কয়েকটি উদ্ভিদের ফটোগ্রাফি ।।২১ শে সেপ্টেম্বর ,২০২১।।

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago
20210805_055852.jpg

ওয়াইল্ড মাশরুম

সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।আশা করি সবাই ভালো আছেন ,সুস্থ আছেন।বর্ষাকাল শেষ হয়ে ও হচ্চে না। এ বছর বর্ষার প্রাধান্য এবং আধিক্য অনেকটা বেশি।ভাদ্র মাস পড়ে গেলেও নিম্নচাপ, দুর্যোগ প্রতিনিয়ত দেখা দিচ্ছে আমার বাংলায়। এই মুহূর্তে যখন আমি এই পোস্টটি লিখছি তখনও বাইরে অবিরাম বৃষ্টি পড়ছে।আজকে বিকালে বাইরে গিয়ে যা দেখলাম তাতে বোঝা গেল আমাদের উন্নয়নের জোয়ার চারিদিকে অর্থাৎ বানভাসি হয়ে গেছে আমাদের পুরো অঞ্চলটি।এর জন্য দায়ী কে আবহাওয়া নাকি প্রশাসন ও সরকার।সেটা আমার আলোচ্য বিষয় নয়।


20210628_171647.jpg
সুন্দর বিকেলবেলা


বর্ষাকালে সাধারণত যে বিষয়টা আমরা বিশেষ করে গ্রামের দিকে বা জঙ্গল জাতীয় জায়গায় দেখে থাকি সেটা হচ্ছে বন্য মাশরুম।মাশরুম যেটা আমরা সাধারণত খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকি তার সঙ্গে এই মাশরুমের তফাৎ রয়েছে।এই মাশরুম গুলো খাওয়ার যোগ্য নয় কারণ এতে অনেক রকম বর্জ্যপদার্থ বিষাক্ত পদার্থ থাকে। তবে এই মাশরুমগুলো সঠিক উপায়ে চিহ্নিত করে এবং সঠিক উপায়ে প্রসেস করলে এগুলো খাওয়ার উপযোগী হয়। আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এই মাশরুমগুলো ব্যাঙের ছাতা নামে পরিচিত ।ছোটবেলায় আমাদের কে বলা হয়ে থাকত যে বৃষ্টি পড়লে ব্যাঙে এই ছাতার তলায় আশ্রয় নেয়।
BoC- linet.png


20210805_055506(0).jpg
ওনিয়ন ফ্লাওয়ার

20210805_055501.jpg

20210805_055510.jpg

BoC- linet.png




তাই এই গুলোকে ব্যাঙের ছাতা বলে। আমি যদিও বাস্তবে এরকম কোন ঘটনা স্বচক্ষে দেখিনি ,তবে ছোটবেলা থেকে শুনে আসা এই কথার প্রতি একটা বিশ্বাস রয়েই গেছে। সামাজিক সংস্কার এবং বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার চিরকালীন সংঘাত চলছে চলবে এবং চলতে থাকবে। স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে জলাবদ্ধতার মাঝে আমার পাশের বাড়ির একটা কোনে এই বন্য মাশরুমে দেখা পেয়েছিলাম। তখনই আমার মোবাইল দিয়ে ক্যামেরাবন্দি করেছিলাম।আমি একটি সুন্দর বিকালের ছবি শেয়ার করছি। বিশাল জলরাশির বুকে ভাসমান স্থির একটি নৌকো আর তার উপর দিয়ে সূর্য ডোবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আকাশে অল্প অল্প মেঘ শরতের ছোঁয়া, সত্যিই অসাধারণ পরিবেশ। সূর্যের আলো জলরাশির উপর প্রতিফলিত হয়ে অনন্ত উজ্জ্বলতার সৃষ্টি করেছে।এ যেন এক স্বর্গীয় দৃশ্য ,এ যেন প্রকৃতির অপূর্ব মায়া খেলা।
BoC_LBW.png

20210805_055846.jpg

20210805_055839.jpg


এরপর একজন বিশেষ অনিয়ন ফ্লাওয়ার এর দেখা পেলাম। যার কয়েকটি ছবি আপনাদের সঙ্গে আমি শেয়ার করে নিয়েছি।এই বিশেষ অনিয়ন ফ্লাওয়ার গুলো দেখতে অসাধারণ।ছোট ছোট সাদা রঙের রেনুর সঙ্গে অসংখ্য সরু লম্বা পাপড়ির সমারোহ ফুলকে করেছে অসাধারণ সৌন্দর্যময়।আমাদের বাড়ির আশেপাশে আনাছে-কানাছে বা কোন জায়গায় অনেক ফুল আছে ,সেগুলো যদি সঠিকভাবে দেখা যায় ,তাহলে দেখা যায় সেগুলো কত সুন্দর ,সেগুলো কত প্রাকৃতিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

