উৎসব যেন অন্ধকার বয়ে না আনে !।।বুধবার ,১৩ অক্টোবর ২০২১

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago
image.png

প্রতীকী ছবি

প্রায় দুই বছর ধরে সারা পৃথিবীতে ধ্বংস চালিয়ে যাচ্ছে করোনা ভাইরাস।ইউরোপ ও আমেরিকায় করোনা সবথেকে ভয়ংকর রূপ দেখিয়েছে।সেই দিক থেকে দেখলে এশিয়ায় জনবহুল দেশ গুলো থাকলে ও করোনা ততটা ভয়ঙ্কর হতে পারে নি।তবে যেটুকু পেরেছে সেটাই আমরা ভারতবাসীকে কাঁদিয়ে ছেড়েছে।যে মৃত্যু মিছিল দেখেছি তাতে আমরা স্তম্ভিত ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।এখন পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে।তবে এটা বলা ঠিক হবে না যে করোনা ভারত থেকে দূর হয়ে গেছে।করোনা অনেকটা ছাই চাপা আগুনের মতো।

একটু হাওয়া লাগলেই কিন্তু আগুন দাউ দাউ করে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে।আমাদের সবার সেই দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।তা না হলে সেই আগুনে আমরা সবাই পুড়ে মরবো।

BoC- linet.png

image.png

প্রতীকী ছবি

অনেক দিন পর বাঙালি আলোর মুখ দেখছে।তাই আনন্দে সবাই মেতে উঠছে।এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না আমরা এখনো করোনা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।সকল স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়মকানুন মেনে আমাদের উৎসবে মেতে উঠা প্রয়োজন।কিন্তু আমরা তা করছি না।

উৎসব আমাদের জীবন যাত্রার একটি আনন্দময় মুহূর্ত।জীবনকে রঙিন করার জন্য আমাদের এই সব উৎসব এ অংশ গ্রহন করা প্রয়োজন।কিন্তু মনে রাখতে হবে উৎসব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার কিন্তু কোনো অপরিহার্য বিষয় না।দুই একটা বছর আমার জমিয়ে উৎসব পালন না করলে আমাদের বিশেষ কোনো ক্ষতি হবে না।কিন্তু যদি আমরা সব নিয়ম জলাঞ্জলি দিয়ে এই উৎসবে মত্ত হই তাহলে পরিস্থিতি খুব খারাপ দিকে যাবে।

১৮+ বছরের সবাইকে টিকা দেওয়া শুরু করা গেলেও শিশুদের কিন্তু এখনো কোনো টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি।তাই শিশুদের বিষয়ে আমাদের আরো অনেক বেশি সচেতন হওয়া উচিত।বড়রা যেমন তাদের অনেকটা অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে কিন্তু বাচ্চা রা তো তাদের অনুভূতি সঠিক ভাবে প্রকাশ করতে পারে না।তাই তাদের চিকিৎসা করা অনেকটা জটিল।

কিন্তু এই পুজোর মরশুমে অভিভাবক রা যেভাবে মাস্ক ছাড়া মণ্ডপে মণ্ডপে শিশুদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তা চিকিৎসক দের কে অনেকটা শঙ্কিত করছে।আমাদের মনে রাখতে হবে প্রচুর চিকিৎসক রা আমাদের কে বাঁচাতে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে।সেই আমরাই আবার সেই পরিস্থিতি তৈরির দিকে এগিয়ে যাচ্চি।

তাই এবার আমাদের পুজোর আনন্দ ঘরে ঘরে বানাতে হবে।পুজোর মজা আমাদের নিজের পাড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।এবার আমাদের পাড়ায় পাড়ায় বেড়ানো বন্ধ রাখাই ভালো।আর রাস্তায় রাস্তায় নির্বিচারে খাবার খাওয়াটা না করে কিনে এনে বাড়িতে খাওয়াই মঙ্গল।সব থেকে ভালো হয় বাড়িতে পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়া।

এই করোনাকালীন পরিস্থিতিতে আমাদের আনন্দ অনেক দরকার মনকে ফ্রেশ রাখতে।তাই নিজেদের মতো করে আনন্দ পালন করতে হবে।তাহলে নিজেদের সুরক্ষা বজায় রেখে আমরা অনেক আনন্দ উপভোগ করতে পারবো।

ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


image.png

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord

image.png

Sort:  
 3 years ago 

একটু হাওয়া লাগলেই কিন্তু আগুন দাউ দাউ করে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে।আমাদের সবার সেই দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।তা না হলে সেই আগুনে আমরা সবাই পুড়ে মরবো।

এটা কিন্তু খুবই সত্য একটা কথা বলেছেন ভাই, আমি গত শুক্রবার শপিং এ গিয়েছিলাম মেয়েকে নিয়ে, এক দিকে সাপ্তাহিক ছুটি অন্য দিকে পূজোর কেনাকাটা প্রচুর মানুষের উপস্থিতি দেখে আমি রীতিমতো ভীত হয়েগিয়েছিলাম। অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক ছিলো না। তারা খুব দ্রুত করোনার অতীত তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা ভুলে গিয়েছিলেন। সুতরাং আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে, এর কোন বিকল্প নেই। ধন্যবাদ সুন্দরভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করার জন্য।

