ছায়ার আড়ালে ছায়া।।২৮ আগস্ট ২০২৪
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি একটা গোয়েন্দা গল্প লিখতে চলেছি।আশা করি আপনাদের ভালোই লাগবে।
শহরের বুকে এক নীরব রাত।চারপাশে কুয়াশার চাদরে মোড়ানো শহর যেন ঘুমিয়ে আছে গভীর নিদ্রায়।ঠিক সেই সময়েই ঘটে গেল এক ভয়াবহ ঘটনা।মির্জা হাউজের প্রাচীন এবং ধনী মালিক জনাব হাসান মির্জা নিজের বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলেন।মুখে অদ্ভুত এক হাসি যা তার স্বাভাবিক স্বভাবের সাথে একেবারেই বেমানান।
মৃতদেহের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কিছু কাগজপত্র এবং টেবিলের উপর অর্ধেক খোলা একটি পুরনো ডায়েরি।আর সেই ডায়েরির প্রথম পাতায় লেখা আছে: "যা ঘটছে তা দেখার জন্য তৈরি হও।"
ডিটেকটিভ আরিফ শহরের বিখ্যাত গোয়েন্দা, ঘটনা শোনার পর পরই মির্জা হাউজে হাজির হন।পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও আরিফের আলাদা মত ছিল।কিছু একটা ছিল যা তার মনকে বারবার অসস্তিতে ফেলে দিচ্ছিল।
মির্জা হাউজ ছিল শহরের অন্যতম পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী বাড়ি।এটি প্রায় দুইশ বছর আগে মির্জা পরিবারের পূর্বপুরুষের হাতে নির্মিত হয়েছিল।বাড়ির প্রতিটি ইট যেন কোনো না কোনো গোপন রহস্য লুকিয়ে রেখেছিল।
আরিফ প্রথমে বাড়ির সবার সাথে কথা বলতে শুরু করেন।কাজের মেয়ে রুকু জানালো রাতের খাবারের পর মির্জা সাহেব তার ঘরে চলে যান। এরপর তিনি কারো সাথে কথা বলেননি।
তবে মির্জার মেয়ে জারা জানালো যে রাত দশটার সময় বাবার ঘরে একটা শব্দ শুনতে পেয়েছিল কিন্তু তিনি ভেবেছিলেন হয়ত বাতাসে জানালা খোলা হয়েছে।
আরিফ এরপর মির্জা সাহেবের ঘরটি পরীক্ষা করতে শুরু করলেন।তিনি লক্ষ্য করলেন ঘরের এক কোণে একটি গোপন দরজা।দরজাটি দেখতে সাদামাটা হলেও এর পিছনে লুকিয়ে ছিল একটি ছোট্ট কামরা।আর সেই কামরার ভিতরেই আরিফ খুঁজে পেলেন একটি পুরনো ছবি।ছবিতে মির্জা সাহেবের সাথে আরেকজন লোক যার মুখে একই অদ্ভুত হাসি।
আরিফ ছবিটি নিয়ে জারার কাছে গেলেন।জারা জানান যে ছবির লোকটি তার দাদুর এক পুরনো বন্ধু শফিক সাহেব, যিনি একদিন হঠাৎ করে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান।
আরিফ তখন বুঝতে পারলেন এই মৃত্যু কোনো সাধারণ ঘটনা নয়।এটি একটি পুরনো প্রতিশোধের চক্রান্ত।
রাত বাড়ার সাথে সাথে আরিফ সেই ডায়েরিটি খোলেন এবং পড়তে শুরু করেন।ডায়েরিতে লেখা ছিল সেই সময়ের গল্প যখন মির্জা পরিবারের পূর্বপুরুষরা শফিক সাহেবের সাথে ব্যবসা করতে গিয়ে তাকে প্রতারণা করে।সেই ক্ষোভে শফিক প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে একদিন তিনি প্রতিশোধ নেবেন।
আরিফ যখন এইসব চিন্তা করছিলেন তখনই বাড়ির বাইরে একটি গাড়ির শব্দ শুনতে পেলেন। তিনি দ্রুত বাইরে এসে দেখলেন একটি কালো গাড়ি বাড়ি থেকে দ্রুত সরে যাচ্ছে।আরিফ তখনই গাড়িটি ধাওয়া করতে শুরু করেন।
