কোনো দলগত কাজ করার জন্য প্রথমে দরকার একটি কার্যকর টিম ।
ক্যান্সার আক্রান্ত বন্ধুকে দেখতে আসার শ্যুট |
---|
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের লেখা শুরু করছি। বন্ধুরা আজকে আমি আমার একটি অভিজ্ঞতা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চলেছি।ছোটবেলা থেকে একটি প্রবাদ শুনে বড় হয়েছি ,প্রবাদ টি অনেকটা এরকম " অতি সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট "।এ কথার মানে একটু বড় হয়ে বুঝতে পেরেছি যে আসলে কোন বিশেষ কর্মকাণ্ডে অনেক বেশি মাতব্বর টাইপের লোক থাকলে সেই কাজটি কখনোই সফলতার মুখ দেখেনা। সেই রকমই একটা অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছিল আমাদের। তখন করোনা আসেনি।
করোনা আসার ঠিক কিছুদিন আগে আমরা বন্ধুরা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমরা ইউটিউব বেস একটা শর্ট ফিল্ম তৈরি করব ।শর্টফিল্মের গল্পটা ছিল একজন ক্যান্সারাক্রান্ত ছেলের জীবন সংগ্রাম ।আর অনুষঙ্গ হিসেবে এসেছিল ছোটখাটো কিছু জীবনের ভাল লাগা প্রেম এবং বন্ধুত্বে বিশ্বাসঘাতকতা ।এই সব কিছু নিয়েই আমাদের গল্পটা ছিল।
মোটামুটি আমরা বেশ কিছুদিন ধরে গল্পটিকে আমরা ভালোভাবে সাজিয়ে ছিলাম। অভিনেতা অভিনেত্রী সবগুলো চরিত্রের জন্যই আমরা নির্বাচন করে ফেলেছিলাম। যদি ও আমাদের বাজেট সীমিত ছিল তাই এই সীমিত বাজেটের মধ্যে এটা আমরা করতে চেয়েছিলাম। এটাকে আমার একটা উৎসব একটা ভালো লাগার বিষয় হিসেবে নিয়েছিলাম।প্রত্যেকের ভিতর অন্যরকম উত্তেজনা আগ্রহ-উদ্দীপনা কাজ করছিল।প্রত্যেকে এই বিষয়টাকে নিজেদের দায়িত্ব এবং আনন্দের একটা অন্যতম উপায় হিসেবে গ্রহণ করেছিল।
যাইহোক প্রথমদিনের শুটিং শুরু হল ।আমাদের প্রত্যেকেরই তেমন একটা অভিজ্ঞতা নেই ।মোটামুটি সবাই পড়াশোনা করে ইউটিউবে কিছুটা রিসার্চ করে এটি তৈরির কাজ শুরু করেছিলাম। এই কাজটা করার জন্য প্রথম থেকে একটা নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের উত্তেজনা কাজ করছিলো।এভাবেই আমরা শুট শুরু করে ফেললাম।যদিও শুরুতে কিছু প্রতিবন্ধকতা সামনে এসেছিল যেগুলো আমরা অতি সহজেই অতিক্রম করেছিলাম। আমাদের শুটিং মোটামুটি শেষ পর্যায়ে।এরপর শুধু তিনটি সিন শ্যুট করা বাকি ছিলো।তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন ছিল একটু প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।
আর এই কিছু সময়ের বিরতিতে ঘটে গেল একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ।আমরা নায়িকা চরিত্রে যাকে নির্বাচন করেছিলাম সেটা জানিয়ে দিলো সে আর অভিনয় করতে পারবে না। কারণ সে একজনের বাগদত্তা এবং তার হবু শাশুড়ি তাকে এইরকম কোন কাজে ,এই শর্ট ফিল্মে তাকে দেখতে চায়না। আমাদের সে রিকোয়েস্ট করলো যেন তাকে আর এই কাজে না ডাকা হয়।একটা কথা বলে রাখা ভালো যে আমরা এই নায়িকাটিকে তার একজন বিশেষ বন্ধু যে আমাদের এই পদক্ষেপের সঙ্গে জড়িত ছিল তার রিকমেন্ডেশনে নিয়েছিলাম।
