আমার শৈশব ও কৈশোরের একটি বিশেষ বিষয়।।০৯ জুন ২০২২।।
Image[Source]
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি আপনাদের সাথে নিজের কিছু একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় তুলে ধরবো।আজকে আমি আমার শৈশব ও কৈশোর সময়ের কিছু কথা আপনাদের বলতে চলেছি।আমি একজন গ্রামের ছেলে।ভালো লাগে ভীষণ নিজেকে এই বলে পরিচয় দিতে যে আমি গ্রামের ছেলে।
যদিও খুব বেশিদিন আমার গ্রামে থাকা হয়নি।পড়াশোনার জন্য শহরে চলে আসি পাকাপাকি ভাবে।কিন্তু বছরের শেষে ক্লাস ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হলেই পরদিনই গ্রামের বাড়ি চলে আসতাম।এই সময়টা স্বাভাবিক ভাবে শীতকাল হতো।তাই আমার জীবনে শীতকাল একটা বিশেষ ভালোলাগার জায়গা।অনেক স্মৃতি অনেক ভালো লাগা মিশে আছে এই শীতকালে।জীবন এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।সত্যি কথা বলতে এখন আমরা বেঁচে আছি এই জন্য যে আমরা বেঁচে আছি ।
Image[Source]
বাবা বড় দাদা ছিল ক্রিকেট অনুরাগী।তাই অনেক ছোটবেলা থেকেই টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখতাম আবার কখনো দুপুরবেলা দাদা বা বাবার পাশে শুয়ে রেডিও তে লাইভ ক্রিকেট কমেন্ট্রি শুনতাম।তখন প্রথম শুনেছিলাম এক ক্রিকেটারের কথা।এক বিস্ময়কর ক্রিকেটের বরপুত্র।নিজের জিনিয়াস ব্যাটিং দেখিয়ে সারা ভারতবর্ষে তিনি এক প্রকার পূজিত হন ক্রিকেট ঈশ্বর নামে।এরপর আর বলার অপেক্ষা থাকে না কে সেই ক্রিকেটার।হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন,তিনি আর কেউ নন টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং জিনিয়াস জীবন্ত কিংবদন্তি সচিন রমেশ টেন্ডুলকার।
শচীন টেন্ডুলকার কে ভালোবেসে প্রথম ক্রিকেটকে ভালোবেসেছি।ইন্ডিয়ার খেলা যেদিন থাকতো সেদিন উৎসব লেগে যেত আমাদের পরিবারে।আমার এখনো মনে আছে ক্লাস সিক্সের ফাইনাল পরীক্ষার সময়কার কথা।শুক্রবার ভারত বনাম পাকিস্তানের খেলা।দুপুর থেকে খেলা শুরু হবে।আর শনিবার সকাল ৮ টায় আমার অঙ্ক পরীক্ষা।আমার বাবা একজন গণিতের নামকরা শিক্ষক ছিলেন,এখন তিনি অবসর এ আছেন।খুব কঠোর ছিলেন আমাদের পড়াশোনার বিষয়ে।
Image[Source]
সেই বাবা আমাকে দুপুরে স্নান করা অবধি টানা অঙ্ক করিয়ে আমাকে প্রস্তুত করে দিলেন।আর দুপুর থেকে রাত ১০ অবধি পুরো ODI ম্যাচ আমরা সবাই মিলে অনেক আনন্দের সাথে দেখেছিলাম।এমনিই ক্রিকেট অনুরাগী ছিলেন আমার বাবা।সেই ধারাবাহিকতায় আমিও ভালোবেসে ফেললাম এই ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীনকে।একসময় সারাদিন ধরে ক্রিকেট খেলতাম।জীবনের অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করে অনেক জায়গায় টুর্নামেন্ট খেলে বেড়িয়েছি।ক্রিকেট ব্যাট ছিল আমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস।এখনো কোথাও ব্যাট বল দেখলে দারুন ভাবে আপ্লুত হই।
