আমার কয়েকটি ফোটোগ্রাফি ।।১৪ নভেম্বর ২০২১।।রবিবার
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন।আশা করি সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আজকে আমার লেখা শুরু করছি।আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চলেছি জীবনানন্দ দাশের রূপসী বাংলা যার রূপের কোন শেষ নেই সেই বাংলার অপরূপ রূপ কে ফোটোগ্রাফির মাধ্যমে।আমি মুগ্ধ হয়েছি বারবার আর তাই এই অপরূপ সৌন্দর্য কে ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ করতে ছুটে গেছি বারবার।গিয়েছি বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে। আমার গতিবিধি সীমিত এই সীমাবদ্ধতার ভিতর আমি চেষ্টা করেছি এই সুন্দর কে সংরক্ষণ করতে।আর সংরক্ষণের সবচেয়ে ভালো প্রক্রিয়া ফটোগ্রাফি।
ও মাঝি রে
Taken from my photography stocks
Captured by Nikon D5600
আমি সর্বদা চেষ্টা করি প্রকৃতি সম্বন্ধে জানতে এবং এর সৌন্দর্য কে সংরক্ষণ করতে।আর কিভাবে করতে হয়?যদিও আমি একজন ফটোগ্রাফার নই ,কখনো নিজেকে মনে ও করি না।কিন্তু ফটো তুলতে আমি খুব পছন্দ করি। ফটোগ্রাফি আমার অত্যন্ত পছন্দের একটা বিষয়। ফটোগ্রাফি করার সঙ্গে সঙ্গে একটা আলাদা অভিজ্ঞতা ও হয়।এজন্য আমি নিজেকে ফটোগ্রাফার হিসেবে পরিচয় না দিলেও ফটো ক্লিকার হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকি।
Taken from my photography stocks
Captured by Nikon D5600
গ্রাম বাংলার অপরুপ রুপ আর এই গ্রুপের প্রত্যেকটি উপাদান আমাদের হৃদয়ের খুব কাছাকাছি।মাটির সঙ্গে যেমন আমাদের শিকড়ের টান রয়েছে তেমনি নদী গাছপালার সঙ্গে আমাদের রয়েছে এক প্রকার আত্মার সম্পর্ক।বন্ধুরা আজকে আমি প্রকৃতির উপাদান সম্বন্ধীয় কয়েকটি ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেব।
প্রথমে আপনি দেখতে পাচ্ছেন একজন মাঝির ফটোগ্রাফি। আমি ক্যামেরাবন্দি করেছিলাম হুগলি নদীর বুকে এই মাঝিকে।সবুজ দ্বীপ নামে একটি দ্বীপে বেড়াতে গিয়েছিলাম তখন দেখা হয়েছিল এই মাঝির সঙ্গে।এই মাঝির নৌকাতেই আমরা নদী পার হয়ে সবুজ দ্বীপে গিয়েছিলাম।মাঝি আমাদের অনেক গল্প শুনিয়ে ছিল।আমরা এলাকার বেশ কিছু খবর জানতে পারলাম তার মাধ্যমে।তিনি তার জীবনের নানা উঠাপড়ার গল্প শোনালেন।প্রত্যেক মানুষের একটা ব্যক্তিগত গল্প থাকে।অন্যের জীবন দর্শন থেকে ও অনেক বাস্তবতা জানা যায়।
Taken from my photography stocks
Captured by Nikon D5600
এবার আমি একটি ফল জাতীয় বস্তুর ফটো তুলেছিলাম কিন্তু এই ফলটি আসলে কি সেই সম্বন্ধে আমার কোন ধারণা নেই।আপনারা যদি কেউ এই বিষয়ে কিছু জানেন তাহলে কমেন্ট এ জানাবেন।এরপরে যে ছবিটা আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি সেটা নারীশক্তির চূড়ান্ত উদাহরণ।নারীরা ঘরে-বাইরে যেভাবে আমাদের সমাজকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে কর্মের মাধ্যমে তা অতুলনীয়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীকে স্বাধীনতা দিয়েছে নামমাত্র কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে নয়।নারীদের সংগ্রাম অত্যন্ত বিনা মূল্যে বিক্রয় হয় এটা খুবই দুঃখের।আমাদের সমাজ আমাদের দেশ এর মন্থর উন্নতির সবচেয়ে বড় কারণ আমরা নারীদের এখনো সঠিক মূল্যায়ন করতে পারিনি। নারীকে নারী হিসেবে দেখে গেলাম মানুষ ভাবতে পারলাম না।
