আবারো সন্ধ্যায় গিয়েছিলাম তালবান্ধায়।।ফেব্রয়ারি ,২০২২।।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করি সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আমি আমার পোষ্ট লেখা শুরু করছি।বন্ধুরা প্লিজ দয়া করে হাসবেন না। আজকে পোস্টটিও অত্যন্ত সাধারণ কিন্তু পৌনঃপুনিকতা আছে এই পোস্টটিতে।আপনারা জানেন সম্প্রতি ভারতবর্ষে করোনা কিছুটা শিথিল হতে শুরু করেছে। আমাদের পশ্চিমবঙ্গে ও যথেষ্ট পরিমাণে করোনা নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেছে।
তাই স্বাভাবিকভাবেই এখন বাইরে বেরোনো অনেকটাই নিরাপদ।যদিও স্বাস্থ্য সচেতনতা স্বাস্থ্য বিধি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সচেতনতা নিয়ে আমাদের বাইরে বেরোতে হবে।কারণ ঘরে বসে থাকলে চলবে না। কাজের জন্য বাইরে বেরোতে হবে কিন্তু সেইসঙ্গে আমাদের সব ধরণের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
বন্ধুরা আজকের সকালটা শুরু হয়েছে কিছুটা ব্যস্ততা নিয়ে। সকালেই আসলে একটু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার জন্য খাওয়ার সময় পাইনি।আবার আমাকে বারোটার ভেতরেই পৌঁছতে হবে স্থানীয় সাব-রেজিস্ট্রেশন অফিসে।আমি সময় মতো পৌঁছালেও আমার কাজটা ঠিক সময় মত হলো না।অফিসে প্রায় দেড় ঘন্টার মত আমাকে অপেক্ষা করতে হলো। তারপর আমার কাজটা হলো ওখান থেকে বাড়ি ফিরতে ফিরতে আমার মোটামুটি দুটো বেজে গেছিল।
কিন্তু আমি ঠিক বাড়িতে ঢুকতে পারিনি।আমি কাছে আমার এক দাদার বাড়িতে গেছিলাম।ওখানে খাওয়া-দাওয়া করে নিয়ে একটু বিশ্রাম নিলাম।আমার সেই দাদা হঠাৎ আমাকে বললো একটু তালবান্ধায় যাবে কিছু মাংস কিনবে।আমি সঙ্গে যাই সেটাই তার ইচ্চা।আমি ও রাজি হয়ে গেলাম।ড্রাইভারকে ফোন করে সন্ধ্যায় আসতে বলে দিলাম।অবশেষে আমরা সন্ধ্যাবেলায় তালবান্দা পৌঁছালাম।গিয়েই দুটো দেশি হাঁস অর্ডার দিলাম সঙ্গে দুটো দেশি মুরগি।
অবশ্যই এবার আমাদের বাড়ির জন্য নয় সেই দাদাদের জন্যই অর্ডার দিলাম।আর আসলে তারা কি কিনতে চেয়েছিল আমি সঠিক জানিনা। কিন্তু আমার অভ্যাসগত কারণেই তাদের এই দুটো জিনিসই আমি অর্ডার দিলাম।আর তারাও রাজী হয়ে গেল।হয়তো কিছুটা ভদ্রতার খাতিরে।যাই হোক আমাদের এই দুটো কাজ করার জন্য দুই ভদ্রমহিলা ও একজন ভদ্রলোক আধাঘন্টার মতো সময় নিলো।
এর মধ্যে আমরা একটু এদিক ওদিক ঘুরতে লাগলাম।সন্ধ্যাবেলা তাই তালবান্দা এরিয়া তে একদমই কম লোক ঘোরাফেরা করছিলো।তাই যথেষ্ট নিরাপদ ছিল এবং এই ফাঁকে আমরা কিছু চুইঝাল কিনে নিলাম।এই মসলা টা আমার কাছে অত্যন্ত ভালো লাগে।আমার কাছে এই জিনিসটা যেমন সুস্বাদু লাগে তেমনি এটা মাংসের স্বাদ বহু গুন বাড়িয়ে দেয়।
কিছুক্ষণ পরেই আমাদের হাস-মুরগী ড্রেসিং হয়ে গেল। আমরা টাকা পরিশোধ করে আবার গাড়িতে উঠলাম। এরপর ৩০ মিনিট একটু এদিক ওদিক ঘুরাঘুরি করে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আজকে সন্ধ্যাবেলা একটা জিনিস খেয়াল করলাম যে ঠান্ডা বেশ কমে গেছে এবং এই ঠাণ্ডা পরিবেশে একটু বাইরে ঘোরা আরামদায়ক। একটা প্ল্যান করতে হবে কয়েক দিনের মধ্যে একটু এদিক ওদিক ঘুরার জন্য।
দেখা যাক কতদূর কি হয় এদিকে আবার ইউনিভার্সিটি খুলে যাচ্ছে ।এখন না খুব সমস্যা তবুও কিছু শিখতে গেলে আবার সেই পুরনো জীবনে ফিরতে হবে তবে দেড় বছর ধরে শুয়ে বসে খেয়ে দেয়ে বেশ নম্বর পেয়েছি এখন খেটে খুটে কিছু নম্বর তুলতে হবে।তবে বেশি চিন্তা করে লাভ নেই লড়াই শুরু করি।
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.
