ব্যস্ততায় হারছে মানবতা।।১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে ও আমি একটা সাধারণ কিন্তু নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।আসুন তাহলে শুরু করি।বর্তমান সময় আসলেই খুবই সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে আর এই সংক্ষিপ্ত সময়ে আমাদের ছুটে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে।এই অদৃশ্য লড়াইয়ে ইচ্ছে থাক কিংবা না থাক আমরা জড়িয়ে পড়ছি এই প্রতিযোগিতায়।বন্ধুরা এই যে জীবন জুড়ে এতো ব্যস্ততা,কোথাও কি আমরা কিছু হারিয়ে ফেলছি না তো?এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখতে পেলাম রাস্তায় পড়ে আছে মানবতা।
আজকে ছোট্ট একটা ঘটনা বলি তাহলে।আজ ফিরছিলাম নিউ টাউন থেকে।airport এর কাছাকাছি যখন এসেছি হঠাৎ সিগনাল পড়লো।আর স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের সব সব গাড়ি দাঁড়িয়ে গেল।হঠাৎ সাইড এ লক্ষ্য করলাম কিছু মানুষের জটলা।আমার ঘুম ঘুম পাচ্ছিল হঠাৎ জটলা দেখে আমি একটু কাচ নামিয়ে দেখতে চেষ্টা করতে লাগলাম কিসের এই জটলা।ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলাম একটা কম বয়সী ছেলে যে কিনা অফিস থেকে বাড়ি ফিরছে হঠাৎ স্কুটি থেকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছে।আর সেই খানেই তাকে রেখে সবাই যেন সার্কাস দেখছে।তার কি অবস্থা ,হসপিটালে নিয়ে যাওয়া দরকার এই গুলো কাউকেই ভাবাচ্ছে না।তারপর দেখলাম একটা ছেলে ওই ছেলেটার মোবাইল নিলো খুব সম্ভবত তার বাবা কল দিয়েছেন।ছেলেটি ফোনে সব কথা বললো আর তাদের আসতে বললো।এরপর সিগনাল ছাড়লো আমাদের গাড়ি ও এগিয়ে গেলো।কিন্তু একটা ভীষণ খারাপ লাগা কাজ করতে লাগলো।
ছেলেটা খুবই দুর্ভাগ্যবান।আজকে শনিবার অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে হয়তো ভাবছিল যে কালকে রবিবার ছুটির দিন একটু কিছু প্ল্যান করতে হবে।পরিবার কে নিয়ে একটু ভালো সময় কাটাতে হবে।কিন্তু ঈশ্বর তেমনটা চাইলেন না।কিন্তু কিছুটা যেতেই আমার একটা খটকা লাগলো।কেন সবাই দাড়িয়ে ছিল?কেউ কেন থাকে সুস্থ করার চেষ্টা করছে না বা হসপিটালে নিয়ে যাচ্ছে না?কারণ সবাই ব্যস্ত।নিজের বাড়ি ফিরতে ব্যস্ত।হয়তো বাড়িতে তার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে।তার ও ছেলেটার জন্য খারাপ লাগছে কিন্তু ব্যস্ততার কারণে একটু দাঁড়িয়ে যেতে পারছে না।মনে মনে ভাবলাম আমরা এতটাই ব্যস্ত কে মানবতাকে ও হারিয়ে দিচ্ছি।আর আমি নিজে ও ব্যস্ততার কারণেই খারাপ লাগা নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।কিন্তু তাকে সাহায্য করলাম না।তাকে সাহায্য করা খুব কঠিন ছিল আমার জন্য সবাইকে টপকে কিন্তু চেষ্টা করলে তো পারতাম।কিন্তু এই ব্যস্ততা আমাকে অবদমিত করেছে।
