভ লাগছে।
ভালো একটি দিন কাটিয়েছেন দাদা। স্বাগতা দিদি কে তো বেশ সুন্দর লাগছে ছবিতে। mba chaiwala এর পেছনের গল্প জানা হয়ে গেলো সাথে। মানুষ এর সফলতা মনে হয় এভাবেই আসে। সত্যি বাংলাদেশে থাকায় এই ব্যাপারটা জানতাম না। সেই প্রথম দিনের ৩০০ টাকা লাভ থেকে আজ কোটি কোটি টাকা আয়। একেই তো বলে সফলতা।
MBA Chaiwala নিয়ে অনেক ভিডিও দেখেছি। প্রফুল্ল ছেলেটির উঠে আসার গল্প সত্যিই প্রেরণা দায়ক। তাদের ফ্রাঞ্চাইজি কলকাতা তেও খুলেছে সেটা জানা ছিল না। ভেতরের আটমসফিয়ারের সাথে খাবার গুলোও ভালো লাগছে।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
এই চাকরির বাজারে আসলে এই mba আগের মতো তেমন কাজে লাগে বলে আমার ও মনে হয়না।এই উদ্যোক্তার চিন্তাধারাটি বেশ ভালোই ছিলো।আর ক্যাপ্টেনের চয়েজ ও কিন্তু বেশ ভালো রেস্তোরা চয়েজের ক্ষেত্রে।
MBA করা একজন চাওয়ালা সত্যি অবাক করার মতো ব্যাপার। প্রফুল্ল বিলোর গল্পটি বেশ অনুপ্রেরণা পাওয়ার মতো একটি গল্প। একজন শিক্ষিত ব্যক্তি হয়ে কিভাবে একদম ছোট থেকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে যান তা প্রফুল্ল বিলোর গল্পটি থেকে যে কেউ শিক্ষা নিতে পারবে।খাবার গুলো খুবই লোভনীয় লাগছে। স্বাগতা দিদিকে দেখতে খুবই মিষ্টি লাগছে। সবমিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন দাদা তা আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। দাদা আপনাদের দুজনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। সুন্দর একটি অনুপ্রেরণামূলক গল্প শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।