 3 years ago 

এটি ঠিক দাদা, পূজা বা উৎসব করোনা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জীবনের থেকে বড়ো হতে পারে না।প্রায় দুই বছর পর উৎসব সবাই একপ্রকার নিয়মভঙ্গ করেই পূজা দেখবে ফলে ঝুঁকি বাড়বে।বাচ্চা থেকে বয়স্কদের ও।তাই আমাদের প্রতি মুহূর্তে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।অনেক বার্তা তুলে ধরা হয়েছে লেখাটির মধ্যে।ধন্যবাদ দাদা।

 3 years ago 
  • ১৮+ বছরের সবাইকে টিকা দেওয়া শুরু করা গেলেও শিশুদের কিন্তু এখনো কোনো টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি।তাই শিশুদের বিষয়ে আমাদের আরো অনেক বেশি সচেতন হওয়া উচিত।

আপনার এই কথাটির সাথে আমি একদম একমত ভাইয়া। কারণ আমাদের আশেপাশে এমন অনেকেই আছে যারা ছোটদের সাবধানতা অবলম্বন করা তো অনেক দূরের কথা!! তাদের মতে বাচ্চাদের কখনোই করোনা হবে না আর তারা সেজন্য বাচ্চাদেরকে মাক্স পরানো তো খুব দূরের কথা, এসব নিয়ে ভাবেও না।

 3 years ago 

উৎসব আমাদের জীবন যাত্রার একটি আনন্দময় মুহূর্ত।জীবনকে রঙিন করার জন্য আমাদের এই সব উৎসব এ অংশ গ্রহন করা প্রয়োজন।কিন্তু মনে রাখতে হবে উৎসব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার কিন্তু কোনো অপরিহার্য বিষয় না।দুই একটা বছর আমার জমিয়ে উৎসব পালন না করলে আমাদের বিশেষ কোনো ক্ষতি হবে না।কিন্তু যদি আমরা সব নিয়ম জলাঞ্জলি দিয়ে এই উৎসবে মত্ত হই তাহলে পরিস্থিতি খুব খারাপ দিকে যাবে।

একদম খাটি কথা ভাই।বেঁচে থাকলে এ রকম উৎসব বহু করার সুযোগ থাকবে।অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে ভাগ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 3 years ago 

খুবই সচেতনতামূলক পোস্ট দাদা। টাইটেল টাই অসাধারণ ছিল উৎসব যেন অন্ধকার বয়ে না আনে। এছাড়া উৎসব এবং করোনা নিয়ে খুব ভালো লিখেছেন। সত্যি ছাই চাপা করোনা যেন উৎসবের মধ্য দিয়ে উঠে আসতে না পারে আমাদের সেটা লক্ষ্য রেখেই উৎসব পালন করতে হবে।।

  • আপনি টিকা নিয়েছেন দাদা??

একদম ঠিক বলেছেন দাদা। আনন্দ করে থেকে আমাদের জীবনের মূল্য আগে। জীবনে বেঁচে থাকলে অনেক আনন্দ করার সময় হবে। সুতরাং আনন্দ এবং বিনোদন দরকার আছে তাই বলে কোন নিয়ম ভঙ্গ করে সেটি করা কখনই ঠিক নয়। অবশ্যই আমাকে সবকিছুই সচেতনভাবে করতে হলে।

সচেতন মূলক পোস্ট ছিল সেটি

 3 years ago 

দাদা,আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি অত্যান্ত সুন্দর ভাবে একটি পোস্ট করেছেন। হেডলাইন দেখলেই যার প্রমান মিলে।বিস্তারিত বর্ণনায় আরো সবকিছুই ফুটে উঠেছে। শিরোনাম'উৎসব যেন অন্ধকার বয়ে না আনে।'অর্থাৎ,কিছুদিন আগেই সারাবিশ্ব ভুগছিলো ভয়াল করোনার বিষাক্ত ছোবলে। এখন হয়তো কিছুটা কম হলেও একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায় নি করোনা ভাইরাস। কিন্তু, জনসাধারণের মাঝে হুশ আর নেই। বেপরোয়া ভাবে চলছে লোকজন। তেমন কোনো সতর্কতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।এমতাবস্থায়, আপনার গুরুত্বপূর্ণ লেখনীটি সচেতনতা তৈরিতে একটি সক্ষম উপায় বলে আমি মনে করি। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

চারিদিকে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই উৎসবমুখর পরিবেশ পালন করছে। তবে দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে হলেও আমাদেরকে সতর্কতার সাথে চলাফেরা করা উচিত। আমরা যদি কেউ কোন ক্রমে আক্রান্ত হয়ে যাই তাহলে আমাদের পুরো পরিবার ও প্রিয় জন আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমাদের নিজেদের সুরক্ষায় ও প্রিয়জনকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে সব সময় সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত।

 3 years ago 

দাদা সুন্দর একটি সচেতনতা মূলক লেখা। আসলেই আমাদের স্বাস্থ বিধি মেনে নিজের মত করে আনন্দ করতে হবে। ভাল থাকবেন। শারদীয় শুভেচ্ছা রইলো।

বিশ্বে এযাবৎ, এত তাড়াতাড়ি কোন টিকা আসেনি। শুধু করোনা ছাড়া। আমরা যখন পেয়েছি, শিশুরাও পাবে ইনশাল্লাহ। আপনাকে সবসময় স্বাগতম।

Coin Marketplace

STEEM 0.30
TRX 0.12
JST 0.033
BTC 64420.25
ETH 3150.23
USDT 1.00
SBD 3.99