অবশেষে শহরের বাইরে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সামনে গাড়িটি থামল।আরিফ যখন ভিতরে ঢুকলেন তখন তিনি দেখতে পেলেন শফিকের ছেলে, রিফাত যার মুখেও সেই অদ্ভুত হাসি। রিফাত স্বীকার করলেন যে তিনি তার বাবার প্রতিশোধ নিতে মির্জা সাহেবকে হত্যা করেছেন।
আরিফ রিফাতকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করলেন।শহরের জন্য একটি ভয়াবহ রাত শেষ হলো কিন্তু আরিফ জানতেন যে নীরব রাতের ছায়ার পিছনে আরও অনেক গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
দারুণ একটি গল্প শেয়ার করলেন দাদা মন দিয়ে লেখাপড়ার চেষ্টা করছি। ব্যবসা-বাণিজ্য, মানুষ মানুষকে ঠকানো এবং লোভ এগুলো আমাদের সমাজে থাকবে। এ ধরনের অপকর্মগুলো সব সময় থাকবে। তবে একটা কথা বলতে হয় সেটা হচ্ছে পাপ কখনো কাউকে ছাড়ে না। পাপের কর্মফল একদিন না একদিন ভোগ করতে হয়। দারুণ অভিজ্ঞতা নিয়ে গল্প টি লেখার জন্য ধন্যবাদ।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
ডিটেকটিভ গল্প হিসেবে দারুন লিখলেন।। পরের গল্প পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। আপনার সাহিত্য কর্মের পরিচয় পাই মাঝে মাঝে। ভালো লাগে পড়তে। আরো ভালো লিখুন এবং আমাদের মাঝে উপহারস্বরূপ দিন এই প্রার্থনাই করি। আরিফের কার্যকলাপ বেশ আগ্রহের জন্ম দিচ্ছে। গল্পটির শেষে যে একটি টুইস্ট অপেক্ষা করছে তা আগেই বুঝতে পেরেছিলাম।
গোয়েন্দা গল্প পড়তে খুব ভালো লাগে। কারণ এই ধরনের গল্প রহস্য দিয়ে ঘেরা থাকে। দাদা আপনি কবিতার পাশাপাশি দারুন গল্প লিখেন। মির্জা সাহেবের রহস্যময় মৃত্যুর সমাধান আরিফ সাহেব খুব তাড়াতাড়িই বের করেছেন। প্রতিশোধ খুবই খারাপ একটি জিনিস। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এরকম গল্প গুলো পড়তে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি আজকে খুব সুন্দর একটা গল্প শেয়ার করেছেন দাদা। শফিকের ছেলে রিফাত নিজের বাবার প্রতিশোধের জন্য মির্জা সাহেব কে দেখছি হত্যা করেছে। কিন্তু তারপরেও কোনো না কোনো রহস্য থেকে গিয়েছে, যেটা কারো এখনো জানা নেই। অসমাপ্ত থেকে গেলো সেই রহস্যটা।
গল্প শুনতে ও পড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগে।আর তা যদি হয় গোয়েন্দা গল্প তবে ভালো লাগাটা একটু বেশীই হয়।আপনার লেখা গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো দাদা।প্রতিশোধ খুব মারাত্মক ব্যাপার।আঘাত পাওয়ার পর প্রতিশোধ নিতে মানুষ হিংস্র হয়ে অনেক কিছুই করে।শেষ পরিনতি না ভেবেই।অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা চমৎকার একটা গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে পাপ বাপকেও ছাড়ে না। মির্জা পরিবারের পূর্ব পুরুষেরা রিফাতের বাবা অর্থাৎ শফিক সাহেবের সাথে প্রতারণা করেছিল বলে,রিফাত মির্জা সাহেবকে খুন করে প্রতিশোধ নিয়েছে। এই ধরনের গল্প পড়তে আসলেই খুব ভালো লাগে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।