গ্রাম বাংলার কয়েকটি ফটোগ্রাফি।।২৮ ডিসেম্বর ২০২২
হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে ও আমি আমার পোস্টের মাধ্যমে গ্রাম বাংলার অপূর্ব সৌন্দর্য্য কে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।আশা রাখছি আপনাদের ভালো লাগবে।বিশেষ করে যারা শহরে জন্ম গ্রহণ করেছেন এবং গ্রামকে সেই ভাবে দেখেন নি তাদের কাছে তো বিশেষ ভালো লাগবে।আর যারা গ্রামে ছিলেন এখন শহরে থাকেন তাদের জন্য একটা নস্টালজিয়া কাজ করবে।
এইবার শীতে আমার সুযোগ হয়েছে গ্রামে একটু সময় কাটানোর।আর এই সুযোগ কে আমি একদমই নষ্ট করছি না।কারণ প্রকৃতির নির্মলতার সান্নিধ্য পাওয়ার এমন সুযোগ সবসময় আসে না।আর যেহেতু এইবার এলো তো আমি চেষ্টা করছি পুরোপুরি লাভবান হওয়ার।গ্রামে এখন খুব ব্যস্ততা চলছে।ধান কাটা ও মাড়াই এর কাজে বাংলার কৃষকরা খুব ব্যস্ত।যতদূর মাঠে চোখ যায় দেখি সোনা আর সোনা।সোনালী মাঠ জুড়ে কৃষকের স্বপ্নরা ঘুরে বেড়ায়।
এখন গ্রামবাংলার অনেক ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে কিংবা তার গৌরব কমে গেছে।সেই সব ঐতিহ্যের মধ্যে নবান্ন উৎসব অন্যতম।নতুন ধান ঘরে উঠলে কৃষক পরিবারে যে উৎসব শুরু হতো তা নবান্ন উৎসব নামেই পরিচিত।নতুন ধান থেকে চাল তৈরি হয়।সেই চাল থেকে ভাত আর পিঠা পায়েস।আর বাংলার ঘরে ঘরে এই নতুন ধান নিয়ে উৎসব শুরু হয়ে যায়।এই নবান্ন বা নতুন অন্নের উৎসব সেই প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে।এই অগ্রহায়ণ মাস কৃষকের বহুদিনের পরিশ্রমের ফল নিয়ে আসে।তাই এই মাস দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আনন্দের মাস।
এখন সময় বদলিয়েছে। জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে।মানুষ বেশি বেশি আধুনিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েছে।বিলুপ্ত হতে বসেছে বাংলার শত শত বছরের ঐতিহ্য ও গৌরব।আমাদেরই উচিত এই ঐতিহ্য কে বাঁচিয়ে রাখা।কারণ এগুলো আমাদের উৎকর্ষতার বিবর্তনের ইতিহাস,আমাদের অস্তিত্বের স্বাক্ষী।
আজকে আমার ফটোগ্রাফি তে যেমন ফুটে উঠেছে বাংলার প্রকৃতির সবুজ সৌন্দর্য্য তেমনি ধরা দিয়েছে কৃষকের ভালোবাসার ফসলের সৌন্দর্য্য।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
দাদা আপনার গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখে অনেক ভাল লাগছে। আপনি সত্যিই বলেছেন গ্রাম বাংলার অনেক ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। আগে গ্রামে কত কিছু দেখতাম এখন সব কিছু আধুনিকতার ছোয়াঁয় হারিয়ে গেছে। ধন্যবাদ দাদা।
গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যময় ফটোগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। সত্যিই গ্রামের এই প্রকৃতির সৌন্দর্য দৃশ্য গুলো খুবই ভালো লাগে, বেগুন হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে।
দাদা গ্রাম বাংলার প্রকৃতির অত্যন্ত সুন্দর সুন্দর কিছু ছবি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যে ছবিগুলো দেখে আমার এখনই গ্রামের ছুটে যেতে মন চাচ্ছে। আসলে যুগ যত ডিজিটাল হচ্ছে ততই গ্রামের ঐতিহ্য যেন হারিয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
এই নবান্ন উৎসব এর কথা তো শুধু বই এই পড়েছি,কখনো নিজের যোগদান এর সুযোগ হয়নি।হয়তো আর হবেও না।তবুও গ্রামের পরিবেশটা অনেকটা আলাদা।
সময় যখন এসেছে তাহলে সুন্দর গ্রাম বাংলার প্রকৃতি উপভোগ করুণ দাদা। আর শীতের সময় গ্রামের প্রকৃতি যেন অপরূপ রূপে সাজে। এই সময় চারিদিকে নতুন ধানে ভরে থাকে দেখতে আসলেই অপূর্ব লাগে যা আপনার ছবির ভিতরে খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। ঠিকই বলেছেন এখন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য যেন হারাতে বসেছে। আগেকার দিনে মানুষ যেমন হাতে ধান মাড়াই এর কাজগুলো করতে এখন সেইসব খুব একটা দেখা যায় না মেশিনে সব কাজ চলে। আমরা তো যারা শহরে থাকি গ্রামের এসব জিনিস গুলো খুব মিস করি। ভাল লাগল আপনার ছবির মাধ্যমে সবকিছু একটু দেখে নিতে পারলাম। সুন্দর সময় কাটান এই দোয়াই করি সবসময়।
গ্রাম এমনিতেই অপরূপ সৌন্দর্য দিয়ে ঘেরা। তার উপর শীত কলে গ্রামের দৃশ্য আরো দেখার মত হয়। আপনি খুব সুন্দর সময়ে গ্রামে এসেছেন। বেগুন হাতে কৃষককে মডার্ন কৃষকের মত লাগছে। আপনার শেয়ার করা ছবিগুলো দেখে খুব ভাল লেগেছে। একদম গ্রামের সুন্দর দৃশ্য গুলো ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। ধান কাটা, ধান মাড়াই এই সময় গুলো উপভোগ করার মত। ধন্যবাদ দাদা ।
আধুনিকতার যাঁতাকলে পড়ে গ্রাম্য জীবনে অনেকটা পরিবর্তন এসেছে। বলা চলে যে না চাইতেও পরিবর্তন হয়ে গেছে। তার পিছনের মূল কারণ গ্রাম ছেড়ে মানুষ শহর মুখী হওয়া। তবুও সবের মধ্যে গ্রামের পরিবেশটা খুব উপভোগ্য।
আমার কাছে মনে হয় গ্রাম গ্রামের মতো থাকলেই বেশি ভাল লাগে। কিন্তু আজকাল মানুষ আধুনিক হওয়াতে গ্রামকে আধুনিকতার ছোঁয়া দেয়াতে আসলে গ্রাম মনে হয় না।গ্রামে আগে কৃষকেরা ধান কেটে মাথায় বাড়ি এনে ধান মাড়াই কাজ নিজেরাই করতো। আর এখন মেশিনের সাহায্যে করে।গ্রামের বেশকিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন, অনেক ভাল লাগলো দেখে।গ্রামের এই পথটা অনেক ভাল লেগেছে আমার। সবুজ বনানীতে মন ভরে নিশ্বাস নেন। অনেক ভাল থাকেন দাদা।অনেক শুভকামনা আপনার আর আপনাদের সবার জন্য।