Discord
আশীর্বাদ করি। তবে একটা ব্যাপার খুব মজা লেগেছে, যে আপনার পছন্দের মাংসগুলো তাদেরকে কিনিয়েছেন মানে আপনি যেমনটা দেশি হাঁস ও দেশি মুরগি খেতে পছন্দ করেন। দোকানে গিয়েই অর্ডার করেছেন, যাইহোক আপনার দাদা ভদ্রলোক সেটা ভদ্রতার খাতিরে নিয়ে নিয়েছে ।
করোনাতে ঘরবন্দি থাকার পর একটু এমন ঘোরাঘুরি করলে খুব স্বস্তি লাগে। ইউনিভার্সিটি খোলার আগেই আপনার ঘোরাঘুরির প্ল্যানটা করে ফেলুন আর ঘুরেও ফেলুন। কারণ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এরপর দম ফেলার সময় পাবেননা 😪😪
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
দেশি জিনিস পাওয়াই মুশকিল। তবুও ওখানে দেশি হাঁস দেশি মুরগি পাওয়া যায় । শুনে খুব ভালো লাগলো । বাজারটিও দেখে নিলাম তালবান্ধা । ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
দাদা আপনি ঠিক কথাই বলেছেন বর্তমানে শীতের প্রকোপ কমে যাচ্ছে। তবে এই সময়টা ঘোরাঘুরি করার জন্য একদম পারফেক্ট। হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই আপনি আপনার পড়াশোনার জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। তাই এই ফাঁকা সময় একটু ঘোরাঘুরি করে নিলে অনেক ভালো লাগবে। মাঝে মাঝে পছন্দের জায়গা গুলোতে ঘোরাঘুরি করলে মন এবং শরীর দুটোই ভালো থাকে। দাদা আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
হ্যাঁ দাদা,শীতের প্রকোপ অনেকটাই কমে গেছে এবং পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে।তাই ঘোরার জন্য পারফেক্ট সময় এখন।
একদম ঠিক দাদা।অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম কথাগুলো পড়ে।ধন্যবাদ দাদা,শুভকামনা রইলো।
দাদা সকালে ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়ো করে অফিসে চলে গিয়েছেন নাস্তা না করে খুবই কষ্ট লাগলো। তারপর অফিস থেকে দাদার বাড়িতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন সেই গল্পটা ভালই লেগেছে। আপনার দাদার সাথে তালবান্দা গিয়ে হাঁসের মাংস ও মুরগি কেনার গল্প আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
শুয়ে বসে খেয়ে দেয়ে, দেখে দেখে নাম্বার পাওয়ার দিন এইবার ফুরালো তাহলে ভাইয়া।🤪
আমি এই লাইনগুলো খুঁজতেছিলাম, কয়টা হাঁস কিনলেন সেটা দেখার জন্য। যদিও এইবার শীতে খুব বেশী হাঁস খাওয়ার সুযোগ হয় নাই তবে আপনাকে দেখে বেশ উৎসাহ পেয়েছি এবার, পরবর্তী শীতে কাজে লাগাবো, হা হা হা।
হ্যা, এটা সত্য দাদা একটু কম ঠান্ডা লাগছে এখন, আমি যাবো শুক্রবারে বগুড়া ঢাকা হতে প্রায় ১৮৮ কিলোমিটার দূরে।