দিয়া বাড়ি ঘুরতে যাওয়া।।১৭ এপ্রিল ২০২৩
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি একটি সাধারণ পোস্ট লিখতে চলেছি।প্রসঙ্গ বাংলাদেশ ভ্রমণ।গত ডিসেম্বর এ আমি কয়েকদিনের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণে গিয়েছিলাম।আর অল্পদিনের জন্য হলেও আমি সেই কয়েকটা দিন ঢাকা শহরে কাটিয়েছিলাম।ঢাকা এমনিতে খুব একটা খারাপ লাগে না আমার কাছে।তবে ঢাকার সবচেয়ে নেতিবাচক ও আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর লাগে সেটা হলো যানজট। হ্যাঁ কলকাতা শহরে ও ট্রাফিক জ্যাম হয় কিন্তু সেটা অল্প সময়ের জন্য এবং সেটা অবশ্যই অফিস টাইম এ।কিন্তু ঢাকা শহরে আমার মনে হয় জ্যাম টা প্রায়ই বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। যাই হোক এবার ঢাকায় যেহেতু খুব কম সময় কাটিয়েছিলাম তাই কোথাও ঘুরতে যেতে পারিনি।আমার ঢাকায় আসার একটা মূল আকর্ষণ থাকে ঢাকা শহরের খাবার।আর তার মধ্যে মেইন হলো বিরিয়ানি ও চাইনিজ ফুড।দুটোই আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
তাই গেলে এই দুটি খাবার খাবই।চাইনিজ ফুড আমার ভীষণ প্রিয়।আর বিরিয়ানি ও দারুণ লাগে।তবে এবার সুলতান ডাইনের বিরিয়ানি টা আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে নি।যাই হোক সে সব কথা অন্য কোনোদিন হবে।তো একদিন সারাদিন কোনো কাজই ছিলো না ঘরে বসে বিরক্তিকর লাগছিলো।মনে হচ্ছিলো কোথাও কাছে একটা ঘুরে আসি।কিন্তু জ্যামের কথা মনে পড়তেই ভয় লাগছিল।অবশেষ সিদ্ধান্ত নিলাম দিয়া বাড়ি যাবো।ঢাকা শহরের পাশেই।আর যেহেতু একটু বেলা করে যাবো তাই জ্যাম ও খুব একটা পাবো না আশা করলাম।আমরা দুজন ড্রাইভার কে নিয়ে বেরিয়ে গেলাম দিয়া বাড়ির উদ্দেশ্যে।ফেসবুক এ এই জায়গাটা এর অনেক স্টোরি দেখেছি তাই যাওয়ার একটা ইচ্ছে তো ছিলই।
কোনো জ্যামের ভোগান্তি ছাড়াই আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম।গিয়ে দেখলাম একটা ফাঁকা জায়গা সেখানে মোটামুটি একটু সাজিয়ে রাখা হয়েছে আর কিছু ফাস্টফুড এর দোকান।সেখানে কিছু ফুচকা চটপটি জাতীয় খাবার পাওয়া যায়।
আমরা গাড়ি পার্ক করেই কিছু চিনাবাদাম কিনে খেতে খেতে ডান দিকের অংশে প্রবেশ করলাম।তখন যেহেতু দুপুর ছিলো তাই লোকের ভিড় বেশ কমই ছিলো।আমরা একটু চারিদিকটা ঘিরে দেখলাম।পরিবেশ ভালোই তবে দেখার মত কিছুই নেই।কিছুক্ষন ঘুরে আমরা কয়েকটা ফটো তুলে নিলাম।এরপর একটা দোকানে ঢুকে ফুচকা খেয়ে নিলাম।
এরপর দুটো ছেলের একটা বোট এ করে লেক এ একটু বেড়িয়ে নিলাম।এরপর একটু বিকাল পড়তেই লোক বাড়তে থাকলো।আমরা আরেকটু সময় কাটিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।মোটামুটি ভালোই লাগলো।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
দাদা আপনি তো দেখছি ডিসেম্বর মাসে ভালোই বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছেন। ঢাকা শহরের মূল আকর্ষণ যখন খাবার তখন নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু খেতে। জ্যামের ভোগান্তি ছাড়াই আপনারা দিয়া বাড়ীতে পৌঁছতে পেরেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। জায়গাটা বেশ ভালোই সাজানো দেখছি। ফুচকা টা তো অনেক টেস্টি। জিভে জল চলে এল। আর বোটে করে ঘুরে নিশ্চয়ই অনেক মজা করেছেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঢাকা শহরের আরেক নাম জ্যামের ঢাকা। ঢাকা শহরের একটি বড় সমস্যা হলো যানজট। জ্যামে আটকা পড়লে ভীষণ খারাপ লাগে। দাদা আপনি ডিসেম্বরে ঢাকায় এসেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। ঢাকার বিরিয়ানি সত্যি অনেক জনপ্রিয়। যাই হোক দাদা দিয়া বাড়ি ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা জেনে ভালো লাগলো।
আসলে দাদা ঢাকার শহর অনেক ভালো জায়গা তবে ঢাকা শহরের একটা অসুবিধা হলো জ্যামের শহর। আপনি ডিসেম্বর মাসে ঢাকা শহর এসেছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। তারপর কোন যানযট ছাড়াই দিয়া বাড়ি পৌঁছাতে পেরেছে জেনে অনেক ভালো লাগল। আসলে ঢাকার শহরের বিরিয়ানি অনেক ভালো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দিয়া বাড়ি ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যালো শুভেচ্ছা. এভাবে ঘুরতে ঘুরতে ভালো করে খেতে জ্যাম আছে। এটি এমন একটি আনন্দ যা একজন ব্যক্তি জীবনে নিজেকে দেয়। আপনি বিশেষ করে অনেক পছন্দ করেন এমন খাবারের জন্য ভ্রমণ করা ভাল।
আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন দাদা ঢাকা শহরটা আসলে হয়তোবা এমনই এখানে সব সময় প্রায় যানজট লেগেই থাকে। অফিস টাইমের পরেও মাঝে মাঝে এমন যানজট শুরু হয় যে মনে হয় এক-ই এই জায়গায় গাড়ি স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সুলতান ডাইন নিয়ে অনেক জলঘোটা হয়ে গিয়েছে কিছুদিন আগে শুনেছি সেখানকার বিরিয়ানি নাকি খুবই সুস্বাদু, যদিও খাওয়া হয়নি এখন পর্যন্ত। যাই হোক দিয়া বাড়ি ঘুরতে গিয়ে সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
দাদ ডিসেম্বরে বাংলাদেশে ঘুরতে এসে এখানে সেখানে ঘুরে যে বেশ ভালই সময় পার করেছেন সেটা বুঝা যাচ্ছে। ঢাকা শহরের জ্যামের কথা আর নাই বা বললাম। আর আমার মনে হয় সুলতান ডাইনের খবার টা এবার ভালো পড়েনি। তবে দিয়াবাড়ির মতো এ ধরনের নিরিবিলি পরিবেশে প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে হাটতে হাটতে বাদাম খাওয়ার মজাটাই কিন্তু আলাদা।
দাদা আপনি একদম ঠিক বলেছেন, এই জ্যামের কারনে আসলে বাসা থেকে বের হওয়ার সাহস আর হয়না।তাইতো খুব প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া হয়না।আপনি ঢাকায় থাকলে একদিন ২ টা কাজ করতে পারবেন না।অর্থাৎ একদিকে গেলে ওই দিকেই শেষ।জেনে খুব ভাল লাগলো দাদা আপনি আমাদের দেশের বিরিয়ানি আর চায়নিজ ফুড পছন্দ করেন।দিয়া বাড়ি যদিও আমি যাইনি তবে ওই জায়গাটাতে নাটকের শ্যুটিং হয় জানি।যাক আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে অনেক ভাল লাগলো। ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনাদের কলকাতার মতো আমাদের ঢাকা শহর হলে গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ ঢাকা শহর চলে যেতো। ঢাকা শহরের এমন জ্যামের জন্য মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে যায়। তবে দিয়া বাড়ি জায়গাটা ঘুরাঘুরির জন্য খুব সুন্দর। আমি কয়েকবার গিয়েছিলাম। তবে আপনার কাছে ঢাকার বিরিয়ানি আর চাইনিজ ফুড এই দুটো খাবার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। দিয়া বাড়ি ঘুরতে যাওয়া সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভেচছা রইল।
এই দিয়াবাড়ির ছবি দেখেছি তবে ঢাকা তো আর যাওয়া হয়নি।ছবি দেখে মনে হচ্ছে অনেক ফুড স্টল রয়েছে।