Taken from my photography stocks
Captured by Nikon D5600
Taken from my photography stocks
Captured by Nikon D5600
পরে যে দুটো ছবি আমি শেয়ার করেছি তার প্রথমে দেখা যাচ্ছে একজন মৎস্যজীবীকে। তিনি তার নিজের ঘেরে মাছ চাষ করেন এবং এই মাছের কে কেন্দ্র করে তিনি নিজের জীবিকা নির্বাহ করেন।সেখানে প্রতিদিন সকালে এই লোকটির কাছ থেকে মাছ সংগ্রহ করা যায় অর্থের বিনিময়ে।একদিন যাওয়ার ইচ্ছা আছে দেখা যাক যাওয়া যায় কিনা।এরপর যে ছবিটি আছে সেটা আপনারা সবাই চেনেন ,মাছরাঙ্গা।এই মাছরাঙা ছোটবেলায় শিকার করার বড় ইচ্ছে ছিল।কিন্থ অনেক চেষ্টা করে ও পারিনি।কিন্তু বড় হয়ে মনে হয়েছে যে পারিনি এটা ভালো হয়েছে।না হলে আমার মাধ্যমে একটি নিষ্পাপ সুন্দর পাখির জীবন নষ্ট হয়ে যেত।এই পাখির মাছ ধরার দৃশ্য আমার অসাধারণ লাগে।
|| Community Page | Discord Group ||
Beauty of Creativity.
Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.
Discord
আমি সর্বদা চেষ্টা করি প্রকৃতি সম্বন্ধে জানতে এবং এর সৌন্দর্য কে সংরক্ষণ করতে।আর কিভাবে করতে হয়?যদিও আমি একজন ফটোগ্রাফার নই ,কখনো নিজেকে মনে ও করি না।কিন্তু ফটো তুলতে আমি খুব পছন্দ করি। ফটোগ্রাফি আমার অত্যন্ত পছন্দের একটা বিষয়। ফটোগ্রাফি করার সঙ্গে সঙ্গে একটা আলাদা অভিজ্ঞতা ও হয়।এজন্য আমি নিজেকে ফটোগ্রাফার হিসেবে পরিচয় না দিলেও ফটো ক্লিকার হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকি।
গ্রাম বাংলার অপরুপ রুপ আর এই গ্রুপের প্রত্যেকটি উপাদান আমাদের হৃদয়ের খুব কাছাকাছি।মাটির সঙ্গে যেমন আমাদের শিকড়ের টান রয়েছে তেমনি নদী গাছপালার সঙ্গে আমাদের রয়েছে এক প্রকার আত্মার সম্পর্ক।বন্ধুরা আজকে আমি প্রকৃতির উপাদান সম্বন্ধীয় কয়েকটি ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেব।
এবার আমি একটি ফল জাতীয় বস্তুর ফটো তুলেছিলাম কিন্তু এই ফলটি আসলে কি সেই সম্বন্ধে আমার কোন ধারণা নেই।আপনারা যদি কেউ এই বিষয়ে কিছু জানেন তাহলে কমেন্ট এ জানাবেন।এরপরে যে ছবিটা আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি সেটা নারীশক্তির চূড়ান্ত উদাহরণ।নারীরা ঘরে-বাইরে যেভাবে আমাদের সমাজকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে কর্মের মাধ্যমে তা অতুলনীয়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীকে স্বাধীনতা দিয়েছে নামমাত্র কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে নয়।নারীদের সংগ্রাম অত্যন্ত বিনা মূল্যে বিক্রয় হয় এটা খুবই দুঃখের।আমাদের সমাজ আমাদের দেশ এর মন্থর উন্নতির সবচেয়ে বড় কারণ আমরা নারীদের এখনো সঠিক মূল্যায়ন করতে পারিনি। নারীকে নারী হিসেবে দেখে গেলাম মানুষ ভাবতে পারলাম না।
পরে যে দুটো ছবি আমি শেয়ার করেছি তার প্রথমে দেখা যাচ্ছে একজন মৎস্যজীবীকে। তিনি তার নিজের ঘেরে মাছ চাষ করেন এবং এই মাছের কে কেন্দ্র করে তিনি নিজের জীবিকা নির্বাহ করেন।সেখানে প্রতিদিন সকালে এই লোকটির কাছ থেকে মাছ সংগ্রহ করা যায় অর্থের বিনিময়ে।একদিন যাওয়ার ইচ্ছা আছে দেখা যাক যাওয়া যায় কিনা।এরপর যে ছবিটি আছে সেটা আপনারা সবাই চেনেন ,মাছরাঙ্গা।এই মাছরাঙা ছোটবেলায় শিকার করার বড় ইচ্ছে ছিল।কিন্থ অনেক চেষ্টা করে ও পারিনি।কিন্তু বড় হয়ে মনে হয়েছে যে পারিনি এটা ভালো হয়েছে।না হলে আমার মাধ্যমে একটি নিষ্পাপ সুন্দর পাখির জীবন নষ্ট হয়ে যেত।এই পাখির মাছ ধরার দৃশ্য আমার অসাধারণ লাগে।