গ্রামে আমরা সবাই মিলে ব্যাট তৈরি করতাম।আমাদের একটা বিশাল বাগান আছে।সেখানে প্রচুর লম্বা লম্বা মোটমুটি মোটা গাছ ছিল।সেই গাছ কেটে আমরা ব্যাট তৈরী করতাম।এই ব্যাট তৈরী করা একটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল।কিন্তু এটা বলা অত্যুক্তি হবে না যে ব্যাট গুলো সত্যি অনেক ভালো হতো।আমার প্রথম ভালো ব্যাট কিনে দিয়েছিলো আমার বড়দা।সেই মুহূর্তটা ছিল আমার জীবনের শ্ৰেষ্ঠ ভালোলাগা।
Image[Source]
শচীন টেন্ডুলকার আর সৌরভ গাঙ্গুলির বিশ্বসেরা ওপেনিং জুটির খেলা দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি তবে শচীন ও শেবাগ এর অসাধারণ ওপেনিং দেখা সত্যি জীবনটা স্বার্থক হয়ে গেছে।এই জীবনে যতবার শচীনকে আউট হতে দেখেছি ততবার গভীর ভাবে আঘাত পেয়েছি।আমি শচীন টেন্ডুলকার কে একবার দেখেছি সরাসরি আর সেটাই ছিল আমার মানুষ হিসেবে একবার ঈশ্বর দর্শন।
এক এক করে সময় অনেক পেরিয়ে গেছে।এক সময় আমাদের সবারই একটা পয়েন্টে এসে থামতে হয়।এটাই জীবনের নিয়ম,নতুন কে জায়গা করে দিতে হবে।সেই নিয়মকেই মান্যতা দিয়ে শচীন রমেশ টেন্ডুলকার অবসর গ্রহণ করে।আমি এখনো মাঝে মাঝে শচীন এর ফেয়ারওয়েল স্পিচ টা শুনি।সত্যি অসাধারণ বলেছিলেন ক্রিকেট ঈশ্বর।
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.
Discord
ছোটবেলা থেকেই আমিও ক্রিকেটপ্রেমী একজন মানুষ। আমার মনে আছে একদিন ভারত পাকিস্তানের খেলা হচ্ছিল আর সেই দিন আমার পরীক্ষা ছিল কিন্তু আমি খেলা দেখার জন্য পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম না। ওই দিন পরীক্ষা দিতে না পেরে যতটা না কষ্ট লেগেছে তার থেকে বেশি কষ্ট লেগেছিলো ভারতে হেরে যাবার কারণে। সম্ভবত ঐদিন শচীন টেন্ডুলকার ৯৯ রানে আউট হয়ে গিয়েছিল। আরো একদিন সব থেকে বেশি কষ্ট পেয়েছিলাম যেদিন শচীন টেন্ডুলকার অবসরের ঘোষণা দিয়েছিল।
ভারতের জাতীয় দলের পুরাতন খেলোয়াড় গুলো অবসর হয়ে যাবার পর থেকেই খেলা দেখার প্রতি আকর্ষণ অনেকটাই কমে গেছে আমার। সত্য কথা কি বলতে জানেন দাদা এবার আইপিএল খেলা হল কিন্তু একটা ম্যাচ দেখতে পারিনি। কিন্তু ছোটবেলার কথা মনে পড়ে কত কিছুই না করতাম ক্রিকেট খেলা দেখার জন্য।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
আমিও ঠিক আপনার মতই।😍
আর সত্যিই আমি কিন্তু ভারত এর ক্রিকেট এর চরম ভক্ত,বিশেষ ভিরাট আর msd এর বিগ ফ্যান আমি।তবে শচীন এর খেলা আমার ভালো লাগে যখন আমি ক্রিকেট বুঝতে শিখি,আমি এখনও সচিন স্যার এর সেই স্ট্রেইট ড্রাইভ এ সিক্স মারার ভিডিও গুলো ইউটিউবে দেখি😍