BoC- linet.png

20210724_181639.jpg
এলোভেরা

20210724_183431.jpg

এছাড়া আমার বাড়িতে দুটো পোষ্য উদ্ভিদের ফটো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।এটি অতিপরিচিত অ্যালোভেরা।অ্যালোভেরার যে অনেক উপকারিতা রয়েছে সে সম্বন্ধে আপনারা সবাই মোটামুটি ওয়াকিবহাল।তাই সে বিষয়ে তেমন কিছু বলতে চাইছি না আর।বেশ কিছু ছোটখাটো উদ্ভিদ রয়েছে আমার বারান্দায় যেগুলোর পরিচর্চা করে আমার দিনের একটা স্বল্প সময় খুব মানসম্মত ভাবে কাটে।প্রকৃতির যে কোন উপাদানের পরিচর্চা আমাদের করা প্রয়োজন।প্রকৃতি আমাদের রক্ষা করে তাই আমাদের ও উচিত তার রক্ষণাবেক্ষণ করা।কারণ যেকোন পারস্পারিক প্রক্রিয়ায় একটা ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থার তৈরি হতে পারে।তাই আমাদের প্রকৃতির প্রতি যত্নশীল হতে হবে। প্রকৃতির প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে, তাহলে প্রকৃতি আমাদের প্রতি সুন্দর মনোভাব পোষণ করবে। প্রকৃতি আমাদেরকে আরো বেশি লালিত করবেআমাদের জীবন সুন্দর হবে।

ধন্যবাদ

smallamar.png


Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power

100 SP250 SP500 SP1000 SP2000 SP

image.png

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord

image.png

Sort:  
 3 years ago 

বাহ্ কি সুন্দর ফটোগ্রাফি। উদ্ভিদ গুলো অতিপরিচিত দেখতে খুবই ভালো লাগছে। আলোভরা খুবই উপকারী একটি উদ্ভাবন। ত্বকের মসৃণতায় এলোভেরা খুবই উপকার করে। আমি এটা ব্যবহার করতাম অনেক উপকার পেয়েছি। এতো সুন্দর উপস্থাপনার জন্য ধন্যবাদ দাদা।

 3 years ago (edited)

আপনার ফটোগ্রাফি সব সময়ই অসাধারণ হয়, দেখলেই মন ভরে যায়। আপনার সাথে আমাদেরও মিল রয়েছে আমরাও এধরনের মাশরুমকে ব্যাঙের ছাতা বলতাম। অ্যালোভেরা এবং অনিয়ন ফ্লাওয়ার এর ফটোগ্রাফি খুবই চমৎকার লাগছে।

 3 years ago 

কয়েকটি উদ্ভিদের ফটোগ্রাফি আপনি অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া,প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার অনেক পছন্দ হয়েছে আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া

 3 years ago 

আপনার উদ্ভিদের সবগুলো ফটোগ্রাফি চমৎকার হয়েছে। আপনি এই ফটোগ্রাফি গুলোকে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের গ্রামেও এই ধরনের মাশরুমকে ব্যাঙের ছাতা বলা হয়। এই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 3 years ago 

ফটোগ্রাফি গুলো আজ শুধু কাল্পনিক। ধুলাবালি যুক্ত শহরের বড় বড় ইট কাঠ আর পাথরের দালান কোঠার মধ্যে বন্দি এখন আমি।

অসম্ভব সুন্দর ছিল সবগুলো ফটোগ্রাফি

 3 years ago 

আপনি আসলে অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন কিন্তু প্রতিটা ছবি আমার ভালো লেগেছে কিন্তু অ্যালোভেরা টা আমাদের মত লাগছেনা অ্যালোভেরার গায়ে সাদা সাদা দাগ আছে। খুব সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেছেন আপনি।

 3 years ago 

ভাইয়া আপনার ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।বিশেষ করে মাাশরূমের ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।

অসাধারণ একটি পোস্ট করেছেন আপনি।প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর ভাবে ক্যাপচার করেছেন আপনি। ছত্রাক এবং পেঁয়াজ ফুলের ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে ভাই।

image.png

ছবিটা খুবই সুন্দর লাগছে আমার কাছে।বিকেলের এমন পরিবেশে সময় কাটাতে আমার খুব ভালো লাগে।অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার মূল্যবান পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।

 3 years ago 

ভাই অ্যালোভেরার পরে যে গাছটার ছবি দিয়েছেন ওইটা মনে হয় সম্ভবত সর্পগন্ধা গাছ। এটা আমার বাসাতেও আছে ।সবগুলো ছবি ভাল ছিল ।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

 3 years ago 

দাদা আপনার দ্বিতীয় ছবিটা অসাধারণ হয়েছে। আপনার পোস্ট পড়ে আজ একটা জিনিস জানতে পারলাম। আমার মনে একটা প্রশ্ন ছিল এই যে আমরা আনাচে-কানাচে যে মাসরুম গুলি দেখি এগুলি খাওয়া যাবে কিনা। আপনার পোস্ট থেকে সে উত্তরটা পেয়ে গেলাম। ধন্যবাদ দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.12
JST 0.026
BTC 55290.41
ETH 2357.13
USDT 1.00
SBD 2.32