মেটাভার্স - একটি কল্পিত দুনিয়া ।আমরা কি ভালো থাকবো ?

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)
image.png

Source

BoC- linet.png


হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার আজকের লেখা শুরু করছি।আজকে আমি এমন এক ব্যক্তির সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি যাকে অনায়াসে রূপকথার আশ্চর্য মানুষ বলা যায়।সময়ের সাথে আমাদের যেখানে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়েই ছন্দ পতন হয় সেখানে এই মানুষটি ছিলো সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে।আর তাই তো তিনি আজকে সবার কাছে মার্ক জুকারবার্গ নামে পরিচিত।

খেলার ছলে এই বিস্ময়কর মানুষটি যে face mash application তৈরি করে ছিলেন ২০০৩ সালে সেটাই আজকের ফেসবুক ,এক রূপকথা।২০১৪ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় নিজ ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য তৈরি করেন ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

সহপাঠী এডুয়ার্ডো স্যাভেরিন,এন্ড্রু ম্যাককলাম, ডাস্টিন মস্কোভিটজ এবং ক্রিস হিউজের সাথে নিয়েই এই যুগান্তকারী application টি তৈরি করে ছিলেন।শোনা যায় এই কাজের জন্য তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত করা হয়।কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় drop out ই আজকে সবার রোল মডেল।

আর এই ফেসবুক কেই নিয়ে নিয়ে ২০০৭ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি বিলিয়নিয়ার হোন।এই একটি আইডিয়া ও উদ্যোগ তাকে দিয়েছে প্রতিষ্ঠা যশ ও অর্থ।এরপর নিজের মেধা আর ব্যবসায়িক দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে তিনি facebook কে সারা বিশ্বের মধ্যে এক বৃহৎ আইটি কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।

এরপর তার হাত ধরে একে একে এসেছে নানা ফিচার আর অনুষঙ্গ হিসাবে কিছু বিতর্ক।ভালোর সঙ্গে কিছু অন্ধকার তো থাকবেই।এটাই নিয়ম এটাই প্রকৃতির অনবদ্য বিচার।

অতি সম্প্রতি মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুক এর বার্ষিক সম্মেলনে মূল কোম্পানির নাম বদলে রেখেছেন মেটা।Metaverse term থেকেই এই মেটা নাম টা নেয়া হয়েছে।সালটি ছিলো ১৯৯২ স্টিফেনসন তাঁর ‘স্নো ক্র্যাশ’ উপন্যাসে সর্বপ্রথম ‘মেটাভার্স’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন।

কি এই মেটাভার্স?

আমরা জানা টুকিটাকি মহাবিশ্ব নিয়ে জানার চেষ্টা করেছি তারা সবাই জানি যে এই মহাবিশ্বের মতো আরো অনেক মহাবিশ্ব রয়েছে।এই হাইপোথিসিস কে multivurse বলে।আমি blacks আমার মতোই নাকি আরো blacks আছে অন্য মহাবিশ্ব আর time travel এর মাধ্যমে গিয়ে বলে তাদের সাথে আমি দেখা ও করতে পারবো।মেটাভার্স হলো একটি virtual দুনিয়া।আমাদের এই বাস্তব দুনিয়ার সমান্তরাল অন্য একটি দুনিয়া যেটা সম্পূর্ণ রূপে virtual।একজন ব্যক্তি নিজের একজন প্রতিনিধি তৈরি করে এই দুনিয়ায় নিজেই প্রবেশ করতে পারবে।


image.png

Source


আপনি আর আমি এখন ভিডিও কলে আড্ডা মারি কিন্ত মেটাভার্স এ আপনি আর আমি পাশাপাশি বসে আড্ডা মরবো।আমাদের সাপ্তাহিক discord আড্ডা হয়ে যাবে একে বারে বাস্তবের মতো কিন্ত বাস্তব নয়।তখন এই virtual দুনিয়ায় আমরা সবাই হাজির হবো আর যতই virus আসুক না কেন সবাই পাশাপাশি বসে hangout করলেও কোনো ভয় নেই।কারণ এটা virtual কিন্তু বাস্তব।এই প্রযুক্তিতে আসবে অবাধ বিচরণ আর AI এর ক্যারিশমা।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দখল করে নেবে এই virtual পৃথিবীকে।হয়তো আমি নিজের সাথেই আড্ডা দেব আবার কখনো নিজেই নিজের virtual আমার সাথে গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়বো।

ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি

ব্লকচাইন ও crypto currency যেমন আর্থিক ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে তেমনি এই মেটাভার্স সামাজিক ও অর্থনৈতিক উভয় ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে।এই বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়া জন্য আমরা সামাজিকতা অনেকটা ভুলে গেছি আর যদি মেটাভার্স চালু হয় পুরোপুরি আগামী ১০ বছরের মধ্যে তাহলে আর আমরা কেউ বাস্তবে কাউকে বন্ধু বানাতে চাইবো না।

নিজের পসন্দের মতো কাউকে বেছে নেব এই virtual দুনিয়া থেকে।তার জন্য পয়সা খরচ করে উপহার দেব এই virtual দুনিয়ায়।অর্থাৎ real আর virtual মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে।আমরা সমাজকে রসাতলে পাঠিয়ে দেব।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাছে বন্ধী হবে মানুষের বিশ্বাস সরলতা ও ভালোবাসা।

ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


image.png

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord

image.png

Sort:  
 3 years ago 

প্রযুক্তি নিয়ে সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে গেলাম আপনার পোস্ট থেকে
বিষয়গুলো জেনে যতটা না অদ্ভুত লাগছে
আবার এটা জেনেও ভালো লাগছে উন্নতির পথ দিন দিন অগ্রসর হতে যাচ্ছে
তবে কি ভাই আমি মনে করি, এগুলো বাস্তবিক ঘটলে সব সহজ হবে ঠিক
কিন্তু অতটা সুখকর হবে না
পুরনো দিনের কথা ভেবে আমরা যেমন কাতর হয়ে পরি
ঠিক তখনও এমন আজকের দিনের কথা মনে পড়বে

 3 years ago 

শুভেচ্ছা নিও।দেখা যাক সমানে কি হয়।

 3 years ago (edited)

দাদা আপনি মেটাভার্স সম্পর্কে অনেক তথ্য জানিয়েছেন যা হয়তো অনেকেরই অজানা ছিল। তবে ব্যক্তিগতভাবে এই ভার্চুয়াল দুনিয়ার ব্যাপারটি আমার কাছে ভাল লাগেনি। আমি মনে করি আমাদের সমাজ অধিক উন্নত প্রযুক্তির কারণে রসাতলে চলে যাচ্ছে। ভার্চুয়াল জগত যতই উন্নত হোক না কেন বাস্তবের মত সুখ শান্তি কখনোই ভার্চুয়াল জগতে পাওয়া যাবেনা, এটা আমার ধারণা। তবে প্রতিটা জিনিসেরই ভাল এবং মন্দ দুটো দিকই থাকে।

ধন্যবাদ দাদা আপনাকে আমাদের মাঝে একটি জ্ঞান মূলক পোষ্ট শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য দাদা।

 3 years ago 

নতুন প্রযুক্তি ও গ্রাফিক্স এর প্রাচুর্য আমাদের মোহিত করবে।কিন্তু আমাদের সচেতন থাকতে হবে।ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

ফেসবুক, মেটা , মেটাভার্স এবং ভার্চুয়াল -রিয়েলিটি ও আপনার চিন্তাধারা সব গুলোই কিন্তু লজিক্যাল । আমার কাছে শেষের দিকে আপনার ব্যক্তিগত চিন্তাধারা গুলো ভালোই লেগেছে । শুভেচ্ছা রইল ভাই ।

 3 years ago 

হ্যাঁ প্রযুক্তি আমাদের ভালো মন্দ দুটোই দিয়েছে।আমাদের ভালোটা গ্রহণ করতে হবে।ধন্যবাদ

 3 years ago 

প্রথমে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, অনেক সুন্দর কিছু তথ্য ছিলো, হয়তো অনেকেই এই বিষয়গুলো জানেন না আবার হয়তো অনেকেই বিষয়গুলো জানতেন। যাইহোক আমার কাছে ভালো লেগেছে বিশেষ করে-

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দখল করে নেবে এই virtual পৃথিবীকে।হয়তো আমি নিজের সাথেই আড্ডা দেব আবার কখনো নিজেই নিজের virtual আমার সাথে গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়বো।

এই লাইনগুলো পড়ার পর নিজের সাথে তর্ক করার একটা দৃশ্য কল্পনা করে ফেলেছি, হি হি হি

 3 years ago 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একদিন আমাদের কেই বন্ধী করে অরাজকতা তৈরি করতে পারে।এই বিষয়টা প্রযুক্তি বিদ দের চিন্তায় ফেলে দেবে।ধন্যবাদ।

 3 years ago (edited)

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাছে বন্ধী হবে মানুষের বিশ্বাস সরলতা ও ভালোবাসা।

ব্যাপারগুলো ইন্টারেস্টিং লাগলেও এই কয়েকটি লাইন পড়ার পর মনে হচ্ছে ব্যাপারটি খুব একটা সুখকর ও নয়!ভার্চুয়াল যতই উন্নত হোক না কেনো বাস্তবের মতো তো কখনোই সম্ভব না।যদিও তা সম্ভব তাও ব্যাপারটি কেমন যেনো।আমরা আসলে ফেসবুক কে যা মনে করি এসব তার চেয়েও উন্নত তবে সুখকর নয় হয়তো।

 3 years ago 

এই জগতে আপনাকে স্থায়ী বাসিন্দা করে দেওয়া হবে।

 3 years ago 

খুব সুন্দর একটি পোস্ট ছিল। অনেক কিছু জানার ছিল আপনার এই পোস্ট থেকে। ধন্যবাদ গোটা বিষয়টি কে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে আমাদের বোঝানোর জন্য।

 3 years ago 

সুন্দর মন্তব্য এর জন্য ধন্যবাদ।

 3 years ago 

দাদা, মেটা ভার্স সম্পর্কে আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং মজার কথা উপস্থাপন করেছেন। আপনার পোষ্টটি পড়ে সত্যি কথা বলে অনেক ভালো লাগলো। দাদা আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

 3 years ago 

পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।এটা আসলেই একটা মজার বিষয় হতে চলেছে।

 3 years ago 

এটা বাস্তব যে ভার্চুয়াল দুনিয়ার কারণে আমাদের সামাজিকতা দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রায়। তবে মেটাভার্স নিয়ে আমি খুবই এক্সাইটেড। প্রত্যেকটা জিনিসেরই ভালো মন্দ দুটি দিকই থাকে। আসলে বিজ্ঞানীরা যখন কোন যন্ত্র আবিষ্কার করে,সেটা কখনো ভালো কাজে ব্যবহার করা হয় আবার কখনো খারাপ কাজে ব্যবহার করা হয়। মূল কথা হলো যন্ত্রের দোষ নয়, যন্ত্রের ব্যবহার দোষ।

 3 years ago 

আপনি সঠিক বলেছেন।প্রযুক্তির ভালো দিক নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে।ধন্যবাদ।

 3 years ago 

মেটাভার্স সম্পর্কে অনেক কিছু মজার গল্পকথা দ্বারা জানতে পারলাম।সত্যিই সমাজ রসাতলে যাচ্ছে প্রযুক্তির জগতে।ছবিগুলো দেখে ভাবছিলাম দিল্লিতে তোলা, কিন্তু পরে দেখলাম সোর্স থেকে নেওয়া।ধন্যবাদ দাদা।শুভকামনা রইলো।

 3 years ago 

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 3 years ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ যে এতো সুন্দর অজানা বিষয়গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ফেসবুক, মার্ক জুকারবার্গ ও মেটাভার্স সমন্ধে অজানা বিভিন্ন তথ্যাবলি জানা গেল।
আবারো ধন্যবাদ।

 3 years ago 

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.18
JST 0.033
BTC 89216.15
ETH 3099.59
USDT 1.00
SBD 2.80