ক্রিকেট হচ্ছে একটি সুসভ্য ও পরিশীলিত খেলা। আমি আপনার মত ক্রিকেট খেলার এত বড় ফ্যান না হলেও এই খেলার প্রতি আমার ভালোবাসাও একেবারে কম নয়। শচীন আসলেই ছিলেন একজন জিনিয়াস। তার মত ক্রিকেটার হয়তো শতবর্ষে একজন জন্মগ্রহণ করে। আপনার বাবা এবং পরিবারের এমন ক্রিকেট অনুরাগ দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দাদা
শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী আর শেবাগের মতো ব্যাটসম্যান ছিল বলেই ক্রিকেটের প্রতি আলাদা একটা ভালোবাসা তৈরি হয়েছিল। এই মহারথিরা অবসর গ্রহণ করার পর থেকে ক্রিকেট খেলা দেখে আগের ওই মজা টা খুব একটা পাই না। কি যেন নেই, কি যেন নেই এমন মনে হয়। তবে দাদা আমি নিজেও অনেকটা আপনার মতই ক্রিকেট পাগল ছিলাম। এখনও মাঠে গিয়ে বসে বসে ক্রিকেট খেলা দেখি। কি যেন অদ্ভূত একটা শান্তি পাই মনে।
যতদিন ক্রিকেট খেলা থাকবে ততদিন এই কিংবদন্তিরা জীবন্ত হয়ে থাকবেন মানবমনে।আমি ক্রিকেট খেলা তেমন ভালো বুঝি না ,শুধু চার -ছক্কা ছাড়া।যেকোনো খেলা খুবই আনন্দের, এভাবেই খেলতাম মাঝে মাঝে ছোটবেলায়।আর টিভিতে দেখতাম মাঝে মাঝেই, তবে আমি ফুটবল খেলা মিস করি না।টিভিতে 4 বছর অন্তর ফিফা ওয়াল্ড কাপ দেখতে আমি বেশ ভালোবাসি ,ফুটবল খেলাটা মোটামুটি সবাই বোঝে।যাইহোক তোমার অনুভূতি আর অঙ্ক পরীক্ষার প্রস্তুতির কথা জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ দাদা।
শচীন টেন্ডুলকার আর সৌরভ গাঙ্গুলির ওপেনিং দেখেই ইন্ডিয়ার সাপোর্টার হয়েছি। এদের খেলে দেখতে এত ভালো লাগত। শচীনের শেষ ম্যাচ টার কথা আজো মনে আছে। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম সেইদিন।
আপনার বাবা আসলেই অনেক বড় ক্রিকেটপ্রেমী ছিল। তা না হলে পরীক্ষার আগেরদিন ক্রিকেট দেখতে দেয়।
প্রিয় দাদা খেলা ধুলার মধ্যে সব থেকে ক্রিকেট খেলা আমার খুবই প্রিয়, কারণ ক্রিকেট খেলা অনেক শান্ত পরিবেশের খেলা।
সত্যি বলতে ছোট বেলার ভালো লাগা গুলো পরিবারের মানুষ গুলোর থেকে শিখা, আপনাদের পুরো পরিবারের ক্রিকেট খেলার প্রতি ভালোবাসা দেখে আমি মুগ্ধ দাদা, এছাড়াও শচীন টেন্ডুলকারের প্রতি আপনার এতো ভালোবাসা দেখে আমার কান্না কান্না ভাব চলে আচ্ছিল, এতোটাই ভালোবাসা ছিলো দাদা জেনাকে আপনি ঈশ্বর বলে মানতেন, সত্যি আপনার ভালোবাসার তুলনা হয় না, আপনার প্রতি অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো প্রিয় দাদা।
ইন্ডিয়ার ক্রিকেটর এর এক নাম সচিন টেন্ডুল্কার আর অপর নাম সৌরভ গাঙ্গুলী আর এই নাম দুটি ক্রিকেট মাঠের কথা স্মরন করিয়ে দেয়। প্রাইমারি লেবেলে যখন মাঠে খেলতে যেতাম ঐ নাম দুটি নিয়ে আমরা ক্যাপ্টেন রোল নিতাম , যার মধ্যে ছিল আমার প্রিয় শচিন , কারন একটু বেশি পেটাতো। ক্রিকেট ভালোবাসি কিন্তু আগের মত আর খেলতে পারি না দাদা, তবে ক্রিকেট নেশা আছে এখনও।
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community