গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য্য ।।পর্ব -০২।।৭ মার্চ ২০২২।।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।
"আবার আসিব ফিরে,
ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়।
হয়তো মানুষ নয়, হয়তো শঙ্খচিল
শালিখের বেশে,
আবার আসিবো ফিরে,
ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়।"
কবি জীবনানন্দ দাশ বাংলার রূপে মুগ্ধ এই আশা ব্যক্ত করেছিলেন।কবির মতো আমাদের ও এই প্রত্যাশা।কিন্তু শব্দ প্রয়োগের সীমাবদ্ধতা ও অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ এর অপারগতা আমাদের কবির মতো হতে দেয় না।কি এমন মাদকতা এই বাংলার রূপে?কিসের এতো গভীর মায়া প্রকৃতির পরতে পরতে।
একজন বাঙালিই কেবল বুঝতে পারে এই রূপের তাৎপর্য।আমি আগেও বহুবার বলেছি আমি ও প্রকৃতিপ্রেমী।শহরের কংক্রিটের প্রাণহীন আধুনিকতা ও জৌলুস আমাকে টানে না।গ্রাম বাংলার নির্মল পরিবেশ আমাকে দেয় অনাবিল প্রশান্তি।সত্যিকারের জীবনের নির্যাস পাওয়া যায় সবুজের প্রাচুর্যে।তাই সময় পেলেই আমি নিজের বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ি।
করোনার আগে বন্ধুদের সাথে বাইকে ট্যুর ও ফোটোগ্রাফি ছিল অনেকটা নিয়মিত ব্যাপার।কিন্তু করোনা আরম্ভ হওয়ার পর একই ঘুরে বেড়াই।আর তখনই নিজেকে আমি আবিষ্কার করেছি প্রত্যেকদিন নতুন নতুন ভাবে।নিজেকে শুধরে নিতে ও শিখেছি তবে এই প্রক্রিয়া বেশ জটিল ও কঠিন।
বন্ধুরা আজকে ও আমি মূলত গ্রাম বাংলার কয়েকটি প্রাকৃতিক ছবি ভাগ করে নেব আপনাদের সাথে।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।আর আপনাদের একটু ভালো লাগলেই আমার এই পোস্ট লেখা সার্থক।
কিছুদিন আগে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়েছিলাম আমাদের একজন বন্ধুর বাড়িতে।বন্ধুটি কলকাতায় পড়াশোনা করে তাই আমাদের কাছেই থাকলে ও তার বাড়ি বর্ধমানে।আর সে সেখানেই আমাদের আমন্ত্রণ করেছিল যেতে।অনেক দিন ধরে যাওয়ার ইচ্ছে তবে ঠিক ব্যাটে বলে সংযোগ হচ্ছিলো না।তাই আবার হুট্ করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম।
আলোকযন্ত্র :মোবাইল ফোটোগ্রাফি
বর্ধমান,পশ্চিমবঙ্গ,ভারত।।
হৃদয়ে সবুজ বাংলা
বর্ধমানে একদম গ্রামে আমাদের বন্ধুটির বাড়ি।আর হয়তো এটাই আমার যাওয়ার পিছনে একটা বড় কারণ হিসেবে কাজ করেছে।আমরা ট্রেন ও ভ্যান সহযোগে আমাদের গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম।কিছুদূর যেতেই বন্ধুটির সাথে দেখা হয়ে গেল তাদের গ্রামের রাস্তায়।আমাদের জন্য জন্যই বন্ধুটি ওখানে অপেক্ষা করছিলো।
যাইহোক আমরা তার বাড়িতে গিয়ে পৌঁছলাম।বন্ধুর বাড়িতে যে আতিথেয়তা পেয়েছি তা আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করেছে।আমরা দুদিন ছিলাম ওখানে।এই দিন দুটিতে আমরা ওখানে প্রচুর ঘুরেছি এবং অনেক ফোটোগ্রাফি করেছি।সেই সব ফটো গুলো থেকে কয়েকটি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম।
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.
