আমার কবিতার খাতা থেকে : এক সৈনিকের জীবন
দেশজুড়ে যখন বইছে অস্থিরতার ঢেউ
তখন হঠাৎ এল তোমার চিঠি আমার হাতে,
প্রতিদিন গোলাগুলির শব্দ আর
কামানের আওয়াজ শুনে,
আমার ঘুম ভাঙ্গে ,আসলে ঘুম নয়
এ যেন হঠাৎ ক্লান্তিতে চোখ বন্ধ এক জাগ্রত নিদ্রা।
আমি দেশের সীমান্তে প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত,
আমার বীরত্ব আর সাহসের উপর ভরসা করে
বসে আছে লক্ষ লক্ষ মানুষ।
এই লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে
একজন আমার হৃদয়ে বসত করে,
তার চিঠি এক মুহূর্ত আমার যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছে।
আমাকে মনে করে দিয়েছে
তাকে দেয়া আমার প্রতিশ্রুতি।
আজ উনিশে শ্রাবণ বৃষ্টির দিন
আমার ফেরার কথা ছিল,
কথা দিয়েছিলাম তাকে আজকের দিন টা
শুধু তাকে দেবো।
একজন সৈনিকের হৃদয় জুড়ে থাকে
দেশের মাটি সেই মাটিতে ফসল ফলে,
আবেগ আর বীরত্বের।
তাই তাকে দেওয়া কথা আজ আমায়
মনে করিয়ে দেয় তার চিঠি,
যুদ্ধ শেষে ফিরব কিনা জানি না?
হয়তো তাকে দেয়া এই কথা না রাখার জন্য
আমার কোন শাস্তি হবে না।
তবে যদি বেঁচে থাকি শাস্তি নিতে
আমি অবশ্যই আসবো ফিরে
সেদিন বৃষ্টি হোক না হোক,
চোখের আনন্দাশ্রু দিয়ে শ্রাবণ বানাবো।
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
"এক সৈনিকের জীবন" এই কবিতাটি পড়ে কেন জানি বুকের মধ্যে চাপা কষ্ট তৈরি হলো। কারন আমার বাবা একজন সৈনিক । তিনি তার জীবনের সোনালী দিনগুলো দেশের সেবায় কাজ করছেন। দেশরক্ষার জন্য এবং দেশের মানুষের ভালোর জন্য একজন সৈনিক তার জীবনের সব কিছু বিসর্জন দেয়। তার জীবনের বিনিময়েও দেশকে রক্ষা করে। আমি যতবার আপনার লেখা কবিতাটি পড়েছি ততবারই আমার প্রিয় বাবার মুখ চোখের সামনে ভেসে বেড়াচ্ছে। তিনি তার জীবনের সোনালী সময়গুলো দেশের কল্যাণে কাজ করেছেন। এটা ভেবে অনেক গর্ববোধ করছি। কারন আমি একজন সৈনিকের সন্তান। ধন্যবাদ দাদা একজন সৈনিকের জীবনের বাস্তব চিত্র আপনার কবিতায় ফুটিয়ে তোলার জন্য।
দাদা আপনার এই কবিতাটি পড়ে আমার মন ছুয়ে গেল। অসাধারণ সুন্দর একটি কবিতা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। দাদা আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এই কথাগুলো একেবারে যেন হৃদয় ছুঁয়ে গেলো। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনার আজকের লেখা কবিতাটি। কবিতার মধ্যে এমন একটি আবেগ ছিলো, আবেগ টা পড়ার পরে পরে টের পাওয়া যায়। কবিতার মধ্যে বিশুদ্ধ ভালোবাসার পরশ পাওয়া যাচ্ছে। যা কবিতাটিকে আরো বেশি মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে।
আপনার কবিতা শুনে যেনো মন জুড়িয়ে গেলো।কবিতা টি যেনো একজন কবি লিখেছে।
"মনে করিয়ে দেয় তার চিঠি,
যুদ্ধ শেষে ফিরব কিনা জানি না?
