পোর্ট ব্লেয়ার থেকে বারাতাং ।।২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই?সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি আন্দামানের দ্বিতীয় দিনের ভ্রমন নিয়ে হাজির হয়েছি।আজকে আমি পোর্ট ব্লেয়ার থেকে বারাতাং ভ্রমণের প্রথম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আসলে বারাটাং যেতে মোটামুটি পোর্ট ব্লেয়ার থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা লাগে।আর এই সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে দু ঘণ্টা ধরে জারওয়া থেকে জঙ্গল অতিক্রম করতে হয়।এই জঙ্গলের মধ্যে গাড়ি পার্ক করা নিষিদ্ধ।আর অবশ্যই সব রকমের ফটোগ্রাফি ও ভিডিও করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।কারণ এই jarwa tribal সারা পৃথিবী থেকে আলাদা।আর এদের কে অনেক চেষ্টা করেও সভ্য করা যায় না।বরং হিতের বিপরীত হয়েছে।আর কিছু দুষ্ট লোকাল লোক দূরভিসন্ধি নিয়ে এদের জঙ্গলে ঢুকে অপকর্ম করে। তাই সরকার ও প্রশাসন এই বিষয়ে খুবই কড়া।এই জন্য এই জঙ্গল অতিক্রম করার আগে একটা চেক পোস্ট রয়েছে।তাই মাত্র দুটো সময়ে বারতাং যাত্রা করা যায় একটা ভোর তিনটে আর একটা সকাল সাত টা।আমরা ভোর তিনটার সময় রওনা দিলাম baratang এর উদ্দেশ্যে।
Baratang থেকে boat এ করে একটি আদিবাসী দ্বীপে যেতে হয়।সেখানে আদিবাসী মানুষের গ্রাম।সেখানে বিশেষ আকর্ষণ হলো লাইম স্টোন কেভ। যেটা একদম প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে ওঠেছে বছরের পর বছর ধরে।
যাই হোক ভোর তিনটে উঠে তাড়াতাড়ি রেডী হয়ে বেরিয়ে পড়লাম।তখন মোটামুটি সাড়ে তিনটার একটু বেশি বেজে গেলো।সত্যি কথা বলতে আমাদের একটু late হয়েই গেলো।আর আমাদের ড্রাইভার খুব চেষ্টা করলো এই সময়ের ব্যবধান কমাতে।আর সে পারলো ও বটে।মোটামুটি এক ঘণ্টায় আমরা চেক পোস্ট এর কাছে পৌঁছে গেলাম।আর আমাদের গাড়ি সিরিয়াল এ দাড়িয়ে গেলো।
যেহেতু কিছুটা সময় লাগবে চেক পোস্ট পাশ আসতে।সেই সময়ে আমি আর স্বাগতা একটু চা খেলাম আর হেঁটে হেঁটে পাহাড়ি জঙ্গলে ঘেরা পরিবেশের ভোরবেলার শোভা উপভোগ করছিলাম।এরপর বাড়ি চলা শুরু হলো।জঙ্গলের মধ্যে রাস্তা খারাপ ছিলো আর ভীষণ ধুলো।ফুলে তুলনামূকভাবে একটু কম ধুলো ছিলো।কিন্তু আমাদের সজাগ দৃষ্টি ছিলো রাস্তার কিনারে যদি একটা jarwa দেখা যায়।আদিম মানব দেখা আসলেই কঠিন ব্যাপার।
কিন্তু আমরা তেমন ভাবে কিছুই দেখতে পেলাম না একটা ও jarwa।এরপর দুঘন্টা পরে ফেরি ঘাটে পৌঁছলাম।ফেরি করে মোটামুটি ৩০ মিনিট পর baratang পৌঁছে গেলাম।তারপর আবার পাশ বের করে লাইফ জ্যাকেট পরিধান করে দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।পৌঁছাতে মোটামুটি ২০ মিনিট এর মত সময় লাগলো।আজকে এই পর্যন্ত।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
আপনাদের ড্রাইভার বেশ একটিভ যার কারণে আধা ঘন্টা লেট হওয়া সময়টুকু পুষিয়ে নিতে পেরেছে। আর হ্যাঁ টুরিস্ট জায়গা গুলোতে অনেক চেকপোস্ট থাকে সেখানে পর্যায়ক্রমে তথ্য দিয়ে পার হতে হয়।
দাদা আপনারা খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন। সত্যি আপনাদের এই ভ্রমণ কাহিনীর ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনাদের ড্রাইভার খুবই ভালো ছিল যার কারণে সে আধা ঘন্টার দেড়ি পুষিয়ে নিয়েছে আর পাহাড়ি অঞ্চলে ভোরবেলা চা খেতে খেতে হেঁটে যাওয়ার মুহূর্ত সত্যিই অসাধারণ ছিল। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো আমার।এত সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন আর আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা।
এই আদিবাসীদের সম্বন্ধে এর আগে কিছু জানতাম না দাদা। তবে আপনারা তাদের দেখতে পারলে দু একটা ছবিও তুলতে পারতেন। সেই সূত্রে আমরাও হয়তো দেখতে পারতাম। দারুন একটা ব্যাপার মিস হয়ে গেলো। আজকের পর্বটা তো রাস্তায় কেটে গেলো। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
দাদা, আপনি ও দিদি খুব সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন। তবে এই আদিবাসী সম্পর্কে কিছুই জানা ছিলো না দাদা, আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। সেই সাথে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা ও ফোটগ্রাফি দেখার সুযোগ হল। আপরার পরবর্তী পোস্টের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
jarwa তাহলে আদি মানুষ দাদা। এসব আদি মানুষ এখনও দেখতে পাওয়া যায় 🙆♂️। লাইম স্টোন কেভটা কেমন ছিল দাদা! আশেপাশের পরিবেশটা দেখার মতো ছিল। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম 🌼
দাদা আদিম মানব দেখতে পেলে তো মনে হচ্ছে ফটোগ্রাফি করতেন। তাহলে আমরাও দেখার সুযোগ পেতাম। কিন্তু সেটা মিস হয়ে গেলো। তবে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। পরবর্তী পর্বে নিশ্চয়ই আরও সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পাবো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
jarwa tribal এই বিষয়ে কিছু ধারণা অবশ্য দিদিভাইয়ের কাছ থেকে পেয়েছিলাম দাদা, আড্ডার মাধ্যমে। পুরো লেখাটা যখন পড়ছিলাম আর ছবি গুলো দেখছিলাম, তখন মনে হচ্ছিল যেন দাদা, আমিও আপনাদের সঙ্গে ঘুরছি। দাদা, আন্দামানের যে জেলখানাটা আছে সেই বিষয় নিয়ে একটা ব্লগ চাই দাদা।
সময়টা যে আপনাদের দুজনের বেশ ভালোই কেটেছে, তা কিন্তু ছবিগুলো দেখেই, বুঝতে পারছি।
দুজনের জন্যই শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইল।