জীবন ও আনুষঙ্গিক পরিবর্তন।।১২ মে ২০২৩
হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন।সবাই কে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি আবার ও জীবন সম্পর্কে লিখতে চলেছি।জীবন ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে লিখতে আমার খুব ভালো লাগে।জীবন বহমান নদীর মতো।করো জন্যই বা কোনো কিছুর জন্যই থেমে থাকে না তবে কখনো কখনো বদলে যায় গতিপথ। পরিবর্তনই জগতের নিয়ম।পরিবর্তন খুবই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।যেকোনো ইতিবাচক পরিবর্তন জীবন ও জগতের মঙ্গলের জন্য খুবই সহায়ক।আজকে আমি যে বিষয় টা নিয়ে আলোচনা করছে চলেছি সেটা হলো "নিজেকে সময় দেওয়া ও আনুষঙ্গিক পরিবর্তন"।
বিষয়:নিজেকে সময় দেওয়া ও আনুষঙ্গিক পরিবর্তন।
আমরা একটা সময় পর জীবিকা নির্বাহের জন্য খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়ি।এই যুগে ব্যস্ততা খুবই সাধারণ একটা বিষয়। সবাই যার যার মতো করে ব্যস্ত।আসলে কাজের ধরন ও পদ্ধতির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যস্ততা ও ভিন্ন।তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে আমরা সবাই ব্যস্ত।যে বেকার সেও কিন্তু ব্যস্ত।কি আপনাদের হাসি পেয়ে গেলো তো?কিন্তু কথাটা কিন্তু আমি খুব একটা ভুল বলিনি।আপনারা একটু চারিপাশ টা খেয়াল করলে আমার কথার সত্যতা অবশ্যই ধরতে পারবেন।
অর্থাৎ ব্যস্ততা কে আমরা দুটো ভাগে অনায়াসে ভাগ করতেই পারি।একটা হলো প্রোডাক্টিভ ব্যস্ততা ও আরেকটা হলো আউটপুট বিহীন ব্যস্ততা।যে ছেলেটা পাড়ায় আড্ডা দেয় ,ক্লাব এ ক্যারাম খেলায় ব্যস্ত থাকে সেটা ব্যস্ততা তো বটেই কিন্তু প্রোডাক্টিভ নয়।আর সেটা নিজের সমাজের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনে না।
তাই আমাদের ব্যস্ততা প্রোডাক্টিভ করতে হবে।তাই বলে ওই ছেলেটার মতো ব্যস্ততা একদম অপ্রয়োজনীয় নয়।জীবনকে সচল ও চাপমুক্ত রাখতে এই ব্যস্ততা ও সমান্তরাল ভাবে একটু রাখা আবশ্যক।
তবে এই কর্মমুখর ব্যস্ততার মাঝে আমরা পরিবার কে সময় দিতে ব্যর্থ হই।তাই মাঝে মাঝে অনেক কষ্ট করে আমরা সময় বের করি।পরিবার কে ভালো রাখার জন্য।কিন্তু এতো কিছু করার পর একটা ভীষণ দরকারি কাজ আমরা করতে ভুলে যাই।সেটা হলো নিজেকে সময় দেওয়া।নিজেকে নিয়ে একটু ভাবা একটু আত্ম পরীক্ষণ করা জরুরি।তাতে নিজের খামতি গুলো খুঁজে বের করা যায়।আর নিজেকে আরো জীবনমুখী করে তোলা যায়।নিজেকে বুঝলে আর নিজেকে ভালোবাসলে কাছের মানুষ গুলো ও ভালো থাকতে শুরু করে।
নিজেকে বেশি বেশি করে সময় দিলে কিছু পরিবর্তন আসে।এই পরিবর্তন নিজেকে আরো মার্জিত করে তোলে।আগের অনেক চিন্তা ভাবনা গুলো ও পরিবর্তন হয়।আগের চিন্তা ও ধারণা গুলো ভুল ছিলো বলে সেগুলো পরিবর্তন হবে সেটা কিন্তু একদমই নয়।সময় ও বর্তমান অবস্থান মানুষকে নতুন ভাবে ভাবতে শেখায়।সেটা কখনোই অনুচিত নয়।ভালো ভীষণ আপেক্ষিক বিষয় তাই একটা ধারণা দিয়ে তাকে বিচার করা ঠিক নয়।পরিবর্তন স্বাভাবিক আসবে যাবে আর জীবন এগিয়ে যাবে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য।