দাদা আপনার ফটোগ্রাফি দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। আপনি খুবই দক্ষতার সাথে ফটোগ্রাফিক করেছেন। গ্রামের কৃষক এবং কিষাণী হেঁটে যাওয়ার দৃশ্য আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আপনার ফটোগ্রাফি দেখে আমি অনেক অনুপ্রাণিত হয়ে যাচ্ছি। ফটোগ্রাফি করাটা আমার কাছে এক ধরনের নেশা। গ্রাম্য জীবনের ফটোগ্রাফিক গুলো সব সময়ে অনেক সুন্দর হয়। অনেক ভালো হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফি
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
ওয়াও দাদা!!প্রতিটা ফটোগ্রাফি বেশ সুন্দর।জেলেদের ফটো ও মাঝির ফটোগ্রাফি টা খুব খুব সুন্দর লাগছে দেখতে।শুভকামনা রইল দাদা। আমি আপনার কবিতার অনেক বড় ফ্যান দাদা।
সবগুলো ফটোগ্রাফিই অনেক সুন্দর, তবে আমার বেশি ভাল লেগেছে মাছরাঙার ছবিটি। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো, আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ।শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
এটা খুব একটা সঠিক নয় ভাইয়া। কারণ আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি যেভাবে নারীদের সংগ্রামের মূল দিচ্ছে তা জাস্ট অতুলনীয়, অভাবনীয়। এভাবে যদি আমাদের দেশটা চলতো।তবে কতোই না ভালো হতো আসলে।
লেখাগুলো খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া।
একজন মা যখন দৈনন্দিন জীবনযাপনের স্বার্থে এমন কাজ করেন তখন আমি অন্যান্য বিষয় নিয়েও চিন্তা করি।
তারা যেন সবসময় সুস্থ থাকে।
আমি ফল জানি, গাছটি একটি জলযুক্ত জায়গায় বৃদ্ধি পায়, এটি একটি সসেজের মতো গোলাকার এবং লম্বা হয়।
আমরা এই ফলটিকে ফল দিয়ে বলি "বিউনেট" আমাদের এলাকায় এটির নাম।
আমরা ফল শুকিয়ে কেরোসিনে ডুবিয়ে অন্ধকার রাতে আলো জ্বালিয়ে দিতাম।
হয়তো এটা আমাদের জায়গায় একই এক.
image source
আপনার করা প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা। সেই সাথে প্রতিটি ছবির নিচের বর্ণনাও খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। প্রতিটি ছবি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। প্রকৃতিকে বেশ সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই চমৎকার উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। নিজেকে ফটোগ্রাফার মনে না করলেও ফটো ক্লিকার হিসেবেও কিন্তু খুবই সুন্দর ছবি তুলেন ভাইয়া আপনি। বিশেষ করে লাস্টের ছবিটা আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল আপনার পরবর্তী অভিজ্ঞতার জন্য।
ছবিগুলো যতই দেখছিলাম ততই মুগ্ধ হচ্ছিলাম।দাদা,প্রতিটি ছবি অসাধারণ ও মনমুগ্ধকর।প্রকৃতির ছবি যতই দেখি ততই নতুন রূপে ধরা দেয় চোখে।প্রত্যেকটি ছবিই প্রফেশনাল ভাবে ক্যামেরাবন্দি করা।তবে দ্বিতীয় ছবিটি যে একটি ফলের তা মনেই হচ্ছে না!
নতুন দেখলাম, প্রকৃতির মাঝে সাধারণ মানুষের জীবন যাপন দারুণ ভাবে ফুটে উঠেছে।নারী,মাঝি,জেলে এবং পাখি খুবই সুন্দর লাগছে।ধন্যবাদ দাদা।