কিংবদন্তি এই মহান গায়কের শেষ জীবন কেটেছে হতাশা আর যন্ত্রনায় ।
"কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই ।"এই
অমর গানের শিল্পী আর কেউ নন ,তিনি উপমহাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গায়ক মান্না দে। কফি হাউজের সেই আড্ডাটা গানটি লিখেছিলেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার আর এই গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন মান্না দে। বছরের পর বছর এই গানটি চলে আসছে। কিন্তু এখনও এই গানটি একটু ও মলিন হয়নি। প্রত্যেক প্রজন্মের কাছে এই গান একেবারে নতুন এবং অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এ যেন চির যৌবনা ।এইসব গানগুলোকে বলা হয় কালজয়ী গান। যুগের পর যুগ এই গানগুলো সমান জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য। মান্না দে অত্যন্ত শক্তিশালী একজন গুণী শিল্পী। ষাটের দশকে বলিউড ও বাংলা সিনেমায় তিনি রাজ করে গেছেন।
আর এক কিংবদন্তি শিল্পী কিশোর কুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধে কিছু অসাধারন গান করেছেন।মনে পড়ে শোলে সিনেমার সেই বিখ্যাত গান" এ দোস্তি হাম নেহি তোরেঙ্গে"। এছাড়া পড়েশান সিনেমাতে তিনি গেয়েছেন অসাধারণ গান, কিশোর কুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধে। বাংলা সঙ্গীত জগতে তিনি এমন এক নক্ষত্র যা বাংলার আকাশে এখন আর দেখা যায় না কিন্তু সেই নক্ষত্রের উজ্জলতা এখনো একটুও কমেনি ।বাংলা গানকে বিশ্বের দরবারে উপস্থিত করে গেছেন যে কয়জন কতিপয় গায়ক তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম ।বাংলা গান কে সমৃদ্ধ করার পিছনে তার অবদান অনস্বীকার্য ।বাংলা ভাষায় তাঁর অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে ।সেই গানগুলো এখনো সমান রূপে জনপ্রিয় ও চর্চিত।
মান্না ছিলেন ইউনিক কন্ঠের অধিকারী ।তার মতো করে কোন শিল্পী গাইতে পারতেন না। তার গলায় এক ধরনের বিশেষ ভাইব্রেশান ছিল যা আর কোন শিল্পীর পক্ষেই সৃষ্টি করা সম্ভব ছিল না ।কিন্তু এই কিংবদন্তি শিল্পী সারা পৃথিবী জুড়ে যার নাম ডাক সেই মানুষটির শেষ জীবন খুব একটা সুখের ছিল না ।যে মানুষটিকে দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষের ভিড় লেগে যেত ,যে মানুষটি শুধু হাত বাড়ালেই হাজার হাজার মানুষ হাত বাড়িয়ে দিত ,সেই মানুষটির জীবন কেটেছে একাকিত্বে আর দারুন হতাশায় ।খর্ব হয়েছে তার বেঁচে থাকার স্বাধীনতা ।যে মানুষটি সকালবেলা রেওয়াজ না করে থাকতে পারতেন না, শেষ জীবনে তার মেলেনি একটি হারমোনিয়াম ও।
তার ফ্যানরা তাকে কোনদিনও অবমাননা করেননি। কিন্তু নিজের রক্ত নিজের ছোট মেয়ে তাকে করেছে লাঞ্ছিত ।আর সমস্ত ভারতবাসীর কাছে সে (ছোট মেয়ে) একটা লজ্জা হয় রয়েছে। মান্নাদে ছোট মেয়ের কাজের সুবিধার জন্য তার সঙ্গে ব্যাঙ্গালোরে চলে যান।সেখানে তিনি কাটিয়ে দেন জীবনের শেষ কিছু বছর।ছোট মেয়ে তাকে তালাবদ্ধ করে চাকরিতে চলে যেতেন আর ফিরতেন রাত করে এগারোটা কিংবা বারোটার দিকে ।আর এতটা সময় তার বাবাকে সে তালাবন্দি করে যেতে ।মান্না দে সেখানে নিঃসঙ্গ হতাশ জীবনযাপন করতো ।তার মনে ছিল না আনন্দ-উৎসব আর কোনো ভালো লাগা। এমন কি কোন আপন জনের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন না তিনি। সত্যি শেষ জীবনে এরকম একজন বিখ্যাত গুণী মানুষের এমন পরিনতি জেনে খুব খারাপ লাগে ,লজ্জা লাগে আমাদের মধ্যে এমন মানুষরূপী কিছু অমানুষ আছে ভেবে।
Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.Discord- https://discord.gg/RX86Cc4FnA
যে কথাটি না বললেই নয়, এই পোষ্টটি দেখার পর আপনার উপর আমার শ্রদ্ধা আরো বেড়ে গেলো। কারণ আপনি মান্নাদের মত কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন। সত্যি বলতে এখনকার প্রজন্ম গান শুনতে জানে কিন্তু অনুভব করতে জানে না। আর এর মাঝে যারা গান ভালোবাসে মন থেকে তাদের এক অনুভূতির নাম মান্না দে। অনেক অজানা কথা জানলাম পোষ্টটি থেকে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আমার প্রিয় এবং কিংবদন্তি একজন গায়ক।তার গাওয়া "কফি হউস এর সেই আড্ডাটা" এখন ও বেশ জনপ্রিয় হয়ে আছে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একজন শিল্পীকে নিয়ে লেখার জন্য।
"কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই" এটি শুধু একটি গান না। আমাদের একটা অনুভূতি।
মান্না দে এর সাথে যেটি হয়েছে সেটি সত্যিই দুঃখজনক। মান্না দে তার ফ্যানদের কাছে চির অমর হয়ে থাকবেন।
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা,, গানটি অনেকবার শুনেছি।গায়কের নামও জানতাম।কিন্তু একটু বেশি জানলাম আপনার পোস্ট পড়ে।ধন্যবাদ❤️
মান্না দে আমার এক প্রিয় শিল্পী, তার সেই বিখ্যাত গান টা আমি মাঝে মাঝে শুনি,""কতোদিন দেখি নি তোমায় তবু মনে পরে তবো মুখ খানি ""।
তারমতো এতো সুন্দর গানের রেওয়াজ আসলেই পাওয়া খুবই কষ্টকর। তিনি তার প্রতিটা গানের মাধ্যমে বাস্তব জিবনের সাথে মিল রেখেছেন। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে তার শেষ জীবনের কথা শুনে খবই কষ্ট লাগলো। আসলে আমরা লাঞ্ছিত হই আমাদের কাছের মানুষদের থেকেই তারা মাঝেমধ্যে আমাদের কষ্টের কারন হয়ে দাঁড়ায়। মান্না দে জীবনটা ও হয় তো এমনই ছিল।
সর্বপরি আপনার উপস্থাপনা খুবই সুন্দর আপনি অনেক ভালো ভাবে মান্না দে র শেষ জীবনের স্মৃতি তুলে ধরেছেন। 💜💜
আমি এখনো তার গান মাঝেই মাঝেই শুনি । বিশেষ করে কফি হাউস গানটা । কিন্তু শেষ জীবনে নিজের মেয়ে তার সঙ্গে এমন আচরণ করেছেন। এইটা সত্যিই খুব দুঃখজনক।
মান্নাদের এই গানটি শুনলেই সত্যিকারের অবস্থিত কফি হাউজের কথা মনে পড়ে।তবে একজন স্বাধীন মানুষকে শেষ জীবনে বন্দিদশায় কাটাতে হয়েছে।এটি খুবই কষ্টের।অনেক কিছু জানতে পারলাম।তিনি তার জলন্ত গানের মাধ্যমে সবার কাছে অমর হয়ে থাকবেন।ধন্যবাদ দাদা।
মান্নাদের মুখটা দেখা সঙ্গে সঙ্গেই "কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই" গানটা মনে পড়ে যায়। আমার অত্যন্ত পছন্দের একজন শিল্পী। উনার প্রতিটা গানই আমার অনেক ভালো লাগতো।উনার কন্ঠটা আসলেই চমৎকার জাদুমাখা ছিলো। কিন্তু উনার শেষ জীবনের কথাটা জানতে পেরে খুব খারাপ লাগছে। এত গুনি একজন মানুষের সঙ্গে এমন নির্মম আচরণ। সত্যি এটা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে সম্পূর্ণ অজানা এই জিনিসটি জানতে পারলাম। দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা গানটি আমার খুবই পছন্দের একটি গান। ওনার সম্পর্কে কথা গুলো জানতে পেরে খুবই খারাপ লাগছে ধন্যবাদ আপনাকে কথাগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি পুরনো দিনের গান গুলো শুনতে অনেক পছন্দ করি তার সঙ্গে মান্না দে'র কিছু গান প্রায় আমার কানে ভাসে কষ্ট নিয়ে। আপনি এমন ভাবে উপস্থাপন করিয়েছেন উপস্থাপন দেখেই গানটি দুইবার শুনলাম।