কচুয়া -একটি নির্মল পরিবেশে গড়ে উঠেছে লোকনাথ বাবার আশ্রম ।।১৭ ই অক্টোবর ,রবিবার ২০২১।।
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই ভাল আছেন।গতকালকে বাঙালি সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা শেষ হলো।স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যেকের মন ভার তবে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই।উৎসব এখনো শেষ হয়নি, বলতে গেলে শুরু।বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ।এই অক্টোবর মাস থেকেই বাঙালির একপ্রকার উৎসব শুরু হয়ে যায়।কিছুদিন পর লক্ষ্মীপুজো,যেটা কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর নামে পরিচিত।প্রত্যেক ঘরে ঘরে উদযাপিত হয় এই পুজো।এর একটা আলাদা অনুভূতি ও আবেগ আছে।যদিও শহুরে জীবনে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই অনুভূতি ও আবেগ এর কিছুটা পরিবর্তন আসে।
তবে একটা ভাললাগা তো অবশ্যই কাজ করে।এই লক্ষ্মী পুজোর পরে আসবে আর একটা বড় উৎস কালীপুজো।আমাদের পশ্চিমবঙ্গের ভিতরে সবথেকে বড় কালীপুজো হয় আমাদের এলাকাতে। বেশ কিছু প্যান্ডেল তৈরি করা হয় যে গুলো প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা এমন কি কোটি টাকা ব্যয় করে করা হয়।এগুলোর আসলে কোন যৌক্তিকতা আমি খুঁজে পাইনা।তবে মানুষকে দেখানোর মধ্যে কিছু অলৌকিক সুখ আছে সেটাই আয়োজক দের উদ্দেশ্য।
এই পুজোতে করোনার কারণে তেমন কোথাও বেড়ানো হয়নি।বাড়ির কাছে মাকে প্রণাম জানিয়ে মোটামুটি পুজোটা উদযাপন করেছি।আজ হঠাৎ দুপুরে মনে হলো কোথাও কাছাকাছি একটু ঘুরে এলে কেমন হয়।যেমন ভাবনা তেমনি কাজ।আমাদের বাড়ি থেকে ২৮ কিমি দূরে একটি সুন্দর মন্দির রয়েছে।লোকনাথ বাবার মন্দির।
এই মন্দিরটি যে জায়গায় উপস্থিত সেটা কচুয়া নামে পরিচিত।এখানেই বাবা লোকনাথ জন্ম গ্রহণ করে ছিলেন।বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ এ বারদী তে লোকনাথ বাবার আশ্রম রয়েছে।যেখানে তিনি জীবনের বাকি দিন গুলি কাঠিয়েছিলেন।এই কচুয়া আশ্রমে অনেক লোকের সমাগম ঘটে।
এই মন্দিরটি একটি নির্মল সুন্দর গ্রাম্য পরিবেশে গড়ে উঠেছে।এখানে এলে একটা ভালো লাগা কাজ করে।
লোকনাথ বাবাকে অনেক জাগ্রত বলা হয়।বিশ্বাস করা হয় যে কোন বিপদে পড়লে উনার নাম স্মরণ করলে সেই বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।কথায় আছে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।তাই এই বিশ্বাসকে বুকে নিয়ে যুগ যুগ ধরে মানুষ অনেক বিপদ থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করেছে।
এই সুন্দর পরিবেশ গড়ে ওঠা আশ্রম কে ট্যুরিস্ট জায়গা হিসেবে বিবেচনা করলে ও সেটা খুবই অসাধারণ হবে। তবে আমাদের বাড়ি থেকে এখানে যেতে গেলে যে রাস্তা দিয়ে যেতে হয় সেটার হাল বড়ই বেহাল।তাই সঠিক ভাবে যতটা সময় লাগা উচিত তার চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগবে। এবং ভ্রমণ টুকুও বেশ অস্বস্তিকর হবে।তবে এখানে পৌঁছনোর পর আপনার সব বিরক্তি কেটে যাবে।
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
আপনার দেয়া কন্টেন্টটিসহ ফটোগ্রাফিগুলো অসাধারণ হয়েছে।দারুণ হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফিগুলো। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