যদিও আমরা অলরেডি একজন নায়িকাকে ভেবেছিলাম এবং তার সঙ্গে প্রাথমিক কথা বলেছিলাম কিন্তু শুধুমাত্র আমাদের এই মেম্বারের রিকমেন্ডেশন এর জন্য তাকে নিয়েছিলাম এবং সেই আমাদের কে ডুবিয়ে দিল।এই শ্যুটিং টা এমন একটা পর্যায়ে গিয়েছিল সেখান থেকে নায়িকাকে রিপ্লেসমেন্ট করা খুবই কঠিন ছিল ।কারণ কাউকে নায়িকা হিসেবে নিলে আমাদের প্রথম থেকে শুরু করতে হতো।একটা বড় প্রতিবন্ধকতা এসে পড়লো।
হঠাৎ করে এই ধরনের বাধা আস্তে আস্তে আমাদের কে নিরুৎসাহিত করতে শুরু করলো। আলটিমেটলি আমাদের কাজটা হলো না। এখানে আসলে আমরা যে ভুলগুলো করেছিলাম সেটা চিন্তা করে দেখলে দেখা যায় যে আমাদের এই কাজটি করার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে ছয় জনের টিম দরকার ছিল। সেখানে ১৩ জনের টিম তৈরি করেছিলাম ।এখানে কয়েক জন এসেছিল শুধু মজা করতে ।এদের কোনো দায়িত্ববোধ সম্মানবোধ কিছুই ছিল না কাজটির প্রতি।এই দিক দিয়ে দেখলে সহজে বলা যায় অতি সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট।
Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
ভাবছিলাম খুব রোমান্টিক হবে গল্প টা। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে যা অকল্পনীয়। বর্তমানে কাউকে নিয়ে ভালো কিছু চিন্তা না করাই শ্রেয়। ভাই হাসি- কান্না নিয়ে মানুষের জীবন। ধন্যবাদ ভাইয়া খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।
একদম সঠিক বলেছেন আপনি।আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।ধন্যবাদ।
আপনার পোষ্টটি প্রথম দিকে যখন পড়ছিলাম শেষের দিকে এমনটা হবে কখনো ভাবতেও পারিনি 😥 ঠিক বলেছেন ভাই কিছু কিছু মানুষের জন্য ভালো কিছু করা সম্ভব হয়ে ওঠে না । ধন্যবাদ আপনাকে
একদম।টিম সিলেকশন এ সচেতনতা রাখতে হবে অনেক।ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই ভালো উদ্যোগ।আবার নতুন করে শুট করছো। এবার কাজ টা সুন্দর ভাবে হচ্ছে শুনে খুব ই ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা অবিরাম ভাই
তুমি ভিতরে না পড়েই কমেন্ট করেছো।তোমাকে ধন্যবাদ।
বন্ধু আমি ভিতরে পড়েছিলাম।।বেশি জনকে নিয়ে কাজ টা শুরু করেছিলে কিন্তু কিছু জন এসেছিলো মজা করতে কাজের প্রতি তাদের তেমন ভালোবাসা ছিল না। যে মেয়ে টাকে নায়িকা হিসেবে নিয়াছিলে তার বিয়ে হয়ে গেছে। শাশুড়ি এই সব করতে দেবে না। মোট কথা অনেক জন দিয়ে শুরু করে গাজন নষ্ট হয়েছিলো। আমি পুরোটাই পড়েছিলাম। ছবি গুলি দেখে মনে হলো নতুন করে আবার শুরু করছ হয়তো। কিন্তু আগের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছো তাইতো
একদম পারফেক্ট একটা উদাহরণ দিয়েছেন দাদা। আসলে কোন কাজ শুরু করতে গেলে কাদেরকে সাথে নিচ্ছেন এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। বেশি মানুষের বেশি মতামত, সমস্যাও বেশি। এজন্য যেকোনো কাজে খুব বেশি মানুষ না থাকলেই ভালো হয়। আর যারা দায়িত্ব নিতে জানে তাদেরকে সাথে রাখা উচিত।