Discord
এত সুন্দর দৃশ্য আগে দেখিনি তোমার মাধ্যমে দেখতে পেলাম দেখে খুবই ভালো লাগলো
সত্যি ভাই আজকের দৃশ্যগুলো একদম কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার সাথে মিলে গেছে, প্রকৃতির এই অপরূপ এবং নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য, যতই দেখি হৃদয় ততোই মুগ্ধ হয়ে যায়। ফটোগ্রাফিগুলো জাষ্ট অসাম হয়েছে।
দাদা হাঁসের ছবি দুটো এবং সূর্যাস্তের ছবি গুলো খুবই সুন্দর তুলেছেন। এই রকম নিরিবিলি ও গ্রামীণ পরিবেশে গেলে এমনিতেই মন হালকা হতে বাধ্য বা হয়ে যায় ।
জীবনানন্দ দাশের কবিতা গুলো বরাবর কালজয়ী ।তিনি গ্রামের প্রকৃতিকে নিয়ে অসাধারণ কবিতা লিখেছেন। আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়ি তীরে এই বাংলায় ।কবিতাটি আমার প্রিয় একটি কবিতা।
জীবনানন্দ দাশকে প্রকৃতির কবি বলা হয়। সত্যিই একজন বাঙালি বুঝতে পারে প্রকৃতির সৌন্দর্য কত! আমি শেষ কবে যে গ্রামের এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরেছি মনে নেই। ভীষণ মিস করি দাদা এসব। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে।
সূর্য অস্তের ছবিগুলো এবং পুকুরের জলে হাঁসের খেলা করার ছবি আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
এই কবিতাটি ছোটবেলায় অনেক পড়েছি। আর কবিতাটি আমার কাছে খুবই ভাল লাগত। আর এই কবিতাটি ধানসিঁড়ি নদীর কথা আছে সেটা কিন্তু আমাদের জেলায়। আমাদের জেলা ঝালকাঠি দাদা। খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু গ্রামের দৃশ্যের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দাদা। ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে গ্রামের দৃশ্য গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়। আর এর ফটোগ্রাফি যদি খুবই সুন্দর ভাবে করা যায়। সেগুলো দেখতে আরো বেশি সুন্দর হয়। আপনি খুবই নিখুঁতভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন দেখতে অসাধারণ লাগছে। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য দাদা। আর আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা প্রত্যেকটি ছবি আমার মন কেড়ে নিয়েছে। সকাল সকাল এত সুন্দর সুন্দর ছবি দেখব আশা করিনি। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই অসাধারণ লেগেছে। সূর্য অস্ত যাওয়ার ছবিগুলো আমার খুবই চমৎকার লেগেছে। এত অসাধারন কিছু ছবি আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
খুব সুন্দর কিছু গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনি আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। অনেক চমৎকার ফটোগ্রাফি ছিল দাদা। বিশেষ করে তালগাছের শারি গুলো ,এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার সময়, এবং যখন হাঁসটি পাখা মেলে পানি থেকে উঠতে ছিল, সবগুলোই অনেক মনমুগ্ধকর। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা এত সুন্দর ফটোগ্রফি আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
গ্রাম বাংলার অপরুপ সৌন্দর্য কে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তুলেছেন। গ্রাম বাংলার প্রতিটি ছবি অনেক সুন্দর। তাল গাছের উপর সূর্য দৃশ্যটি অনেক সুন্দর লাগতেছে। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে গ্রাম বাংলার অসাধারণ ছবিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
গ্রাম বাংলার অপরুপ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম দাদা। আপনি অনেক সুন্দর করে গ্রাম বাংলার অপরুপ সৌন্দর্য আপনার ফটোগ্রাফিতে তুলে ধরেছেন। দাদা আপনার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে। সাদা হাঁসের পানিতে ভেসে বেড়ানো ও পাখা মেলার ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি যেন এক একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। দারুন সব ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইলো দাদা।
গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বিশেষ করে তালগাছের ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। অসাধারণ ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন দাদা। আপনার ফটোগ্রাফি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।