মন খারাপের খুঁটিনাটি ।।০২ আগস্ট ২০২৩

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে ও আমি জীবন সম্পর্কে লিখতে চলেছি।আপনারা সবাই জানেন যে মানবজীবন একটা জটিল প্রক্রিয়া।সময়ের সাথে অনেক উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে মানব জীবন এগিয়ে যায়।এই জীবন সফরে আমাদের অনেক নতুন নতুন অনেক বিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।আমাদের শরীর আর মন নিয়েই আমাদের সব কিছু নিয়ন্ত্রিত হয়।শরীর আর মন ভীষণ ভাবে একে অন্যের সাথে জড়িত।

image.png

Image taken from pixabay.com


✓শরীর ভালো না থাকলে যেমন মন ভালো থাকে না তেমনি মন ভালো না থাকলে শরীর ভালো থাকে না।শরীর খারাপ থাকলে ও কোনো না কোনো ভাবে সেটা ম্যানেজ করে নেওয়া যায় কিন্তু মন ভালো না থাকলে কিছুই করার তাগিদ পাওয়া যায় না।আর আমার আজকের বিষয় :মন খারাপের খুঁটিনাটি।

বন্ধুরা,আমাদের এই দৈনন্দিন জীবনে অনেক ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে অনেক কিছুই আমাদের মনের ওপর প্রভাব ফেলে।জলাশয়ে ঢিল মারলে যেমন জলে আন্দোলন হয় তেমনি এই সব ঘটনা ও আমাদের মনকে আন্দোলিত করে।কিছু কিছু অপ্রত্যাশিত ও হতাশা আমাদের মনকে অস্থির করে তোলে আর তখন স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়।

মন খারাপের কারণ গুলো আলোচনার চেষ্টা করি আসুন।আরেকটা কথা বলে রাখি যা কিছু লিখছি সেটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে।তাই যেকোন গঠনমূলক আলোচনা সমালোচনা কে স্বাগতম।

১.পারিবারিক সমস্যা,ব্যক্তিগত জীবনের নানা ভুল কষ্ট ইত্যাদি।
২.কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা যা হৃদয়বিদারক সেটা আমাদের মনকে খারাপ করে তোলে।
৩.প্রিয়জনের দেওয়া আঘাত বা অবহেলা ও একটি সঙ্গত কারণ হিসেবে দেখা হয়।
৪.কোনো কিছু আশা করে আশাহত হলে মন স্বাভাবিক ভাবেই খারাপ হয়।

মাঝে মাঝে মন এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে চোখ দিয়ে অশ্রু চলে আসে।মন খারাপের কোনো বৈজ্ঞানিক নাম নেই কারণ ও নেই।মনোবিজ্ঞানের ভাষায় মনের অসুখ হয় না হয় আচরণগত অসুখ।চোখে অশ্রু আসার বৈজ্ঞানিক কারণ হলো আমাদের অক্ষি গোলকের ঠিক উপরের ডান দিকে থাকে ল্যাক্রিমাল গ্ল্যান্ড বা অশ্রুগ্রন্থি।আর সেখান দিয়েই অশ্রু নিঃসৃত হয়।তিন রকমের অশ্রু নিঃসৃত হয়।সেগুলো হলো ইমোশনাল টিয়ার্স,রিফ্লেক্স টিয়ার্স আর বেসাল টিয়ার্স।

যাই হোক আমাদের জীবনের চলার পথে মন খারাপ হবে।কখনো কখনো মনে হবে জীবন থেমে গেল।কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে হবে একটাই মানব জীবন তাই তাকে নিজের মতো করে সাজিয়ে ভালো থাকতে হবে।আর আমরা ভালো থাকলেই আমাদের চারপাশটা ও ভালো থাকবে।আজ এই পর্যন্তই।সবাই ভালো থাকবেন সবসময়।


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


image.png

png_20211106_204814_0000.png

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



 last year 

দাদা আগে কখনো এভাবে ভেবে দেখিনি। আপনি আজকে মন নিয়ে চমৎকার কিছু কথা তুলে ধরেছেন। সত্যি তাই আমরা ভালো থাকলেই আমাদের চারপাশটা ও ভালো থাকবে। বিভিন্ন ভাবে মন খারাপ হবে। তবে আমাদের কে মন কে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ভালো লাগলো দাদা আপনার লেখা গুলো পড়ে। আর অনেক কিছু শিখতে পারলাম। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।

 last year 

একটানা পড়ে ফেললাম ভাই লেখাটা, কোন যেন একঘেয়েমি কাজ করেনি। যে যুক্তিযুক্ত কারণ গুলো দেখিয়েছেন তা আমার কাছে অনেকটাই সঠিক মনে হয়েছে।

শরীর খারাপ থাকলে ও কোনো না কোনো ভাবে সেটা ম্যানেজ করে নেওয়া যায় কিন্তু মন ভালো না থাকলে কিছুই করার তাগিদ পাওয়া যায় না

যথার্থ বলেছেন ভাই।

 last year 

মন খারাপের হয়তো কোন নাম নেই। কিন্তু মন খারাপের মাঝে বয়ে চলা দুচোখের অশ্রু আর হৃদয়ের রক্তক্ষরণ অনেক কষ্ট দিয়ে যায়। আপন মানুষগুলোর কাছ থেকে পাওয়া আঘাত আহত হৃদয়কে আরো বেশি ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। দাদা আপনার লেখাগুলো সত্যিই দারুন ছিল। অনেক ভালো লাগলো লেখাগুলো পড়ে।

 last year 

আসলে শরীর এবং মন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শরীর খারাপ হলে তো ঔষধ খেয়ে শরীর ভালো করতে পারি। তবে মন খারাপ হলে মন ভালো করার উপায় নিজেদেরই খুঁজে বের করতে হয়। এই ছোট্ট জীবনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে মন খারাপ হতে পারে। তবে সেটা নিয়ে বসে না থেকে মন ভালো করতে হবে। সর্বোপরি নিজেকে ভালো রাখতে হবে। তাহলে আমরা চারপাশের সবাইকে ভালো রাখতে পারবো। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 last year 

সত্যি অদ্ভুত দাদা । মাঝেমধ্যে মন খারাপের কোন কারনই পাওয়া যায় না। কেন যেন কোন অবচেতন কারণে মন খারাপ হয়ে যায়। চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে পানি। কিন্তু যত যাই হোক। আমাদেরকে এ সমস্ত পরিস্থিতি অবশ্যই মোকাবেলা করতে হবে। জীবনকে বইয়ে নিয়ে যেতে হবে, এক অবারিত আনন্দধারায়।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 58544.56
ETH 2629.02
USDT 1.00
SBD 2.44