সঠিক বলেছেন আপনি।decision maker সবাই হলে ফলাফল উল্টোই হয়।
আপনার লেখার বিষয়ের সাথে আমি একমত।আমি এই বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছিলাম অনেক ক'জন মিলে এক সাথে গ্রুপ স্টাডি করার সময়ে।ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটা বিষয় ফুটে তোলার জন্য।
ধন্যবাদ সময় নিয়ে পোস্ট টি পড়ার জন্য।
আমি সঠিক বলেছেন ভাইয়া অতি সন্যাসীতে গাজন নষ্ট। আমার এমন একটি অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর ১০ জন বন্ধু মিলে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে চেয়েছিলাম সেই হিসাবে বেশ দূর পর্যন্ত কাজ এগিয়ে গেয়েছিলাম কিন্তু চুড়ান্ত পর্যায়ে সিধান্ত নিতে গিয়ে দুই একজনের মতামত মিলে গেল না এবং আমরা সবাই খুব হতাশ হলাম এমন মনমানসিকতা দেখে পরে আমাদের ওই প্লাটফর্মটি স্থগিত করতে হয়েছে। তখন বুঝতে পেরেছি ডিসিশন ম্যাকিং এ সবাইকে রাখতে নেই এইসব ক্ষেত্রে স্বৈরাচারী মনোভাবই বেশি কার্যকর।
আমাদের সবারই কমবেশি এইরকম অভিজ্ঞতা আছে।আমাদের এর থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
এতো উৎসাহ এতো দূর এগিয়ে যাওয়া কিন্তু অবশেষে একটি মেয়ের জন্য সম্পূর্ণ পরিশ্রম বিফলে চলে গেল। যাইহোক আশা চ্যুত হয়েন না।
যদি ইচ্ছা থাকে সব ঠিক করে এখন আবার চেষ্টা করুন দাদা। কারণ মহৎ কোনো কাজে একবারে সফলতা আসে না।
আপনার আন্তরিক শুভেচ্ছার জন্য আপনাকে জানাই ধন্যবাদ।
প্রবাদটির সাথে বাস্তবধর্মী একটি উদাহরণ উপস্থাপন করেছেন আপনি। সত্যি বাস্তবতা আমাদের অনেক কিছুই শিক্ষা দেয় কিন্তু তবুও আমরা সেখান হতে কোন শিক্ষা গ্রহন করি না। আপনার চমৎকার ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতাটি সকলে ভালোভাবে গ্রহন করবে এবং নিজের জীবনে সেটা প্রয়োগ ঘটাবে এই প্রত্যাশা করছি আমি।
ন্যাড়া বারবারই বেল তলায় যায়।তবে এই রকম অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তা পরবর্তী সময়ে প্রয়োগ করতে পারলেই সাফল্য আসবেই।ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা যেটুকু শুট হয়েছে ওইটুকু কি আপলোড করা যাবে না?মাত্র তিনটি শুটের কমতির জন্য আমরা একটি শর্টফিল্ম হারিয়ে ফেললাম😢।কি বলবো দাদা এ যেন অবশেষে ডাউলে পানির মতো অবস্থা হয়েছে।নায়িকা কে পুনরায় ম্যানেজ করার জন্য চেষ্টা করা উচিত দাদা।যদি রাজি হয়ে যায় তো ফিল্ম টা সম্পূর্ণ করা যেত।
আসলে সবাই মিলে একটা ফিলিংস নিয়ে শুরু করা হয়ে ছিলো।তাই replacement করে অন্তত এটা করা ঠিক হবে না।
ওহ আচ্ছা।।
দাদা ভেঙে না পরে এগিয়ে যান। আসলেই আমিও আপনার সাথে একমত "বেশি লোকে গাদন নষ্ট "আমাদের বাংলাতে এই কথাটা আছে।এবং এর সাথে বাস্তব মুখি একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
আপনার শুভেচ্ছা আমার অনুপ্রেরণা ।ধন্যবাদ।