হয়তো তাকে দেয়া এই কথা না রাখার জন্য
আমার কোন শাস্তি হবে না।"
যুদ্ধের সৈনিক তার যেন বাড়ির কথা মনে পড়ে তারা মনি যেন আর কোন শান্তি নেই। চলেছে জীবন ঝুঁকির প্যারা তারমধ্যে নেই যে মনের শান্তি ।
আপনার কবিতাটি পড়ে আমি মুগ্ধ। এত সুন্দর একটি আমদের মাঝে উপহার দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর হয়েছে কবিতাটি। একজন সৈনিকের জীবন আসলে এমনই কাটে। তাকে সব সময় মনে রাখতে হয় যে সে আগে দেশের পরে তার পরিবারের। সেলুট জানাই এমন হাজারো সৈনিকদের, যাদের ত্যাগ তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে অটুট দাঁড়িয়ে আছে হাজারো নিরাপদ সীমান্ত।
এই লাইনটা খুবই চমৎকার লিখেছেন ভাইয়া। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
দাদা আপনি বরাবরের মতোই কবিতাটি খুব সুন্দর করে লিখেছেন। এই কবিতার মাঝে ছিল একজন বীরের বীরত্বের দায়িত্ব মাটি এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসা। হাজার মানুষের ভিড়ে তারও একজন ভালোবাসার মানুষ থাকে। যে কিনা একটা চিঠি পাওয়ার আশা করে থাকে তাকে কথা দিয়ে কথা না রাখতে পারা আপনার। এই কবিতাটি পড়ে একটু আবেগপ্রবণ হয়ে গেছি একজন সৈনিকের সাথে একজন সাধারন মানুষের রাতদিন তফাৎ থাকে। একজন সৈনিকের দেশের প্রতি ভালোবাসা, আর একজন সাধারন মানুষের দেশের প্রতি ভালোবাসা, হাজারগুন তফাৎ। আপনি আপনার কবিতার মাধ্যমে একজন সৈনিকের মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন। এবং একজন ভালোবাসার মানুষের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছে। সত্যি দাদা খুবই ভালো লেগেছে। আপনি এত সুন্দর কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য অসংখ্য শুভেচ্ছা রইল দাদা।
অসাধারণ কবিতা দাদা,আপনার সবগুলো কবিতাই খুব সুন্দর। সৈনিক নিয়ে কবিতা,একজন বীরের তার কাছের মানুষের কাছে ফেরার যে কথা দেয়া সেটাও অনিশ্চিত। খুব ভালো লেগেছে আপনার কবিতাটি। ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আপনার প্রতিটা কবিতা আমার খুবই ভালো লাগে।কারণ আপনার কবিতাগুলোর মধ্যে অনেক কিছু শিক্ষা লাভ করতে পারি। এ কবিতাটা থেকে আমি একটি সৈনিকের খুবই সুন্দর জীবনের সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আসলে এরা নিজের জীবন দিয়ে দেশের জন্য কাজ করে। তাদের ঘরে ফেরার কোন নিশ্চয়তা নাই। আপনি খুবই সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।
"আমি দেশের সীমান্তে প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত,
আমার বীরত্ব আর সাহসের উপর ভরসা করে
বসে আছে লক্ষ লক্ষ মানুষ।"
দাদা আপনি অসাধারণ একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন। আপনার কবিতা পড়ে মনে হচ্ছিল যে আপনি আপনার এই ছোট্ট কবিতা একজন সৈনিকের মনের কথাগুলো সুন্দরভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। সত্যি কথা বলতে একজন সৈনিক তার জীবনকে বাজি রেখে তার দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কারণ সে জানে তার উপরে ভরসা করে বসে রয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। একজন সৈনিকের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। এই দেশকে রক্ষা করার ও দেশের মানুষ গুলোকে রক্ষা করার দায়িত্ব এখন তার কাঁধে। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা, সত্যি সত্যি অসাধারন একটি কবিতা লিখেছেন।কবিতার প্রতিটি অংশ মনকে ছুঁয়ে দেয়। একজন সৈনিক দেশের জন্য লড়ছে প্রিয়তমাকে কথা দিয়েছিল ফিরে আসব।সেই কথা রাখতে পারবে কি না পারবে সেটাই চিন্তা করছে। দাদা, একজন সৈনিকের কাছে তার প্রিয়তমা থেকেও দেশের প্রতি ভালবাসাটা অনেক বেশি।
দাদা, কবিতাটি সত্যি অনেক অসাধারণ হয়েছে।আপনার লেখা কবিতার মধ্যে এই অংশটি আমার খুবই ভালো লেগেছে।
দেশের মাটি সেই মাটিতে ফসল ফলে,
আবেগ আর বীরত্বের।
ধন্যবাদ দাদা, এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।