ব্যস্ততা এই সভ্যতায় আমাদের কে সত্যি উন্নতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে তবে এই প্রতিযোগিতা ও ব্যস্ততার যুগে আমরা যেন মানবতাকে না হারতে দি।নিজেকে ও এটাই বললাম।আসুন সবাই একসাথে চলি কথা বলি আর এগিয়ে যাই।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলেই দাদা ব্যস্ততা আমাদেরকে উন্নতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু দিনদিন আমরা মনে হচ্ছে বড্ড অমানবিক হয়ে যাচ্ছি। যান্ত্রিকতার শহরে থাকতে থাকতে আমরা কেমন যেন পাষাণ হয়ে যাচ্ছি। রাস্তা ঘাটে প্রায়ই দেখি বাইক দুর্ঘটনা ঘটলে কেউ হসপিটালে নিয়ে যায় না। আবার অনেকে দেখেও চলে যায়। কিন্তু মানুষ হিসেবে আমাদের উচিত সাহায্য করা। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হায় রে মানবতা। আজকাল তো মানবতার কবর হয়ে গেছে। কোথাও নেই সেই মানবতা নামক মরিচিকার দেখা। সবাই যেন নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। নিজের স্বার্থের জন্য ব্যস্ত, নিজের কাজের জন্য ব্যস্ত। আর এই ব্যস্ততাটুকু আমাদের কে ঠেলে দিচেছ অমানবিকতার দিকে।
আসলে দিনদিন মানুষের মানবিকতা কমে যাচ্ছে। একটা ছেলে অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে আছে আর লোকজন সেটা দেখছে তবুও কেউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে না। মানুষ কতটা অমানবিক হলে এমন করতে পারে। মানুষ মানবিক হলে শত ব্যস্ততার মাঝেও মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
সত্যিই দাদা আজ সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত আর আজ মানবতা পথের ধুলায়।যারা দাঁড়িয়ে দেখছিলো ছেলেটিকে তারা তার বাবাকে ফোন দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেছে বললেই পারতো।কিন্তু তা না করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দোখছে।মানবিকতার আজকাল বড্ড অভাব।
এই শহরে ব্যস্ততার মাঝে মানবতা আজ ক্ষীণ হা হা। যেমনটা আপনি আপনার পোস্টেও শেয়ার করছেন। একটা মানুষ রাস্তায় পড়ে আছে অথচ উৎসুক জনগণ তাকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে সেটা যেন উপভোগ করছে যেটা একেবারেই অনাকাঙ্খিত। প্রতিনিয়ত পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে মানবতা।।
সত্যি আমরা ছুটে চলেছি অদম্য ঘোড়ার গতিতে, যেখানে থামার কোন সুযোগ নেই, নেই মানবতার জন্য দরদী হওয়ার। আফসুস, আমরা শ্রেষ্ঠত্বের বড়াই করি, ছোট-বড় হওয়ার লড়াই করি, কিন্তু দিন শেষে আমরা সবাই একই পথের যাত্রি, যেখানে আমাদের প্রাপ্তি শুধুই শূণ্যতা। পরিবর্তন হোক এই সমাজ ব্যবস্থা।
দাদা ব্যস্ততায় হার মানাচ্ছে মানবতাকে, ব্যস্ততায় হার মানাচ্ছে রক্তের সম্পর্কে। রাস্তার মধ্যে ছেলেটার এমন অবস্থা দেখে সবাই পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে কিন্তু তাকে সাহায্য করার মত কোন লোক নেই। আজকে পৃথিবীতে মানবতা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে এটাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। এ ধরনের ঘটনা গুলো পৃথিবীতে অহরহ ঘটে চলেছে দাদা।
ছেলেটা কি দাদা মারা গিয়েছিল পরে? তবে এতো ব্যস্ততার মাঝে একটা প্রাণের মূল্য অনেক। মানবতা যেন উঠে যাচ্ছে, সবাই সবার কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরছে। কারো দিকে তাকানোর সময় পর্যন্ত নেই।
অনেকটা হৃদয়স্পর্শী ঘটনা দাদা, আসলে আমরা চাইলেও অনেক কিছু করতে পারিনা, হয়তো সেটা নিজেদের ব্যস্ততা, নতুবা পারিপার্শ্বিক চাপের কারণে। সবাই যেন অনেকটা যন্ত্রের মত ছুটছি এই শহরে।