আসলেই ভাইয়া, একদম ঠিক বলেছেন। আমি শুধু চারপাশের পরিবেশটা দেখছিলাম।কতোটা মনোরম!চারপাশে কেমন যেনো শান্তি শান্তি ভাব। প্রকৃতি সবসময় ই আসলে মনোরম ই নয়। দেখেই চোখে শান্তি লাগে কেমন একটা। খুব ভালো লেগেছে জায়গাটি আমার কাছে ভাইয়া।
আপনি একদম সঠিক বলেছেন।জায়গা টি অনেক শান্ত ও মনোরম ছিল ।ধন্যবাদ আপনাকে ।
লোকনাথ বাবা সকলকে বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করেন। লোকনাথ বাবার নাম স্মরণ করলে সকল বিপদ আপদ দূরে যায়।
দূর্গাপুজার পরিসমাপ্তি এবং লক্ষীপূজার আগমনী আনন্দ সহ বাঙালির বারো মাসের তের পার্বণ।এই লেখাগুলো অনেক তাৎপর্যবহ।আর তাছাড়া লোকনাথ বাবার আশ্রম এবং তার প্রতি বিশ্বাস সম্পর্কে আলোচনা ধর্মীয় উৎসাহ ও উদ্দীপনা যোগায়।সবমিলিয়ে লেখার বিষয়বস্তু অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
"এগুলোর আসলে কোন যৌক্তিকতা আমি খুঁজে পাইনা।তবে মানুষকে দেখানোর মধ্যে কিছু অলৌকিক সুখ আছে সেটাই আয়োজক দের উদ্দেশ্য।" কে কিভাবে শান্তি খুঁজে পায় বলা খুবই মুশকিল। যাইহোক গ্রামীন মন্দির হলেও পরিবেশ ও স্থাপনা অনেক সুন্দর ও গোছানো । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ঠিক বলেছেন দাদা হতাশ হওয়ার কি আছে। বাঙালির ১২ মাসে তের পার্বন। উৎসব যেন লেগেই থাকে। এবং মন্দিরটা খুবই সুন্দর। চারপাশের পরিবেশ টাও অসাধারণ লিখছে। এবং আপনার এই সুন্দর উপস্থাপনা জায়গাটার আলাদা একটা মাএা যোগ করেছে।
আপনার দেয়া কন্টেন্টটিসহ ফটোগ্রাফিগুলো অসাধারণ হয়েছে, ভাই।দারুণ আপনার ফটোগ্রাফিগুলো।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
যদিও কোটি কোটি টাকা খরচ করে এই পুজোতে ব্যয় করার কোন কারণ নেই তার পরেও সেটি হয়তো আপনার দেবতা কে খুশি করার জন্যই করা হয়ে থাকে। যার ফলস্বরূপ আপনি সুন্দর জীবন পেতে পারেন।
এবং সৃষ্টিকর্তা সকলকে সুখী রাখবেন এই প্রত্যাশায় করা হয়।।
খুব সুন্দর লিখেছেন এবং ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল
আমাদের পশ্চিমবঙ্গের ভিতরে সবথেকে বড় কালীপুজো হয় আমাদের এলাকাতে।
দাদা তাহলে তো খুব ভালো। ইন্ডিয়াতে আসার ইচ্ছে হচ্ছে খুব। এমন ভাবে আসবো কোন সময় যাতে ২ টা পূজা দেখে যেতে পারি।
দুর্গাপুজো থেকে শুরু হয় মোটামুটি প্রতি বছর অক্টোবর মাস থেকে ।ডেট টা vary করে প্রতি বছর ।।ধন্যবাদ আপনাকে ।।
আপনাকে অনেক বেশি ধন্যবাদ দাদা। আসলে ইন্ডিয়াতে কেউ নাই কিছু চিনিও না এটাই সমস্যা।
যারা হিন্দু ধর্মাবলম্বী তাদের প্রতিটি সময় উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে কাটে। একটির পর একটি উৎসব লেগেই থাকে। বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজো শেষ হওয়ার সাথে সাথেই লক্ষ্মী আগমনের আমেজ শুরু হয়ে গেল। অন্যদিকে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে লোকনাথ বাবার মন্দিরের সৌন্দর্য। এই মন্দিরের পরিবেশ অনেক সুন্দর। একদম নিরিবিলি পরিবেশে গড়ে উঠেছে এই মন্দিরটি। লোকনাথ বাবার প্রতি বিশ্বাস রেখে মানুষ যুগের পর যুগ বিপদে তাঁকে স্মরণ করছেন। লোকনাথ বাবার কথা অনেক শুনেছি তবে আজ আপনি আপনার ফটোগ্রাফিতে লোকনাথ বাবার মন্দিরের ছবিগুলো শেয়ার করেছেন এজন্য খুবই ভালো লাগলো। সবকিছু মিলিয়ে অনেক সুন্দর হয়েছে।