আপনি সত্যি বলেছেন, পারিপার্শ্বিক ব্যস্ততায় আমরা ভূলেই যাই আমাদের নিজেদের কথা,আমাদের পরিবারের কথা।শত ব্যস্ততাকে উপেক্ষা করে যদি নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে একটু সময় দেওয়া যায় তবে উভয়ই ভালো থাকবো,আমাদের নিজেদের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হবে।
দাদা অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন আপনি। আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। দাদা এটা সত্য যে, আমরা অত্যন্ত ব্যস্ত থাকার কারণে আমাদের পরিবারকে তেমন সময় দিতে পারি না। আর নিজেকে সময় দেয়ার মধ্যেই নিজেকে বিশুদ্ধ করে তোলা সম্ভব। খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দাদা আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। এটা খুব সত্যি কথা ছেলে কিংবা মেয়ে সে যেই হোক পরিবারকে সময় দেয়া উচিত।তবে তার চাইতে বেশি উচিত নিজেকে নিজের সময় দেয়া।তাতে করে নিজের ভাবনাগুলোর ও সময়ের সাথে সাথে কিছুটা হলেও সংশোধন করে নেয়া যায়। সময় ও মানুষের বর্তমান অবস্থান তাকে নতুন করে ভাবতে শেখায়।ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয়কে নিয়ে আজ পোস্ট শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইলো দাদা আপনার জন্য।
শতভাগ সত্য ও বাস্তব কথা। এমনটা আমার কাছেও মনে হয়। যথার্থ বলেছেন ভাই 🙏
খুব সুন্দর কিছু কথার সাথে সাথে জরুরী একটা বিষয়ও দারুণভাবে উপস্থাপন করেছেন দাদা, সত্যি স্কুল জীবন হতে শুরু করে চাকুরী জীবন পর্যন্ত, নানাভাবে ব্যস্ত সময় পার করেছি কিন্তু নিজেকে কখনো সময় দিতে পারি নাই এবং এটা নিয়ে চিন্তাও করা হয় নাই কখনো। ধন্যবাদ বিষয়টি উপস্থাপন করার জন্য।
পোস্টটি দেখে বেশ ভালো লাগলো..সুন্দর লিখেছেন বেশ...
খুব সুন্দর একটি টপিক নিয়ে আপনি আজকে লেখাটি লিখেছেন দাদা। খুবই ভালো লাগলো লেখাটি পড়ে। সত্যিই তো জীবন কখনো কারো জন্য থেমে থাকে না ।ঠিক কোনো না কোনভাবে সময়ের সাথে পরিবর্তন এসেই যায়। ঠিকই বলেছেন দাদা, আমরা সবাই প্রচন্ড ব্যস্ত হয়ে উঠেছি। এই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে নিজের পরিবারকে কখনো আলাদা করে সময় দেওয়া হয় না নিজের জন্যও হয়তো খুব বেশি আলাদা করে সময় দেওয়া হয় না, তবুও আমরা মাঝে মাঝে চেষ্টা করি নিজেদের পরিবারকে সময় দেওয়ার জন্য। এটাও ঠিক সময়ের সাথে সাথে আমাদের চিন্তা ভাবনা গুলো ধারণাগুলো সবই পাল্টাতে থাকে, তাই আমাদের জীবন কোনো না কোনোভাবেই ঠিক এগিয়ে যাবেই ,থেমে থাকবে না।
দাদা বেশ সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজ আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করলেন। আমাদের ব্যস্তময় জীবনে আমরা অনেক সময় নিজের পরিবার এবং নিজেকে সময় দিতে ভুলে যাচ্ছি। এতে করে আমরা নিজেদের ক্ষতি ডেকে আনছি। আমরা যদি পরিবার এবং নিজেদেরকে কিছুটা সময় দেই তাহলে আমরা যেরকম নিজেদেরকে ভালোভাবে চিনতে পারব তেমনভাবে পরিবারের ভালোবাসা অর্জন করতে পারব।